আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
প্রায় ৩০০ বছর পূর্বে নির্মিত

আজও মোগল সাম্রাজ্যের স্মৃতি বহন করছে বজরা শাহী মসজিদ

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নোয়াখালী প্রতিনিধি

Image

প্রায় ৩০০ বছর পূর্বে নির্মিত নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে ঐতিহাসিক বজরা শাহী মসজিদ আজও মোঘল সাম্রাজ্যের স্মৃতি বহন করে চলছে। অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ, বিভিন্ন রঙের পাথর চীনা মাটির তৈরি তৈজসপত্রের খন্ডিত অংশের ব্যবহার এই মসজিদটিকে সৌন্দর্যমন্ডিত করে তুলেছে।

ঐতিহাসিক বজরা শাহী মসজিদ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলা সদর থেকে ৫ কিঃমিঃ উত্তরে এবং ঢাকা-নোয়াখালী পাকা রাস্তা থেকে ৩শ মিটার পশ্চিমে অবস্থিত। প্রায় ৩০০ বছর পূর্বে মোঘল মুহম্মদ শাহের রাজত্বকালে তাঁর নির্দেশে ও অর্থে মিয়া আম্বর শাহেবের সহযোগিতায় জমিদার আমান উল্যা খান কর্তৃক ১৭৪১ সালে দিল্লির শাহী মসজিদের অনুকরনে নির্মিত হয় বজরা শাহী জামে মসজিদ।

মসজিদের বহুভাঁজ খিলানোর কোনায় ফুল ও নকশা, আয়তকার খোপের মধ্যে খিলান নকশা, আয়তকার উপরিভাগে পাতা নকশা, পাতার নকশার ওপরে দড়ির মতো উদগত গোলাকার বাঁধনের খোপে ফুল ও লতার নকশা রয়েছে। এছাড়া দরজায় আয়তকার খোপের ওপর তারা ও বরপি নকশা, টারেটর গায়ের জেব্রক্রসের মতো নকশা বিভিন্ন রঙের পাথর ও তৈজসপত্রের খন্ডিত অংশের সংমিশ্রণে করা হয়েছে। গম্বুজের গায়ে চাঁদ তারা ও পাখা নকশা ছাড়া গম্বুজের একবারে ওপরের দিকে পদ্মের পাঁপড়ি নকশা ও লম্বা চূড়াতে কলসির মতো ধাতব বস্তু স্থাপন করে গম্বুজগুলোকে আর আকর্ষণীয় করে তোলা হয়েছে। অষ্টভূজাকৃতি কর্ণার টাওয়ারে মোটা দড়ির মতো বাঁধনের সাহায্যে ঘুর্ণয়মান আয়তাকার খোপ নির্মাণ করে প্রত্যেক বাহুর খোপের ভিতরে অন্ধখিলান( ব্লাইন্ড আর্চ) নকশা, খিলানের ভিতরে বিভিন্ন প্রকারের ফুলদানি নকশা, তারা নকশা দিয়ে অলঙ্কৃত করা হয়েছে। চত্বরে সামনের দিকে প্রধান ফটেকের দুপাশে ও মিনারের মসজিদের মতো বিভিন্ন ধরনের অলঙ্কার ছাড়াও ডোরা কাটা নকশা অত্যন্ত আকর্ষণীয়। অভূতপূর্ব স্থাপত্যকলায় নির্মিত এই মসজিদ পরিদর্শন করতে দূর-দূরান্ত থেকে বহু সৌন্দর্য পিপাসু মানুষ এই মসজিদে আসে। এছাড়া মহিলারা যাতে পর্দ্দার সহিত নামাজ পড়তে পারে তার জন্য রয়েছে আলাদা ব্যবস্থা। মহিলাদের পাশাপাশি মেয়ে শিশুরাও নামাজ পড়তে আসে।

মসজিদটি ১৬ দশমিক ৪৫ বাই ৮ দশমিক ০৯ মিটার। মসজিদে প্রবেশের জন্য তিনটি পাথরের দরজা আছে। মধ্যবর্তী প্রধান দরজাটি তুলনামুলকভাবে বড়। এর সম্মুখভাগ তিনটি অংশে বিভক্ত। মসজিদের মধ্যবর্তী স্থানের দেয়াল সামনের দিকে বাড়ানো। এই বাড়ানো দিকের মধ্যবর্তী অংশে ২ দশমিক ১৩ মিটার প্রশস্ত অর্ধবৃত্তাকৃতি ১টি বহৃভাজ খিলান রয়েছে। মসজিদের প্রধান প্রবেশ পথের দুদিকে দুটি দরজা প্রধান প্রবেশ পথের মতো হলেও ছোট আকৃতির। দরজায় উপরিভাগে আয়তকার খোপের মধ্যে সাদা পাথর বা চীনা মাটির তৈরি আরবী বর্ণমালার লেখা লা-ই-লাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুলল্লাহ

