আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

আজকের রাশিফল: শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

দৈনন্দিন জীবনে অনেকেই রাশিফল মেনে থাকেন। যাপিত জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তারা রাশিচক্রের রহস্য উন্মোচনে উন্মুখ। প্রতিটি রাশির নিজস্ব স্বভাব ও গুণ-ধর্ম থাকে, তাই প্রতিদিন গ্রহের স্থিতি অনুসারে তাদের সঙ্গে যুক্ত জাতকের জীবনে নানা ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। এ কারণেই প্রত্যেকের রাশিফল আলাদা আলাদা।

আজ শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভাগ্যরেখা অনুযায়ী আজকের দিনটি কেমন কাটতে পারে? কী বলছে জ্যোতিষশাস্ত্র? আসুন, জেনে নিই আজকের রাশিফল

(মেষ | ২১ মার্চ-২০ এপ্রিল)

সফলতা বজায় রাখতে ধৈর্য ধরুন। পারিবারিক সম্পর্কে সমঝোতা দরকার। বিনিয়োগ শুভ। যানবাহন ও যন্ত্রপাতিতে সতর্ক থাকুন।

(বৃষ | ২১ এপ্রিল-২০ মে)

কর্মস্থলে মর্যাদা বাড়বে। সাংসারিক শান্তি রাখতে ইতিবাচক থাকুন। বিনিয়োগে সচেতন থাকার চেষ্টা করুন। রোমান্স শুভ।

(মিথুন | ২১ মে-২০ জুন)

কিছু বিষয় উদ্বেগ বাড়াবে। সহকর্মীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখুন। স্বাধীন পেশাজীবীদের জন্য সম্ভাবনাময় সপ্তাহ। সুখবর পাবেন।

(কর্কট | ২১ জুন-২০ জুলাই)

নেতিবাচক চিন্তাভাবনা যেন কাজে প্রভাব না ফেলে। কর্মস্থলে ইমেজ বাড়বে। বিনিয়োগে সফলতার সম্ভাবনা আছে। রোমান্টিক সম্পর্কে সমঝোতা দরকার।

(সিংহ | ২১ জুলাই-২০ আগস্ট)

অস্থিরতা বাড়তে পারে। সাংসারিক বিষয়ে সচেতন থাকার চেষ্টা করুন। প্রত্যাশা পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

(কন্যা | ২১ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর)

এজেন্সি ব্যবসায়ীদের জন্য বেশ ভালো সময়। পরিবারে সবার মতামতকে গুরুত্ব দিন। স্পষ্ট কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।

(তুলা | ২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর)

বিনিয়োগে লাভবান হবেন। কোনো আশা সম্ভাবনা আছে। মানসিক অবসাদ কাটাতে বিনোদনে সময় কাটান। আয় বাড়বে।

(বৃশ্চিক | ২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর)

ব্যক্তিগত বিষয় শেয়ার করবেন না। রাগ, অস্থিরতা আজ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। আর্থিক যোগাযোগ ও রোমান্স শুভ। যানবাহনে সতর্ক থাকুন।

(ধনু | ২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর)

পেশাগত ব্যস্ততা বাড়বে। রোমান্টিক সম্পর্ক ভালো যাবে। লেনদেনে সতর্ক থাকুন। ভুল-বোঝাবুঝি হতে পারে। (মকর | ২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি)

সাংসারিক কাজে ব্যয় বাড়বে। ব্যবসায়িক পরিবেশ অনুকূলে থাকবে। কর্মদক্ষতার মূল্যায়ন পাবেন।

(কুম্ভ | ২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি)

ব্যবসায়িক সফলতা পাবেন। কারও কথায় সিদ্ধান্ত নিলে ক্ষতিকর হবে। অতিরিক্ত ব্যয়ের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।

(মীন | ১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ)

পেশাগতভাবে ব্যস্ততা বাড়বে। একটু উদ্যোগী হলে অপ্রত্যাশিত সূত্র থেকে লাভ হতে পারে। জমিসংক্রান্ত বিনিয়োগ শুভ নয়।


