আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

আজ থেকে তিন মাসের জন্য কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ-বিপনন নিষিদ্ধ

প্রকাশিত:শনিবার ০১ মে ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ মে ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রাঙামাটি থেকে শহিদুল ইসলাম হৃদয়

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ কৃত্রিম হ্রদ রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে আজ থেকে পরবর্তী তিন মাসের জন্য সকল প্রকার মৎস্য সম্পদ আহরণ ও বিপননে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ। কার্প জাতীয় মাছের বংশবিস্তার ও প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণে প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও পহেলা মে থেকে আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত জারিকৃত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে বলে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান। তিনি জানান, বন্ধকালীন সময়ে বেকার হয়ে যাওয়া প্রায় ২০ হাজার জেলে পরিবারের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে চাউল বিতরন করা হবে।


বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন বিএফডিসির উপ-ব্যবস্থাপক জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, কাপ্তাই হ্রদ দেশের কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজননের একটি অন্যতম স্থান। হ্রদে মা মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিত করার জন্য ডিম ছাড়ার মৌসুমে মাছ ধরা বন্ধ রাখা প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যে প্রতিবছরের এবছরও হ্রদে মাছ ধরা বন্ধ করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। কার্প জাতীয় মাছের বংশবৃদ্ধি, হ্রদে অবমুক্ত করা মাছের পোনার সুষ্ঠু বৃদ্ধি, মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণসহ হ্রদের প্রাকৃতিক পরিবেশ মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির সহায়ক হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়।

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন বিএফডিসি রাঙামাটি কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, এবছর ৯ হাজার মেট্রিক টন মাছ আহরণ করা হয়েছিল। বৃষ্টিপাত কম হওয়ার কারণে হ্রদের পানি দ্রুত শুকিয়ে যায়। যার ফলে ছোট মাছ আহরণ কম হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবছর এক হাজার ৫০০ মেট্রিক টন কম মাছ আহরণ হয়েছে। এবছর বন্ধকালীন সময়ে ৫০ মেট্রিক টনের মতো কার্প জাতীয় পোনা ছাড়া হবে।


এদিকে, কাপ্তাই হ্রদের মৎস্য ব্যবসায়িরা বলছেন, এশিয়ার একমাত্র বৃহত্তম কৃত্রিম হ্রদ কাপ্তাই হ্রদ। এই হ্রদের সাথে জড়িত রয়েছে কয়েক লাখো পরিবার। এই হ্রদ থেকে মাছ আহরণ করে জীবন জীবিকা করে পরিবারগুলো। মিঠা পানির মাছ হিসাবে কাপ্তাই হ্রদের মাছের একটি দারুন চাহিদা রয়েছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। এই কাপ্তাই হ্রদকে বাঁচাতে এবং হ্রদে মাছের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে দীর্ঘদিন ধরে দাবী উঠে আসছে। সেই সাথে কাপ্তাই হ্রদে মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিত করতে এবং কাপ্তাই হ্রদের কার্প জাতীয় মাছের আধিক্য বাড়াতে ৩ মাসের জন্য হ্রদ বন্ধ করে দেয়া হয়।


কিন্তু বিএফডিসি কর্তৃপক্ষ কাপ্তই হ্রদে মাছের অবস্থান না জেনে কাপ্তাই হ্রদ খুলে এবং বন্ধ করে। শুধুমাত্র সরকারের রাজস্ব বাড়াতে নয়, হ্রদের মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি ও অবৈধ ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বন্ধ এবং সঠিক সময়ে কাপ্তাই হ্রদ বন্ধ ও হ্রদের পানির উচ্চতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে কাপ্তাই হ্রদ খোলার দাবী জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। মাছের অবস্থান জেনে মাছ খোলা ও বন্ধ করলে হ্রদের মাছের উৎপাদন যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি ব্যবসায়ীরা লাভবান হবে বলেও মন্তব্য করেছেন মৎস্য ব্যবসায়ি নেতৃবৃন্দ।