মসজিদটি তৈরির ১৭৭ বছর পর ১৯০৯ সালে একবার মেরামত করা হয়। মসজিদের ঘেরার মধ্যে দক্ষিণ পূর্ব কোণে আমান উল্যাহ ও সানা উল্যাহ ভ্রাতৃদ্বয় এবং তাদের মায়ের কবর রয়েছে। বাদশা শাহ-এর একান্ত আগ্রহে মক্কা শরীফের বাসিন্দা তৎকালীণ অন্যতম শ্রেষ্ঠ বুজর্গ আলেম হযরত মাওলানা শাহ আবু বকর সিদ্দিকী সাহেব অত্র মসজিদের সর্বপ্রথম ও প্রধান ইমামের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। তার মৃত্যুর পর তার বংশের পরবর্তী পুরুষগনই যোগ্যভিত্তিক তার স্থলাভিষিক্ত হয়ে অধ্যবধি ইমামের দায়িত্ব পালন করে আসছে। ৭ম ইমাম হাছান সিদ্দিকী বর্তমানে ইমামের দায়িত্বে রয়েছেন।


আরও খবর



‘ভবনে ছিল একটি সিঁড়ি, শ্বাসরুদ্ধ হয়ে বেশিরভাগ মানুষের মৃত্যু’

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ভবনের দ্বিতীয় তলায় কাপড়ের দোকান ছিল। আমাদের দেখা মতে ভবনের অন্যান্য ফ্লোরে রেস্টুরেন্ট ছিল। যেগুলোতে আমরা গ্যাস সিলিন্ডার দেখেছি। যে কারণে আগুনটা দ্রুত ছড়িয়েছে এবং দাউদাউ করে জ্বলেছে।

রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ভবনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর রাত দেড়টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।

আগুনে দগ্ধ হওয়ার চেয়ে বেশিরভাগ মানুষ শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গেছেন বলে জানান তিনি।

ভবনে কোনো অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, দ্বিতীয় তলা ছাড়া ভবনটার প্রতিটি ফ্লোরের সিঁড়িতে ছিল সিলিন্ডার। যেটা খুবই বিপজ্জনক ব্যাপার। কারণ, আগুন লাগলে সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়, যা ভয়ংকর ও বিপজ্জনক। ভবনটা মনে হয়েছে অনেকটা আগুনের চুল্লির মতো। আমরা তদন্ত করে দেখছি ভবনটা অত্যন্ত বিপজ্জনক বা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। এ ভবনে মাত্র একটি সিঁড়ি। আমরা এখনও উদ্ধার অভিযান ও তল্লাশি চালাচ্ছি।

আগুনে দগ্ধ না হয়ে মানুষ শ্বাসরুদ্ধ হয়ে অর্থাৎ অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছেন বা অবচেতন হয়েছেন। প্রত্যেকটি অগ্নিদুর্ঘটনার পর তদন্ত হয়। এক্ষেত্রেও তদন্ত হবে। চুলা থেকে অথবা গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।

ঘটনাস্থল থেকে কতজনকে জীবিত ও মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ভবনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর ঘটনাস্থল থেকে তিনজনের মরদেহ এবং অবচেতন অবস্থায় ৪২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। অবচেতন অবস্থায় উদ্ধার ৪২ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মৃত্যুর বিষয়টি চিকিৎসক নিশ্চিত করবেন।

পরবর্তীতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

অবচেতন অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো ৪২ জনের মধ্যে চার শিশু ও ২১ নারী ছিলেন। বাকিরা পুরুষ। পাশাপাশি জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ৭৫ জনকে। আমরা আবারও ভবনটির ওপর থেকে নিচ এবং নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত তল্লাশি করছি। ভবনের কোনায় বা সিঁড়িতে কেউ পড়ে থাকতে পারেন’— বলেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক।