আরও খবর



জিবুতি উপকূলে নৌকাডুবি, নিহত ৩৩

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

লোহিত সাগরের জিবুতি উপকূলে অভিবাসীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে গেছে। এতে কমপক্ষে ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহত অভিবাসীদের সবাই ইথিওপিয়ার বাসিন্দা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আট বছর বয়সী এক শিশুসহ অন্তত ৩৩ ইথিওপিয়ান অভিবাসী জিবুতির উপকূলে তাদের নৌকা ডুবে মারা গেছে।

জিবুতি কোস্টগার্ডের সিনিয়র কর্মকর্তা ইস ইইয়াহ বলেন, যারা ডুবে যাওয়া নৌকায় ছিলেন তারা ইয়েমেন ছেড়ে চলে যেতে চেয়েছিলেন।

এদিকে জিবুতিতে নিযুক্ত ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রদূত বারহানু সেগায়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে অভিবাসীদের মৃত্যুর জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, জিবুতি থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে অবৈধপন্থায় ভ্রমণ অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং এতে করে ক্রমাগত আমাদের নাগরিকরা তাদের জীবন হারাচ্ছেন।’

বিবিসি বলছে, স্থলবেষ্টিত ইথিওপিয়ায় গৃহযুদ্ধের পর পালিয়ে আসা লোকেরা প্রায়শই জিবুতি এবং ইয়েমেনের মধ্য দিয়ে সৌদি আরব এবং তার বাইরেও অন্য অনেক দেশে ভালো সুযোগের সন্ধানে গিয়ে থাকেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার আটকে যায় ইয়েমেনে। আরব উপদ্বীপের এই দেশটিও যুদ্ধের কবলে রয়েছে।


আরও খবর



ঈদ ১০ না ১১ এপ্রিল, জানা যাবে মঙ্গলবার

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর বুধ নাকি বৃহস্পতিবার উদযাপিত হবে তা জানা যাবে আগামীকাল মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায়। ঈদুল ফিতরের তারিখ নির্ধারণে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সভায় বসছে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি।

বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে (বাদ মাগরিব) এ সভা হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি ও ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

সোমবার (৮ এপ্রিল) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সভায় ১৪৪৫ হিজরি সনের শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা করে ঈদুল ফিতর উদযাপনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। একমাস রমজানের রোজা শেষে শাওয়াল মাসের ১ তারিখে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়।

মঙ্গলবার দেশের আকাশে শাওয়ালের চাঁদ দেখা গেলে পরের দিন বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। আর বাংলাদেশের কোথাও চাঁদ দেখা না গেলে বুধবার রমজান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। সেক্ষেত্রে ঈদ উদযাপিত হবে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল)।

বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭ টেলিফোন নম্বরে ফোন করে এবং ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১ নম্বরে ফ্যাক্স করে বা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) বা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




বগুড়া বোরো ধানের বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
বগুড়া প্রতিনিধি

Image

আবহাওয়া অনুকূল থাকায় বগুড়া জেলার ১২টি উপজেলায় এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষি বিভাগ ও কৃষক-কিষানী।

এবার জেলায় কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৪ শত ৩২ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সারা দেশে ধান-চালসহ বিভিন্ন খাদ্য উৎপাদনের উদ্বৃত্ত জেলা হিসাবে বগুড়া খ্যাতি রয়েছে। জেলার মাঠ গুলো এখন সবুজের আভায় এক অপরূপ শোভা ছড়াচ্ছে। বোরো ধানের (পি আই)শিষ বের হওয়ার পূর্ব মুহুর্ত চলছে সারা জেলায়। সেচসহ আগাছা পরিষ্কারে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি বছর ইরি-বোরো মৌসুমে মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত এই জেলায় বোরো ধান লাগানো সম্পন্ন করেছে কৃষকেরা। এখন সেচ ও ধান খেত পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত রয়েছে তারা। কৃষি বিভাগ জেলায় ১০০ ভাগ জমিতে বিদ্যুৎ চালিত মোটরের আওতায় সেচ যন্ত্রের মাধ্যমে শেষ ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে। প্রতিদিন নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। ফলে জমিতে পানির কোন সংকট হচ্ছে না।

