দিনাজপুর থেকে শিমুল
জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি বলেন, ২০০৮ সালে শেখ হাসিনার দেয়া ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার নির্বাচনী ইশতেহার পূরণ হয়েছে। দেশের মানুষ বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তি ভিত্তিক কাজ করছে। বঙ্গবন্ধু যেভাবে ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে। তেমনি ভাবে বর্তমানেও সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ করে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের অধীনেই নির্বাচন, ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই।
বৃহস্পতিবার দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের ৫০তম সুবর্ণ জয়ন্তীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উদ্বোধক জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশের কারিগর আজকের এই শিক্ষার্থীরাই। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন সেই স্বপ্ন বাস্তবে রুপ দিতে শিক্ষা ব্যবস্থা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা একজন শিক্ষাবান্ধব সরকার। কারন শিক্ষা ছাড়া কোন দেশের উন্নয়ন সম্ভব না। এ জন্য তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ আর পিছনে ফিরে তাকাবে না। বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়েও দেশকে সোনার বাংলা পরিনত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এই সরকারে আমলে দিনাজপুর আদর্শ কলেজে ৩টি ৪ তলা বিশিষ্ট নতুন ভবন নির্মান করে শিক্ষার্থীদের স্থান সংকুলান সমাধান করা হয়েছে। এখন এই মহাবিদ্যালয়ে সরকারি কলেজের সাথে তাল মিলিয়ে অনার্স শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান ভিত্তিক যুগ-উপযোগী শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছেন। এই বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফল অজর্নে দেশে সম্পদে পরিণত হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, শুধু শিক্ষার আলোয় আলোকিত হলে চলবে না। আলোকিত মানুষ হতে হবে। এজন্য শিক্ষকদের অগ্রণী ভুমিকা পালন করতে হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিল জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শান্তির প্রতিক পায়রা উড়ানো, আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
দিনাজপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনিচুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর কামরুল ইসলাম, আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ড. সৈয়দ রেদওয়ানুর রহমান, উপাধ্যক্ষ হাসিনা আক্তার শিউলি, সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহবায়ক আসাদুল্লাহ সরকার প্রমুখ।
স্মৃতিচারণ করেন প্রাক্তন ছাত্র দিনাজপুর পৌর সভার সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন লাবু, সাবেক শিক্ষক দুর্লভ চন্দ্র রায়, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তারিকুন বেগম লাবুন, প্রাক্তন ছাত্র বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম, লুৎফুল কবীর বকুল, ছাত্রলীগ নেতা মোসাদ্দেক হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনে ছিলেন হারুন-উর রশীদ, রুবি আফরোজ ও সুলতানা রাজিয়া।