আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

আজকের রাশিফল: ৯ জুলাই ২০২৩

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

আজকের রাশিফল এর ওপর চোখ রেখে শুরু করুন আপনার দিন। রাশিফল হল জ্যোতিষ শাস্ত্রের একটি অন্যতম অঙ্গ। বহু মানুষ রাশিফলের দিকে নজর রেখেই পদক্ষেপ নেন জীবনে। কারণ, রাশিফলই আপনাকে জানিয়ে দিতে পারে গোটা দিনের এক সামগ্রিক ছবি। পাশাপাশি, জীবনে চলার প্রতিটি পদক্ষেপে আপনার ভাগ্যের চাকা কোন দিকে ঘুরছে সে সম্পর্কেও আঁচ পেতে পারেন আপনি। এছাড়াও, সতর্ক হওয়া যায় আসন্ন বিপদ থেকেও। তাই, জেনে নিন কেমন যাবে আপনার দিনটি:

মেষ রাশি: কাউকে অর্থ ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে আজকের দিনটি ভালো নয়। পাশাপাশি, ঋণ যদি দিতেই হয় সেক্ষেত্রে অবশ্যই লিখিত প্রমাণ রাখুন। কোথাও ভ্রমণ করার ক্ষেত্রে আজ আপনি দুর্বল থাকবেন। তাই, এহেন পরিকল্পনা এড়িয়ে চলুন। পরিবারের সদস্যদের সাথে আজ কিছুটা সময় কাটান। আজ আপনার একজন পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে। যাঁর সাথে আপনি অনেকটা সময় অতিবাহিত করবেন। বিবাহিত জীবনে সুখ এবং শান্তি বজায় থাকবে।

বৃষ রাশি: দূর সম্পর্কের একজন আত্মীয়ের কাছ থেকে আপনি আজ এমন একটি অপ্রত্যাশিত সুসংবাদ পেতে পারেন যা আপনাকে চমকে দেবে। আপনি আজ কোনো দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তবে, বাবা-মায়ের স্বাস্থ্যের প্রতি আজ আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে। প্রেমের জন্য আজকের দিনটি খুব একটা খারাপ নয়। আপনার কাছে আজ কিছুটা অবসর সময় থাকবে। যেই সময়টাতে আপনি কোনো খেলাধূলা করতে পারেন। যদিও, খেলতে গিয়ে আপনার আঘাত লাগার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই, অবশ্যই সতর্ক থাকুন।

মিথুন রাশি: আপনার মধ্যে আজ ভরপুর আত্মবিশ্বাস বজায় থাকবে। তাই, এই দিনটিকে সঠিকভাবে কাজে লাগান। পারিবারিক প্রয়োজনগুলির দিকে আজ অবশ্যই নজর দিন। যাঁরা দুগ্ধজাত শিল্পের সাথে যুক্ত রয়েছেন আজ তাঁদের আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া সম্ভাবনা রয়েছে। দিনের শুরুটা যতই ক্লান্তিকর হোকনা কেন বেলা বৃদ্ধির সাথে সাথে আজ আপনি ভালো ফল পেতে থাকবেন। আপনার কাছে আজ কিছুটা অবসর সময় থাকবে। যেটিকে কাজে লাগিয়ে আপনি আপনার একজন প্রিয়জনের সাথে দেখা করতে পারেন।

কর্কট রাশি: আর্থিক দিক থেকে আজ অযথা চিন্তা করবেন না। কারণ, বন্ধুবান্ধবদের সহায়তায় আজ আপনি আর্থিক সঙ্কট থেকে মুক্তি পাবেন। প্রত্যেকের সাথেই আজ মাথা ঠান্ডা রেখে কথা বলুন। নাহলে আপনি কোনো সমস্যায় পড়তে পারেন। শিশুদের সাথে আজ আপনি অনেকটা সময় অতিবাহিত করবেন। যার ফলে আপনার মন ভালো হয়ে যাবে। আজ আপনি আপনার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতাকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে লাভবান হতে পারেন। জীবনসঙ্গীর সাথে দিনটি নিঃসন্দেহে ভালো কাটবে।

সিংহ রাশি: শরীরের প্রতি অবশ্যই যত্নশীল হন। হার্টের রোগীরা আজ কফির অভ্যাস পরিত্যাগ করুন। আজ আপনি আপনার পরিবারের সদস্যদের সাথে নিজের কোনো সমস্যা ভাগ করে নিতে পারেন। আপনি আজকে অত্যন্ত ব্যস্ততার মধ্যে থাকলেও নিজের জন্য কিছুটা সময় বের করার চেষ্টা করুন। সেই সময়টিতে নিজের ঘাটতিগুলি পূরণ করার মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যক্তিত্বের মধ্যে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারেন। বাবা-মায়ের সাথে আজ আপনি অনেকটা সময় অতিবাহিত করবেন। জীবনসঙ্গীর কাছ থেকে আপনি কোনো চমক পেতে পারেন।

কন্যা রাশি: আর্থিক দিক থেকে আজকের দিনটি অবশ্যই ভালো। পাশাপাশি আপনি আজ যথেষ্ট পরিমাণে অর্থ সঞ্চয় করতে সক্ষম হবেন। আজ আপনার বন্ধুরা এমন একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সাথে আপনার আলাপ করাবেন যিনি আপনার মনে গভীর প্রভাব ফেলবেন। আজ নিজে থেকে কোনো বিতর্কে জড়িয়ে পড়বেন না। আপনার কাছে আজ কিছুটা অবসর সময় থাকবে। সেই সময়টি আপনি কোনো মন্দিরে, পার্কে বা নদীর ধারে বসে অতিবাহিত করতে পারেন। বিবাহিত জীবন নিঃসন্দেহে সুখের হবে।

তুলা রাশি: আপনার মধ্যে আজ ভরপুর আত্মবিশ্বাস বজায় থাকবে। তাই এই দিনটিকে সঠিকভাবে কাজে লাগান। পরিবারের সদস্যদের সাথে আজ ঠান্ডা মাথায় কথা বলুন। পাশাপাশি, পারিবারিক প্রয়োজনগুলির প্রতি অবশ্যই নজর দিন। আর্থিক দিক থেকে আজকের দিনটি অবশ্যই ভালো। শুধু তাই নয়, দীর্ঘদিনের কোনো বকেয়া অর্থ আপনি আজ ফেরত পেতে পারেন। প্রেমের জন্য দিনটি খুব একটা খারাপ নয়। বিবাহিত জীবনে সুখ এবং শান্তি বজায় থাকবে।

বৃশ্চিক রাশি: মন থেকে আজ সমস্ত নেতিবাচক চিন্তাকে দূরে সরিয়ে রাখুন। পাশাপাশি, প্রতিটি কাজ আজ আত্মবিশ্বাসের সাথে পড়ুন। আর্থিক দিক থেকে আজকের দিনটি খুব একটা খারাপ নয়। পরিবারের সদস্য এবং বন্ধুদের সাথে আজকে কিছুটা সময় অতিবাহিত করার চেষ্টা করুন। কর্মক্ষেত্রে কোনো পুরোনো কাজ ফেলে রাখার কারণে আজকে আপনাকে অবসর সময়েও অফিসের কাজ করতে হবে। প্রেমের জন্য আজকের দিনটি অবশ্যই ভালো।

ধনু রাশি: পরিবারের সদস্যদের সাথে আজ কিছুটা সময় কাটানোর চেষ্টা করুন। আপনার কোনো কাজে আজ আত্মীয়রা সমর্থন করবেন। আর্থিক দিক থেকে অযথা চিন্তা করবেন না। ভালোবাসার মানুষটির সাথে আজ সংযত আচরণ করুন। আপনি আজ অত্যন্ত ব্যস্ততার মধ্যে থাকবেন। যার ফলে নিজের জন্য অবসর সময় পাবেন না। অর্ধাঙ্গিনীর কোনো আচরণ আজ আপনার খারাপ লাগতে পারে।

মকর রাশি: আপনার অর্থ কোথায় কোথায় ব্যয় হচ্ছে সেদিকে আপনার নজর রাখা দরকার। অন্যথায় আপনি আগামী সময়ে আর্থিক সঙ্কটের সম্মুখীন হতে পারেন। এই রাশির প্রেমিক-প্রেমিকারা আজ তাঁদের পারিবারিক অবস্থার কারণে অত্যন্ত চিন্তিত থাকতে পারেন। আজ প্রত্যেকের সাথে স্পষ্ট ভাবে কথা বলুন। আজ আপনি আপনার চিন্তা ও নির্ধারিত লক্ষ্যকে আরও শক্তিশালী করতে কোনো একজন সুপরিচিত ব্যক্তিত্বের আত্মজীবনী পড়তে পারেন। যা আপনাকে আরও উদ্বুদ্ধ করবে।