আরও খবর



বগুড়ায় বাস-প্রাইভেটকার সংঘর্ষ, নিহত ৩

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বগুড়ার এরুলিয়ায় বাস-প্রাইভেটকার সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২ জন। শনিবার (৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে নওগাঁ-বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের এরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান।

নিহত তিন জন বগুড়া জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাকর্মী। তারা হলেন, ওই সংগঠনটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফাইম (৫৫), আব্দুল হান্নান (৪৪) ও চেইন মাস্টার আলগীর হোসেন (৪২)। নিহতদের মরদেহ শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহরা শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। 

প্রত্যক্ষদর্শী আবুল কালাম জানান, বিকট শব্দের পর প্রাইভেটকারের এক যাত্রী সড়কে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে কাছে গিয়ে প্রাইভেটকারের ভেতরে নিহত আরও দুই জনকে দেখতে পাই। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা এসে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে।

এই বিষয়ে উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বলেন, আজ সকালে প্রাইভেটকারটি নওগাঁর দিকে যাচ্ছিলো। এরুলিয়াতে পৌঁছে কারটি সামনে থাকা একটি ট্রাককে অতিক্রম করতে গিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। পরে গাড়ি কেটে নিহতদের মরদেহ বের করা হয়।

তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনার পর বাসের চালক ও সহকারী পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

নিউজ ট্যাগ: বগুড়া

আরও খবর



কুড়িগ্রামে ফেনসিডিল-বিদেশি মদসহ দুই কারবারি গ্রেফতার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মাসুদ রানা, কুড়িগ্রাম

Image

কুড়িগ্রামের কচাকাটায় ও নাগেশ্বরীতে পৃথক দুটি মাদক বিরোধী অভিযানে ৬৬ বোতল বিদেশি মদ এবং ২০০ বোতল ফেনসিডিলসহ দুইজন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, কচাকাটা থানার বলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বলদিয়া গ্রামের মাদক কারবারি মোঃ জাহিদুল ইসলাম (৪২) ও কুড়িগ্রাম সদর থানার একতা পাড়া এলাকার মাদক কারবারি মোঃ হিমন মিয়া (২২)।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে এসব তথ্য জানিয়েছে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ।

পুলিশ জানায়, সোমবার (১ এপ্রিল) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে কচাকাটা থানা পুলিশের একটি টিম মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে কচাকাটার বলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বলদিয়া গ্রামের মাদক কারবারি মোঃ জাহিদুল ইসলামকে ৬৬ বোতল বিদেশি মদসহ গ্রেফতার করে।

অন্যদিকে মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকাল দশটার দিকে নাগেশ্বরী থানা পুলিশের একটি টিম উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়নের শঠিবাড়ী নামক স্থানের নাগেশ্বরী থেকে কুড়িগ্রামগামী রাস্তা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান চালায়। অভিযানে ওই এলাকা থেকে কুড়িগ্রাম সদর থানার একতাপাড়া এলাকার মাদক কারবারি মোঃ হিমন মিয়াকে ২০০ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার করে।

কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোঃ রুহুল আমীন বলেন, গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে নাগেশ্বরী ও কচাকাটা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক দুইটি মামলা রুজু করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলায় মাদক নির্মূলে আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



নাহিদ সুলতানা যুথীর জামিন আবেদন হাইকোর্টের কার্যতালিকায়

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে স্বতন্ত্র থেকে সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথীর জামিন আবেদন শুনানির জন্য হাইকোর্টের কার্যতালিকায় এসেছে।

বুধবার (২০ মার্চ) বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চের কার্যতালিকায় ২২ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে স্বতন্ত্র থেকে সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথির জামিন আবেদন শুনতে নতুন বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন প্রধান বিচারপতি।

বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টে বেঞ্চে তার জামিন আবেদনটি শুনানির জন্য পাঠানো হয়। এর আগে সোমবার (১৮ মার্চ) বিচারপতি মো. সেলিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চের এক বিচারক নাহিদ সুলতানা যুথির জামিন আবেদন শুনতে বিব্রতবোধ করেন।

