আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

আজ পর্দা উঠছে বিপিএলের

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জানুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জানুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দর্শকদের গ্যালারিতে রেখেই শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল)। কিন্তু, বর্তমান কোভিড-১৯-এর পরিস্থিতি দর্শকদের আশা ভেস্তে দিয়েছে। এতে করোনার প্রভাবে আয়োজনেও কিছুটা ভাটা পড়েছে। তবুও সব শঙ্কা দূরে ঠেলে অবশেষে আজ শুক্রবার থেকে মাঠে গড়াচ্ছে টুর্নামেন্টটির অষ্টম আসর।

করোনারকালের সব টুর্নামেন্টের মতো এটিও হচ্ছে জৈব-সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও ফরচুন বরিশাল। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর দেড়টায়।

দিনের দ্বিতীয় ম্যাচ শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। ওই ম্যাচে মুখোমুখি হবে মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা ও খুলনা টাইগার্স। ম্যাচগুলো সরাসরি সম্প্রচার করবে জিটিভি ও টি স্পোর্টস।

এবারের বিপিএলে অংশ নিচ্ছে মোট ছয়টি দলমিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা, ফরচুন বরিশাল, খুলনা টাইগার্স, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, সিলেট সানরাইজার্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। প্রতিটি দলের খেলোয়াড়দের খরচসহ ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি পড়েছে মোট পাঁচ কোটি টাকা। দল পরিচলনায় সম্ভাব্য ব্যয় সব মিলিয়ে ছয় থেকে সাত কোটি টাকা।

অথচ অবাক করার বিষয় হলো এত কোটি টাকার দল নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলে মিলবে মাত্র এক কোটি টাকার প্রাইজমানি। চ্যাম্পিয়ন যারাই হোক পাবে এক কোটি টাকা, রানার্সআপ হলে মিলবে ৫০ লাখ টাকা।

এবারের টুর্নামেন্টের মূল পৃষ্ঠপোষক বিবিএস কেব্‌লস। পাওয়ার স্পন্সর ওয়ালটন। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটএ তিন ভেন্যুতে হবে বিপিএলের ম্যাচগুলো। মোট ২৭ দিনে অনুষ্ঠিত হবে ৩৪ ম্যাচ। শুক্রবার ছাড়া বাকি দিনগুলোতে প্রথম ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর সাড়ে ১২টায়, দ্বিতীয় ম্যাচ শুরু বিকেল সাড়ে ৫টায়।

আগামীকাল বিপিএলের পর্দা উঠবে মিরপুর শেরেবাংলায়। যা চলবে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। ২৮ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি খেলা হবে চট্টগ্রামে। পরে ঢাকায় ৩ ও ৪ ফেব্রুয়ারি খেলা হওয়ার পর ৭-৯ ফেব্রুয়ারি হবে সিলেটে। সেখানে বিপিএল চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

এরপর ঢাকায় ১৪ ফেব্রুয়ারি প্লে-অফের প্রথম দিন হবে এলিমিনেটর ও প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচ। ১৬ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের পর ১৮ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার হবে ফাইনাল। প্লে-অফ ও ফাইনালের জন্য রাখা হয়েছে রিজার্ভ ডে। এলিমিনেটর থেকে ফাইনাল পর্যন্ত ম্যাচগুলোয় রাখা হয়েছে রিজার্ভ ডে।

করোনাভাইরাসের কারণে মাঝের দুই মৌসুম হয়নি বিপিএল। এ টুর্নামেন্টের সর্বশেষ আসর হয়েছে ২০১৯২০ মৌসুমে। বিপিএলকে সামনে রেখে গত ২৭ ডিসেম্বর প্লেয়ার্স ড্রাফট থেকে দল সাজিয়েছে সবাই। এর আগে সরাসরি চুক্তিতে ছয় দল দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের নেয়। শক্তি ও অভিজ্ঞতার বিচারে এগিয়ে আছে মাহমুদউল্লাহর ঢাকা, মুস্তাফিজের কুমিল্লা এবং সাকিবের বরিশাল। তারুণ্যনির্ভর দল গড়েছে চট্টগ্রাম। আনকোরা হলেও জাতীয় দলে খেলা একাধিক তরুণ আছেন দলটিতে। তারকা কিছুটা কম হলেও পিছিয়ে রাখা যাবে না মুশফিকের খুলনা কিংবা সৈকতের খুলনা টাইগার্সকে। সবমিলিয়ে ছয় দলের লড়াইটা এবার কতটা রোমাঞ্চ ছড়ায় সেটাই দেখার অপেক্ষা!