তিনি আরও বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আমাদের ১৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করেছে। ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করেছে র‌্যাব, বিজিবি, আনসারসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা।


আরও খবর



কি প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলেন সাকিব, জানালেন মেজর হাফিজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি নেতা হাফিজ উদ্দিনের বাসায় সাকিবের বিএনএমের সদস্য ফরম পূরণ করে যোগ দেয়ার প্রস্তুতি পর্বের ছবি প্রকাশ্যে আসা নিয়ে চলছে নানান আলোচনা। এ বিষয়ে নিজের অবস্থান জানাতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ।

আজ মঙ্গলবার বনানীতে নিজের বাসায় এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

এ সময় হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের বেশ আগে থেকেই দেশে নানা ধরনের তৎপরতা শুরু হয়। আমি সমরিক বাহিনী থেকে অবসর নেওয়ার পরেও অনেক অবসরপ্রাপ্ত অফিসার, আমার সিনিয়র-জুনিয়র তাদের সঙ্গে আমার ওঠা বসা। তারা আমার বাসায় আসেন, আমি তাদের বাসায় যাই। এভাবে সেনাবাহিনীর পুরোনো সদস্য হিসেবে তাদের সঙ্গে আমার সখ্যতা গড়ে ওঠে। বিএনপির সঙ্গে মাঝে মাঝে আমার দ্বিমত থাকে। যা পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ পায়। অনেকেই মনে করেছে বিএনপি ত্যাগ করার জন্য আমি উন্মুখ হয়ে আছি। সরকারের পক্ষ থেকে যারা যোগাযোগ করেছে তাদেরকে আমি বলেছি, ৩২ বছর পর আমার পক্ষে দল ত্যাগ করা সম্ভব না। বয়স হয়েছে, আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ, রাজনীতি থেকে অবসর নিতে চাই।

বিএনপির এ নেতা বলেন, নির্বাচনের আগে সরকারের পক্ষ থেকে অনেক কিছু করা হয়েছে। যা আপনারা সবাই জানেন। আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকদের পক্ষ থেকে এবং কিছু অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তারা বিএনএম এ যোগ দিতে আমাকে অনেকবার অনুরোধ করেছেন। বিশেষ করে অবসরপ্রাপ্ত বন্ধুরা কয়েকবার আমার বাসায় এসেছেন। আমি প্রত্যেকবার বলেছি যে, না এ ধরনের কোন চিন্তা ভাবনা আমার মধ্যে নেই। আমি রাজি হয়নি।

তিনি বলেন, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারাই সাকিব আল হাসানকে আমার কাছে নিয়ে এসেছিলেন। তিনি দেশ সেরা ক্রিকেটার। বিশ্বখ্যাত অলরাউন্ডার। সাকিব আমার কাছে এসে রাজনীতিতে যোগদানের ইচ্ছা ব্যক্ত করে। তাকে বিএনএম এর দুজন নেতা আমার কাছে নিয়ে আসে। আমি বলেছি- রাজনীতি করা তোমার বিষয়। তুমি এখনো খেলাধুলা করছো, রাজনীতি করবে কিনা চিন্তাভাবনা করে দেখ। আমার কাছ থেকে উৎসাহ না পেয়ে সে চলে যায়। এ ঘটনা নির্বাচনের চার-পাঁচ মাস আগে হবে। যা হোক, যখন ক্ষমতাসীনদের চাপ বাড়তে লাগলো, এমনকি তৎকালিন তথ্যমন্ত্রী ঘোষণাই দিয়ে দিলেন হাফিজ সাহেব শীঘ্রই নতুন দল গঠন করবেন এবং নির্বাচনে যাবেন। তার পরের দিনই নির্বাচনের দুই মাস আগে আমি একটা সংবাদ সম্মেলন করি। সেখানে সবকিছুই বলেছি।

হাফিজ উদ্দিন বলেন, সাকিব আল হাসান ও আমার একটি ছবি নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এটি নিয়ে মনের মাধুরী মিশিয়ে কয়েকটি সংবাদপত্র নানা ধরনের সংবাদ প্রকাশ করছে। আমি সামান্য ব্যক্তি। তারপরও ৩৭ বছর ধরে রাজনীতি করছি। দুইবার মন্ত্রী ও ৬ বার এমপি ছিলাম। ওইসব সংবাদে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা লক্ষ্য করছি। দলের নেতাকর্মীরাও এতে বিচলিত হন। জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে নিতে এসব করা হয়েছে। আমি এমন কিছু করিনি যার জন্য লজ্জ্বিত হতে হবে।


