আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

আজ চাঁদপুর মুক্ত দিবস

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
৩৬ ঘণ্টার তীব্র লড়াইয়ের পর ৮ ডিসেম্বর হাজীগঞ্জ শহর এবং বিনা প্রতিরোধেই চাঁদপুর শহর মুক্ত হয়। জেলার সব স্থান থেকে পাক-হানাদার বাহিনী পালিয়ে যায়

আজ ৮ ডিসেম্বর চাঁদপুর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক-হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয়েছিল চাঁদপুর জেলা। ১৯৭১ সালের এই দিনে চাঁদপুর থানার সামনে বিএলএফ বাহিনীর প্রধান মরহুম রবিউল আউয়াল কিরণ প্রথম চাঁদপুরে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন।

১৯৭১ সালের ৭ এপ্রিল চাঁদপুরে দখলদার বাহিনী দু’টি বিমান থেকে বোমা নিক্ষেপের মাধ্যমে প্রথম আক্রমণের সূচনা করে। এরপর থেকে হানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের চলে দফায় দফায় গুলি বিনিময়। পরে গঠন করা হয় শান্তিবাহিনী’। শান্তিবাহিনী ও পাক-হানাদার বাহিনী বিভিন্ন জায়গায় চালাতে থাকে বর্বরোচিত অত্যাচার ও হত্যাযজ্ঞ। যৌথবাহিনী হাজীগঞ্জ দিয়ে ৬ ডিসেম্বর চাঁদপুর আসতে থাকলে মুক্তিসেনা কর্তৃক হানাদার বাহিনী প্রতিরোধের সম্মুখিন হয়।

ভারতের মাউন্টেন ব্রিগেড ও ইস্টার্ন সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধারা যৌথ আক্রমণ চালায়। উপায়ন্তর না পেয়ে পাকিস্তানের ৩৯ অস্থায়ী ডিভিশনের কমান্ডিং অফিসার মেজর জেনারেল রহিম খান চাঁদপুর থেকে পালিয়ে যান।  ৩৬ ঘণ্টার তীব্র লড়াইয়ের পর ৮ ডিসেম্বর হাজীগঞ্জ শহর এবং বিনা প্রতিরোধেই চাঁদপুর শহর মুক্ত হয়। জেলার সব স্থান থেকে পাক-হানাদার বাহিনী পালিয়ে যায়। রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা অনেকে পালিয়ে যায়, আবার কেউ-কেউ মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে নিহত হয়।

মুক্তিযুদ্ধে অগণিত শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে ১৯৮৭ সালে চাঁদপুর শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়কস্থ লেকের পাড়ে নির্মিত হয় স্মৃতিস্তম্ভ অঙ্গীকার’। দেশের প্রথিতযশা ভাস্কর্য শিল্পী আব্দুল্লাহ খালিদ এটি নির্মাণ করেছিলেন।  পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকাসহ স্থাপন করা হয় আরেকটি স্মৃতিস্তম্ভ। এছাড়া হাজীগঞ্জের নাসিরকোর্টে নিহত ১১ জন শহীদের কবরসহ স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে।

২০১২ সালে বড়স্টেশন মোলহেড এলাকায় তৈরি হয় রক্তধারা’। এছাড়া ২০০৬ সালে চাঁদপুরের প্রথম শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কালাম, খালেক, সুশীল ও শংকরের জন্য শহরের ট্রাক রোডে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়।


আরও খবর
আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস

সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪




ঝালকাঠিতে ট্রাক-প্রাইভেটকার-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ১১

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি

Image

ঝালকাঠিতে ট্রাক-প্রাইভেটকার ও অটোরিকশার সংঘর্ষে ১১ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে ঝালকাঠির গাবখান সেতুর ঢালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ঝালকাঠির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সিমেন্টবাহী একটি ট্রাকের চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে সেটি কয়েকটি গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তার পাশে চলে যায়। এতে ইজিবাইকের ৭ আরোহী ঘটনাস্থলেই মারা যান। এছাড়া ওই ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে একটি প্রাইভেট কার। যাতে শিশুসহ ৬ জন আরোহী ছিলেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।

