আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

আল-আকসায় ইসরায়েলি সেটেলারদের শোডাউন

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৫ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আল-আকসা মসজিদের প্রাঙ্গণে বুধবার সকালে ইসরায়েলি সেটেলারদের কয়েকটি গ্রুপকে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। ইসরায়েলি পুলিশ পাহারায় এ দিন তারা সেখানে প্রবেশ করে। গত মঙ্গলবার মসজিদটি অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল। চলমান যুদ্ধের মধ্যে ইসরায়েলের এ ধরনের আচরণকে স্পষ্ট উস্কানি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা (ওয়াফা) বুধবার (২৫ অক্টোবর) জানায়, আজ সকালে ইসরায়েলি সেটেলারদের কয়েকটি গ্রুপ আলাদা আলাদা করে আল-আকসা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে। তারা সেখানে উস্কানিমূলক নানা কাজ করে। ইহুদি মন্দির সম্পর্কে আলোচনা করে। উদযাপন করে ধর্মীয় আচার।

আল-আকসা প্রাঙ্গণে পুলিশ পাহারায় ইসরায়েলি সেটেলারদের প্রবেশ নতুন কোনো ঘটনা নয়। শুক্রবার ছাড়া প্রায় প্রতিনিদই তারা সেখানে প্রবেশ করে।

আল-আকসা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ইসলামিক ওয়াকফ ইসরায়েলের এ ধরনের আচরণের টানা প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। এ ধরনের উস্কানিমূলক আচরণ বন্ধ করতে জর্ডানের অর্থায়নে পরিচালিত কর্তৃপক্ষটি আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে বারবার।

আল-আকসা পুরোনো জেরুজালেমে অবস্থিত। এটা মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্র স্থান। পুরোনো জেরুজালেম ইহুদিদেরও পবিত্র স্থান। এটা খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্টেরও জন্মস্থান।


আরও খবর



লিফট কিনতে ফিনল্যান্ড যাচ্ছেন ঢাবির উপ-উপাচার্য!

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তিন শিক্ষককে সঙ্গে নিয়ে ফিনল্যান্ড যাচ্ছেন ঢাবির উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ও ফার্মাসি বিভাগের অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার। তবে এটি ব্যক্তিগত সফর বা অবকাশ যাপনের জন্য নয়। তারা যাচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জন্য লিফট কিনতে।

আজ শনিবার ভোরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানে চড়ার কথা রয়েছে তাদের। আগামী ৯ মে তিনি দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।

ঢাবির একাধিক শিক্ষক জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কয়েকটি আবাসিক ও একাডেমিক ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। এই ভবনগুলোর জন্য ১৭টি লিফটের প্রি শিপমেন্ট ইন্সপেকশন সম্পন্ন করতে চারজনের একটি দল ফিনল্যান্ড যাচ্ছে। দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন অধ্যাপক সীতেশ। অন্য তিনজন হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অফিসের পরিচালক জাবেদ আলম মৃধা এবং বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এ বি এম তৌফিক হাসান।

অধ্যাপক সীতেশের সহকর্মীরা জানান, তিনি একজন বিখ্যাত মেডিসিনাল কেমিস্ট ও স্বীকৃত গবেষক। ফার্মাসি এবং ওষুধের ফিল্ডে তার অসাধারণ দক্ষতা রয়েছে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মাসি বিভাগে অনার্স এবং মাস্টার্স সম্পন্ন করার পর ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মাসিতে পিএইচডি সম্পন্ন করেছেন। যন্ত্রকৌশল বিষয়ে তার জানাশোনা না থাকা সত্ত্বেও লিফট কেনার জন্য তার ভ্রমণ নিয়ে মুখরোচক আলোচনা চলছে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে।

গত বৃহস্পতিবার রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার স্বাক্ষরিত ছুটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিনিধি দলকে ২ থেকে ৯ মে পর্যন্ত আট দিন কর্তব্যরত ছুটি মঞ্জুর ও কর্মস্থল ত্যাগের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। এর জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা বাংলাদেশ সরকার কোনো আর্থিক খরচ বহন করবে না।

