আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

আ.লীগের মনোনয়ন কিনলেন ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম, মেয়ে তানিয়া

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে কুষ্টিয়ার দুইটি আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছেন ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম ও তার মেয়ে ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর। রোববার তাদের পক্ষে একজন প্রতিনিধি এ মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বলে জানা গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা বুথের দায়িত্বে থাকা অ্যাডভোকেট শেখ হাসান মেহেদী। কুষ্টিয়া-৩ সদর আসন থেকে ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম ও কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসন থেকে মেয়ে তানিয়া আমীর মনোনয়ন কিনেছেন। এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।

সদর আসনে মাহাবুবউল আলম হানিফ ছাড়াও মনোনয়ন ফরম কিনেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, সহ-সভাপতি ডা. এএফএম আমিনুল হক রতন, সহ-সভাপতি লাইলা আরজুমান বানু ও খন্দকার মাহাতাবুল হক জয়।

সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালে দলের চরম দুর্দিনে কুষ্টিয়া আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলেন ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম। বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত কুষ্টিয়া সদর আসনের বাড়ি বাড়ি গিয়ে উঠান বৈঠক করে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করেছিলেন তিনি। তার সেই উঠান বৈঠক আজ সারা দেশের রোল মডেল।

দেশবরেণ্য আইনজীবী আমীর-উল ইসলাম ২ জানুয়ারি ১৯৩৭ কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ঘোষণাপত্র রচয়িতা এবং বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতাদের একজন ছিলেন। ব্যারিস্টার আমীর ব্যক্তিগতভাবে ঘনিষ্ঠ ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাজউদ্দীন আহমদের। শেখ মুজিবুর রহমানের তৃতীয় মন্ত্রিসভায় তিনি খাদ্য প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। প্রথম জাতীয় সংসদে তিনি কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।

বর্তমানে রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম হঠাৎ করে কুষ্টিয়া সদর আসনে কেন দলীয় মনোনয়ন কিনলেন এ নিয়ে জেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানা গুঞ্জন। বর্তমানে এ আসনের এমপি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। হেভিওয়েট এই এমপির বিপক্ষে দেশবরেণ্য আইনজীবীর মনোনয়ন উত্তোলনে হানিফপন্থিরা ভালোভাবে নিচ্ছেন না। তবে দলের একটি অংশ বলছেন দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকা ভালো। নেত্রী যাকে নৌকার টিকিট দেবেন তার পক্ষেই থাকবেন বলে জানান দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামের কন্যা দেশের স্বনামধন্য আইনজীবীদের একজন তানিয়া আমীর বর্তমানে আমীর অ্যান্ড আমীর ল অ্যাসোসিয়েশনের পার্টনার ও সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট। তিনি বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের দ্বৈত নাগরিক। ইতোমধ্যে দেশের শীর্ষ আদালতে আলোচিত মামলায় লড়ে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন।

বাবার খ্যাতি ও সফল পেশা তার মনেও প্রভাব ফেলেছে। নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে যুক্তরাজ্য থেকে এলএলবি অনার্স শেষে ব্যারিস্টার হন। বহুমাত্রিক এই ব্যক্তিত্ব আইন পেশার পাশাপাশি সক্রিয় মানবাধিকারকর্মী ও পরিবেশকর্মী হিসেবে। কাজ করছেন নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু অধিকার রক্ষা ও বিভিন্ন এনজিওতে।


আরও খবর



মানিলন্ডারিং আইনে এস আলমের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে সিআইডি

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ছাত্র-জনতার গণবিপ্লব পরবর্তীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েই এস আলম গ্রু‌প ও তা‌দের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের ব্যাংকিং লেনদেন ও ঋণ স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এবার এএস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে সিআইডি। এস আলমের বিরুদ্ধে এক লাখ ১৩ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ রয়েছে।

সিআইডি'র ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট এস আলম গ্রুপের মালিক মো. সাইফুল আলমসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি, ওভার ইনভয়েস, আন্ডার ইনভয়েস ও সংঘবদ্ধ অপরাধের মাধ্যমে হুন্ডি কার্যক্রম পরিচালনা’’ করে প্রায় ১ লাখ ১৩ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের বিষয়ে অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে।

বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, এস আলমসহ সন্দেহভাজন ব্যক্তিবর্গ বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বাতিল করে মাত্র একদিনের ব্যবধানে বাংলাদেশেই পিআর গ্রহণ করেছেন এবং সিংগাপুর, মালয়েশিয়া ও সাইপ্রাসসহ ইউরোপে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার করে নিজ ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে স্থাবর/অস্থাবর সম্পদ ক্রয় ও ব্যবসা পরিচালনা করেছেন।