এ ঘটনায় হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিচয় জানা যায়নি।

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরওএমও) ডা. মেহেদী হাসান সানি জানিয়েছেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৬ জনের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, টোল প্লাজায় টাকা দেওয়ার অপেক্ষায় ছিল ইজিবাইক, প্রাইভেট কারসহ একাধিক গাড়ি। সিমেন্টবাহী ট্রাকটি সামনে থাকা সব গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে প্রতিবন্ধক ভেঙে রাস্তার পাশে চলে যায়।


আরও খবর



শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

জুমার দিন বা শুক্রবার মুসলমানদের কাছে পবিত্র ও সর্বশ্রেষ্ঠ দিন, সপ্তাহের ঈদের দিন। ইসলামে বিশেষ মর্যাদা রয়েছে এ দিনের। সব দিনের মধ্যে জুমাবারকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। কোরআন ও হাদিসে এ দিনের বিশেষ সম্মান ও মর্যাদার কথা উল্লেখ রয়েছে। জুমার দিনে অনেকেই বিভিন্ন আমল করার চেষ্টা করেন, শুধু আল্লাহকে খুশি করার জন্য।

রাসুল (সা.) বলেছেন, জুমার দিন অন্য দিনগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ। জুমার দিন আল্লাহ তাআলার কাছে সবচেয়ে মহান দিন। এমনকি এ দিন আল্লাহ তাআলার কাছে ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর তথা ইসলামের দুই ঈদের দিন থেকেও মহান। (সুনানে ইবনে মাজা)

আরেক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ এ দিনটিকে মুসলমানদের জন্য ঈদের দিনরূপে নির্ধারণ করেছেন। তাই যে ব্যক্তি জুমার নামাজ আদায় করতে আসবে সে যেন গোসল করে এবং সুগন্ধি থাকলে তা শরীরে লাগায়। মিসওয়াক করাও তোমাদের কর্তব্য। (সুনানে ইবনে মাজা)

জুমার দিন একজন মুসলমান বিশেষ চারটি আমলে ‍গুরুত্ব দিতে পারেন। আমলগুলো হলো

সূরা কাহাফ তিলাওয়াত:

জুমার দিনে সুরা কাহাফ তিলাওয়াতের অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, তার (ঈমানের) নূর এ জুমা হতে আগামী জুমা পর্যন্ত চমকাতে থাকবে। (মিশকাত ২১৭৫)।

হজরত আবু দারদা রা. থেকে বর্ণিত, নবী সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্থ করবে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। (সহিহ মুসলিম : ৮০৯, আবু দাউদ : ৪৩২৩)

হজরত আলী রা. থেকে বর্ণিত, নবী সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, সে ৮ দিন পর্যন্ত সব ধরনের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। যদি দাজ্জাল বের হয় তবে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকেও নিরাপদ থাকবে।

বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা:

জুমার দিনের ফজিলতপূর্ণ আরেকটি আমল হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা। রাসুল (সা.) বলেন, দিনসমূহের মধ্যে জুমার দিনই সর্বোত্তম। এ দিনে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। এ দিনে শিঙ্গায় ফুঁ দেওয়া হবে। এ দিনে সমস্ত সৃষ্টিকে বেহুঁশ করা হবে। অতএব তোমরা এ দিনে আমার ওপর অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করো। কেননা, তোমাদের দরুদ আমার সম্মুখে পেশ করা হয়ে থাকে। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৭)

তাড়াতাড়ি মসজিদে আগমন:

হজরত আউস ইবনে আউস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল সা.-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করাবে (জুমার নামাজের পূর্বে স্ত্রী-সহবাস করে তাকেও গোসল করাবে) এবং নিজেও গোসল করবে অথবা উত্তমরূপে গোসল করবে। এরপর ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে আসবে, আসার সময় হেঁটে আসবে, কোনো বাহনে চড়বে না, ইমামের কাছাকাছি বসবে, এরপর দুটি খুতবা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং (খুতবার সময়) কোনো অনর্থক কাজকর্ম করবে না, সে মসজিদে আসার প্রতিটি পদক্ষেপে একবছর নফল রোজা ও একবছর নফল নামাজের সওয়াব পাবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৪৫)

দোয়া করা:

জুমার দিনের দোয়া আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন। তাই এদিন আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করা জরুরি। হজরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, জুমার দিনে এমন একটা সময়ে রয়েছে, যাতে আল্লাহর বান্দা আল্লাহর ক‍াছে যা চাই আল্লাহ তাই দেন। অতএব তোমরা আছরের শেষ সময়ে তা তালাস করো। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৮, নাসাঈ, হাদিস : ১৩৮৯)


