আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

আজকের রাশিফল: সোমবার ২৬ ডিসেম্বর ২০২২

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

আজকের রাশিফল, সোমবার ২৬ ডিসেম্বর ২০২২। চন্দ্র মকর রাশিতে নিজের সঞ্চার শেষ করে কুম্ভ রাশিতে প্রবেশ করবে। এর ফলে সপ্তাহের প্রথম দিনটি বৃষ, মিথুন ও সিংহ রাশির জাতকদের জন্য খুব ভালো কাটবে। মিথুন রাশির জাতকদের পারিবারিক জীবনে আন্দ থাকবে। পাশাপাশি সিংহ রাশির জাতকদের অসম্পূর্ণ কাজ পূর্ণ হবে। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী বছরের শেষ সপ্তাহের প্রথম দিনটি কোন রাশির জাতকদের কেমন কাটবে, কাদের জন্য সময় অনুকূল, কাদের জন্য প্রতিকূল, সে সবই জেনে নিন এখানে।

মেষ (২১ মার্চ - ২০ এপ্রিল)

প্রিয় কোনো বস্তুর ক্ষতি হতে পারে। অতিরিক্ত পরিশ্রমের জন্য ক্লান্তি বৃদ্ধি পাবে। লটারি থেকে কিছু আয় হতে পারে। কোনো ক্ষত থেকে কষ্ট বাড়তে পারে।

বৃষ (২১ এপ্রিল - ২১ মে)

বাড়ির বাইরে কারও সঙ্গে বিবাদ বাড়তে পারে। উচ্চশিক্ষিতদের জন্য ভালো খবর বা যোগাযোগ আসতে পারে। ব্যবসায় কর্মচারীকে নিয়ে একটু নাজেহাল হতে পারেন।

মিথুন (২২ মে ২১ জুন)

আধ্যাত্মিক কাজে মনোনিবেশ ও তাতে শান্তিলাভ। পারিবারিক সমস্যায় মানসিক অবসাদ আসবে। গুরুজনদের সঙ্গে তর্কে না যাওয়াই শ্রেয়।

কর্কট (২২ জুন ২২ জুলাই)

জমি বা বাড়ি কেনার প্রস্তাব আসতে পারে। কর্মস্থানে বিবাদ অনেক দূর  যাবে, একটু সাবধান থাকুন। প্রেমে জটিলতা কেটে যেতে পারে। প্রতিবেশীর সঙ্গে বুঝে কথা বলুন।

সিংহ (২৩ জুলাই - ২৩ আগস্ট)

নিজের মতামত প্রকাশ না করাই ভালো হবে। স্বামীর কাছ থেকে আঘাতজনক ব্যবহার পেতে পারেন। ছোটখাটো রোগকে উপেক্ষা করা ঠিক হবে না।

কন্যা (২৪ আগস্ট ২৩ সেপ্টেম্বর)

আপনার দ্বারা যে কাজ সম্ভব নয়, সে দিকে যাবেন না। প্রতিকূল পরিবেশ মানিয়ে নিন। সন্তানদের কাজের ব্যাপারে সুখবর আসতে পারে। সারা দিন খুব আলস্যে কাটতে পারে।

তুলা (২৪ সেপ্টেম্বর ২৩ অক্টোবর)

পেটের সমস্যায় ভোগান্তি রয়েছে। হাঁটাচলা খুব সাবধানে করা উচিত। সব কাজের মধ্যেও ধর্মীয় আলোচনায় মন যেতে পারে। শত্রুরা ক্ষতি করতে সফল হবে না।

বৃশ্চিক (২৪ অক্টোবর ২২ নভেম্বর)

স্ত্রীর বেহিসেবি খরচে সংসারে অশান্তি হতে পারে। বন্ধুদের ব্যবহারে দুঃখ পেতে পারেন। নিজের বুদ্ধিতে কর্মস্থানে উন্নতি হতে পারে।

ধনু (২৩ নভেম্বর ২১ ডিসেম্বর)

ব্যবসায় ঋণ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আর্থিক ব্যাপারে ইতিবাচক যোগাযোগ আসতে পারে। কাজের ক্ষেত্রে উন্নতির চেষ্টা। ভ্রাতৃবিবাদ বাড়তে পারে।

মকর (২২ ডিসেম্বর ২০ জানুয়ারি)

শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় কর্মে ক্ষতির আশঙ্কা। নিজের সহিষ্ণু স্বভাবের জন্য সংসারে শান্তি বজায় থাকবে। চিকিৎসার জন্য প্রচুর অর্থব্যয় হতে পারে। সামাজিক সম্মান বৃদ্ধি পাবে।

কুম্ভ (২১ জানুয়ারি ১৮ ফেব্রুয়ারি)