সদর উপজেলার এরুলিয়া গ্রামের কৃষক সুলতান আলি জানান, বিদ্যুৎ চালিত সেচ যন্ত্রের মাধ্যমে পানি সরবরাহ পাওয়ায় তাদের ইরি বোরো ধান চাষে খুব সুবিধা হয়েছে। বিঘা বা একর প্রতি ধানের জমিতে সেচ দেয়ার জন্য সেচ যন্ত্রের মালিকের সাথে চুক্তি রয়েছে। জমির মালিকদের সেচ নেয়ার জন্য ঘুরতে হয় না। সেচ যন্ত্রের মালিকেরা নিজেরাই ধানের জমিতে প্রয়োজন অনুযায়ী পানি সেচ দিয়ে থাকেন। চুক্তির অর্ধেক টাকা দিয়ে বাকি টাকা ধান কাটার পর পরিশোধ করেন।

একই কথা জানালেন, কাহালু উপজেলার দেহড় গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম ও হিসাম উদ্দিন। কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় তারা এবার বাম্পার ফলনের আশা করছেন।

অধিদপ্তর জানায়, এখনো পর্যন্ত জেলার ১২টি উপজেলার কোন স্থান থেকেই ইরি বোরো ধান চাষে কোন সমস্যার খবর তাদের কাছে আসেনি।

কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মতলুবর রহমান বলেন, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে জেলায় ৪২০০০ জন কৃষককে ২ কেজি হারে হাইব্রিড বিজ প্রনোদনা হিসেবে দেওয়া হয়েছে। অনুকুল আবহাওয়া ও কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় এবার লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত ফলন হবে বলে আশা করছি।


আরও খবর



কলেরার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বৈশ্বিক কর্মসূচি ঘোষণা ডব্লিউএইচও’র

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কলেরার প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সেই সঙ্গে পানিবাহিত এই প্রাণঘাতী রোগটি ঠেকাতে বৈশ্বিক কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে সংস্থাটি। গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে বড় আকারের টেস্ট কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।

ডব্লিউএইচওর হিসেব অনুযায়ী, ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে কলেরায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪ লাখ ৭৩ হাজার জন। ২০২৩ সালে সেই সংখ্যা বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ তথা ৭ লাখ। চলতি ২০২৪ সালে এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধির আলামত পাওয়া যাচ্ছে।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত দুতিন বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমরা কলেরার অনাকাঙিক্ষত ও উদ্বেগজনক প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করছি। এই প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে কলেরার বৈশ্বিক টেস্ট কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য হলো কলেরা নির্ভুলভাবে শনাক্ত করা এবং নিয়মিত নজরদারি এবং কলেরা টেস্ট বিষয়ক সক্ষমতা বাড়ানো।

কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিভিন্ন দেশে কলেরা টেস্টের সরঞ্জাম পৌঁছে যাবে। প্রাথমিকভাবে মালাউই, ইথিওপিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া, জাম্বিয়াসহ মোট ১৪টি দেশে পাঠানো হবে সরঞ্জাম।

এ কর্মসূচিতে অংশীদার হিসেবে আন্তর্জাতিক টিকা সহায়তা সংস্থা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (গ্যাভি), জাতিসংঘের শিশু নিরাপত্তা ও অধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এবং কলেরা প্রতিরোধ সংক্রান্ত বৈশ্বিক সংস্থা গ্লোবাল টাস্কফোর্স অন কলেরা কন্ট্রোল রয়েছে বলেও জানায় ডব্লিউএইচও।

গ্যাভির কর্মসূচি বিভাগের প্রধান নির্বাহী অরেলিয়া এনগুয়েন এক বিবৃতিতে বলেন, কলেরা প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে যে তৎপরতা চলছে, এ কর্মসূচি তাকে আরও একধাপ এগিয়ে নেবে বলে আমাদের বিশ্বাস।


আরও খবর



বুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন: ছাত্রলীগের বিবৃতি

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এ ছাড়া এ আন্দোলনের প্রতিবাদে সমাবেশও করবে সংগঠনটি। রবিবার (৩১ মার্চ) বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ সমাবেশ করবে তারা।

ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, ২৯ মার্চ বুয়েট কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিমের আবাসিক হলের বরাদ্দকৃত সিট বাতিল ঘোষণা করার সিদ্ধান্তকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-গণতন্ত্রকামী মানুষ ও ছাত্রসমাজ চূড়ান্তভাবে প্রত্যাখ্যান করছে। বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ বুয়েট প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে একটি অন্যায্য, অসাংবিধানিক, মৌলিক অধিকার পরিপন্থী ও সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক নৈতিক স্খলনজনিত শিক্ষাবিরোধী কর্মকাণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও এই রাষ্ট্রে সাধারণের শিক্ষার অধিকার একটি গৌরবোজ্জ্বল সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে, যার নেতৃত্ব দিয়েছে এদেশের ছাত্রসমাজ। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, সাম্প্রতিককালে সংবিধানসম্মত ছাত্র-রাজনীতি নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এমন কিছু কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে, আশ্রয়-প্রশ্রয় পাচ্ছে যা ৩০ লাখ শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের মহান সংবিধানের চূড়ান্ত লঙ্ঘন।

এতে বলা হয়, দ্য ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোজিক্যাল ইউনিভার্সিটি অর্ডিন্যান্স, ১৯৬১ অনুযায়ী বুয়েট বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে এবং বাংলাদেশের জনগণের অর্থে পরিচালিত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিধায়, সর্বাবস্থায় এই রাষ্ট্রের সংবিধান ও প্রচলিত আইনের দ্বারা এটি পরিচালিত হতে হবে। কিন্তু তা না করে, এই আইনের কোথাও ছাত্র-রাজনীতি নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা বুয়েটকে প্রদান করা না হলেও বুয়েট প্রশাসন বেআইনি ও অসাংবিধানিকভাবে তা বাস্তবায়ন করছে।

ছাত্রলীগের বিবৃতিতে বলা হয়, মূলধারার প্রকাশ্য ছাত্র-রাজনীতি নিষিদ্ধের এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে বুয়েটকে দেশ ও বিশ্ব মানবতাবিরোধী নিষিদ্ধ, অন্ধকার জগতের বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকাণ্ড পরিচালনার তীর্থস্থানে পরিণত করা হয়েছে। টাঙ্গুয়ার হাওরে জঙ্গি আস্তানায় গোপন মিটিং, শিক্ষার্থীদের অফিসিয়াল মেইলে জঙ্গিবাদের প্রচারণা, ক্যাম্পাসে কিউআর কোডের মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতা চালানো, বিশ্ববিদ্যালয় পরিমণ্ডল এ শ্রেণিকক্ষে মহান স্বাধীনতাকে কটাক্ষ ইত্যাদি কর্মকাণ্ড বুয়েটকে তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য থেকে পশ্চাৎ দিকে ধাবিত করছে।