এক নজরে বিপিএলের দলগুলো

সিলেট সানরাইজার্স : তাসকিন আহমেদ, দীনেশ চান্দিমাল, কেসরিক উইলিয়ামস, কলিন ইনগ্রাম, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মোহাম্মদ মিঠুন, আল আমিন হোসেন, নাজমুল ইসলাম অপু, এনামুল হক বিজয়, সোহাগ গাজী, অলক কাপালি, মুক্তার আলি, সিরাজ আহমেদ, মিজানুর রহমান, নাদিফ চৌধুরী, জুবায়ের হোসেন লিখন ও শফিউল হায়াত হৃদয়, রবি বোপারা ও অ্যাঞ্জেলো পেরেরা।

মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা : মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, ইসুরু উদানা, কাইস আহমেদ, নাজিবুল্লাহ জাদরান, তামিম ইকবাল, রুবেল হোসেন, মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, শুভাগত হোম চৌধুরী, নাঈম শেখ, আরাফাত সানি, ইমরান উজ জামান, শফিউল ইসলাম, জহুরুল ইসলাম, শামসুর রহমান ও এবাদত হোসেন, মোহাম্মদ শাহজাদ, ফজল হক ফারুকী।

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স : নাসুম আহমেদ, বেনি হাওয়েল, কেনার লুইস, উইল জ্যাকস, শরিফুল ইসলাম, আফিফ হোসেন ধ্রুব, শামীম হোসেন পাটোয়ারি, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, রেজাউর রহমান রাজা, সাব্বির রহমান, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, মেহেদী হাসান মিরাজ, আকবর আলি ও নাঈম ইসলাম, চ্যাডউইক ওয়ালটন রায়াদ এমরিট।

ফরচুন বরিশাল : সাকিব আল হাসান, মুজিব উর রহমান, ক্রিস গেইল, কাজী নুরুল হাসান সোহান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান রানা, ফজলে মাহমুদ রাব্বি, তৌহিদ হৃদয়, জিয়াউর রহমান, শফিকুল ইসলাম, সৈকত আলি, নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম, সালমান হোসেন ইমন ও ইরফান শুক্কুর, ওবেদ ম্যাককয়, আলজারি জোসেফ, ও নিরোশান ডিকভেলা।

খুলনা টাইগার্স : মুশফিকুর রহিম, থিসারা পেরেরা, ভানুকা রাজাপক্ষে,  নাভিন উল হক, মেহেদী হাসান, সৌম্য সরকার, কামরুল ইসলাম রাব্বি, ইয়াসির আলি চৌধুরী রাব্বি, ফরহাদ রেজা, রনি তালুকদার, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, জাকের আলি অনিক ও নাবিল সামাদ, সেকুগে প্রসন্ন ও সিকান্দার রাজা।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স : মুস্তাফিজুর রহমান, ফাফ ডু প্লেসি, মঈন আলি, সুনীল নারাইন, লিটন দাস, শহিদুল ইসলাম, ইমরুল কায়েস, তানভীর ইসলাম, আরিফুল হক, নাহিদুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয়, সুমন খান, মুমিনুল হক, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, পারভেজ হোসেন ইমন, আবু হায়দার রনি ও মেহেদী হাসান, কুশল মেন্ডিস ও ওশেন থমাস।


আরও খবর



উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

নাজিরপুরে জনপ্রিয়তার দৌড়ে এগিয়ে সাংবাদিক এস.এম. নুরেআলম সিদ্দিকী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফাহাদ মশিউর রহমান

Image

আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) প্রতীক বরাদ্দের মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা। চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের মাঠে জনপ্রিয়তার দৌড়ে এগিয়ে আছেন সাংবাদিক ও সমাজসেবক এস.এম. নুরেআলম সিদ্দিকী (শাহিন)।

নাজিরপুর উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ঘুরে ভোটারদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, সৎ-পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি হিসেবে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনের এলাকায় রয়েছে ব্যপক গ্রহণযোগ্যতা। বয়োজ্যেষ্ঠ, তরুণ ও নতুন ভোটারদের কাছেও সমান জনপ্রিয় তিনি।

নাজিরপুরের বাসিন্দা শেখ রাসেল বলেন, আমরা তরুণ ভোটার, আর শাহিন ভাই তারুণ্যের প্রতীক, তাই আমার পরিবার স্বজন ও বন্ধুদের ভোট তিনিই পাবেন। নির্বাচিত হয়ে তিনি এলাকার উন্নয়নে অবদান রাখবেন। তাই অধিকাংশ ভোটার তাকেই ভোট দিবেন। এছাড়া তার বিকল্প কেউ নেই।