কোনো দুঃস্থ ব্যক্তির পাশে দাঁড়াতে হতে পারে। নানা ধরনের শারীরিক অসুস্থতার যোগ। অনেক দিনের পড়ে থাকা অসুস্থতার হাত থেকে রেহাই পেতে পারেন। গুণী ব্যক্তির সঙ্গে ধর্মালোচনা।

মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি ২০ মার্চ)

বিষয়-সম্পত্তি নিয়ে সংসারে অশান্তি। আজ নতুন কাজের চেষ্টা করতে পারেন, ফল শুভ হবে। বাড়িতে কারও বিয়ে নিয়ে আলোচনা হতে পারে। সন্তানদের সঙ্গে ধৈর্য বজায় রেখে চলুন।


আরও খবর
রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




মালদ্বীপে সাদা পোশাকেও থাকতে পারবে না ভারতীয় সেনা : মুইজ্জু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু বলেছেন, সাদা পোশাকেও কোনো ভারতীয় সেনা মালদ্বীপে থাকবে না। আগামী ১০ মের পর কোনো ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা, এমনকি বেসামরিক পোশাক পরিহিতরাও মালদ্বীপে থাকবে না। আমি এটি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই বলছি।

গতকাল সোমবার চীনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সামরিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে মালদ্বীপ। এই চুক্তির আওতায় চীন মালদ্বীপকে বিনামূল্যে সামরিক সহায়তা দেবে। এই চুক্তি স্বাক্ষরের দিনেই মুইজ্জু এমন কড়া বার্তা দিয়েছেন। মালদ্বীপের সংবাদমাধ্যম দ্য এডিশনের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

মালদ্বীপের তিনটি বিমানবন্দরের মধ্যে একটির দায়িত্ব নিতে একটি ভারতীয় বেসামরিক দল দ্বীপরাষ্ট্রে পৌঁছার সপ্তাহ না পেরোতেই প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর এমন বার্তা এলো। যদিও ১০ মার্চের মধ্যে সেনা কর্মকর্তাদের প্রত্যাহারের বিষয়ে দুই দেশ আগেই একমত হয়েছে।

দ্য এডিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালদ্বীপের বাএ অ্যাটল দ্বীপ সফরকালে প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ভারতীয় সেনাদের বিতাড়িত করার ক্ষেত্রে সরকারের সাফল্য নিয়ে অনেকেই গুজব ছড়াচ্ছে, তারা পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে। তারা বলার চেষ্টা করছে, ভারতীয় সেনারা চলে যাচ্ছে না, তারা ইউনিফর্ম পাল্টে বেসামরিক পোশাকে ফিরে আসছে; কিন্তু আমাদের এমন চিন্তাভাবনা করা উচিত নয়, যা আমাদের মনে সন্দেহ জাগায় এবং মিথ্যা ছড়ায়।

গত ২ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে দুইপক্ষের মধ্যে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পরে মালদ্বীপের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছিল, ভারত ১০ মের মধ্যে মালদ্বীপে তিনটি বিমানবন্দরে থাকা ভারতীয় সেনাদের স্থানান্তর করবে এবং প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ ১০ মার্চের মধ্যে সম্পন্ন হবে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি সংসদে দেওয়া প্রথম ভাষণেও মুইজ্জু একই ধরনের মন্তব্য করেন।

মালদ্বীপের তিনটি ভারতীয় প্ল্যাটফর্মে ৮৮ জন ভারতীয় সেনা রয়েছেন। মুইজ্জু গত বছর ভারত-বিরোধী অবস্থান নিয়ে ক্ষমতায় আসেন এবং শপথ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভারত মহাসাগরে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থিত দ্বীপরাষ্ট্রটি থেকে ভারতীয় সেনাদের সরিয়ে দেওয়ার দাবি করেছিলেন।


আরও খবর



গাজায় অনাহারকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে : ইইউ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জার পাশাপাশি হামলা হচ্ছে হাসপাতালেও। এতে করে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ইতোমধ্যেই ভেঙে পড়েছে।

এরসঙ্গে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটিতে দেখা দিয়েছে তীব্র মানবিক সংকট। এমন অবস্থায় গাজায় অনাহারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে অভিযোগ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বুধবার (১৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় অনাহারকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন ইইউর পররাষ্ট্র নীতি প্রধান জোসেফ বোরেল। তিনি অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে সহায়তার অপ্রতুল প্রবেশকে মানবসৃষ্ট বিপর্যয় হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

যুদ্ধে জর্জরিত গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষের প্রান্তে থাকা ফিলিস্তিনিদের জন্য ২০০ টন খাদ্যদ্রব্যবাহী একটি জাহাজ ভূমধ্যসাগরের উপকূলবর্তী দেশ সাইপ্রাস থেকে রওনা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরের দিকে সাইপ্রাসের লারনাকা বন্দর থেকে রওনা দেয় ওপেন আর্মস নামের সেই ত্রাণবাহী জাহাজটি।