কুম্ভ রাশি: শরীরকে সুস্থ রাখতে আজ অবশ্যই কিছুটা বিশ্রাম নিন। ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে আজ থেকেই সঠিকভাবে অর্থ সঞ্চয়ের প্রতি মনোযোগী হন। নাহলে আপনি আগামী সময়ে আর্থিক সঙ্কটের সম্মুখীন হতে পারেন। আজ আপনার বাড়িতে কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান সম্পন্ন হতে পারে। কোনো কাজ না করেই আজ অযথা সময় নষ্ট করবেন না। আজকের দিনটি আপনার বিবাহিত জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দিন হিসেবে বিবেচিত হবে।

মীন রাশি: বাবা-মায়ের স্বাস্থ্যের প্রতি আজ অবশ্যই নজর দিন। আপনার অর্থ কোথায় কোথায় ব্যয় হচ্ছে সেদিকে আপনার নজর রাখা দরকার। অন্যথায় আপনি আগামী সময়ে আর্থিক সঙ্কটের সম্মুখীন হতে পারেন। পরিবারের সদস্যদের সাথে আজ অবশ্যই কিছুটা সময় কাটান। বাড়ির কাজ শেষ করার পর এই রাশির গৃহিণীরা আজকে অবসর সময়ে টিভি বা মোবাইলে কোনো সিনেমা দেখতে পারেন। জীবনসঙ্গীর কাছ থেকে আজ আপনি কোনো বড় চমক পেতে পারেন।

নিউজ ট্যাগ: আজকের রাশিফল

আরও খবর



কেমন হবে বৈশাখের সাজ

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

বাংলা নববর্ষের আনন্দ আরও বহুগুণ বেড়ে যায় যখন সুন্দরভাবে সেজে এই দিনটিকে বরণ করে নেওয়া হয়। পহেলা বৈশাখের সাজে নারী আরও বেশি অনন্যা হয়ে ওঠেন। বিশেষ করে শাড়িতে এদিন তাকে দেখতে আরও বেশি সুন্দর লাগে। তবে গরমের সময় বলে সাজের ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হয়। নয়তো সাজ নষ্ট হয়ে আপনাকে দেখতে উদ্ভট লাগতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কেমন হবে বৈশাখের সাজ-

শাড়ি কেমন হবে

পহেলা বৈশাখের সাজে নারীর পোশাক হিসেবে শাড়িই সবচেয়ে বেশি মানানসই। এক্ষেত্রে আপনি একটি সুতির শাড়ি বেছে নিতে পারেন। গরমের সময়ে সুতির শাড়িতেই সবচেয়ে বেশি আরাম পাবেন। তাই স্বস্তির জন্য সুতির শাড়িই উত্তম। সুন্দরভাবে পরলে সুতির শাড়িতেও আপনি হয়ে উঠবেন অনন্যা। এক্ষেত্রে নতুন শাড়ি কিনতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। বরং বাড়িতে থাকা যেকোনো পরিষ্কার শাড়ি পরতে পারেন। সবকিছুই নির্ভর করছে আপনার সামর্থ্য আর ইচ্ছার ওপর।

মানানসই ব্লাউজ

শুধু শাড়ি নয়, শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজ মানানসই না হলে দেখতে ভালোলাগবে না। আবার সুন্দর একটি ব্লাউজ আপনার সাজ আরও বেশি ফুটিয়ে তুলতে পারে। তাই এদিকে খেয়াল রাখুন। এই সময়ে যেসব ব্লাউজ বেশি ট্রেন্ডিং সেসব থেকে একটি বেছে নিতে পারেন। এতে আপনাকে আরও বেশি আকর্ষণীয় লাগবে। রঙের ক্ষেত্রে শাড়ির রং কিংবা শাড়ির ঠিক উল্টো রংটিও বেছে নিতে পারেন।

