বিগত ১২ দিনের এই অভিযানে ইউক্রেনের বেশ
কয়েকটি নগরী দখল করে নিয়েছে রুশ সেনারা। এতে দেশটির বিভিন্ন নগরীতে হতাহত হয়েছে বহু
সংখ্যক মানুষ। হামলার মধ্যেই সোমবার (৭ মার্চ) ইউক্রেন ও রাশিয়ার কর্মকর্তারা তৃতীয়
দফা সমঝোতা বৈঠক করেন। সামান্য অগ্রগতির মধ্য দিয়ে এ বৈঠক শেষ হয়। আজ মঙ্গলবার (৮ মার্চ)
চতুর্থ দফা সমঝোতা বৈঠক হওয়ার কথা। এর আগে দুই দফা বৈঠকেও দুই পক্ষের মধ্যে উল্লেখযোগ্য
কোনো ফলাফল আসেনি।
তৃতীয় বৈঠকের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের
কার্যালয়ের একজন উপদেষ্টা বলেন, মানবিক করিডোর খোলার বিষয়ে রুশ প্রতিনিধিদের সঙ্গে
আলোচনা 'সামান্য ইতিবাচক' অগ্রগতি হয়েছে। তবে বৈঠকে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি
বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে ক্রেমলিনের একজন সহযোগী বলেছেন,
'বেলারুশের আলোচনা আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা আশা করি পরের বার
আমরা আরও উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হব।'
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের ১৫ থেকে ২০
কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছে গেছে রাশিয়ার বিশাল সেনাবহর। এ বহরে আছে ট্যাংক ও সাঁজোয়া
যান। তারা কিয়েভে সর্বাত্মক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন ইউক্রেনের কর্মকর্তারা।
আবার পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার পাল্টা হিসেবে
ইউরোপে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ বন্ধের হুমকি দিয়েছে রাশিয়া। দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী
আলেকজান্ডার নোভাক বলেছেন, রাশিয়ার তেল প্রত্যাখ্যান করা হলে তা বিশ্ব বাজারের জন্য
বিপর্যয়কর পরিণতি ডেকে আনবে। এতে তেলের দাম দ্বিগুণের বেশি হবে।