আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

আজ পবিত্র আশুরা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

আজ ১০ মহররম, পবিত্র আশুরা। যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যপূণ পরিবেশে নানা-কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সারাদেশে পবিত্র আশুরা পালিত হবে।

কারবালার শোকাবহ এবং হৃদয় বিদারক ঘটনাবহুল এই দিনটি বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে ধর্মীয়ভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ত্যাগ ও শোকের প্রতীকের পাশাপাশি বিশেষ পবিত্র দিবস হিসেবে মুসলিম বিশ্বে এ দিনটি গুরুত্বের সঙ্গে পালন করা হয়।

পবিত্র আশুরা উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশুরার তাৎপর্য তুলে ধরে পৃথক বাণী দিয়েছেন।

পবিত্র আশুরা উপলক্ষ্যে বুধবার সরকারি ছুটি। এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করবে। এছাড়া বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন বেসরকারি গণমাধ্যম এবং স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল এই দিনের তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করবে।

পবিত্র আশুরা ১৪৪৬ হিজরি উপলক্ষ্যে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে আজ বাদ যোহর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পবিত্র আশুরার গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে পবিত্র আশুরার গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক ও তেজগাঁও রেলওয়ে জামে মসজিদের খতিব শাইখুল হাদিস ড. মাওলানা মুশতাক আহমদ ও আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মো. ইমরান নূরুদ্দীন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. আনিছুর রহমান সরকার। এছাড়া অনুষ্ঠানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাধারণ মুসল্লিরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর
হজের নিবন্ধনের শুরুতেই ভাটা

সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4




জর্ডান সীমান্তে বন্দুকধারীর হামলায় ৩ ইসরায়েলি নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জর্ডান সীমান্তে বন্দুকধারীর হামলায় ৩ বেসামরিক ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) অ্যালেনবি ব্রিজ সীমান্তের কাছে এই ঘটনা ঘটেছে। এদিন নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে হামলাকারীও নিহত হয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।

একটি বিবৃতিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, এক সন্ত্রাসী ট্রাকে করে জর্ডান থেকে অ্যালেনবি ব্রিজের কাছে এসেছিল। ট্রাক থেকে নেমে সেতুতে কর্মরত ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় সে।

এতে আরও বলা হয়, সন্ত্রাসীকে নিরাপত্তা বাহিনী হত্যা করেছে। বন্দুকধারীর হামলায় তিন ইসরায়েলি বেসামরিককে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে, হামলাকারী পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। এই হামলার পেছনে উদ্দেশ্য কী তা জানা যায়নি। বর্ডার ক্রসিংটি কিং হোসেন ব্রিজ নামেও পরিচিত। এটি মৃত সাগরের উত্তরে আম্মান ও জেরুজালেমের মাঝখানে অবস্থিত।


আরও খবর
উত্তর প্রদেশে মাথাবিহীন নারীর লাশ উদ্ধার

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস রোববার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার এই ভাষণ বিটিভি, বিটিভি ওয়ার্ল্ড এবং বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে একযোগে সম্প্রচার করা হবে।

উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। এরপর ৬ আগস্ট বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধান ও ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বৈঠকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

গত ৯ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন ড. ইউনূস।

শপথ নেয়ার পর জাতির উদ্দেশে ভাষণে ড. ইউনূস বলেন, প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ও তার সদস্যরা নিজ নিজ কর্তব্য পালন করার মাধ্যমে দ্বিতীয় স্বাধীনতাকে উপভোগ করবেন। দেশকে গৌরবের শীর্ষে নিয়ে যাবেন।

তিনি আরও বলেন, নিষ্ঠুর স্বৈরাচারী সরকার দূর হয়ে গেছে। কাল সূর্য ‍উদয়ের সঙ্গে সঙ্গে গণতন্ত্রের, সুবিচারের, মানবাধিকারের, নির্ভয়ে মতপ্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতা দলমত নির্বিশেষ সবাই উপভোগ করবে। এটাই আমাদের লক্ষ্য।


আরও খবর



ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত ৬৩১, আহত ১৯ হাজারের বেশি

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সারা দেশে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘাত-সহিংসতায় কমপক্ষে ৬৩১ জন ছাত্র-জনতা প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৯ হাজার ২০০ জনের বেশি।

সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এ চিত্র তুলে ধরেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৪৫০ জনেরও বেশি মানুষকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল এবং এ ২১ দিনের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮১ জন মারা গেছেন।