গয়না কেমন হবে

পহেলা বৈশাখে গয়না না পরলে দেখতে ভালোলাগবে না। সুন্দর একটি শাড়ির সঙ্গে মানানসই গয়না পরলে দেখতে আরও বেশি পরিপাটি লাগবে। গয়নার ক্ষেত্রে আপনার পছন্দ আর স্বস্তির বিষয়টি সবার আগে মাথায় রাখবেন। তবে বৈশাখের সাজে বেশি মানানসই কাঠ, মাটি, পুতি, কাপড় ইত্যাদির গয়না। গলায় বড় কোনো গয়না পরলে কানে হালকা গয়না পরুন। আবার কানে ভারী গয়না পরলে গলায় হালকা পরুন। এতে দেখতে ভালোলাগবে। চাইলে এই দিনে পরতে পারেন ফুলের গয়নাও।

ছবি : ফ্যাশন হাউজ মিরা। অর্ডার করতে চাইলে ভিজিট করুন : www.facebook.com/mirabrandbd অথবা https://mira.com.bd


আরও খবর



হাজারীবাগে ঝাউতলা বস্তিতে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর হাজারীবাগের ঝাউচরের মোড় এলাকার একটি টিনশেড বস্তিতে আগুন লেগেছে। নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার জানান, বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে আমাদের কাছে খবর আসে হাজারীবাগ বেড়িবাঁধ সংলগ্ন ঝাউতলা বস্তিতে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে হাজারীবাগ ফায়ার স্টেশনের ২টি, লালবাগের ২টি, মোহাম্মদপুরের ২টি ও সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের ১টিসহ মোট ৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে।

তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।


আরও খবর



বায়ুদূষণে শীর্ষে চিয়াং মাই, ১৮০ স্কোর নিয়ে ঢাকা তৃতীয়

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিন দিন বেড়েই চলেছে বায়ুদূষণ। মেগাসিটি ঢাকার বাতাসেও নেই স্বস্তির খবর। বেশ কিছু দিন ধরেই শহরটির বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর অবস্থাতেই রয়েছে বলে জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তবে সবচেয়ে বেশি দূষণ ভারতের দিল্লির বাতাস।

এদিন সকাল ১১টার দিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৮০ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে রাজধানী ঢাকা, যা অস্বাস্থ্যকর হিসেবেই বিবেচিত।

দূষিত শহরের তালিকায় আজ শীর্ষে রয়েছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই, যার স্কোর ১৮৯। আর দ্বিতীয় অবস্থানে ভারতের দিল্লি, স্কোর ১৮২। এ ছাড়া ১৮০ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ঢাকা, চতুর্থ অবস্থানে আছে ভিয়েতনামের হ্যনয়, যার স্কোর ১৬৬। পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে  ইন্দোনেশিয়ার মেদান, যার স্কোর ১৬৫।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

এদিকে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স ১৯ মার্চ জানিয়েছে, বিশ্বে বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা তিন দেশের মধ্যে পাকিস্তান আগে থেকে থাকলেও, নতুন করে স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত। প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, এই তিন দেশের বাতাসে যে পরিমাণ দূষিত কণা রয়েছে তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ডের চেয়ে প্রায় ১৫ গুণ বেশি। বায়ুদূষণের ওপর ওয়ার্ল্ড এয়ার কোয়ালিটি রিপোর্ট-২০২৩ শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আইকিউএয়ার। প্রতিবেদনে বলা হয়, বায়ুদূষণে বিশ্বের শীর্ষ তিন দেশের মধ্যে পাকিস্তান দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে। আফ্রিকার দেশ চাদ আর ইরানকে সরিয়ে যথাক্রমে প্রথম ও তৃতীয় অবস্থানে চলে এসেছে বাংলাদেশ ও ভারত।

২০২৩ সালে বাংলাদেশের বাতাসে ফাইন পার্টিকুলেট ম্যাটার’ বা পিএম-২.৫ এর পরিমাণ ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৭৯ দশমিক ৯ মাইক্রোগ্রাম। পাকিস্তানের বাতাসে এর পরিমাণ ছিল ৭৩ দশমিক ৭ মাইক্রোগ্রাম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বাতাসে এটি থাকা উচিত ৫ মাইক্রোগ্রাম। বাতাসে এই পিএম ২.৫ বেশি হলে ফুসফুসের ব্যাপক ক্ষতি হয়।


আরও খবর



মাথাপিছু ঋণ বেড়ে দেড় লাখ টাকা: সিপিডি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

