বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডস্থল প্রস্তুত করার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ইট বিছিয়ে মেরামত করে নতুনভাবে গড়ে ওঠা অস্থায়ী এই মার্কেট এখন দৃশ্যমান। পুড়ে যাওয়া মার্কেটের জায়গায় অস্থায়ীভাবে চৌকি দিয়ে ব্যবসায়ীদের বসানো হবে।
আজ বুধবার (১২ এপ্রিল) থেকে ব্যবসায়ীরা ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়ে শুরু করবেন বেচাকেনা। প্রত্যেক ব্যবসায়ী সাড়ে তিন ফুট ও পাঁচ ফুট পরিমাণ একটা করে দোকান পাবেন।
মঙ্গলবার বঙ্গবাজার মার্কেটে ঘুরে দেখা গেছে, ধ্বংসস্তূপ থেকে বর্জ্য সরানোর কাজ প্রায় শেষের দিকে। নতুন ইট ও বালু দিয়ে সংস্কার করে চৌকি বসানোর মতো ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা অপেক্ষায় আছেন নতুন করে ব্যবসা শুরু করার। বঙ্গবাজারে ফুটপাতে বসানো দোকানের পাশাপাশি আশপাশের মার্কেটের দোকানগুলোও খুলেছে।
আরও পড়ুন: ছয় মাসের সাজা এড়াতে ১৫ বছর পলাতক
সব হারানোর পরও আবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। এদিকে সড়কের পাশে দোকান সাজিয়ে বসতে বিভিন্ন জায়গা থেকে মালামাল আনছেন বিক্রেতারা।
আশপাশে ফুটপাতে দোকান নিয়ে বসেছেন অনেকে। আংশিকভাবে পোড়া এনেক্সকো টাওয়ার, বঙ্গ ইসলামিয়া মার্কেট ও বঙ্গ হোমিও মার্কেটের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের পাশাপাশি বঙ্গবাজারে ক্রেতা ফেরানোর জন্যও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে কাজ করতে হবে। তা না হলে এখানকার ব্যবসায়ীরা ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন না।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাছে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে ২ হাজার ৯৬১ জন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীর তালিকা দেয়া হয়েছে। এসব ব্যবসায়ীদেরকে আজ দুপুর ১২টা থেকে মার্কেটের জায়গায় অস্থায়ীভাবে বসানো হবে। দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়র এসে ব্যবসায়ীদেরকে বসানোর ব্যবস্থা করবেন।
বঙ্গবাজারের ১.৭৯ একর জায়গাজুড়ে বালি ও ইট বিছানো হয়েছে। এরই মধ্যে সেখানে ৪০ গাড়ি বালি ফেলা এবং প্রায় ৯০ হাজার ইট বিছানো হয়েছে। পুরো এলাকায় প্রায় ২.৫ লাখ ইট বিছানো এবং প্রায় ১৫০ গাড়ি বালি ফেলা হবে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবারের মধ্যে পুরো এলাকায় বালি ফেলা ও ইট বিছানোর লক্ষ্যে করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন।