আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

আজ স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস

প্রকাশিত:সোমবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস বলে একটি দিন বিদ্যমান রয়েছে। আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) সেই স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস

লেফটেনেন্ট জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নয় বছরের শাসনকালে ১৯৮২ সালে তাঁর শিক্ষামন্ত্রী ড. মজিদ খান শিক্ষানীতি ঘোষণা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন খর্ব ও রেজাল্ট খারাপ হলেও যারা ৫০ শতাংশ শিক্ষার ব্যয়ভার দিতে সমর্থ, তাদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ দেওয়ার কথা বলা হয় এতে। এই নীতিতে দরিদ্রেরা উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হতে পারে বলে ছাত্ররা এর প্রবল বিরোধিতা করে। কার্যত এর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন শুরু করে।

ওই বছর ১৭ সেপ্টেম্বর শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনের বিষয়ে একমত হয় ছাত্রসংগঠগুলো। এর ধারাবাহিকতায় পরের বছর ৮৩-এর ১৪ ফেব্রুয়ারি ওই শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে সচিবালয়ে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করে শিক্ষার্থীরা। এ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ মজিদ খানের ওই কুখ্যাত শিক্ষানীতি প্রত্যাহার, বন্দি মুক্তি, গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া এবং গণমুখী, বৈজ্ঞানিক ও অসাম্প্রদায়িক শিক্ষানীতির দাবিতে ছাত্র জমায়েত ডাকে। ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের ডাকা ওই সমাবেশে পুলিশ গুলি করলে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে। শহীদ হন জাফর, জয়নাল, দীপালি সাহাসহ অনেকেই। পরে সারা দেশেই এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। চট্টগ্রামসহ দেশের অপরাপর স্থানেও হতাহতের ঘটনা ঘটায়।

সেদিন থেকেই ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস হিসেবে বলা হয়। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ সারা দেশেই ঘটেছে একের পর এক হত্যাকাণ্ড ও গুমের ঘটনা। প্রতিবাদী ছাত্র-শিক্ষক, রাজনীতিবিদ, পেশাজীবী এমনকি সাধারণ মানুষকেও জেলে পুরে নির্যাতন করতে থাকে এরশাদের সাজানো সরকার। এমন আন্দোলন-সংগ্রামের পথ বেয়ে ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর নূর হোসেনকে হত্যা করে এরশাদের পুলিশ বাহিনী। এবং ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর এরশাদের সন্ত্রাসী বাহিনী গুলি করে হত্যা করে ডা. মিলনকে। এতেও শেষ রক্ষা হয় না এরশাদের। অবশেষে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পতন হয় এরশাদের।


আরও খবর
ইতিহাসে আজকের এই দিনে

শুক্রবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৪

২৫ জানুয়ারি : ইতিহাসে আজকের এই দিনে

বৃহস্পতিবার ২৫ জানুয়ারী ২০২৪




চট্টগ্রামে কোল্ড স্টোরেজের আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রামের বাকলিয়াতে তাজা মাল্টিপারপাস কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। দশটি ইউনিটের প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আব্দুল মালেক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

তিনি জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাকলিয়ার এক্সেস রোডের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) পাশে তাজা মাল্টিপারপাস কোল্ড স্টোরেজে আগুনের সূত্রপাত হয়। তা নিয়ন্ত্রণে আসে আড়াইটার দিকে।

ফায়ার কর্মকর্তা আব্দুল মালেক বলেন, আমাদের তিনটি স্টেশনের সাতটি ইউনিট শুরুতে কাজ করে। পরে আরও তিনটি ইউনিট যোগ দেয়। আড়াইটার দিকে আমরা আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ করেছি। পুরো ভবনটা বদ্ধ থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পোহাতে হচ্ছিল। এ ঘটনায় কোনো হতাহত নেই।’

তদন্তের পর আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে বলেন তিনি।


আরও খবর



ফেসবুক নিয়ে সুখবর দিলেন জাকারবার্গ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক হঠাৎ করে লগ আউট হয়ে গেছে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফেসবুক লাগ-আউট এবং সেশন আউট হয়ে যায় বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে। যারা ফেসবুকে লগইন করা অবস্থায় ছিলেন তারাও স্বয়ংক্রিয়ভাবে লগআউট হয়ে যান।

এর পরপরই রাত ৯ টা ৩৯ মিনিটে আরেক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) আশার কথা শোনান মেটার সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। তিনি লেখেন, কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন সবকিছু সমাধান হয়ে যাবে।

একই ধরনের সমস্যা দেখা যাচ্ছে ইনস্টাগ্রাম ও থ্রেডসেও। তবে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপে এ ধরনের জটিলতা দেখা যায়নি।

বিশ্বজুড়ে ওয়েবসাইটের ত্রুটি পর্যবেক্ষণকারী ডাউনডিটেক্টর জানিয়েছে, বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা থেকে বিশ্বজুড়ে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা এই সমস্যায় পড়েছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পুরো বিশ্বজুড়ে ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিশ্বের কোথাও কেউ ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে প্রবেশ করতে পারছে না। এই দুটি মাধ্যমের ওয়েবসাইট এবং অ্যাপস উভয়ই অকার্যকর হয়ে পড়েছে।


আরও খবর



ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে বাংলাদেশি জাহাজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়েছে বাংলাদেশের পতাকাবাহী একটি জাহাজ। জাহাজটির নাম এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপ।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বেলা একটায় জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ার খবর জানতে পারে গ্রুপটি।

কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম জানান, জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে। জাহাজের ২৩ জন নাবিক নিরাপদে আছেন। ঘটনাটি জানার পর তারা জাহাজের নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন বলে মেহেরুল করিম জানিয়েছেন।

জাহাজটি গত বছর সংগ্রহ করে কেএসআরএম গ্রুপ। ২০১৬ সালে তৈরি জাহাজটি লম্বায় ১৯০ মিটার। কেএসআরএম গ্রুপের বহরে যুক্ত হওয়ার পর সাধারণ পণ্য পরিবহন করে আসছিল জাহাজটি।


আরও খবর



ইফতারের আগে যেসব রুটে হতে পারে তীব্র যানজট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র রমজানের প্রথম ইফতার আজ। অফিস বা ব্যক্তিগত কাজ শেষ করে বাসায় গিয়ে ইফতার করা অনেকের জন্য অনিশ্চয়তা তৈরি হতে পারে যানজটের কারণে। রাজধানীর কিছু এলাকার মানুষ অস্বস্তিতে রয়েছেন বিষয়টি নিয়ে। ইফতারের আগে মগবাজার, মালিবাগ, কারওয়ান বাজার, গুলিস্তান, মিরপুর রোডসহ অন্তত ১৪টি রুট যানবাহনের চাপমুক্ত রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ ট্র্যাফিক বিভাগের। পাশাপাশি মেট্রোরেলেও তৈরি হবে বাড়তি চাপ।

বিকেল ৩টা থেকেই বাড়তে পারে এই যানজট। মেগা প্রকল্পগুলোর পরেও সড়কজুড়ে কেন এত যানবাহনের চাপ, তা নিয়ে জনমনে রয়েছে নানা প্রশ্ন। নগারবাসী বলছেন, উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে। কিন্তু যানজট কমছে না। রমজানে মেট্রো স্টেশনের আশেপাশে থাকা মানুষজন একটু সুবিধা পাবেন। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষকেই আগের মতো ভোগান্তিতে পড়তে হবে।

অনেকে বলছেন, রমজান আসলে যানজটের আতঙ্ক বেড়ে যায়। অফিস শেষ করে বাসায় গিয়ে ইফতার ব্যবস্থা করাটা অনেক কঠিন হয়ে যায়। তাই বাসায় গিয়ে ইফতার করা যাবে কিনা, সেটা নিয়ে সন্দেহ থাকে।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থাকলেও যানজটের শঙ্কামুক্ত নয় উত্তরা, খিলক্ষেত কিংবা ফার্মগেট। অন্যদিকে, মিরপুর রোড, মগবাজার, মালিবাগ, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, গুলিস্তান এবং সরদঘাট ঘিরেও আছে যানজটের তীব্র আশঙ্কা। মেট্রোরেলের সংযোগ থাকলেও মতিঝিলে গাড়ির চাপ থাকে অনেক বেশি।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান ট্র্যাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে আমাদের ডিএমপি ট্র্যাফিক বিভাগ সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করবে। রমজানের সময়টাতে গাড়ির গতি হয়ত ধীর হবে। ৬০ কিলোমিটার বেগে চালানো যাবে না। তবে অন্তত ২০ কিলোমিটার বেগে যেন গাড়ি চলতে পারে, সেটা নিয়ে কাজ করছি।


আরও খবর



‘এম ভি আবদুল্লাহ’ উদ্ধার অভিযানে যেতে পারে ভারতের নৌবাহিনী: মার্কিন বিশ্লেষক

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

২৩ বাংলাদেশি নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছে। জাহাজটি গত রোববার মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছিল। সোমবার জলদস্যুদের কবলে পড়ে এটি। পণ্যবাহী জাহাজটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ।

মঙ্গলবার (মার্চ ১২) দুপুর ১টার দিকে জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ার খবর জানতে পারে বাংলাদেশের অন্যতম শিল্পগোষ্ঠীটির কর্তৃপক্ষ। এসআর শিপিংয়ের সিইও মোহাম্মদ মেহেরুল করিম জানান, গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টার দিকে জাহাজ থেকে তাদের বার্তা পাঠানো হয়। বার্তায় বলা হয়, জলদস্যুরা জাহাজ দখল করে নিয়েছে। আমাদের নাবিকেরা আটকা পড়েছেন।

এদিকে জাহাজে থাকা নাবিকদের পরিবার-পরিজন বেশ উদ্বেগ নিয়ে দিন কাটাচ্ছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশি এই কার্গো ক্যারিয়ারটি উদ্ধারে যেতে পারে ভারতীয় নৌবাহিনী। এমনটাই পরামর্শ দিয়েছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মার্টিন কেলি।

ভারতীয় মহাসাগরের যে অঞ্চলে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজটিকে জিম্মি করা হয়েছে সেখানকার আশপাশে ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তিশালী উপস্থিতি আছে। আর এ কারণে, দেশটির নৌবাহিনী এমভি আবদুল্লাহ উদ্ধারে হস্তক্ষেপ করতে পারে বলে পরামর্শ দিয়েছেন যুক্তরাজ্যভিত্তিক সামুদ্রিক নিরাপত্তা বিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইওএস রিস্ক গ্রুপের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক মার্টিন কেলি।

কেলি বলেছেন, তার জানা মতে, গত ৩ মার্চ সোমালিয়া উপকূল থেকে একটি জলদস্যু বিরোধী গোষ্ঠী গভীর সমুদ্রের উদ্দেশ্য রওনা হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, ভারত মহাসাগরের যে অঞ্চলে এই হামলা সংঘটিত হয়েছে সেই এলাকায় ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তিশালী উপস্থিতি আছে।

সূত্র: ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস


আরও খবর