গত তিন বছরে মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণ প্রায় ৫০ হাজার টাকা বেড়েছে বলে জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সংস্থাটি বলেছে, তিন বছর আগে মানুষের মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ছিল এক লাখ টাকা। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দেড় লাখ টাকা। শ্রীলঙ্কার মতো বাংলাদেশেও স্বল্পমেয়াদি ঋণ বাড়ছে, ফলে বাংলাদেশও শ্রীলঙ্কার মতোই বিপজ্জনক পথে আছে।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) গুলশানের একটি হোটেলে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ ও ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি ও এশিয়া ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সিপিডির চেয়ারম্যান ড. রেহমান সোবহান, সংস্থাটির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য; মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান।

সিপিডির চেয়ারম্যান ড. রেহমান সোবহান বলেছেন, আশির দশকে অনেক আফ্রিকান ও লাতিন আমেরিকান দেশ স্বল্পমেয়াদি ঋণ নিয়ে বিপদে পড়েছিল। সম্প্রতি এর বড় উদাহরণ শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশেও স্বল্পমেয়াদি ঋণ বাড়ছে, শ্রীলঙ্কার মতোই বিপজ্জনক পথে আছে এ দেশ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ঋণের বড় বাধা এখন ঋণগুলোর শর্ত এবং এর সঠিক বাস্তবায়ন।

আমরা যদি আশির দশকে ওপেকের সময় ঋণের সংকটের দিকে তাকাই, সেখানে দুটি পরিস্থিতি ছিল। একটি, লাতিন আমেরিকায় খুব বেশি ঋণ নিয়ে বিপদে পড়া। তারা বিপদে পড়েছিল স্বল্পমেয়াদি ঋণে, সেগুলো তাদের খুব সস্তায় দেওয়া হয়েছিল। ফলে তারা একসময় গিয়ে ঋণসংকটে পড়েছিল। একই ঘটনা শ্রীলঙ্কার ঋণ সংকটের। শ্রীলঙ্কার অনেক ঋণ স্বল্পমেয়াদি। শ্রীলঙ্কার একই সময় অনেক আফ্রিকান দেশেও একই সমস্যা তৈরি হয়েছে।’

ড. রেহমান সোবহান বলেন, একইভাবে বাংলাদেশও স্বল্পমেয়াদি ঋণ নিয়ে সংকটের পথেই আছে। এটা খুবই উল্লেখ করার মতো, এ ধরনের ঋণ এখন বাড়ছে। যেহেতু আমাদের রপ্তানি আফ্রিকার অনেক দেশের চেয়ে ভালো, তাই এ জায়গায় তেমন সংকট নেই।’

মূল প্রবন্ধে ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কয়েক বছর আগে পর্যন্ত আমাদের বিদেশি ঋণ ছিল সহনীয় পর্যায়ে। আমরা এখন যদি সতর্ক না হই, তাহলে বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। তবে সরকার যে সতর্ক তা আইএমএফের কাছে ৪.৭ বিলিয়নের জন্য যে গেল সেটা থেকেই বোঝা যাচ্ছে।’

প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় তিনি বলেন, বিদেশি ঋণ শুধু বাংলাদেশের সমস্যা না, ১৯৮০ সালের দিকে লাতিন আমেরিকার দেশগুলো বিদেশি ঋণ নিয়ে এ ধরনের বড় সমস্যায় পড়েছিল। সাম্প্রতিক ঋণ নিয়ে দেউলিয়া হয়ে পড়া গ্রিস বড় উদাহরণ। পাশাপাশি শ্রীলঙ্কা ও ঘানার মতো দেশের উদাহরণ তো আছেই।’

আন্তর্জাতিকভাবে এ প্রভাব পড়ার বৈশ্বিক কারণগুলো হলো—কভিড-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব, বিশ্বে মালামাল ও সেবার চাহিদা কমে যাওয়া। দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ কারণ—ঋণ ব্যবস্থাপনা অনেক দুর্বল, অনেক দেশ অদূরদর্শী ঋণ নিয়েছে। ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে কঠিন শর্তে ঋণ নেওয়া হয়েছে, মুদ্রার ওঠানামাও অনেক দেশে হয়েছে। এসব কারণ অভ্যন্তরীণ।’