সাংবাদিক সাকিল আহমদ অরণ্য বলেন, ২০০৭ সালের ১১ নভেম্বর এ অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যায় প্রলয়ঙ্কার ঘূর্ণিঝড় সিডর। সেই সময় শাহিন ভাই নিজের পকেটের টাকা ব্যয় করে দুস্থ মানুষের পাশে যেভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তা ভুলে যাওয়ার নয়। মানুষের সেবা করার জন্য মন থাকতে হয়, যা তাঁর রয়েছে। একারণেই নাজিরপুরবাসী আগামী ৮ মে দোয়াত কলম প্রতীকে ভোট দিয়ে তাঁকে নির্বাচিত করবেন।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তুহিন হালদার তিমির বলেন, শাহিন ভাই একজন মানবিক মানুষ, যাকে বিশ্বাস করে ভোট দেওয়া যায়। তিনি জনগণের আমানতের প্রতিদান অবশ্যই দিবে।

নামপ্রকাশ না করা শর্তে এক ছাত্রনেতা জানান, বিগত সময়ে যারা এই দায়িত্বে ছিলেন তারা ব্যস্ত ছিল নিজের ও পরিবারের উন্নয়ন নিয়ে। কিন্তু শাহিন ভাই ব্যতিক্রম। আমি তাঁকে খুব কাছ থেকে দেখেছি, তিনি নিজের উন্নয়নে বিশ্বাস করেন না, তিনি বিশ্বাস করেন নাজিরপুরের উন্নয়ন। শাহিন ভাই মনে করেন নাজিরপুরের সবাই ভালো থাকলে তিনিও ভালো থাকবেন।

রুহুল আমীন হাওলাদার নামে একজন প্রবীন বলেন, তাকে (এস.এম. নুরেআলম সিদ্দিকী) ছোট থেকে বড় হতে দেখেছি, কিন্তু তার ভিতরে কখনও অহংকার বা কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করতে দেখিনি। জীবনের শেষ বয়সে এসে ভোট-টা তাকেই দিব।

নামপ্রকাশ না করা শর্তে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা জানান, শাহিনের পিতা ও তিন ভাই মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। তার পরিবার অনেক আগে থেকেই প্রতিষ্ঠিত, চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে তার ভাগ্য বদলাতে হবে না। তাকে নির্বাচিত করলে এলাকায় প্রকৃত উন্নয়ন হবে, মানুষ ভালো থাকবে।

উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এম খোকন কাজী জানান, চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিনকে ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন এবং সিডর, আইলা, করোনাসহ সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দলের সংকটকালে নেতা-কর্মীদের কাছে পেয়েছি। তাই তাকে নিয়ে মাঠে নেমেছি।

চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম নূরে আলম সিদ্দিকী (শাহিন) বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও তাঁর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্ন নাজিরপুর উপজেলায় বাস্তবায়ন করতে চাই। বাংলাদেশের মধ্যে দুর্নীতি-মাদকমুক্ত মডেল উপজেলা হবে নাজিরপুর উপজেলা। উপজেলা পরিষদ থেকে অর্থ নিয়ে আমার বা পরিবারের ভাগ্য উন্নয়নের প্রয়োজন নেই, আমি চাই নাজিরপুরের মানুষ ভালো থাকুক।  

নাজিরপুর উপজেলা তথ্য বাতায়ন সূত্রে দেখা যায়, ৯টি ইউনিয়ন ৬৮টি মৌজা ও ১৭১টি গ্রাম নিয়ে গঠিত নাজিরপুর উপজেলার মোট ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ২৩ হাজার ১ শ ১৩ জন। তার মধ্যে ৬২ হাজার ৮শ ৪০ জন পুরুষ ও ৬০ হাজার ২শ ৭৩ জন নারী।

উল্লেখ্য, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হিসাবে ওই উপজেলার ৭২টি কেন্দ্রে ইভিএমএর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।  


আরও খবর



চট্টগ্রামে বস্তিতে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১১ ইউনিট

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম নগরীর ফিশারিঘাট এলাকার লইট্যার ঘাট বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রামের উপপরিচালক দিনমণি শর্মা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, দুপুর দেড়টার দিকে ওই বস্তিতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। খবর পেয়ে আমাদের পাঁচটি স্টেশনের ১১টি ইউনিট গিয়ে অগ্নিনির্বাপণে কাজ করছে। আগুন এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

এখন পর্যন্ত আগুনে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলেও তিনি জানান।


আরও খবর



এনেস্থেসিয়ার ওষুধ ব্যবহারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিভিন্ন হাসপাতালে সম্প্রতি এনেস্থেসিয়াজনিত কারণে রোগীর মৃত্যু ও আকস্মিক জটিলতা নিরসনের জন্যে নতুন কিছু নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। ভবিষ্যতে জটিলতা এড়াতে ও এনেস্থেসিয়ায় ব্যবহৃত ওষুধের গুণগত মান নিশ্চিত করতে নির্দেশনায় এনেস্থেসিয়ায় হ্যালোজেন ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব জসীম উদ্দীন হায়দার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই নির্দেশনাগুলো দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে-

সারা দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারে ইনহেলেশনাল অ্যানেসথেটিক (নিশ্বাসের সঙ্গে যে চেতনানাশক নেওয়া হয়) হিসেবে হ্যালোথেনের (চেতনানাশক ওষুধ) পরিবর্তে আইসোফ্লুরেন/সেভোফ্লুরেন (চেতনানাশক ওষুধ) ব্যবহার করতে হবে।

সারা দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট হ্যালোথেন/আইসোফ্লুরেন/সেভোফ্লুরেন ভেপোরাইজারের সংখ্যা এবং বিদ্যমান হ্যালোথেন ভেপোরাইজার পরিবর্তন করে আইসোফ্লুরেন/সেভোফ্লুরেন ভেপোরাইজার প্রতিস্থাপন করতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের প্রাক্কলন করতে হবে।

ডিজিডি-এর অনুমোদন ছাড়া হ্যালোজেন ক্রয়, বিক্রয় ও ব্যবহার রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

সারা দেশের সব অ্যানেসথেসিওলজিস্টদের (সরকারি/বেসরকারি) নিয়ে হ্যালোথেনের পরিবর্তে আইসোফ্লুরেন ব্যবহারসংক্রান্ত নির্দেশনা প্রতিপালনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

সব সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান থেকে বিদ্যমান হ্যালোথেন ভেপোরাইজারের পরিবর্তে আইসোফ্লুরেন ভেপোরাইজার প্রতিস্থাপনের জন্য চাহিদা মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে হবে।

নতুন অ্যানেসথেসিয়ার মেশিন ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্পেসিফিকেশন নির্ধারণে স্পষ্টভাবে আইসোফ্লুরেন/সেভোফ্লুরেন ভেপোরাইজারের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: এনেস্থেসিয়া

আরও খবর



ঢাকার বাতাসের মান আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজও ঢাকার বাতাসের মান অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ৮টা ৫৯ মিনিটে ১৫৬ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শহরটির অবস্থান নবম।

পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের দিল্লি ও নেপালের কাঠমান্ডু যথাক্রমে ২০৬, ১৯১ ও ১৭৮ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।

১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’, ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।


আরও খবর



বিদ্যুৎ বিভ্রাটে দেড় ঘণ্টা বন্ধ ছিল মেট্রোরেল চলাচল

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে সাময়িকভাবে প্রায় দেড় ঘণ্টা বন্ধ ছিল মেট্রোরেল চলাচল। রবিবার (৩১ মার্চ) সকাল থেকে এ সমস্যা শুরু হয়। তাৎক্ষণিক এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে সকাল ৯টার কিছু পর আবার রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এদিকে সকাল থেকে রাজধানীর আবহাওয়ার অবস্থা ভালো নয়। অন্যদিকে মেট্রোরেল বন্ধ হওয়ায় যেসব যাত্রী জরুরি কাজে হাতে কম সময় নিয়ে বের হয়েছিলেন তারা চরম বিপদে পড়েন। অনেকেই মেট্রোস্টেশন থেকে নেমে রিকশায়, বাসে কিংবা পায়ে হেঁটে গন্তব্যে ছুটছেন।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মেট্রোরেল চলাচল গত ২৭ মার্চ থেকে এক ঘণ্টা বেড়েছে। এখন রাত ১০টা ১৪ মিনিট পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল করছে। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী প্রতিদিন মেট্রোরেল উত্তরা উত্তর প্রান্ত থেকে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে প্রথম মতিঝিলের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। অন্যদিকে মতিঝিল প্রান্ত থেকে প্রথম ট্রেন ছাড়ে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে।

নিউজ ট্যাগ: মেট্রোরেল

আরও খবর