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর

বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪




রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

রোজায় আমাদের খাদ্যাভ্যাসে বড় পরিবর্তন আসে। তাই এর প্রভাবও পড়ে শরীরে। যে কারণে এসময় শরীরের জন্য সর্বোচ্চ উপকারী খাবার বেছে নিতে পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। রোজায় পানি কম পান করা হলে এবং ভাজাপোড়া ও মসলাদার খাবাার বেশি খাওয়া হলে তার প্রভাব পড়ে আমাদের ত্বকেও। এসময় ত্বক নির্জীব ও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। তাই রোজায়ও ত্বকের যত্ন নেওয়া জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক, রোজায় ত্বক ভালো রাখতে কী করবেন-

ক্লিনজিং : আমাদের ত্বকের উপর মরা চামড়া জমে লোমকূপ বন্ধ করে দিতে পারে। তাই ত্বক সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। বাইরে থেকে ফিরে ক্লিনজিং ব্যবহার করুন। ভালো মানের ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নেবেন। মুখে বারবার পানির ঝাপটা দেওয়ার চেষ্টা করুন। এতে ত্বক আরাম পাবে।

বরফ ব্যবহার : সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর একটি পরিষ্কার সুতির কাপড়ে এক টুকরা বরফ নিয়ে মুখে ঘষতে পারেন। তবে বরফ কখনোই সরাসরি মুখে লাগাবেন না। এতে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। এভাবে বরফ ব্যবহারের ফলে মুখের ফোলাভাব অনেকটাই কমে যাবে। চোখের নিচের ফোলাভাব দূর করার জন্য ফ্রিজে একটি চা চামচ রেখে দিতে পারেন। এরপর সেই ঠান্ডা চামচ বের করে চোখের নিচে ধরে থাকলে আরাম পাবেন এবং চোখের ফোলাভাবও অনেকটাই দূর হবে।

স্ক্র্যাব করুন : সপ্তাহে দুইদিন ব্যবহার করতে পারেন স্ক্র্যাব। নিয়মিত ক্লিনজিং এর পরও অনেক সময় ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার হয় না। এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে স্ক্র্যাব। বাইরে থেকে না কিনে ঘরেই তৈরি করতে পারেন স্ক্র্যাব। যেমন ধরুন কফি আর মধু দিয়েই আপনি একটি স্ক্যাব তৈরি করে নিতে পারেন। অথবা চালের গুড়া, দুধের সর আর মধু দিয়েও হতে পারে স্ক্র্যাব। তবে এটি বেছে নিতে হবে আপনার ত্বকের ধরন বুঝে।

পাকা পেঁপের প্যাক : রোজায় ইফতারের সময় অনেকেই পাকা পেঁপে খেতে পছন্দ করেন। এটি কিন্তু এসময় আপনার ত্বক ভালো রাখতেও কাজ করবে। সেজন্য আপনার প্রয়োজন হবে দুই চা চামচ পাকা পেঁপের পেস্ট এবং দুই চা চামচ মধু। এবার এই দুই উপকরণ একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি ত্বকে ব্যবহার করতে হবে মিনিট পনেরো। এরপর শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিতে হবে। এতে উপকার পাবেন।


আরও খবর



পদ্মা সেতু দেখে মুগ্ধ ভুটানের রাজা

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক পদ্মা সেতু পরিদর্শনে গিয়ে মুগ্ধ হয়েছেন। বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল ৯টার পর মাওয়া প্রান্ত থেকে পদ্মা সেতুতে উঠে নান্দনিক এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং এ নির্মাণ প্রকল্প দেখে মুগ্ধ হন তিনি।

এরপর নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করার কথা রয়েছে ভুটানের রাজার। আর বিকেল ৪টায় তিনি রাজধানীতে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশি বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান ভুটানের রাজা খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আওয়ামী লীগ সরকার গত জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর এটি বাংলাদেশে কোনো দেশের শীর্ষ নেতার প্রথম সফর।

সফরের শুরুর দিন ভুটানের রাজা ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন এবং জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