গবেষণা প্রবন্ধে বলা হয়, জাতিসংঘের গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপ বলেছে, উন্নয়নশীল দেশগুলো উন্নত দেশের তুলনায় অনেক দ্রুত ও বেশি বিদেশি ঋণ নিয়েছে। অনেক উন্নয়নশীল দেশেই এ কারণে তা উদ্বেগের কারণ হয়েছে। ঋণের চাপে অনেকে আছে, অনেকে খেলাপি হয়েছে।

উন্নয়নশীল এসব দেশের সরকারি ঋণ ২০১০ সালে জিডিপির তুলনায় ৩৫ শতাংশ ছিল, ২০২১ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ শতাংশে। এর মধ্যে একই সময় দেশগুলোর বিদেশি ঋণ ১৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ২৯ শতাংশ হয়েছে। এসব বিদেশি ঋণের মধ্যে ব্যক্তি খাতের ঋণও একইভাবে বেড়েছে। একই সময় ব্যক্তি খাতের ঋণ ৪৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬২ শতাংশ হয়েছে বলে উল্লেখ করেন এই অর্থনীতিবিদ।

বিশ্বব্যাংকের গবেষণার একটি অংশ তুলে ধরে ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে বিদেশি ঋণের স্থিতি বেড়েছে ১০৯ শতাংশ, যেটি দেশগুলোর জিডিপির ৩৩ শতাংশ। পাবলিক অ্যান্ড পাবলিকলি গ্যারান্টেড (পিপিজি) ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪৩.৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি।

আইএমএফের সতর্কবাণী উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইএমএফ এসব দেশকে সতর্ক করে একটি প্রতিবেদন বানিয়েছে। আমরা কি আরেকটি ঋণ সংকটের দিকে যাচ্ছি?

তার মতে, বাংলাদেশের ঋণ ও পরিশোধের বাধ্যবাধকতা বাড়ছে, যা সরকারকে অপর্যাপ্ত রাজস্ব আদায়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধের জন্য ক্রমাগত নতুন ঋণ নিতে বাধ্য করছে।

তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে আমরা পাকলিক ও পাবলিকলি গ্যারান্টিযুক্ত ঋণের দায়বদ্ধতার একটি বড় অংশ পরিশোধের জন্য ঋণ নিচ্ছি। তাই দ্রুত অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ বাড়ানো ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।’

সিপিডি জানিয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বৈদেশিক ঋণ এবং ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতার হার বেড়েছে। ২০২৩ সালের জুনে বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি বিদেশি ঋণ ছিল ৯৮.৯ বিলিয়ন ডলার, যা একই বছরের সেপ্টেম্বরে ১০০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।

অনুষ্ঠানে সিপিডি জানিয়েছে, ঋণ পোর্টফোলিওর গঠন দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। রেয়াতি ঋণের অনুপাত কমছে, অন্যদিকে রেয়াতি ও বাজারভিত্তিক ঋণের অংশ বাড়ছে। ঋণের শর্তাবলিও আরো কঠোর হচ্ছে।

বিশেষ করে জিডিপি, রাজস্ব আয়, রপ্তানি, রেমিট্যান্স ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সঙ্গে তুলনা করলে বৈদেশিক ঋণ ও ঋণ পরিশোধের দায়বদ্ধতা দ্রুত বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান।

এই অর্থনীতিবিদ বলেন, এর সঙ্গে ঋণ বহনের সক্ষমতা ও ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা উদ্বেগ তৈরি করেছে। দিন শেষে অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ গুরুত্বপূর্ণ, যা অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি উভয় ঋণ পরিশোধের জন্য বিবেচনা করতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, অভ্যন্তরীণ সম্পদের একটি ক্রমবর্ধমান অংশ দেশি ও বিদেশি ঋণের মূল ও সুদ পরিশোধে ব্যবহার করা হচ্ছে।

মেগাপ্রকল্প সংশ্লিষ্ট প্রতিটি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অর্থপাচারের সম্পর্ক আছে বলে মনে করেন সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, বড় আকারের অনেক প্রকল্পই অতিমূল্যায়িত করে খরচ বাড়ানো হয়েছে। আবার প্রকল্পের ভেতরে বাস্তবায়ন পর্যায়ে কোনো না কোনো স্বার্থগোষ্ঠীকে উৎসাহিত করা হয়েছে।

