আজঃ বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

আলো ছড়াচ্ছে বসুন্ধরা আই হসপিটাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার আমড়াতলীর আছিয়া বেগম একজন কৃষিশ্রমিক। অন্যের জমিতে দিনমজুরির কাজ করেন তিনি। বয়স ৪৪ ছুঁই ছুঁই। বছর দুয়েক আগে বাম চোখে আবছা দেখতে শুরু করেন। কিছুদিন পরে দেখা যায়, ছানির হলুদাভ থাবা ঘিরে নিচ্ছে পুরো চোখ। কিন্তু টাকার অভাবে অপারেশন করতে পারছিলেন না।

তার স্বামী ইয়াকুব আলী বলেন, কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজ নিচ্ছিলাম আমার স্ত্রীর অপারেশনের জন্য। কিন্তু টাকার অঙ্ক শুনে আমরা পিছিয়ে আসতাম। গত মাসে আমড়াতলী চেরাগ আলী উচ্চবিদ্যালয়ে ফ্রি চক্ষুসেবা ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। সেখানে আছিয়াকে দেখালে তারা জানান, ছানি অপারেশন করতে হবে। গত সপ্তাহে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট আছিয়াকে বিনামূল্যে অপারেশন করে দিয়েছে। তারা এগিয়ে না এলে আমার স্ত্রীর চোখের আলো হয়তো নিভে যেত। এই উপকারের বিনিময়ে দোয়া ছাড়া আমাদের আর দেওয়ার মতো কিছু নেই।

শুধু আছিয়া নন, গত ১০ বছরে ছানি; নেত্রনালিসহ চোখের বিভিন্ন সমস্যায় বিনামূল্যে ২ হাজার ৬৯০ জনের অপারেশন করেছে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ডি ব্লকে এই হাসপাতালের অবস্থান। দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় ৪৯টি আই ক্যাম্পে সেবা দিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। ১ লাখ ২০ হাজার মানুষ বিনামূল্যে সেবা পেয়েছে হাসপাতাল থেকে।

বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালের সার্বিক পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও ভিশন আই কেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সালেহ আহমেদ। হাসপাতাল তৈরির স্বপ্নের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার মায়ের চোখে সমস্যা ছিল। কিন্তু ভাল্বে সমস্যা থাকায় চিকিৎসকরা চোখের অপারেশনের ঝুঁকি নিতে পারছিলেন না। এক সময় মায়ের চোখের আলো নিভে যায়। আমি তখন মেডিকেল চতুর্থ বর্ষে পড়ি। তখন থেকেই স্বপ্ন একটা হাসপাতাল করার, যেন চোখের রোগ কারও আশার আলো নিভিয়ে না দিতে পারে। কেউ যেন অর্থের জন্য সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়। সেই স্বপ্নকে সফল করতে আমি একটু একটু করে টাকা জমাতে শুরু করি। ২০১০ সালে হাসপাতালের জন্য জমি দেখতে শুরু করি। এ সময় বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান আমার এ পরিকল্পনা জানতে পেরে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় জমি দেন হাসপাতাল গড়ে তোলার জন্য। তৈরি করে দেন হাসপাতালের অবকাঠামো। হাসপাতালের জন্য অনুদান দিয়ে স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করেন। বসুন্ধরা গ্রুপ এবং ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রচেষ্টায় দরিদ্র মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে থাকে চোখের সেবা। তিনি আরও বলেন, দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে আমরা হতদরিদ্র মানুষকে সেবা দিয়েছি। অপারেশনের পরে যখন দৃষ্টি ফিরে আসে তখন রোগীর হাসিমুখ দেখাটাই আমাদের নির্মল আনন্দ। মানুষ যখন মাথায় হাত দিয়ে দোয়া করে, কৃতজ্ঞতায় যখন তাদের চোখের পানি গড়িয়ে পড়ে তখন আমাদের হৃদয় সিক্ত হয়। চিকিৎসক হিসেবে এর চেয়ে বেশি আর কী পাওয়ার থাকতে পারে।

দৃষ্টিনন্দন অবকাঠামো ও আধুনিক কারিগরি ব্যবস্থাপনায় তৈরি হাসপাতালটি চালু হয় ২০১৪ সালে। ১০ বছর ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছে হাসপাতালটি। বসুন্ধরার এই চক্ষু হাসপাতাল দেশের অন্যান্য চক্ষু হাসপাতাল থেকে অনেক ক্ষেত্রেই ব্যতিক্রমী। এখানে বিনামূল্যে চিকিৎসার পাশাপাশি স্বল্পমূল্যে এবং বিত্তবানদের জন্য সামান্য বেশি মূল্যে একই মানের চিকিৎসা দেওয়া হয়। ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে দরিদ্র যে কেউই এখানে এসে চিকিৎসাসুবিধা নিতে পারেন। মুসলমানদের জন্য আছে জাকাত ফান্ড; যা সম্পূর্ণ শরিয়াহভিত্তিক। অন্যান্য ধর্মের মানুষের জন্যও ফান্ড আছে। দরিদ্র রোগীদের আধুনিক ও উন্নতমানের চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি বিনামূল্যে ওষুধ ও চশমা দেওয়া হয় এবং ইনভেস্টিগেশন ও অপারেশন করা হয়।

বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফাইজা রহমান বলেন, সাধারণ বহির্বিভাগে সকাল ৮টা ৩০ থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ৪০০ টাকা ফি দিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন রোগীরা। বহির্বিভাগের প্রাইভেট সেকশনে দেখাতে চাইলে ফি ১ হাজার ৬০০ টাকা। এই হাসপাতালে সামর্থ্য অনুযায়ী রোগীরা তাদের পছন্দে যে কোনো ওপিডিতে সেবা নিতে পারেন। কিন্তু সেবার মানে কোনো পার্থক্য নেই।

এই হাসপাতালে দেওয়া সেবার মধ্যে রয়েছে- চোখের ছানি রোগ, কর্নিয়া অ্যান্ড এন্টিরিয়র সেগমেন্ট চিকিৎসা, ভিট্রিও রেটিনার চিকিৎসা, গ্লুকোমার চিকিৎসা, অরবিট অ্যান্ড অকুলোপ্লাস্টি চিকিৎসা, শিশুর চক্ষুরোগ, কন্টাক্ট লেন্স, চোখের মণির কোলাজেন ক্রসলিংকিং, টপকন ডিআরআই ওসিটি ট্রাইটন স্টেরিও ডিস্ক ফটোগ্রাফি, অপটিক্যাল কোহিয়ারেনস টমোগ্রাফি (ম্যাকুলা, অপটিক ডিস্ক ও রেটিনা), ওসিটি এনজিওগ্রাম (ম্যাকুলা অ্যান্ড অপটিক ডিস্ক) এন্টিরিয়র সেগমেন্ট ওসিটি, টপকন রেটিনাল ক্যামেরা ফান্ডাস ফটোগ্রাফি, এফএফএ, এফএএফ, রেড ফ্রি ফান্ডাস ফটোগ্রাফি, ইউবিএম, গ্রিন ইয়াগ অ্যান্ড এসএলটি লেজার, লো ভিশন এইড, কর্নিয়াল টপোগ্রাফি, পেরিমেট্রি (ভিজ্যুয়াল ফিল্ড অ্যানালিসিস), বি-স্ক্যান আলট্রাসাউন্ড, নন-কন্টাক্ট টনোমেট্রি (গ্লুকোমা স্ক্রিনিং), অটোলেন্স  মিটার, স্পেকুলার মাইক্রোস্কোপি, ক্যাটার‌্যাক্ট স্টেশন ইকুইভ্যালেন্ট আইওএল মাস্টার, প্যাকিমেট্রি, বায়োমেট্রি, ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরিসহ অত্যাধুনিক সব সেবা। রয়েছে বিশ্বমানের অপারেশন থিয়েটার।


আরও খবর
একদিনে ডেঙ্গুতে আরও ৬ জনের প্রাণহানি

বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু

বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




পুলিশি নিরাপত্তায় সিলেট থেকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় বিচারপতি মানিক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