আরও খবর



ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ। আজকের দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। প্রায় দেড় হাজার বছর আগে হিজরির দ্বিতীয় সনের ১৭ রমজান মদিনা থেকে প্রায় ৭০ মাইল দূরে বদর প্রান্তরে সংঘটিত হয়েছিল বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসীদের লড়াই বদরযুদ্ধ

বিশ্বমানবতার মুক্তির দূত প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর নিয়ে আসা ধর্ম, ইসলামের বিরুদ্ধবাদী বিশাল সৈন্য-সামন্তের মোকাবিলায় ইমানদার বান্দাদের ছোট একটি দলের সশস্ত্র সংগ্রাম ছিল এটি।

একদিকে আল্লাহর নবির সঙ্গে মাত্র ৩১৩ জন মুজাহিদ। তারা প্রায় নিরস্ত্র। অপর পক্ষে অবিশ্বাসীদের নেতা আবু জাহেলের নেতৃত্বে এক হাজার প্রশিক্ষিত সৈন্যের সুসজ্জিত বাহিনী। এ যুদ্ধে মানুষের ধারণাপ্রসূত সব ধরনের চিন্তা ও উপলব্ধির বাইরে গিয়ে আল্লাহতায়ালা অস্ত্রশস্ত্রহীন ইমানদারের অতিক্ষুদ্র দলটিকে বিজয় দান করেন। সেদিন বদরের প্রান্তরে ইমান ও কুফর, ন্যায় ও অন্যায়ের এক নতুন ইতিহাস রচিত হয়, যা শত শত বছর ধরে এক আল্লাহতে বিশ্বাসী মুসলমানদের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে আছে।

মুসলমানরা বিশ্বাস করেন, জয়-পরাজয় আল্লাহর হাতে। সম্মান ও অপমান আল্লাহর হাতে। এ বিশ্বাস ও চেতনা লালন করে পৃথিবীর যে প্রান্তে যখনই মুসলমানরা অসত্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন, তারা সংখ্যায় বা উপকরণে কম হলেও আল্লাহ তাদের বিজয় দান করেছেন। পক্ষান্তরে আল্লাহর ওপর ভরসাহীন অঢেল সম্পদ ও বিপুল সৈন্য-সামন্তে সজ্জিত মুসলমানদের পরাজয়ের বর্ণনায় ইতিহাসের পাতা ভরপুর হয়ে আছে।

বদরের যুদ্ধ শুরুর আগে আল্লাহর নবী দোয়া করেছিলেন-হে আল্লাহ! তুমি যদি চাও দুনিয়াতে তোমার ইবাদত করার কেউ না থাকুক, তাহলে এ ক্ষুদ্র দলটিকে নিশ্চিহ্ন হতে দাও। আল্লাহতায়ালা রাসূল (সা.)-এর দোয়া কবুল করেন। কুরাইশদের অহমিকা ও দম্ভ মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেন। চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন বাহ্যিক উপায়-উপকরণের তুচ্ছতা। তাই প্রায় নিরস্ত্র মুষ্টিমেয় মুজাহিদদের কাছে পরাজিত হয় সুসজ্জিত বিশাল বাহিনী। তাদের পক্ষে নিহত হয় সত্তরজন। বন্দি হয় আরও সত্তরজন। আর মুসলমানদের মধ্যে শহিদ হন মাত্র চৌদ্দজন। যুদ্ধের এ ধরনের ফলাফল ছিল সম্পূর্ণ অকল্পনীয়। কিন্তু তা ছিল মহান আল্লাহর অসীম কুদরতের প্রমাণ। তিনি স্বল্পসংখ্যক মানুষকে বিশাল বাহিনীর বিরুদ্ধে জয়ী করে দেখিয়ে দিলেন অবিশ্বাসী লোকদের প্রকৃত দুর্বলতা ও অসহায়তা। তাই বদরের যুদ্ধ ইসলামের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ যুদ্ধ।