ড. দেবপ্রিয় বলেন, অন্যান্য দেশে জনগণের প্রাথমিক সঞ্চয়ের মাধ্যমে পুঁজি গড়ে উঠলেও বাংলাদেশে ব্যাংকের টাকা ফেরত না দিয়ে ও অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে জনসাধারণের টাকা লুটের মাধ্যমে পুঁজি গড়ে উঠেছে। বিদেশি ঋণ নেওয়া প্রকল্পগুলোর মাধ্যমেও ব্যক্তি খাতে পুঁজি গড়ে উঠেছে। এটা বিদ্যুৎ, জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতের জন্যই প্রযোজ্য।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে পুঁজি সঞ্চয়কারী অলিগার্ক তৈরি হয়েছে। এর ফলে রাজনৈতিক নেতারা যে আশায় এই প্রকল্পগুলো নিয়েছিলেন, সেটায় সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।

দেশি-বিদেশি ঋণ থেকে সরকারের দায় বৃদ্ধির প্রবণতা তুলে ধরে তিনি বলেন, বর্তমানে সরকারের মাথাপিছু বিদেশি ঋণ তিন হাজার ১০ ডলার। আর অভ্যন্তরীণ উৎসর ঋণ মিলে সরকারের মোট ঋণ দাঁড়ায় আট হাজার ৫০ ডলারে। স্বাধীনতার এত বছর পরে সরকারের মাথাপিছু ঋণ এক লাখ টাকায় উঠেছিল অথচ তা পরের তিন বছরেই দেড়গুণ হয়ে গেছে।

কভিড, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতার কারণে ঋণ বেড়েছে বলে অনেকে দাবি করলেও প্রকৃত কারণ ভিন্ন বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ। ঋণ পরিশোধের চাপের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০১৮-১৯ সালেও সরকারের আদায় হওয়া রাজস্বের ২৬ শতাংশ ঋণ পরিশোধে ব্যয় হতো। অথচ এই হার এখন ৩৪ শতাংশে উঠেছে, যেখানে অভ্যন্তরীণ ঋণ যাচ্ছে ২৮ শতাংশ আর বিদেশি ঋণ সাড়ে ৫ শতাংশ।

বিদেশি ঋণ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই বলে অনেকেই দাবি করলেও বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, ক্রেডিট রেটিং সংস্থা মোডি বা স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওরস হিসেবে বাংলাদেশের ক্রেডিট রেটিং কমছে বলে দাবি করেন ড. দেবপ্রিয়। সামষ্টিক অর্থনীতির অস্থিরতাসহ বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক ফলাফলের মধ্যেও বিপুল পরিমাণ ঋণে নেওয়া মেগাপ্রকল্প প্রকৃত সুফল দিতে পারছে না বলে তিনি মন্তব্য করে বলেন, বিনিয়োগ না বাড়লে প্রকল্পের ফলাফল পাওয়া যাবে না।

ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ জিডিপির ২৩.৪ থেকে ২৩.৮ শতাংশে আটকে আছে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে। গত দেড় দশকের সাফল্য কেন বিনিয়োগে প্রতিফলিত হয়নি? এফডিআই কেন জিডিপির ১ শতাংশে আটকে আছে? প্রশ্ন রেখে ড. দেবপ্রিয় বলেন, ২০২৩ সালের ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ জিডিপির অনুপাতে সরকারের হিসেবেই কমেছে। এ ছাড়া শিক্ষা, ট্রেনিং বা কর্মে নেই এমন মানুষের হার বেড়েছে, বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তাহীন পরিবারের সংখ্যাও বেড়েছে। ২৫ শতাংশের বেশি মানুষ দৈনন্দিন প্রয়োজনে ঋণ করে চলে।

বড় প্রকল্পে অর্থায়ন করতে গিয়ে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের ক্ষতি হয়েছে মন্তব্য করে ড. দেবপ্রিয় বলেন, শিক্ষায় গত ১৫ বছরে কোনোভাবেই জিডিপির ২ শতাংশের বেশি এবং স্বাস্থ্যে ১ শতাংশের বেশি বরাদ্দ হয়নি। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে অবহেলার প্রতিফলন এই এসভিআরএস প্রতিবেদনেও এসেছে বলে তিনি জানান। এই ধরনের সমস্যা সমাধানে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি যথাযথ কাজ করছে না বলে মন্তব্য করেন এই অর্থনীতিবিদ।