এ আন্দোলনে হতাহতদের পরিপূর্ণ তালিকা তৈরি করতে গত ১৫ আগস্ট স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করে। কমিটি বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রণালয়ে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। আহতদের মধ্যে ১৬ হাজার জনের বেশি সারা দেশে সরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন এবং অন্তত তিন হাজার জন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব ও কমিটির প্রধান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তথ্য সংগ্রহ করা চ্যালেঞ্জিং। কারণ তারা সরকারি হাসপাতালের মতো কঠোরভাবে ডেটা সংরক্ষণ করে না। কিছু ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা ভয়ে হাসপাতালে নাম রেজিস্ট্রি করতে চায় না।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আরও বলেন, এটি একটি খসড়া তালিকা। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এর ডেটা আরও আপডেট করছেন। কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে এ তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। সেখানে আরও বেশকিছু অতিরিক্ত তথ্য সংযুক্ত থাকবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বরিশাল, খুলনা, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগের বেসরকারি ক্লিনিকে যারা চিকিৎসা নিয়েছেন তাদের বিষয়ে সরকারকে কোনো তথ্য দেয়া হয়নি।

ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১১ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। চট্টগ্রামে আহতের সংখ্যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চদুই হাজার।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগে প্রাণহানিও ঘটেছে সর্বোচ্চ। এ বিভাগে নিহত হয়েছেন ৪৭৭ জন। নিহতের সংখ্যা সবচেয়ে কম বরিশালে একজন। চট্টগ্রাম ও খুলনায় নিহতের সংখ্যা যথাক্রমে ৪৩ ও ৩৯ জন। যাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাদের মধ্যে তিন হাজার ৪৮ জনের অবস্থা ছিল গুরুতর। তাদের অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়েছে। এ ছাড়া কমপক্ষে ৫৩৫ জন তাদের আঘাতের কারণে স্থায়ীভাবে শারীরিক অক্ষম হয়ে পড়েছেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য অধিদপতরের অধীনে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) আন্দোলনে আহত ও নিহতদের তালিকা তৈরি করছে।

জানা গেছে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রকৃত তালিকা করতে ওয়েবসাইট নির্মাণ করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এক্ষেত্রে দেশের সরকারি হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের কাছে শহীদ ও আহতদের তথ্য ইনপুট দেবার সুযোগ রাখা হচ্ছে। এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্য বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটি বলেছে, গণহত্যার প্রকৃত চিত্র আড়াল করতে ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই কবর দেয়া হয়েছে। সনদে লেখা হয়েছে গুলিতে নিহত হয়নি এমন মিথ্যা তথ্য রয়েছে।


আরও খবর



রিপোর্ট দিয়ে কী হবে যদি অভিযুক্ত গ্রেফতারই না হয়: তনুশ্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বলিউড অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত বিনোদন জগতে পা দিতেই যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন। এ বিষয়টি সবারই জানা। তখন তার অভিযোগের আঙুল উঠেছিল অভিনেতা নানা পাটেকরের দিকে। এ নিয়ে বলিউডে জলঘোলা কম হয়নি। এবার মালায়লাম চলচ্চিত্র জগতে নারীদের ওপর যৌন হেনস্তা নিয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে হেমা কমিটি। সেই রিপোর্টেরই নিন্দা করেছেন তনুশ্রী দত্ত।

আনন্দবাজার প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, বলিউডে যৌন হেনস্তা নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছিলেন তনুশ্রী দত্ত। অভিযোগের আঙুল উঠেছিল অভিনেতা নানা পাটেকরের দিকে। এরপর অভিযোগ উঠেছিল পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর বিরুদ্ধে। তার দাবি চকোলেট ছবির সেটে সবার সামনে খোলামেলা পোশাক পরে থাকতে বাধ্য করেছিলেন পরিচালক। এবার হেমা কমিটির বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিলেন তনুশ্রী দত্ত।

মালায়লাম চলচ্চিত্র জগতে নারীদের ওপর যৌন হেনস্তা নিয়ে যে রিপোর্ট পেশ করেছে হেমা কমিটি, সেই রিপোর্টেরই নিন্দা করেছেন তনুশ্রী। কর্মস্থলে নারীদের যৌন হেনস্তা থেকে সুরক্ষা প্রদানকারী বিশাখা কমিটিরও সমালোচনা করেন এ অভিনেত্রী।