মহানবি (সা.) মদিনায় হিজরত করে যাওয়ার দ্বিতীয় বছর সশস্ত্র যুদ্ধের অনুমতি নিয়ে হজরত জিবরাইল (আ.) কুরআন মজিদের কয়েকটি আয়াত নিয়ে আসেন-যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো হচ্ছে, তাদেরকে (যুদ্ধের) অনুমতি দেওয়া হলো এজন্য যে, তারা নির্যাতিত হয়েছে। আর আল্লাহ তাদের সাহায্য করতে সক্ষম। তাদের নিজেদের বাড়িঘর থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল অন্যায়ভাবে শুধু এ কারণে, তারা বলে আমাদের প্রভু আল্লাহ। (সূরা হজ, ৩৭)।

এভাবে সশস্ত্র পন্থায় অবিশ্বাসীদের প্রতিরোধ করার অনুমতি লাভের পর আল্লাহর নবী (সা.) বদরযুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে ছিলেন। বদরের প্রান্তরে ইসলাম বিজয়ের সূচনা হয়েছিল। তাই প্রতিবছর ১৭ রমজান এলেই বিশ্ব মুসলিম শ্রদ্ধা ও গৌরবের সঙ্গে বদরের বিজয়কে স্মরণ করে। বদরের শহিদদের স্মরণ করে বিশেষ সম্মানে।

নিউজ ট্যাগ: বদর দিবস

আরও খবর



ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ২৫ মার্চ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামী ২৫ মার্চ থেকে ঈদযাত্রার ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি করা হবে। প্রথম দিনে দেয়া হবে ৪ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট। গতবারের মতো এবারও ঈদযাত্রার শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি হবে। চালানো হবে ৭ জোড়া ঈদ স্পেশাল ট্রেন। বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে রেলভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান রেলমন্ত্রী জিলুল হাকিম। 

তিনি বলেন, ভীড় এড়াতে কমলাপুরের পরিবর্তে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট ও গাজীপুরের জয়দেবপুর রেলস্টেশন থেকে ছাড়বে উত্তরবঙ্গের ৩/৪টি ট্রেন। এবারও পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট বিক্রি হবে সকালে, আর পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট বিক্রি হবে দুপুর থেকে।

২৫ তারিখ দেয়া হবে ৪ এপ্রিলের টিকিট। প্রতি বছর ৫ দিন আগ পর্যন্ত টিকিট দেয়া হলেও এবার বিক্রি হবে ৭ দিনের। একজন সর্বোচ্চ ৪ টিকিট নিতে পারবে। বিক্রি টিকিট ফেরৎ নেয়া হবেনা।

যাত্রা টিকিট :

২৫ মার্চ -৪ এপ্রিল

২৬ মার্চ-৫ এপ্রিল

২৭ মার্চ-৬ এপ্রিল

২৮ মার্চ- ৭ এপ্রিল

২৯ মার্চ- ৮ এপ্রিল

৩০ মার্চ -০৯ এপ্রিল

৩১ মার্চ -১০ এপ্রিলের টিকিট দেয়ার পরিকল্পনা। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে

ফিরতি টিকিট :

৪ এপ্রিল-১৪ এপ্রিল

৫ এপ্রিল-১৫ এপ্রিল

৬ এপ্রিল-১৬ এপ্রিল

৭ এপ্রিল- ১৭ এপ্রিল

৮ এপ্রিল- ১৮ এপ্রিল

৯ এপ্রিল - ১৯ এপ্রিল

১০ এপ্রিল- ২০ এপ্রিলের টিকিট দেয়া হবে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে


আরও খবর



আজ রাত ১১টায় সারাদেশে ‘ব্ল‍্যাক আউট’

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালনের লক্ষ্যে আজ রাত ১১টা ১ মিনিট সারাদেশে প্রতীকী ব্ল‍্যাক আউট পালন করা হবে। তবে কেপিআই এবং জরুরি স্থাপনাসমূহ এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে। শনিবার (২৩ মার্চ) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে গণহত্যা দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

কর্মসূচির মধ্যে আরও আছে, ২৫ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সকাল সাড়ে ১০টায় গণহত্যা দিবসের ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সারা দেশে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গীতিনাট্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

এ ছাড়া স্কুল, কলেজ এবং মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশনের মিনিপোলগুলোতে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করা হবে। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী দেবেন।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের রাতটি ছিল ভয়াবহতম একটি রাত। মানব ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যায় সেই কালরাতে বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী মেতেছিল উল্লাসে। ঢাকা শহর হয়েছিল ধ্বংসস্তূপ। 


আরও খবর
আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস

সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