তিনি বলেন, স্বচ্ছতা নিশ্চিতের জন্য তিন মাস পর আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী বিবৃতি দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয় না। এ ছাড়া অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে কেবিনেটের সাব কমিটি ক্রয় কমিটিতে পরিণত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।


আরও খবর



ফের অনিরুদ্ধ রায়ের সিনেমায় দেখা মিলবে জয়া আহসানের

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের আলোচিত নায়িকা জয়া আহসান। দুই বাংলাতেই নিয়মিত অভিনয় করেন তিনি। গত বছর বলিউডের আলোচিত সিনেমা পিংক এর নির্মাতা অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীর কড়ক সিং সিনেমায় অভিনয় করে বলিউডে যাত্রা শুরু করেছিলেন জয়া। আর এবারে এই নির্মাতা বাংলা সিনেমায় দেখা যাবে তাকে।  সিনেমার  নাম ডিয়ার মা

নতুন সিনেমাটির খবর শেয়ার করেছেন জয়া আহসান নিজেই। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, কড়ক সিংয়ের পর আবার আমাকে সিনেমায় সুযোগ দেয়ার জন্য অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীকে ধন্যবাদ। চন্দর রায় সান্যাল, ধৃতিমান চ্যাটার্চি, শাশ্বত চ্যাটার্জি, অনুভা ফতেহপুরিয়া ও পদ্মপ্রিয়াদের মতো চমৎকার অভিনেতাদের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করব ভেবেই আমি উচ্ছ্বসিত। শিগগিরই শুরু হবে শুটিং।

অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় পরিচালক। নির্মাণ করেছেন অনুরণন, অন্তহীন, অপরাজিতা তুমির মতো সিনেমা। এরপর বলিউডে নির্মাণ করেছেন পিংক, লস্ট ও সর্বশেষ কড়ক সিং। ২০১৪ সালে দেবকে নিয়ে নির্মাণ করেছিলেন বুনোহাঁস। এরপর আর বাংলা সিনেমা নির্মাণ করেননি তিনি। ১০ বছর পর  মা-মেয়ের গল্প নিয়ে আংলা সিনেমা নির্মাণ করবেন তিনি। সিনেমাটির প্রধান চরিত্রে দেখা যাবে জয়া আহসানকে। আগামী মে মাস থেকে ডিয়ার মা নামের এই ছবির শুটিং শুরু হচ্ছে। কলকাতা থেকে দেশের একটি সংবাদপত্রকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনেত্রী নিজেই।  

নতুন সিনেমা নিয়ে জয়া আহসান বলেন, অনিরুদ্ধদার সঙ্গে সিনেমা করব বলে অনেক দিন ধরে ভাবছিলাম। আমিও অপেক্ষা করছিলাম, কখন ডাকবেন তিনি। এর মাঝে হিন্দি সিনেমাটা করা হলো।  এই বাংলা সিনেমাটা যখন তৈরি হলো, আমাকে শোনালেন, তখন ভাবলাম, তিনি বেশ কিছুদিন আগে থেকেই এমনটা ভাবছেন। আমাদের বেশ কিছুদিন ধরে কথাবার্তা চলছিল। অবশেষে সব চূড়ান্ত হলো।

ডিয়ার মা সিনেমাটার গল্পটা অন্যরকম। সিনেমাটার গল্প এবং নিজের চরিত্র  নিয়ে জয়া বলেন, এটা সম্পর্কের গল্প। অনিদা তো মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্বের গল্প বলেন, তেমনই একটা গল্প। মা, মায়ের সন্তান, সম্পর্ক, পরিবার এগুলো নিয়ে এগোবে সিনেমাটা। আমাকে একজন মায়ের চরিত্রে দেখা যাবে। প্রথমবারের মতো মায়ের কোনো চরিত্রে অভিনয় করব।

কলকাতায় ডিয়ার মা শুটিং শুরু হবে আগামী মাসে। আর এখনো কলকাতার  প্রেক্ষাগৃহ এখনো প্রদর্শিত হচ্ছে জয়া অভিনীত ভূতপরী। সৌকর্য ঘোষাল পরিচালিত সিনেমাটি এরই মধ্যে প্রদর্শনের ৭৫ দিন পেরিয়ে গেছে। এই যাত্রা নিয়ে উচ্ছ্বসিত জয়া। কেক কেটে করলেন উদ্‌যাপনও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন ভিডিও। 


আরও খবর