২০১৭ সালে প্রযোজক তথা অভিনেতা দিলীপসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে গাড়ির মধ্যে যৌন হেনস্তার অভিযোগ আনেন মালায়লাম ছবির এক অভিনেত্রী। সেই ঘটনার পরেই নারীদের সুরক্ষার জন্য গঠন করা হয় হেমা কমিটি।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে হেমা কমিটির নিন্দা করে তনুশ্রী বলেন, এ ধরনের রিপোর্ট প্রকাশ করার অর্থ কী? বরং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হতো। আরও কঠোর আইন আনা উচিত ছিল। আমি বিশাখা কমিটির কথাও শুনেছিলাম। অনেকগুলো পাতা নিয়ে তৈরি সেই দীর্ঘ রিপোর্ট। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কী হলো?

এ আগে নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ টেনে এনে তনুশ্রী বলেন, নানা পাটেকর ও দিলীপের মতো মানুষ মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত। এদের এই বিকারের কোনো সমাধান নেই। নিষ্ঠুর ও ক্ষতিকর মানুষই এ ধরনের কাজ করতে পারে। এ ধরনের সমিতি নিয়ে আমার কিছু যায় আসে না। এ পদ্ধতির ওপর আমার কোনো ভরসাও নেই। তিনি বলেন, এ রিপোর্ট পেশ করে ওরা শুধু সময় নষ্ট করতে পারে। আসল কাজ এরা করে না। নিরাপদ কর্মস্থল পাওয়া নারীদের বা যে কোনো মানুষের মৌলিক অধিকার।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে নানা পটেকরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন তনু্শ্রী। তাঁর দাবি ছিল, ২০০৮ সালে হর্ন ওকে ছবির সময় তাঁকে যৌন হেনস্তা করেন নানা। এ নিয়ে বলিউডে জলঘোলা কম হয়নি।

এরপর অভিযোগ উঠেছিল পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর বিরুদ্ধে। তার দাবি চকোলেট ছবির সেটে সবার সামনে খোলামেলা পোশাক পরে থাকতে বাধ্য করেছিলেন পরিচালক।

২০০৫ সালে শুটিং হওয়া চকোলেট ছবির একটি দৃশ্যে ছোট স্কার্ট পরতে হয়েছিল তনুশ্রীকে। শুটিংয়ের ফাঁকে মেকআপ ভ্যানে সেই খোলামেলা পোশাকের ওপরে একটি বড় কোট পরে বসেছিলেন এ অভিনেত্রী। এতেই নাকি আপত্তি জানিয়েছিলেন বিবেক। দাবি করেছিলেন শুটিং সেটে ক্যামেরার বাইরেও তাকে একই পোশাকেই থাকতে হবে!

ঘটনার রেশ টেনে সংবাদমাধ্যমে তনুশ্রী বলেছিলেন, শুটিংয়ের ফাঁকে শিল্পীরা ভ্যানে বিশ্রাম নেন। বিশেষ করে যখন ছোট পোশাক পরতে হয়। আমি ওই ছোট পোশাকের ওপরে লম্বা কোট পরে বসতাম। তখন পরিচালক বললেন একটু পরেই শুটিং শুরু হবে। কোটটা খুলে ফেলো। পুরো শুটিংয়ের কলাকুশলীদের সামনে আমাকে ছোট স্কার্ট পরিয়ে বসিয়ে রাখতেন তিনি।


আরও খবর
কমলা হ্যারিসকে সমর্থন জানালেন টেলর সুইফট

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




২-৩ বছর অন্তর্বর্তী সরকারের 'মেয়াদ চান' সম্পাদকরা: প্রেস সচিব

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্রের সম্পাদকরা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্তত দুই থেকে তিন বছর দায়িত্ব পালনের পক্ষে মত দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

দেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রের ২০ জন সম্পাদক মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরে ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রেস সচিব।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান উপদেষ্টাকে তারা বলেছিলেন অন্তর্বর্তী সরকার যেন যৌক্তিক সময় পর্যন্ত থাকে। এই যৌক্তিক সময় আসলে কতটা সময়- সে বিষয়ে ড. ইউনূস সম্পাদকদের কাছে জানতে চান। এই সময়টাতে কী কী মৌলিক কাজ সরকারের করা উচিত- এ বিষয়েও পরামর্শ চান তিনি।