এতে বলা হয়, বুয়েট প্রশাসন ইমতিয়াজ হোসেন রাহিমের বরাদ্দকৃত সিট বাতিলের মাধ্যমে তার সংগঠন করার সাংবিধানিক অধিকার (অনুচ্ছেদ ৩৮) প্রয়োগ করতে বাধা সৃষ্টি করেছে। এটি একইসঙ্গে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৭ (আইনের দৃষ্টিতে সমতা), অনুচ্ছেদ-৩১ (আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার), অনুচ্ছেদ-৩২ (জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতায় অধিকার-রক্ষণ), অনুচ্ছেদ-৩৬ (চলাফেরার স্বাধীনতা), অনুচ্ছেদ-৩৭ (সমাবেশের স্বাধীনতা) ও অনুচ্ছেদ-৩৯ (চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা ও বাক্‌-স্বাধীনতা)-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক বছরে বুয়েটের একজন মেধাবী শিক্ষার্থীর অনাকাঙ্ক্ষিত, দুঃখজনক ও মর্মান্তিক মৃত্যু এদেশের প্রতিটি মানুষের হৃদয়কে গভীরভাবে ছুঁয়ে গেছে, ব্যথিত করেছে। এই ঘটনায় জড়িতদের দেশের প্রচলিত আইনে বিচার সম্পন্ন করা হয়েছে। এদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বহু বছর ধরে সন্ত্রাসজনিত কারণে বহু মেধাবী শিক্ষার্থীর প্রাণ অকালে ঝরে গেছে। একইসঙ্গে এদেশের মহান স্বাধীনতা, ভাষা ও ভোটের অধিকার, গণতন্ত্র ও মুক্তির সংগ্রামে এদেশের বহু শিক্ষার্থী অকাতরে তাদের জীবন বিলিয়ে দিয়েছে, অনেকের প্রাণ হরণ করা হয়েছে। এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ১৭ হাজার নেতাকর্মী জীবন উৎসর্গ করেছে, স্বাধীনতা উত্তর সময়ে গণতন্ত্র ও শিক্ষার অধিকার আদায়ের সংগ্রামে ছাত্রলীগের অসংখ্য নেতা-কর্মীর প্রাণ কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে ছাত্রলীগ বলছে, এ কারণে শহিদের রক্তস্নাত সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগ এদেশের প্রতিটি শিক্ষার্থীর জীবনকে মূল্যবান বিবেচনা করে, প্রতিটি শিক্ষার্থীর নিরাপদ জীবনযাপন ও শিক্ষা নিশ্চিত করাকে নিজেদের সাংগঠনিক মূলমন্ত্র গণ্য করে। এরই ধারাবাহিকতায় বিগত ১৫ বছরের অধিক সময় ধরে দেশের শিক্ষাঙ্গন থেকে সন্ত্রাস ও অস্ত্র বিতাড়িত হয়েছে, সেশনজট দূর হয়েছে, শিক্ষার্থীরা উপযুক্ত শিক্ষা গ্রহণ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির সোপানে।

বিবৃতিতে বলা হয়, এমতাবস্থায়, বুয়েট প্রশাসন, শিক্ষকমণ্ডলি ও শিক্ষার্থীদের প্রতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আহ্বান জানাচ্ছে, একটি অন্যায়ের প্রতিকার হিসেবে আপনারা ধারাবাহিক অসংখ্য অন্যায় ও সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত হবেন না। যে মহান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাটিতে এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক জাতীয় পতাকা নির্মিত হয়েছে, সেই প্রতিষ্ঠানের অংশ হিসেবে আপনারা এমন কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন না, রীতি-পদ্ধতি-সামাজিকতা প্রচলন করবেন না যেটি এদেশের সংবিধানকে অমান্য করে, একজন শিক্ষার্থীর মৌলিক অধিকার ও ব্যক্তি স্বাধীনতাকে খর্ব করে, শিক্ষার অধিকারকে অস্বীকার করে, স্বাভাবিক ও পারিবারিক জীবনযাত্রাকে বিঘ্নিত করে। আপনাদের এরূপ কর্ম-সিদ্ধান্ত এদেশের সামগ্রিক অগ্রযাত্রায় অন্তরায় হিসেবে বিবেচিত হবে এবং এদেশের সাধারণ মানুষ যাদের শ্রম-ঘামের বিনিময়ে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয় তারা কোনোভাবেই তা মেনে নেবে না।

ছাত্রলীগ বলছে, বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার অবিকল্প সারথী, বাংলার মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা-নির্ভরতার একমাত্র ঠিকানা, বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শেখানো রাষ্ট্রনায়ক, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এদেশের শিক্ষাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন সাধনের মাধ্যমে এদেশের তরুণ প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে অর্থনৈতিক যে উন্নতি সাধন করেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের যে পথনকশা বাস্তবায়ন করে চলেছেন সেখানে দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বুয়েট নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে চলেছে, আগামীতেও করবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলার মানুষ বিশ্বাস করে, স্বাধীনতা সংগ্রামের অবিচ্ছেদ্য অংশ বুয়েট সঙ্কোচের বিহ্বলতায়’ দেশ গঠনে নিজেদের অবদান ম্লান হতে দিবে না, সংকটের কল্পনাতে’ হবে না ম্রিয়মান। এদেশের ছাত্রসমাজ বুয়েটের প্রতি আহ্বান জানায়, আপনা-মাঝে শক্তি ধর, নিজেরে কর জয়’।


আরও খবর