জানা গেছে, লিফটগুলো সরবরাহ করবে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠান রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। তাদের মাধ্যমে ফিনল্যান্ডের বিখ্যাত কনে ব্র্যান্ডের লিফট কেনা হচ্ছে। এই ভ্রমণে আরএফএল আসা-যাওয়ার ব্যয় আর ফিনল্যান্ডের কোম্পানি থাকার খরচ বহন করছে।

একাধিক পিপিআর বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, সরকারি বিধি অনুযায়ী প্রি শিপমেন্ট ইন্সপেকশন সম্পন্ন করার খরচ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বহন করে। তবে প্রাক টেন্ডার প্রস্তাবে বিদেশ যাওয়া-আসা এবং সেখানে থাকার খরচ অন্তর্ভুক্ত করেই লিফটের দাম নির্ধারণ করা হয়। ফলে আদতে এই ব্যয় ক্রেতাই বহন করছে।


আরও খবর



হজ প্যাকেজের খরচ কমল

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি বছর সাধারণ হজ প্যাকেজের খরচ সরকারিভাবে ১ লাখ ৪ হাজার ১৭৮ টাকা এবং বেসরকারিভাবে ৮২ হাজার ৮১৮ টাকা কমানো হয়েছে।

আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে হজযাত্রী প্রশিক্ষণ ২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এসব কথা বলেন।

মো. ফরিদুল হক খান বলেন, হজযাত্রীরা যাতে একেবারেই যৌক্তিক খরচে হজ পালন করতে পারেন সে বিষয় সরকার তৎপর। যাত্রীদের নিবন্ধন থেকে শুরু করে দাপ্তরিক যে প্রক্রিয়াগুলো কিভাবে আরও সহজ করা যায় সে বিষয়ে কাজ চলছে।

তিনি আরও বলেন, টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বৃদ্ধির পরেও হজের খরচ কমানো সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায়। প্রশিক্ষণে হজের নিয়ম, হজক্যাম্পে, বিমানবন্দর ও সৌদি আরবে হজের সময় করণীয় ও সার্বিক ব্যবস্থা নিয়ে হজযাত্রীদের হাতে-কলমে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



বিশ্ববাজারে সোনার ভরি ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনার প্রভাব পড়ছে জ্বালানি তেলের বাজারে। গত শনিবার ইসরায়েলে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রভাব পড়েছে স্বর্ণের বাজারেও। বাজার পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, বিশ্ব বাজারে সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ভরিতে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

১ আউন্স = ২৮.৩৫ গ্রাম। আর ১ ভরি = ১১.৬৬ গ্রাম। সে হিসাবে, বাংলাদেশি মুদ্রায় এক ভরি খাঁটি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৫০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। যেখানে বর্তমানে দেশে এক ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা। দেশের বাজারে এটিই সোনার সর্বোচ্চ দাম।

মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে সোনার দাম রেকর্ড উচ্চতার কাছাকাছি চলে গেছে। কারণ মানুষ অস্থির পরিস্থিতিতে স্বর্ণে বিনিয়োগকেও অধিকতর নিরাপদ মনে করছেন।

সোনার ফিউচার ট্রেডিংয়ের (আগাম ক্রয়বিক্রয় চুক্তি) জন্য সবচেয়ে চাঙা বাজার ছিল গত বছরের জুনে। গতকাল সোমবার সেই বাজার শূন্য দশমিক ৩৭ শতাংশ বেড়ে আউন্স প্রতি ২ হাজার ৩৮৩ ডলার হয়েছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই প্রবণতা চলতে থাকবে।

মার্কিন বহুজাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান সিটি গতকাল (১৫ এপ্রিল) একটি নোটে লিখেছে, সাম্প্রতিক সোনার বাজারের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার পেছনে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার প্রভাব রয়েছে। এই বাজার রেকর্ড ইক্যুইটি সূচক স্তরের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে।

গত শনিবার রাতে ইরান সরাসরি ইসরায়েলে ৩০০ টিরও বেশি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। যতিও ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম বেশির ভাগ হামলাই ঠেকিয়ে দিয়েছে। কিন্তু এ ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনায় ঘি ঢেলেছে। এই পরিস্থিতিতে মানুষ নিরাপদ বিনিয়োগ খুঁজছে।