পাচারকৃত অর্থে সিংগাপুরে প্রায় ২৪৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের ক্যানালি লজিস্ট্রিক প্রাইভেট লি. নামক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন। এছাড়া ভুয়া নথি সৃজন, জাল জালিয়াতি এবং প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিদেশে পণ্য আমদানি-রপ্তানি ও বিনিয়োগের নিমিত্তে নামে-বেনামে ৬টি ব্যাংক থেকে ৯৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করে বিদেশে পাচার করেছেন।

সিআইডি'র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান জানান, বিদেশে শেল কোম্পানি (নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠান) খুলে অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা প্রতারণামূলকভাবে বিদেশে পাচার করেছেন। এস আলম, তার স্ত্রী ফারজানা পারভীন, ছেলে আহসানুল আলম ও আশরাফুল আলমসহ তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিদের সহযোগিতায় সংঘবদ্ধভাবে মানিলন্ডারিং অপরাধ করেছেন মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। এই বিষয়ে মানিলন্ডারিং আইন ও বিধি অনুযায়ী সিআইডি অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে।


আরও খবর



ড. ইউনূসকে চিঠি, কী লিখলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।

বুধবার (১৪ আগস্ট) ড. ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে লেখা ওই চিঠিতে কিয়ার স্টারমার বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আপনার নেতৃত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

দুদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিষয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের সঙ্গে জনগণের গভীর সম্পর্ক এবং কমনওয়েলথ মূল্যবোধ দ্বারা দুদেশের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের সঙ্গে এ দৃঢ় স্থায়ী সম্পর্ককে মূল্যায়ন করে।

চিঠিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বন্ধু হিসেবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বাংলাদেশে সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আমরা ছাত্র-জনতার সাহসিকতা স্বীকার করি। যারা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানিয়েছিল।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহের প্রকাশ কয়রে স্টারমার এরপর বলেন, বাংলাদেশে শান্তি-সমৃদ্ধি ও আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে ব্রিটিশ সরকার আপনাকে সহায়তা করতে চায়।


আরও খবর
উত্তর প্রদেশে মাথাবিহীন নারীর লাশ উদ্ধার

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সময় টিভির সম্প্রচার নিয়ে আপিল বিভাগের আদেশ মঙ্গলবার

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সময় টিভির সম্প্রচার সাত দিনের জন্য বন্ধের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী মঙ্গলবার আদেশ দেবেন আপিল বিভাগ। এ পর্যন্ত সময় টিভির সম্প্রচার বন্ধ থাকবে।

রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ আদেশের জন্য এদিন ধার্য করেন। 

সময় টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ জোবায়েরের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব। সময় মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট ফারজানা খান নীলা।

এর আগে গত ২১ আগস্ট বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সময় টিভির সম্প্রচার সাত দিনের জন্য বন্ধের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন আপিল বিভাগে শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন চেম্বার আদালত। বুধবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম এই আদেশ দেন।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত ১০ আগস্ট গুলশানের সিটি হাউজে সময় মিডিয়া লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সময় টিভির নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নির্ধারণ করা হয়।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সময় টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে আহমেদ জোবায়েরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পরিচালক শম্পা রহমানকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সময় মিডিয়া লিমিটেডের সব কার্যক্রম এখন থেকে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নির্দেশনায় পরিচালিত হবে।

এ অব্যাহতির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১৪ আগস্ট হাইকোর্টের কোম্পানি বেঞ্চে রিট আবেদন করেন আহমেদ জোবায়ের। যার শুনানি আগামী ২২ আগস্ট হওয়ার কথা রয়েছে।

গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জেরে সৃষ্ট উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এই খবর সারাদেশে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতা সময় টিভিসহ বেশ কয়েকটি মিডিয়া কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এতে সাময়িক সময়ের জন্য সময় টিভি বন্ধ হয়ে যায়। পরে অবশ্য আবারও সম্প্রচারে আসে সময় টেলিভিশন। এরপরই সামনে আসে মালিকানা সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব। শেষ পর্যন্ত তা আদালতে গড়ায়।

২০০৯ সালে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা সময় টেলিভিশন ২০১১ সালের ১৭ এপ্রিল বাণিজ্যিক সম্প্রচারে আসে। লাইসেন্স নেওয়ার সময় তৎকালীন মন্ত্রী কামরুল ইসলামের ভাগ্নে আহমেদ জোবায়েরের নামে ৯৩ শতাংশ শেয়ার ছিল। ব্যবসায়িক ও পারিবারিক সূত্রের তথ্য- এর মধ্যে ৯০ শতাংশ শেয়ার কামরুল ইসলামের হলেও কাগজে কলমে তা ছিল আহমেদ জোবায়েরের নামে।

অন্য অংশীদারদের মধ্যে কামরুল ইসলামের ভাই মোরশেদুল ইসলামের ৩ শতাংশ এবং নিয়াজ মোরশেদ ও তুষার আবদুল্লাহর ২ শতাংশ করে শেয়ার ছিল। এরপর দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায়ী গোষ্ঠী সিটি গ্রুপ সময় টেলিভিশনে ৬৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে।

নিউজ ট্যাগ: আদালত সময় টিভি

আরও খবর
দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে পুলিশ কর্মকর্তা কাফি

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




মহানায়ক উত্তম কুমারের জন্মবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

পৃথিবীতে না থেকেও যে জনপ্রিয়তা ধরে রাখা যায়, তার বড় প্রমাণ কিংবদন্তি অভিনেতা উত্তম কুমার। দর্শকদের মনে জায়গা নিতে খুব একটা সময় লাগেনি তার। পঞ্চাশ দশক থেকে এখন পর্যন্ত নিজের অভিনয়শৈলীতে মুগ্ধ করে রেখেছেন দুই বাংলার দর্শকদের। বেঁচে না থেকেও যেন আজও সবার কাছে জীবন্ত। একের পর এক সিনেমা দিয়ে হৃদয় ছুঁয়ে গেছেন দর্শকদের। সিনেমাপ্রেমীরাও উত্তম কুমারের অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে বার বার প্রেমে পড়েছেন তার।

রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) প্রয়াত এই মহানায়কের জন্মদিন। ১৯২৬ সালের আজকের দিনেই পৃথিবীর আলো দেখেছিলেন উত্তম কুমার। বেঁচে থাকলে আজ ৯৮ বছরে পা রাখতেন তিনি।

প্রায় তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলা সিনেমায় কাজ করেছেন উত্তম কুমার। তিনি একাধারে অভিনেতা, চিত্রপ্রযোজক, পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, সংগীত পরিচালক ও গায়ক। অভিনয় জগতে মহানায়ক আখ্যা দেওয়া হয় তাকে। উত্তম কুমার ছিলেন ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল এবং জনপ্রিয় অভিনেতা। অভিনয় জীবনে অসংখ্য বাণিজ‍্যিক সাফল্যের পাশাপাশি সমালোচকদেরও তুমুল প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।

১৯২৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর কলকাতার ভবানীপুরে মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন উত্তম কুমার। তার আসল নাম ছিল অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু চলচ্চিত্র জগতে এসে নিজের নাম পাল্টে রাখেন উত্তম কুমার। তার বাবা সাতকড়ি চট্টোপাধ্যায় এবং মা চপলা দেবী। তারা তিন ভাই এক বোন ছিলেন। উত্তম কুমারের ছোটো ভাই তরুণ কুমারও বাংলা সিনেমার এক জনপ্রিয় অভিনেতা ছিলেন। তার বাবা ছিলেন কলকাতার মেট্রো সিনেমা হলের একজন সাধারণ কর্মচারী।

পরিবারে আর্থিক সমস্যা থাকায় শিক্ষাজীবন শেষ না করেই কলকাতা পোর্টে কেরানির চাকরিতে জয়েন করে সংসারের হাল ধরেন তিনি। কিন্তু অভিনয়ের পোকাটা থেকেই গিয়েছিল এই নায়কের মাথায়। আর তাই তো নিজের স্বপ্ন পূরণে অনড় ছিলেন তিনি।

রুপালি পর্দায় উত্তম কুমারের যাত্রা শুরু হয় মায়াডোর নামের একটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। যদিও সিনেমাটি মুক্তি পায়নি। পরে ১৯৪৮ সালে তার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম সিনেমা হিসেবে দৃষ্টিদান চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেলেও আলোচনায় আসেনি সেটি। পরবর্তীতে বসু পরিবার সিনেমা দিয়ে খানিকটা পরিচিতি পান উত্তম কুমার। ১৯৫৩ সালে সাড়ে চুয়াত্তর সিনেমা দিয়ে রীতিমতো বাংলা চলচ্চিত্রে ঝড় তোলেন তিনি। এই সিনেমার মাধ্যমেই আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা পান এই অভিনেতা। শুরু হয় উত্তম যুগ।

পঞ্চাশ থেকে ষাট দশকে হারানো সুর, পথে হল দেরী, সপ্তপদী, চাওয়া পাওয়া, বিপাশা, জীবন তৃষ্ণা আর সাগরিকা-এর মতো কালজয়ী সব সিনেমার পরিচিত ও কাঙ্ক্ষিত মুখ হয়ে ওঠেন উত্তম। সুচিত্রা সেনের সঙ্গে তার জুটি ছিল তুমুল জনপ্রিয়। একাধিক সিনেমার জন্য এ জুটি কালজয়ী হয়ে আছে। এই জুটির ৩০টি সিনেমার মধ্যে ২৯টিই ছিল ব্লকবাস্টার হিট।

বাংলা সিনেমা ছাড়াও বেশ কয়েকটি হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেও ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন উত্তম কুমার। তার অভিনীত হিন্দি চলচ্চিত্রের মধ্যে ছোটিসি মুলাকাত, অমানুষ, আনন্দ আশ্রম প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। ক্যারিয়ারে অভিনয়ের জন্য ১৯৬৭ সালে অ্যান্টনি ফিরিঙ্গিচিড়িয়াখানা সিনেমার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছিলেন।

১৯৮০ সালের ২৪ জুলাই মাত্র ৫৪ বছর বয়সে সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান উত্তম কুমার। পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেওয়ার পরেও আজও মহানায়ক হয়েই রয়ে গেছেন সিনেমাপ্রেমীদের মনে। বাংলা চলচ্চিত্র যতো দিন আছে, ততোদিন উত্তম কুমার নামটিও অমর হয়ে থাকবে সবার মাঝে।


আরও খবর
কমলা হ্যারিসকে সমর্থন জানালেন টেলর সুইফট

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




চসিকের প্রশাসক হিসেবে যোগ দিলেন বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রশাসক হিসেবে যোগ দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকালে টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে যোগদানের পর চসিকের বিভাগীয় প্রধানদের সাথে সাথে মতবিনিময় করেন প্রশাসক।

এসময় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম প্রশাসককে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রম সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোকপাত করেন।

সভায় প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রামকে জলাবদ্ধতামুক্ত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ (সিডিএ) সংশ্লিষ্ট সবগুলো প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে পানি প্রবাহ নিশ্চিতের মাধ্যমে জলাবদ্ধতামুক্ত চট্টগ্রাম গড়তে হবে। নগরীকে পরিচ্ছন্ন ও আলোকিত রাখার কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। বিশেষ করে চসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ও চেইন অফ কমান্ড শক্তিশালী করে নগরবাসীকে সর্বোচ্চ মানের সেবা দেয়ার বিষয়ে এগিয়ে যেতে হবে। কোনো ধরনের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে প্রতিষ্ঠান যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।

‌‘বর্তমানে ডেঙ্গুর যে শঙ্কা সেটি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করে মশক নিধন কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। মশা মারার ঔষধে যাতে কোনো ঘাটতি না পড়ে তা নিশ্চিত করতে হবে। জনগণকেও এ কাজে সম্পৃক্ত করতে হবে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে মশাকে উৎস থেকে নির্মূলে কাজ করতে হবে।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপর জোরারোপ করে প্রশাসক বলেন, নগরীর কিছু বর্জ্য চসিকের ব্যবস্থাপনার আওতার বাহিরে থাকায় খাল-নালায় চলে গিয়ে পরিবেশের ক্ষতি করছে। এজন্য পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম ঠিকমতো হচ্ছে কিনা, লোকজন কাজ করছে কিনা সে ব্যাপারে তদারকি বাড়াতে হবে।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। এখানে যা আয় হয় তা নগরবাসীর সেবাতেই ব্যয় হয়। আয় যদি ঠিকমতো না হয় তাহলে জনগণকে সেবা দেয়া যাবেনা। এজন্য রাজস্ব আয় বাড়াতে পদক্ষেপ নিতে হবে। চসিক পরিচালিত শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে যাতে সেবার মান বাড়ে সে ব্যাপারে কাজ করতে হবে।

প্রশাসক বলেন, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের সচল করতে পারলে বিভিন্ন সেবা গ্রহণের জন্য নগরবাসীকে আর চসিকের প্রধান কার্যালয় পর্যন্ত আসতে হবে না। এজন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের মধ্যে অঞ্চলসমূহ বণ্টন করে সেবা কার্যক্রম পরিচালনা ও মনিটরিং করতে হবে।

জনগণের মাঝে তথ্যের প্রবাহ বাড়াতে হবে। এজন্য চসিকের ওয়েবসাইটকে হালনাগাদ রাখতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সব তথ্য দিতে হবে। উন্নয়ন কাজের গুণগত মান নিশ্চিতে মনিটরিং বাড়াতে হবে। ঠিকাদার যথাযথভাবে মালামাল দিল কিনা, নির্দেশনা অনুসরণ করল কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন চসিকের সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমি, উপসচিব আবুল হাশেম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী শাহীন উল ইসলামসহ কর্মকর্তারা।


আরও খবর
সিলেটে ব্যবসায়ী-সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