কিন্তু জাতিসংঘ বলেছে, স্থলপথে সাহায্য বিতরণের বিকল্প হতে পারবে না ওই জাহাজ। এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দক্ষিণ গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।

এই অঞ্চলে সাহায্য সরবরাহের দ্রুততম ও সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো রাস্তা দিয়ে সহায়তা পাঠানো। কিন্তু সাহায্য সংস্থাগুলো বলছে, ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞার মানে হচ্ছে- যে পরিমাণ সাহায্য প্রয়োজন, তার কেবল একটি ভগ্নাংশই সেখানে প্রবেশ করছে। আর তাই সড়ক পথে সহায়তা পাঠানোর পরিবর্তে সমুদ্র এবং আকাশ থেকে সহায়তা সরঞ্জাম নিচে ফেলার মতো বিকল্প বিভিন্ন পন্থার দিকে মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েল বলেছে, গাজার খাদ্য সংকটের জন্য তারা দায়ী নয় কারণ তারা দক্ষিণে দুটি ক্রসিং দিয়ে সাহায্য প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে।

তবে মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভাষণ দেওয়ার সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি প্রধান জোসেফ বোরেল বলেন, কার্যকর স্থলপথের অভাবের কারণে এই অঞ্চলে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। আমরা এখন এমন জনসংখ্যার মুখোমুখি হচ্ছি যারা নিজেদের বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করছে। গাজায় মানবিক সহায়তার প্রয়োজন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই সহায়তা সেখানে পাঠাতে যতটা সম্ভব কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, (মানবিক সংকট) মনুষ্যসৃষ্ট এবং যখন আমরা সমুদ্র, আকাশপথে সহায়তা প্রদানের পথ খুঁজি, তখন আমাদের মনে রাখতে হবে, রাস্তার মাধ্যমে সহায়তা প্রদানের প্রাকৃতিক উপায়... কৃত্রিমভাবে বন্ধ। অনাহারকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং যখন আমরা ইউক্রেনে এই ঘটনার নিন্দা করেছি, তখন গাজায় যা ঘটছে তার জন্যও আমাদের একই শব্দ ব্যবহার করতে হবে।

এর আগে গাজা উপত্যকায় কমপক্ষে ৫ লাখ ৭৬ হাজার মানুষ বা ভূখণ্ডটির মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ দুর্ভিক্ষ থেকে এক ধাপ দূরে রয়েছে বলে জাতিসংঘের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গত ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে জানিয়েছিলেন। একইসঙ্গে তিনি সেসময় সতর্ক করে বলেন, কোনও ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া না হলে গাজায় ব্যাপক দুর্ভিক্ষ প্রায় অনিবার্য হয়ে উঠতে পারে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭০ হাজার মানুষ।

ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। এছাড়া গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গত দুই সপ্তাহে সেখানকার হাসপাতালে অপুষ্টি ও পানিশূন্যতার কারণে অন্তত ২৭ জন মারা গেছে। অপুষ্টি ও পানিশূন্যতায় মৃতদের মধ্যে অনেক শিশুও রয়েছে।


আরও খবর



সাংবাদিক রানার কারাদণ্ডের তদন্তে তথ্য কমিশনার

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দৈনিক দেশ রূপান্তরের শেরপুর জেলার নকলা উপজেলা সংবাদদাতা শফিউজ্জামান রানার কারাদণ্ডের ঘটনা তদন্ত করছেন তথ্য কমিশনার ও সাবেক বিচারপতি শহিদুল আলম ঝিনুক। আজ রোববার সকালে শহিদুল আলম ঝিনুক শেরপুরে যান।

তিনি শেরপুর সার্কিট হাউসে গিয়ে সেখানে প্রাথমিকভাবে জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুমের সঙ্গে কথা বলেন। আজ সারা দিন তিনি এ ঘটনার তদন্ত করবেন। এরপর আগামীকাল সোমবার তথ্য কমিশনে তাঁর প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে গত ৭ মার্চ দৈনিকের দেশ রূপান্তরের প্রথম পৃষ্ঠায় তথ্য চেয়ে আবেদন করে দেশ রূপান্তরের সাংবাদিক জেলে’–শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে তথ্য কমিশন থেকে তথ্য অধিকার আইনের ২৫ (৫) ধারা অনুযায়ী বিষয়টি তদন্তের জন্য তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুককে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার দেশ রূপান্তর পত্রিকার সংবাদদাতা শফিউজ্জামান রানা একই উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চেয়ে আবেদন করার কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাঁকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে তাঁর পরিবার অভিযোগ করেছে।

