ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট
ভলোদিমির জেলেনস্কি জাপানের পার্লামেন্টে ভাষণ দেবেন। আগামীকাল বুধবার (২৩ মার্চ) ভার্চুয়ালি
তার এই ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে।
জেলেনস্কি আন্তর্জাতিক
সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায়ের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এ ভাষণ দেবেন তিনি।
প্রায় ১০ মিনিট
ধরে তিনি ভাষণ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। জাপানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের একটি মিটিং
রুমে তার এই ভাষণ দেখানো হবে।
এর আগে জেলেনস্কি
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ইসরায়েলের পার্লামেন্টে
ভাষণ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, পশ্চিমা
দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য কয়েক বছর আগে আবেদন করে ইউক্রেন। মূলত,
এ নিয়েই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর মধ্যে ন্যাটো ইউক্রেনকে পূর্ণ
সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে
মনোনীত করায় দ্বন্দ্বের তীব্রতা আরও বাড়ে। ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন প্রত্যাহারে
ইউক্রেনের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায়
দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো। কিন্তু এই কৌশল কোনো কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি
দেয় রাশিয়া। ঠিক তার দুদিন পর ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রুশ
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে
ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে।
এ দিকে চলমান
এই যুদ্ধে ইতোমধ্যে ইউক্রেন ছেড়েছেন প্রায় ৩৩ লাখ মানুষ। যুদ্ধে ইউক্রেনের ১৩শ’ সেনা
নিহত এবং রাশিয়ার ১৪ হাজার ৭০০ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। তবে রাশিয়া
বলছে, যুদ্ধে তাদের প্রায় ৫০০ সৈন্য নিহত এবং ইউক্রেনের আড়াই হাজারের বেশি সেনা নিহত
হয়েছেন।
এ ছাড়া জাতিসংঘ
জানিয়েছে, রুশ অভিযানে ইউক্রেনে ৯২৫ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।