গত ১৪ মার্চ হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী। তিনি যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা মামলায় অ্যাডভোকেট যুথী এক নম্বর আসামি। তিনি ছাড়াও মামলার আসামি অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা) জামিন আবেদন করেছেন।

গত ৮ মার্চ রাতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী, বিএনপির প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়।

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফ তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর রাতেই ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- অ্যাডভোকেট মো. জাকির হোসেন ওরফে মাসুদ (৫৫), অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন, অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহম্মেদ, ব্যারিস্টার উসমান, অ্যাডভোকেট আরিফ, অ্যাডভোকেট সুমন, অ্যাডভোকেট তুষার, রবিউল, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা), সাইদুর রহমান জুয়েল (৪০), অলিউর, যুবলীগ নেতা জয়দেব নন্দী, মাইন উদ্দিন রানা, মশিউর রহমান সুমন, কামাল হোসেন, আসলাম রাইয়ান, অ্যাডভোকেট তরিকুল ও অ্যাডভোকেট সোহাগ। এ ছাড়া মামলায় ৩০/৪০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।

এ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের বিএনপির প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ৬ আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


আরও খবর
পরীমণিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




বাঁচানো গেল না সোনিয়াকেও, শেষ হয়ে গেল পুরো পরিবার

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

Image

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দগ্ধ শিশু সোনিয়া আক্তারের (১২) মৃত্যু হয়েছে। মা-বাবা ও তিন ভাই-বোনের পর সেও মারা গেল।

বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে সোনিয়ার মামা আবদুল আজিজ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

সোনিয়া উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালবাড়ী গ্রামের বাক প্রতিবন্ধী ফয়জুর রহমানের মেয়ে। সে স্থানীয় উত্তর গোয়ালবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত।

উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট থেকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়ার পর মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সোনিয়ার মা-বাবা ও তিন ভাই-বোনেরও মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একমাত্র সে বেঁচে ছিল।

মামা আবদুল আজিজ বলেন, গুরুতর দগ্ধ সোনিয়াকে প্রথমে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পৌঁছানোর কিছু সময় পরই সে মারা যায়। মরদেহ নিয়ে আমি বাড়ি ফিরছি।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোরে মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ি এলাকার ভাঙারপার গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনা ঘটে। এতে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়।

ওই ঘরের ওপর দিয়ে উচ্চ ভোল্টেজের ক্ষমতা সম্পন্ন পল্লী বিদ্যুতের লাইন ছিল। সেহরির পরে ঝড়-বৃষ্টি হলে বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে বসতঘরের চালের ওপর পড়ে ঘরটি বিদ্যুতায়িত হয় এবং আগুন লেগে যায়। এ সময় ঘরের ভেতরে থাকা ফয়জুর রহমান, স্ত্রী শিরিন বেগম, মেয়ে সামিয়া, মেঝ মেয়ে সাবিনা ও ছেলে সায়েমের মৃত্যু হয় ও আহত সোনিয়াকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


আরও খবর



স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে যা লিখলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মহান স্বাধীনতা দিবসে স্বাধীনতার চেতনায় বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে পরিদর্শন বইয়ে এ প্রত্যয় ব্যক্ত করে সই করেন তিনি।

পরিদর্শন বইয়ে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, আজ ২৬শে মার্চ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। আজকের দিনে আমি পরম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। আমি শ্রদ্ধা জানাই বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নির্যাতিতা মা-বোনদের প্রতি। গভীর বেদনাভরা ক্লান্ত হৃদয়ে স্মরণ করছি আমার মা বেগম ফজিলাতুন নেছা এবং আমার তিন ছোট ভাই কামাল, জামাল, রাসেলসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ঘাতকদের নির্মম বুলেটে আঘাতে যারা শাহাদাত বরণ করেছেন তাদের।

শ্রদ্ধা জানাই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিহত জাতীয় চার নেতাদের। ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর যাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল।

আজকের এই মহান দিবসে আমাদের প্রতিজ্ঞা-স্বাধীনতার চেতনায় বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তুলব। ইনশাল্লাহ। আমি বাংলাদেশের সব জনসাধারণকে মহান  স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।


আরও খবর