বাজার পর্যবেক্ষকেরা ইসরায়েলের সম্ভাব্য প্রতিশোধ প্রতিক্রিয়ার দিকে নজর রাখছে। ইসরায়েল সরকার শনিবারের পর থেকেই ইরানকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এমন কোনো পদক্ষেপকে ওয়াশিংটন সমর্থন করবে না।

এরপরও ইসরায়েল প্রতিশোধ নিতে চাইলে এই সংঘাত উপসাগরীয় অঞ্চলও ছাড়িয়ে যেতে পারে। ফলস্বরূপ সোনার বেচাকেনা আরও বাড়বে। সেই সঙ্গে বাড়বে জ্বালানি তেলের দাম, আরও শক্তিশালী হবে মার্কিন ডলার। আর্থিক পরিষেবা সংস্থা কনোটক্সিয়া ফিনটেকের বাজার বিশ্লেষক বার্তোসজ সাউইকি এমনটিই মনে করছেন।

স্বর্ণ সব সময় মূল্যস্ফীতির বিপরীতে একটি নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বাজারে উচ্চমূল্য ধরে রাখে। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সময়ে বিনিয়োগকারীরা যখন ইক্যুইটি বা শেয়ারের মতো ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ এড়িয়ে চলেন তখন স্বর্ণের দাম বাড়তে থাকে।

গত শুক্রবার বুলিয়নের (খাঁটি সোনা) দাম সর্বকালের সর্বোচ্চ আউন্সপ্রতি ২ হাজার ৪৪৮ দশমিক ৮০ ডলারে পৌঁছায়।

বৈশ্বিক কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর নানা নিয়ন্ত্রণমূলক নীতি, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা এবং মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর প্রত্যাশাসহ বিভিন্ন কারণে চলতি বছরের শুরু থেকে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় স্পট মার্কেটে স্বর্ণের দাম ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

স্বর্ণের দাম সাধারণত সুদের হারের সঙ্গে বিপরীত সম্পর্ক রাখে। সুদের হার কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্ডের মতো স্থায়ী মুনাফার সম্পদের তুলনায় সোনা বেশি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। যদিও সোনায় বিনিয়োগ থেকে তুলনামূলক কম মুনাফা আসে।

গত মার্চে ধারণার চেয়েও বেশি মূল্যস্ফীতি কমে গেছে। এরপরও বিশ্লেষকেরা, স্বর্ণের বাজারে ঊর্ধ্বগতির সম্ভাবনা দেখছেন। সরাসরি স্বর্ণ কেনার চাহিদা বৃদ্ধির পাশাপাশি ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে নিরাপদ বিনিয়োগের ক্ষেত্র হিসেবে এটিকে বেছে নিচ্ছে মানুষ।

সিটির উত্তর আমেরিকার পণ্য গবেষণার প্রধান আকাশ দোশির নেতৃত্বে বিশ্লেষক দল বলছে, আগামী ৬ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ডলার হবে বলে আমাদের ধারণা। পাশাপাশি স্বর্ণের ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন মূল্যও প্রায় ১ হাজার ডলার থেকে ২ হাজার ডলারে উন্নীত হয়েছে।

গত শুক্রবার, গোল্ডম্যান স্যাস সোনার বাজারকে একটি অপ্রতিরোধ্য ঊর্ধ্বমুখী বাজার হিসেবে উল্লেখ করেছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এই মূল্যবান ধাতুর দাম প্রতি আউন্স ২ হাজার ৩০০ ডলার থেকে ২ হাজার ৭০০ ডলার পর্যন্ত হতে পারে।


আরও খবর



পহেলা বৈশাখ : পথের বাঁকে বাঁকে নিরাপত্তার আঁচ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নতুন সূর্য ওঠার মধ্য দিয়ে ১৪৩১ বঙ্গাব্দের প্রথম প্রভাতেই শুরু হয়েছে বর্ষবরণ। এদিন ভোর থেকে রমনার বটমূল থেকে গান, কবিতায় বরণ করা শুরু হয় বাংলা নতুন বছর ১৪৩১।

এদিকে সকালে সোয়া ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা থেকে বেরোয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। বর্ষবরণ ও মঙ্গল শোভাযাত্রায় নিরাপত্তা দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পথের বাঁকে বাঁকে নিরাপত্তার আঁচ তৈরি করেছে।

রোববার (১৪ এপ্রিল) নববর্ষের প্রথম দিন সকালে রাজধানী শাহবাগ মোড়কে কেন্দ্র করে বাংলামোটর, মৎস ভবন মোড়, টিএসসি রোড এবং কাটাবনের দিকে যাওয়ার প্রতিটি প্রধান সড়কের বাইরে পাশের রোডগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ রোডগুলোতে দৃশ্যমান আইনশৃঙ্খলা সদস্যদের মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। এছাড়া সার্বিক নিরাপত্তা দিতে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করছেন। র‍্যাবকেও দৃশ্যমান টহল দিতে দেখা গেছে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ শাহবাগ মোড়ে প্রায় শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। তৈরি করা হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একজন সদস্য বলেন, সার্বিক বিষয় নিরাপত্তা দিতেই বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

এদিকে গতকাল শনিবার (১৩ এপ্রিল) রমনা বটমূলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতিসত্তার অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রকাশ। এ কারণে বার বার এ আয়োজনে আঘাত হানা হয়েছে, জঙ্গি হামলা হয়েছে। তাই সবকিছু মাথায় রেখেই আমাদের নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো হামলার শঙ্কা নেই।

তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে দিনটি সারাদেশে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় পালিত হবে। প্রধান অনুষ্ঠান ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রমনা বটমূল, সংসদ ভবন এলাকা, হাতিরঝিল, রবীন্দ্র সরোবরসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। ডিএমপির পক্ষ থেকে সব অনুষ্ঠান ঘিরেই ব্যাপক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

যেসব জায়গায় অনুষ্ঠান হবে সিসিটিভি দিয়ে পুরো এলাকার নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়া, ওয়াচ টাওয়ার, ড্রোনের মাধ্যমে আশে-পাশের এলাকায় নজরদারি করা হবে। পুরো এলাকা এসবির ইক্যুইপমেন্ট ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে সুইপিং করা হবে, এরইমধ্যে এসব কাজ শুরু হয়েছে। বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে।


আরও খবর



ঈদে পদ্মা সেতুতে টোল আদায় ১৪ কোটি টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

এবার ঈদের ছুটিতে (৯ থেকে ১৩ এপ্রিল) পদ্মা সেতু হয়ে ৪৬ হাজার ৫৫৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে ১৪ কোটি ৬০ লাখ ৫২ হাজার ৭০০ টাকা।

সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবার ঈদে পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন পারাপার গত বছরের তুলনায় কমেছে। কমেছে টোল আদায়ও। গত ঈদুল ফিতরের সময় ২০ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৭৮টি যানবাহন পারাপার হয়। টোল আদায় হয়েছিল ১৪ কোটি ৬১ লাখ ৬৬ হাজার ৫৫০ টাকা।

এ বছরের হিসাবে যানবাহন কমেছে ১৭ হাজার ২২৫টি। টোলের পরিমাণও কমেছে গত বছরের তুলনায় ১ লাখ ১৩ হাজার ৮৫০ টাকা।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, মাওয়া প্রান্ত দিয়ে ৯ এপ্রিল ৩০ হাজার ৩৩০টি, ১০ এপ্রিল ১৭ হাজার ৫০৫টি, ১১ এপ্রিল ১১ হাজার ১৯৪টি, ১২ এপ্রিল ১৫ হাজার ৮৮৩টি এবং ১৩ এপ্রিল ১২ হাজার ৮৯৬টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে। এতে এ প্রান্ত দিয়ে এ পাঁচ দিনে টোল আদায় হয়েছে ৭ কোটি ৮৭ লাখ ১৮ হাজার ৫৫০ টাকা। জাজিরা প্রান্ত দিয়ে পাঁচ দিনে যথাক্রমে ১৪ হাজার ৮৭৪টি, ৮ হাজার ৫১০টি, ৭ হাজার ৪৬৫টি, ১২ হাজার ১০০টি এবং ১৫ হাজার ৫৯৬টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে। এতে এ প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে মোট ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩৪ হাজার ১৫০ টাকা।

গত বছরের তুলনায় যানবাহন ও টোল আদায়ের পরিমাণ কম হলেও এবার ঈদের আগে সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা টোল আদায়ের রেকর্ড হয়।

নিউজ ট্যাগ: পদ্মা সেতু

আরও খবর