এদিকে গতকাল রাতে নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া উম্মুল বানিন বলেন, সাংবাদিক রানা বেশ আগেই তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চেয়ে আবেদন করেন। যা যথাযথ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এজন্য তাঁকে সাজা দেওয়া হয়নি। তিনি অফিসে এসে ফাইল তছনছ করছিলেন ও অফিসের নারী কর্মচারীকে উত্যক্ত করেন। উদ্ভুত পরিস্থিতি সামাল দিতেই তাঁকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

ইউএনও সাদিয়া উম্মুল বানিন বলেন, আপিল করলে তাঁর সাজা মওকুফ বা জামিন পাবেন বলে আমরা আশা করছি।

নিউজ ট্যাগ: তথ্য কমিশন

আরও খবর



জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও আম্মান আটক

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

শনিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় তাদের আটক করা হয়েছে। আটকের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।

এর আগে অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় নিজের কোনো দায় নেই বলে দাবি করেছেন দ্বীন ইসলাম। নিজ এলাকার মানুষ হওয়ায় অবন্তিকা ও তার পরিবারকে যথেষ্ট সহায়তা করেছেন জানিয়ে দ্বীন ইসলাম বলেন, অফিশিয়ালি যে দায়িত্ব পেয়েছিলেন, সে অনুযায়ী তা পালন করেছেন তিনি।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে অভিযুক্ত করে আত্মহত্যার ঘটনায় সঠিক তথ্য জেনে সিদ্ধান্ত এবং মন্তব্য করার অনুরোধ করে বিবৃতিও দেন সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। ওই বিবৃতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের এই সহকারী অধ্যাপক বলেন, একজন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকা এবং তাদের জন্য কাজ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। শুধুমাত্র স্ট্যাটাসের ওপর ভিক্তি করে কাউকে ভুল না ভাবার অনুরোধ রইল। আমাদের স্নেহের শিক্ষার্থী অবন্তিকা হয়তো দীর্ঘদিন যাবৎ কোনো মানসিক চাপে ছিল। সেটা হয়তো তার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই। এই অপ্রত্যাশিত ঘটনার প্রকৃত রহস্য উন্মোচনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য আমি সবিনয়ে প্রস্তুত। সঠিক তথ্য জেনে সিদ্ধান্ত এবং মন্তব্য করার অনুরোধ রইল।

এদিকে, অবন্তিকার মৃত্যুর জন্য দায়ীদের বিচারসহ ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। শনিবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি ঘোষণা করে। তারা বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাবি মানা না হলে, সোমবার (১৮ মার্চ) ভিসি কার্যালয় ঘেরাও করা হবে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত ১০ টায় কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। এর কিছুক্ষণ আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দীন ইসলামকে দায়ী করে যান অবন্তিকা।


আরও খবর



গাজায় ইসরায়েলি হামলা: এক বাড়িতেই নিহত ৩৬

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নুসিরাত শরণার্থী শিবিরের কাছে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে এক বাড়িতেই ৩৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, শনিবার (১৬ মার্চ) মধ্য গাজার পশ্চিমাঞ্চলে নুসিরাত শরণার্থী ক্যাস্পের কাছে একটি বাড়িতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে নারী ও শিশুসহ এক বাড়িতেই ৩৬ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে অন্তঃস্বত্তা নারীও রয়েছেন।

ম্যাসেজিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামে দেওয়া বিবৃতিতে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, এই গণহত্যার জন্য মার্কিন প্রশাসন, দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দায়ী।

এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ইসরায়েলের অব্যাহত আক্রমণ ঠেকাতে বিরল বৈঠক করেছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠি হুতি ও গাজার স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। গত সপ্তাহে এ দুটি সংগঠনের নেতাদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকটি বিশ্বস্ত সূত্র এএফপিকে বলেছে, বৈঠকে গাজা যুদ্ধের পরবর্তী পর্যায়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কীভাবে সমন্বিত আক্রমণ করা হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়। তবে কোথায় এ বৈঠক হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বৈঠকে রাফায় ইসরায়েলের সম্ভাব্য অভিযান নিয়েও ফিলিস্তিনি সংগঠনগুলোর সঙ্গে হুতিদের আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।

এদিকে গতকাল শুক্রবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতাহিয়হু জানান, তিনি রাফাহতে অভিযানের জন্য সামরিক বাহিনেকে অনুমোদন দিয়েছেন।

গত পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। নির্বিচার হামলায় গাজা প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। নিহত হয়েছে ৩১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। আর ভূখণ্ডটির ২৩ লাখ বাসিন্দারা প্রায় সবাই ঘরবাড়ি হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়েছে। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে রোজা। তাতেও হামলা কমেনি।


আরও খবর