এরপর গতকাল (মঙ্গলবার) ভোর ৫টা ৫৬ মিনিটে দিনের প্রথম প্রহরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তাদের সঙ্গে উপস্থিত থেকে ভুটানের রাজাও শ্রদ্ধা জানান। পরে বিকেল সোয়া ৫টায় (মঙ্গলবার) স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগুয়েল ওয়াংচুক। এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে সস্ত্রীক বঙ্গভবনে যান ভুটানের রাজা।

নিউজ ট্যাগ: জিগমে খেসার

আরও খবর



সাড়ে তিন বছর পর দলে ফিরে যা বললেন আমির

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

প্রায় এক বছর আগে থেকেই তারকা পেসার মোহাম্মদ আমিরের পাকিস্তান দলে ফেরার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। তবে নানান কারণে তা আলোর মুখ দেখেনি। সব বাধা টপকে আবারও অবসর ভেঙে ফেরার আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন তিনি।

এদিকে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে পাকিস্তানের ট্রেনিং ক্যাম্পেও ডাক পড়ে তারকা এই পেসারের। আমিরকে দলে ফেরাতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও বৈঠকে বসেন। এতে তার জাতীয় দলে ফেরা অনেকটা প্রত্যাশিতই ছিল। এরপরই অবসর ভেঙে দলে ফেরার ঘোষণা দেন আমির। এর আগে, একই প্রক্রিয়ায় ইমাদ ওয়াসিমকে দলে ফিরিয়েছে পিসিবি।

শেষমেশ এই দুই তারকা ক্রিকেটারকে নিয়েই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ১৭ জনের দল ঘোষণা করেছে পিসিবি।

আমির ও ইমাদকে ফেরানোর বিষয়ে নির্বাচক ওয়াহাব রিয়াজের ভাষ্য, ইমাদ ও আমিরকে দলে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়াটা সহজই ছিল। তারা খেলার জন্য প্রস্তুত আর হারিস রউফের চোট এবং মোহাম্মদ নেওয়াজের বর্তমান ফর্মও ছিল বিবেচনায়। আমির ও ইমাদ যে ম্যাচ জেতানো খেলোয়াড়, সেটা অস্বীকারের সুযোগ নেই। আমরা বিশ্বাস করি, দলের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য পূরণে তারা বলিষ্ঠ পারফরম্যান্স করবেন।

এর আগে, ২০২০ সালে তৎকালীন প্রধান কোচ মিসবাহ-উল-হক ও বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনিসের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন বাঁহাতি এই পেসার। জাতীয় দলের খেলা বাদ দিলেও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলছেন আমির। সদ্য সমাপ্ত পাকিস্তান সুপার লিগেও (পিএসএল) খেলেছেন তিনি। দ্য গ্রিন ম্যানদের হয়ে সব মিলিয়ে ১৪৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন আমির।

দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (টুইটার) জাতীয় দলে জার্সি পরিহিত একটি ছবি শেয়ার করেছেন আমির।

ছবির ক্যাপশনে তার ভাষ্য, বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম। এর বাংলা অর্থ-পরম করুণাময় অতিশয় দয়ালু আল্লাহর নামে (শুরু করছি)। এর মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে নতুন শুরুর ইঙ্গিতই দিয়েছেন তারকা এই পেসার।

২০১০ সালে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন মোহাম্মদ আমির। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ২০১৬ সালে জাতীয় দলে ফিরেছিলেন এই পাকিস্তানি পেসার। ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে ভারতকে হারানোর অন্যতম নায়ক ছিলেন আমির।

উল্লেখ্য, আগামী ১৮ এপ্রিল থেকে রাওয়ালপিন্ডিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে। একই ভেন্যুতে ২০ ও ২১ এপ্রিল হবে পরের দুটি ম্যাচ। এ ছাড়া ২৫ ও ২৭ এপ্রিল শেষ দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হবে লাহোরে।

পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড : বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), সাইম আইয়ুব, উসমান খান, ইফতেখার আহমেদ, আজম খান (উইকেটরক্ষক), ইমাদ ওয়াসিম, শাদাব খান, শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহ, মোহাম্মদ আমির, আব্বাস আফ্রিদি, আবরার আহমেদ, ফখর জামান , ইরফান খান নিয়াজী, উসামা মীর ও জামান খান।

রিজার্ভ : হাসিবুল্লাহ, মোহাম্মদ আলী, আগা সালমান, সাহেবজাদা ফারহান, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র।

 


আরও খবর