সম্পাদকদের দেওয়া প্রস্তাবগুলো তুলে ধরে শফিকুল আলম বলেন, বিভিন্ন রকম কথা এসেছে যেমন- অন্তত ২ বছর মেয়াদ দেওয়া যেতে পারে। অনেকে আবার দুই থেকে তিন বছরের কথা বলেছেন। আবার কেউ কেউ প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করতে যতটা সময় লাগে তা দেওয়ার পক্ষে প্রস্তাব দেন।

শফিকুল আলম বলেন, তবে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে বেশির ভাগই বলেছেন- যেসব সংস্কার কাজ বা যে কর্মপরিকল্পনা অন্তর্বর্তী সরকারের রয়েছে, সেটিই আসলে নির্ধারণ করবে এই সরকারের মেয়াদ কতদিন হবে।

মতবিনিময় সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্র মেরামতের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধনের জন্য জাতীয় ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান রাষ্ট্র মেরামত করার জন্য মস্ত বড় সুযোগ এনে দিয়েছে বাংলাদেশকে নতুন শেখরে নেওয়ার জন্য এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। তবে এর জন্য জাতীয় ঐক্যের খুব প্রয়োজন। 

বৈঠকে সম্পাদকদের পক্ষ থেকে আসা পরামর্শ তুলে ধরে প্রেস সচিব আরও বলেন, সংবিধান সংশোধন, সংবিধান পুনঃলিখন, আইন কমিশন, সংবিধান কমিশন, মিডিয়া কমিশন ও পুলিশ কমিশন গঠনের কথা এসেছে। পুলিশকে কিভাবে আরও কার্যকরভাবে কাজে লাগানো যায় এবং নির্বাচন কমিশন সংস্কারের কথা এসেছে।

এ ছাড়া সম্পাদকরা নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান প্রেস সচিব।

অন্তর্বর্তী সরকারের ভুলত্রুটি নিয়ে লেখার অনুরোধ জানিয়ে ড. ইউনূস সম্পাদকদের বলেন, আপনারা লেখেন। আমাদের দোষ-ত্রুটি হলে তা নিয়ে লেখেন। আমরা আপনাদের কথা শুনতে চাই। মতামত জানতে চাই।

প্রেস সচিব বলেন, ড. ইউনূস বার বার বলেছেন- তিনি গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন এবং মুক্ত, প্রাণবন্ত ও গতিশীল গণমাধ্যম দেখতে চান।

প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে শফিকুল আলম বলেন, সরকার দেশে একটা গতিশীল গণমাধ্য দেখতে চায়। এর জন্য যা যা প্রয়োজন তার সবটুকু করা হবে। একইঙ্গে তিনি সরকার দেশে মুক্ত গণমাধ্যমের প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে উল্লেখ করেন।

মতবিনিময় সভায় সম্পাদকরা সাংবাদিকদের জন্য যেসব কালাকানুন আছে সেগুলো বাতিল বা সংশোধন করার প্রস্তাব করেন।

সরকারের পক্ষ থেকে মিডিয়ার (গণমাধ্যম) ওপর কোনো ধরনের চাপ নেই উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম মজুমদার বলেন, একটি প্রাণবন্ত ও মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য মিডিয়া কমিশন গঠনের কথা বলা হয়েছে। এই কমিশন আমাদের দেশে মিডিয়া কিভাবে চলবে তা ঠিক করবে।

তিনি বলেন, সাংবাদিকতা করতে গিয়ে কেউ যেন বিপত্তির মুখে না পড়েন, বাধার সম্মুখীন না হন- তা নিশ্চিতে এই কমিশন গঠনের প্রস্তাব এসেছে। সরকার এই কমিশন গঠনের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টার আরেক উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীরও উপস্থিত ছিলেন।

প্রেস সচিব জানান, মোট ২২ জন সম্পাদককে মতবিনিময়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাদের মধ্যে দুজন বিদেশে থাকায় আসতে পারেননি।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, নিউ এজ সম্পাদক নুরুল কবির, দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, সংবাদ সম্পাদক আলতামাশ কবির, ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড সম্পাদক ইনাম আহমেদ, কালের কণ্ঠের হাসান হাফিজ, আমাদের সময় সম্পাদক আবুল মোমেন, ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান, বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, প্রতিদিনের বাংলাদেশের মুস্তাফিজ শফি, দেশ রূপান্তরের মোস্তফা মামুন, কালবেলা সম্পাদক সন্তোষ শর্মা।

এ ছাড়া দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক, দৈনিক পূর্বকোণ সম্পাদক ডা. ম. রমিজউদ্দিন, দৈনিক করতোয়া সম্পাদক মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর