আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

আ’লীগের প্লাটিনাম জয়ন্তী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করলেন শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের প্লাটিনাম জয়ন্তী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার (২৩ জুন) বিকেল ৩টা ৪২ মিনিটে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শেখ হাসিনা জাতীয় পতাকা ও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এসময় জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। পরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন তারা।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ। এতে সভাপতির আসন অলংকৃত করছেন শেখ হাসিনা। সমাবেশ উপলক্ষে সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমবেত হতে শুরু করেন।

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে এ রাজনৈতিক দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারাগারে আটক ছিলেন। তাকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়। কেন্দ্রীয়ভাবে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ করা হলেও পরে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক আদর্শের অধিকতর প্রতিফলন ঘটানোর জন্য এর নাম আওয়ামী লীগ করা হয়।

১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ের পর ১৯৫৫ সালে অনুষ্ঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগের কাউন্সিলে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। আর পূর্ব পাকিস্তান শব্দ দুটি বাদ পড়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় থেকে। বাংলাদেশে স্বাধীনতা ঘোষণার পর থেকে প্রবাসী সরকারের সব কাগজপত্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নাম ব্যবহার শুরু হয়।

১৯৭০ সাল থেকে এই দলের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা। পরে দেশের অন্যতম প্রাচীন সংগঠনটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে দেশের গণমানুষের সংগঠনে পরিণত হয়।


আরও খবর



বিশ্ব শান্তি সূচকে ভারত-পাকিস্তানকে পিছনে ফেলে এগিয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিশ্ব শান্তি সূচকে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ। শান্তি সূচকের এ তালিকায় ভারত, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার থেকে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। বৈশ্বিক সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৩তম।

মঙ্গলবার (১২ জুন) প্রকাশিত হয়েছে গ্লোবাল পিস ইনডেক্স ২০২৪-এর প্রতিবেদন। এই তালিকা প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক ইন্সটিটিউট ফর ইকনমিক্স অ্যান্ড পিস’ নামের একটি সংস্থা। তারা জানিয়েছে, সামাজিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষা, সামরিকীকরণ এবং চলমান অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সংঘাতের পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে দেশগুলোকে মুল্যায়ন করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তানের থেকে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। গ্লোবাল পিস ইনডেক্স (জিপিআই) ২০২৪-এর রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ২ দশমিক ১২৬ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশ ১৬৩টি দেশের মধ্যে ৯৩তম স্থানে একটি মাঝারি মানের শান্তির দেশ বলে চিহ্নিত হয়েছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, সূচকে যে দেশের স্কোর পয়েন্ট যত কম সেই দেশ তত বেশি শান্তিপূর্ণ। তারা বিশ্ব শান্তি সূচক অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ উৎস থেকে ২৩টি গুণগত এবং পরিমাণগত সূচক ব্যবহার করেছে। সেইসঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষার মাত্রা, চলমান অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক সংঘাতের পরিধি এবং সামরিকীকরণের মাত্রা এই তিনটি ক্ষেত্রে শান্তি পরিস্থিতি পরিমাপ করেছে।

চলমান অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক সংঘাতের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ২ দশমিক ৫১৫, সামাজিক নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা ক্ষেত্রে ২ দশমিক ৩২২ এবং সামরিকীকরণ ক্ষেত্রে ১ দশমিক ৫০৬ স্কোর পেয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ায় সবথেকে শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ভুটান। বিশ্ব শান্তি সূচকে ২০১১ সাল থেকে এই অবস্থান ধরে রেখেছে ভুটান। বিশ্বে সব থেকে শান্তিপূর্ণ দেশের তালিকায় ২১তম স্থানে আছে এই দেশ। দক্ষিণ এশিয়ায় ভুটানের পরেই আছে নেপাল। বিশ্ব সূচকে নেপাল ৮১তম আর দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ায় চতুর্থ এবং বিশ্বে ১১০তম স্থানে আছে শ্রীলঙ্কা। দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তিপূর্ণ দেশগুলোর তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছে ভারত। বিশ্বে ভারতের অবস্থান ১১৬তম। শান্তিপূর্ণ দেশের তালিকায় পাকিস্তান ১৪০তম এবং আফগানিস্তান ১৬০তম স্থানে আছে।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর ছিল ফলপ্রসূ ও আন্তরিকতাপূর্ণ: কাদের

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর অত্যন্ত চমৎকার, ফলপ্রসূ ও আন্তরিকতাপূর্ণ ছিল বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (২৪ জুন) আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন। বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নিয়মমাফিক অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সর্বদা দেশ ও জনগণের মর্যাদা ও স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে সরকার পরিচালনা করেন। রাষ্ট্র পরিচালনায় অভ্যন্তরীণ ও পররাষ্ট্র যে কোনো নীতিতে তার প্রধান বিবেচ্য দেশের জনগণের স্বার্থ ও নিরাপত্তা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরও এর ব্যতিক্রম নয়। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর ছিল অত্যন্ত চমৎকার, ফলপ্রসূ ও আন্তরিকতাপূর্ণ। এই সফরে দুই দেশের সম্পর্কের অগ্রগতি ও অর্জনগুলো স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। যেখানে ১০টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে এবং ১৩টি সুনির্দিষ্ট ঘোষণা এসেছে।

তিনি বলেন, বিএনপি ও মির্জা ফখরুলরা কখনো বর্তমান সরকারের কোনো প্রকার সফলতা দেখে না। ভারত বাংলাদেশের বৃহৎ প্রতিবেশী রাষ্ট্র। বাংলাদেশের স্বার্থে ভারতের সঙ্গে কৌশলগতভাবে সম্পর্ককে জোরদার করতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা এই সফরে তারই প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। বিএনপির শাসনামলে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে এক ধরনের অনাস্থা ও অবিশ্বাসের সৃষ্টি হয়েছিল। শেখ হাসিনা এই আস্থা পুনরায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন। যার ফলে বাংলাদেশি রোগীদের জন্য ভারতের ই-মেডিকেল ভিসা চালুর সিদ্ধান্তে দুই দেশ ঐক্যমত হয়েছে। এতে বাংলাদেশের জনগণের ভোগান্তি কমবে।

তিনি আরও বলেন, নতুন নতুন রুটে বাস-ট্রেন চালু এবং নতুন উপ-হাইকমিশন খোলার ঘোষণা দুই দেশের মানুষের সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে। তিস্তায় পানি বণ্টন ছিল এই সফরের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে ভারতের কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য সরকারের মধ্যে মতদ্বৈততা রয়েছে। এই সমস্যা থাকার পরও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সুস্পষ্টভাবে তিস্তার পানি সংরক্ষণ প্রকল্প বিষয়ে কারিগরি সহায়তা দল পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দের মুখে দেশের স্বার্থ নিয়ে কথা বড্ড বেমানান। তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ভারত সফরে গিয়ে গঙ্গার পানি চুক্তির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে ভুলে গিয়েছিল। অথচ জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেই ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি সম্পন্ন করেন। এবারের সফরে এই চুক্তি নবায়নের বিষয়টিও উঠে এসেছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের আমলে ভারত দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ দখল করে নিয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে দুই দেশের সীমানা জটিলতা নিরসনে সীমান্ত ও ছিটমহল বিনিময় চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি বলেন, পাশাপাশি ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পরিসরে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির সময় ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহায়তা দিতে দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালনের ঘটনা ঘটেছিল এবং ভারতীয় সন্ত্রাসীগোষ্ঠীকে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়ায় দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কে অনাস্থা দেখা দিয়েছিল। বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় ভারত থেকে বাংলাদেশে পুশব্যাকের মতো ঘটনা ঘটেছিল। বিএনপি তো সেই দল যারা ভারতের নির্বাচনে বিজেপির জয়লাভের পর ভারতীয় দূতাবাসের দরজা খোলার আগেই অভিনন্দন জানাতে মিষ্টি ও ফুল নিয়ে হাজির হয়েছিল। পরিতাপের বিষয় যে, তারাই আজ বাংলাদেশে ভারতবর্জন ও ভারতবিদ্বেষী রাজনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে। এটা তাদের চিরাচরিত দ্বিচারিতা ছাড়া আর কিছু নয়।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরে তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনাই একমাত্র সরকার প্রধান যিনি যে কোনো দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক দরকষাকষি করে বাংলাদেশের জনগণের মর্যাদাপূর্ণ স্বার্থ সুরক্ষিত করেছেন।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের ভারতসহ অন্যান্য রাষ্ট্রের সাথে বিরাজমান অমীমাংসিত দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলোর শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধান হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার একটি বাড়িতে আগুনে পুড়ে ৬ জন নিহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের একটি বাড়িতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে তিন শিশুসহ ছয়জন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। সোমবার স্থানীয় কর্তৃপক্ষর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সিনহুয়া নিউজ এজেন্সি।

জর্জিয়ার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিহতদের বয়স ৬ থেকে ৭৪ বছর। তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া আহতদের উদ্ধার করে আটলান্টার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।

সিনহুয়ার প্রতিকেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৫টার দিকে আটলান্টার দক্ষিণ-পশ্চিমের কোয়েটা কাউন্টির একটি বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পাওয়া মাত্র ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

কীভাবে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। অগ্নিকাণ্ডের সময় বাড়িটিতে ১১ জন বাসিন্দা ছিলেন বলে জানা গেছে।


আরও খবর



অ্যালকোহল পানে প্রতিবছর প্রাণ হারান ২৬ লাখ মানুষ: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

বিশ্বে অ্যালকোহল পানের কারণে প্রতিবছর ২৬ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। যদিও গত কয়েক বছরে মৃত্যুর হার কিছুটা কমেছে। তবে এখনো এটি অগ্রহণযোগ্য রকম বেশি। মঙ্গলবার (২৫ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

অ্যালকোহল ও স্বাস্থ্য বিষয়ে ডব্লিউএইচওর সর্বশেষ এ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতিবছর প্রতি ২০টি মৃত্যুর ঘটনার প্রায় একটির জন্য দায়ী অ্যালকোহল। এসব মৃত্যুর ঘটনার পেছনে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো, অ্যালকোহলসংশ্লিষ্ট নৃশংসতা, নির্যাতন, নানা রোগ ও অসুস্থতার মতো বিষয় রয়েছে।

ডব্লিউএইচওর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে অ্যালকোহল পানের কারণে ২৬ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই সংখ্যা বিশ্বে ওই বছর মোট মৃত্যুর ঘটনার প্রায় ৪ দশমিক ৭ শতাংশ। আর মারা যাওয়া এসব ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় তিনচতুর্থাংশই ছিলেন পুরুষ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেন, অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান মানুষের স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করে। দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বাড়ায়, মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায়। এর ফলে দুঃখজনকভাবে প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। অথচ এসব মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য।

এদিকে ২০১০ সালের পর থেকে বিশ্বে অ্যালকোহল পান ও অ্যালকোহল পানজনিত ক্ষতি কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। তবে অ্যালকোহল পানের কারণে স্বাস্থ্য ও সমাজের যে ক্ষতি হচ্ছে, তা এখনো অগ্রহণযোগ্য রকম বেশি বলে মনে করেন ডব্লিউএইচও প্রধান। তিনি বলেন, বিশেষ করে তরুণেরা বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছেন।

২০১৯ সালে অ্যালকোহল পান মৃত্যুর পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি (১৩ শতাংশ) মারা গেছেন ২০ থেকে ৩৯ বছর বয়সী মানুষ। অ্যালকোহল পানের কারণে লিভার সিরোসিস ও ক্যানসারের মতো গুরুতর অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। ২০১৯ সালে অ্যালকোহল পানে প্রাণ হারানো মানুষের মধ্যে প্রায় ১৬ লাখের মৃত্যুর কারণ অসংক্রামক ব্যাধি। তাদের মধ্যে চার লাখ ৭৪ হাজার জন হৃদ্‌রোগ, চার লাখ ১০ হাজার ক্যানসার এবং ৭ লাখ ২৪ হাজার জন আঘাতের কারণে মারা গেছেন। এছাড়া অ্যালকোহলের যথেচ্ছ ব্যবহারে মানুষের যক্ষ্মা, এইচআইভি ও নিউমোনিয়ার মতো সংক্রামক রোগে আক্রান্ত  হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

মাথাপিছু অ্যালকোহল পানের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি ইউরোপের দেশগুলোতে; যা গড়ে ৯ দশমিক ২ লিটার। এরপরই রয়েছে আমেরিকার দেশগুলো। সেখানে মাথাপিছু অ্যালকোহল পানের গড়ে ৭ দশমিক ৫ লিটার। সবচেয়ে কম অ্যালকোহল পান করা হয় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ উত্তর আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার দেশগুলোতে।


আরও খবর



সুপার এইটে উঠেছি, এখন যা পাবো সবই বোনাস: হাথুরুসিংহে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল প্রথম রাউন্ড পেরিয়ে সুপার এইটে খেলা, সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। এখন আর হারানোর কিছু নেই। এই পর্বে যা পাওয়া যাবে সবই বোনাস বলে মন্তব্য করেছেন দলের হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।

হাথুরু বলেন, যখন আমরা টুর্নামেন্টে আসি, আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল এই সুপার এইটে উঠা। তাই আমি মনে করি, আমরা দারুণভাবে তা অর্জন করেছি... । আমি বলতে পারি, বোলাররা আমাদের এখন পর্যন্ত প্রতিযোগিতায় টিকিয়ে রেখেছে? যে কারণে আমরা অবস্থান নিয়েই খেলেছি। সত্যিই ভালো; কন্ডিশন আমাদের পক্ষে কাজ করেছে।

সুতরাং আমাদের এগিয়ে যাওয়া এবং এই পর্যায়ে আসতে পেরে আমরা খুব খুশি। এখান থেকে আমাদের যা কিছু আসবে, সবকিছুই বোনাস। তাই, আমরা অনেক স্বাধীনতা নিয়ে খেলি। আমরা তিনটি দলকেই চ্যালেঞ্জ জানাতে যাচ্ছি। আমরা আমাদের সেরাটাই দিতে পারি- যোগ করেন হাথুরু।

বাংলাদেশের সুপার এইটের যাত্রা শুরু হবে আগামীকাল শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টায়। প্রতিপক্ষ গেল বছরের ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়া। এরইমধ্যে দুই দলই সেরে নিয়েছে নিজেদের প্রস্তুতি। বিশ্ব আসরে অসিদের কাছে হারের বৃত্ত থেকে বাংলাদেশ বের হতে পারে কিনা, সেটিই এখন দেখার।


আরও খবর