পুলিশি নিরাপত্তায় হেলিকপ্টারে করে একাধিক মামলার আসামি সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে সিলেট থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাঁকে এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি রাজধানী ঢাকার তেজগাঁও পুরোনো বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে।

এ বিষয়ে সিলেট জেলা পুলিশের কেউ প্রকাশ্যে কিছু না বললেও সিলেট জেলা পুলিশের দুজন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া গতকাল সোমবার পুলিশ সুপার, ডিএসবি, সিলেট স্বাক্ষরিত আদেশে (স্মারক নম্বর-৪২৯২) বিচারপতি মানিককে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় প্রেরণের নির্দেশনা দিয়ে তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্ব বণ্টন করা হয়। ওই আদেশের অনুলিপি গণমাধ্যমের হাতে আছে।

তাতে কানাইঘাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার অলক শর্মা ও এসএএফ পুলিশ লাইনস সিলেটের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল হাইকে হেলিকপ্টারে বিচারপতি মানিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

আদেশে আরও বলা হয়, পুলিশি এই নিরাপত্তা ব্যবস্থার সার্বিক তদারকি করবেন সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. রফিকুল ইসলাম ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার সার্বিক দায়িত্বে থাকবেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।

এবিষয়ে জানতে চাইলে দুজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিষয়টি জানেন না বলে দাবি করেছেন। আর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ (এসপি) মাহবুবুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

সিলেট আদালতের পরিদর্শক জমসেদ আলম বলেন, কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ চেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর জন্য মানিককে আদালতে তোলা হয়। গ্রেফতার দেখানোর পর জামিনযোগ্য অপরাধ হওয়ায় আদালত তাঁকে এই মামলায় জামিন দিলেও অন্যান্য মামলায় তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। হত্যাসহ গুরুতর অপরাধে সহযোগিতায় ঢাকার পাঁচটি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার দেখানো হয়। ঢাকার আদালতে হাজির করার জন্য তাঁকে আজকালের মধ্যে কেরানীগঞ্জের কারাগারে স্থানান্তর করা হবে।

এর আগে আজ সকাল ৯টার দিকে কড়া নিরাপত্তায় সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে সিলেটের আদালতে হাজির করা হয়। কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার মামলায় অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক অঞ্জন কান্তি দাস তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। তবে দেশের বিভিন্ন স্থানে হত্যাসহ একাধিক মামলার পাঁচটিতে মানিককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। পাশাপাশি তাঁকে ঢাকার আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ২৩ আগস্ট রাতে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। এ সময় একটি জঙ্গল থেকে স্থানীয় কয়েক যুবকের সহায়তায় তাঁকে আটক করে বিজিবি। পরদিন সকালে তাঁকে কানাইঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়। ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে ওই দিন বিকেলে আদালতে হাজির করা হলে সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আলমগীর হোসাইন তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে পাসপোর্ট আইনে মানিকের বিরুদ্ধে কানাইঘাট থানায় মামলা হয়।

২৪ আগস্ট সিলেট আদালতে ঢোকার সময় আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষুব্ধ জনতা শামসুদ্দিন মানিককে কিল-ঘুষি-লাথি মারেন। এ সময় তিনি অণ্ডকোষে গুরুতর আঘাত পান। অনেকে ডিম ছোড়ার পাশাপাশি জুতাও নিক্ষেপ করে। আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ওসমানীতে তাঁর শরীরে অস্ত্রোপচার করা হয়।

গত ১২ সেপ্টেম্বর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে মানিককে ছাড়পত্র দেয় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে ওই দিন দুপুরে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। পরে কড়া নিরাপত্তা ও সতর্কতার সঙ্গে হাসপাতাল থেকে তাঁকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়।

নিউজ ট্যাগ: সিলেট

আরও খবর



জাতিকে সৌহার্দ্যপূর্ণ রাষ্ট্র উপহার দিতে চাই: ধর্ম উপদেষ্টা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, মানুষ বিগতদিনে ভোট দিতে পারেনি। কোন দল একবার ক্ষমতায় আসলে আর ক্ষমতা ছাড়তে চায় না। এই কালচার বন্ধ করতে চাই। পলিটিক্যাল কালচার রিফর্ম করতে চাই। জাতিকে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ রাষ্ট্র উপহার দিতে চাই।

শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রামের হালিশহরে হযরত উসমান (রা:) জামে মসজিদে জুমআ'র নামাজের পূর্বে মুসল্লীদের উদ্দেশে বক্তৃতায় ধর্ম উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে প্রথম সভাতেই আমি বলে দিয়েছি-আমি দুর্নীতি করিনা, ঘুষ খাইনা। আমার মন্ত্রণালয়কে আমি দুর্নীতিমুক্ত করতে চাই। এ মন্ত্রণালয়ের কেউ দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এদেশে রোযা ও পূজা একইসময়ে পালিত হতে কোন সমস্যা নেই। সবাই তার নিজের ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন ও প্রচার করবে। এটা সকলের নাগরিক অধিকার।

ড. খালিদ বলেন, অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রথম কাজ হলো দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা। এরপর সরকার প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের কাজে হাত দিবে। এ সরকার সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনকারী দলের হাতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণের মাধ্যমে কাজ শেষ করবে।

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে দেশের রিজার্ভ তলানীতে পৌঁছেছে। এ অবস্থায় অর্থসংশ্লিষ্ট নতুন কোন প্রকল্প গ্রহণ বা অন্য কোন কাজে হাতে দেওয়া সম্ভব নয়। আশার কথা হলো, রেমিট্যান্সের প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হলেই আমরা উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড শুরু করব।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কিছু দুর্বৃত্ত হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানের ধর্মীয় উপাসনালয় ও ঘরবাড়িতে হামলা-ভাংচুর চালিয়েছে। দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য পরিকল্পিতভাবে বিদেশি কিছু মিডিয়াতে প্রোপাগান্ডাও চালানো হয়েছে। তবে যারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে তাদেরকে সরকার কঠোর হাতে দমন করবে। তিনি দেশের আইন-শৃঙ্খলা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

পরে তিনি এ মসজিদে জুমআ'র খুতবা দেন ও ইমাম হিসেবে নামাজ আদায় করেন


আরও খবর



বিসিবির কাছে জেলা ক্রিকেটারদের ১৭ দফা দাবি

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সামনে রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হাজির হয়েছিলেন দেশের ৬৪ জেলার ক্রিকেটাররা। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল বোর্ডের নতুন নেতৃত্বের কাছে তাদের ১৭ দফা দাবি পেশ করা। এসব দাবি মূলত তারা জেলা ক্রিকেটের উন্নয়ন ও ক্রিকেটারদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য করছেন।

সম্প্রতি বিসিবির সভাপতি হিসেবে সাবেক ক্রিকেটার ফারুক আহমেদ এবং পরিচালক হিসেবে নাজমুল আবেদীন ফাহিম দায়িত্ব নেওয়ার পর ক্রিকেটারসহ ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট অনেকেই তাদের দাবি তুলে ধরেছেন।

মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে একাডেমি ভবনের সামনে ৬৪ জেলার এই ক্রিকেটাররা ব্যানার নিয়ে অবস্থান নেন। তাদের মূল দাবিগুলোর মধ্যে ছিল- জেলা পর্যায়ে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি বৃদ্ধি, ঢাকার প্রথম শ্রেণির লিগে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি তিন সংস্করণেই টুর্নামেন্ট আয়োজন করা এবং প্রত্যেক জেলার ক্রিকেটারদের জন্য আধুনিক অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা। পাঠকের সুবিধার জন্য তাদের মূল দাবির কয়েকটি দেওয়া হলো।

১. জেলা পর্যায়ে ক্রিকেট লিগের জন্য স্থায়ী বাজেট বরাদ্দ করতে হবে এবং খেলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য ক্রিকেটারদের আর্থিক সহায়তা দিতে হবে। এতে করে ক্রিকেটারদের আর্থিক সমস্যা কমবে এবং তাদের পারফরম্যান্সের মান বৃদ্ধি পাবে।

২. ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) প্রথম শ্রেণির, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতিন সংস্করণের টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে হবে। এর মাধ্যমে খেলোয়াড়দের সব ফরম্যাটে খেলার সুযোগ তৈরি করা হবে এবং তাদের পারফরম্যান্স উন্নত হবে।

৩. প্রতিটি বিভাগে টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ তৈরি করতে হবে এবং ঢাকার বাইরেও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলার আয়োজন নিশ্চিত করতে হবে। এতে করে দেশের অন্যান্য জেলার ক্রিকেটারদের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।

৪. প্রতিটি জেলায় ক্রিকেটারদের অনুশীলনের জন্য পর্যাপ্ত অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করতে হবে। বিশেষ করে মাঠ, নেট প্র্যাকটিস এবং কোচিং সুবিধা বৃদ্ধি করা জরুরি।

৫. কোয়াব স্বাধীনভাবে পরিচালিত হতে হবে, যেন এটি খেলোয়াড়দের সঠিকভাবে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে এবং তাদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারে।

৬. ঢাকার প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ এবং তৃতীয় বিভাগের ক্রিকেট লিগে টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি তিন সংস্করণেই খেলার ব্যবস্থা করতে হবে।

৭. জাতীয় ক্রিকেটারদের জন্য টিভি সম্প্রচার এবং ডিজিটাল মিডিয়ায় আরও ম্যাচ প্রচার করতে হবে, যাতে দর্শকদের মধ্যে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়।

৮. ঢাকার দ্বিতীয় বিভাগ এবং তৃতীয় বিভাগে নিয়মিত টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে হবে, যা তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।

৯. সব জেলায় ক্রিকেট একাডেমি তৈরি করতে হবে এবং সেখানকার ক্রিকেটারদের উন্নত প্রশিক্ষণ ও কোচিং দেওয়া হবে, যাতে তাদের দক্ষতা আরও উন্নত হয়।

১০. জেলা পর্যায়ের ক্রিকেটারদের জন্য উন্নত ম্যাচ ফি নিশ্চিত করতে হবে এবং এই ফি পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি করতে হবে, যেন তারা আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ হতে পারে।

১১. প্রত্যেক বিভাগে স্থায়ীভাবে অনুশীলনের সুবিধা বাড়াতে হবে এবং সেই সঙ্গে কোচদের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এতে তরুণ ক্রিকেটাররা পেশাদার স্তরে পৌঁছাতে পারবে।

১২. ঢাকায় ক্রিকেট একাডেমির পাশাপাশি জেলাতেও অনুশীলন ও কোচিং সুবিধা উন্নত করতে হবে।

১৩. বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আয়োজনে বিভিন্ন স্থানে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে হবে এবং বাংলাদেশের স্থানীয় খেলোয়াড়দের সেসব টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ দিতে হবে।

১৪. জেলাভিত্তিক এবং বিভাগভিত্তিক টুর্নামেন্টে পুরস্কারের ব্যবস্থা করতে হবে, যা তরুণ ক্রিকেটারদের মনোবল বাড়াবে এবং তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করবে।

১৫. বিসিবির রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের মাধ্যমে সব ক্রিকেটারদের সম্পূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে হবে, যাতে তাদের দক্ষতা ও কার্যক্রম মূল্যায়ন করা যায়।

১৬. বিপিএল এবং অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে স্থানীয় ক্রিকেটারদের আরও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং তাদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।

১৭. সব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের আওতায় স্থানীয় ক্রিকেট উন্নয়নের জন্য বিশেষ প্রোগ্রাম চালু করতে হবে, যাতে দেশের ক্রিকেট অবকাঠামো আরও উন্নত হয়।

পরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে ক্রিকেটাররা জানান তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বিসিবি, অনেক দিন ধরেই অনিয়ম হয়ে আসছে। যদি বিসিবি আশাবাদ ব্যক্ত করে, তাহলে আমরা আশা করছি দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান হবে।

ক্রিকেটারদের সংগঠন কোয়াব পুনর্গঠনের দাবি জানান তারা, আমরা চাই কোয়াবকে নতুন করে পুনর্গঠন করা হোক। এই কোয়াব আসলে ক্রিকেটারদের অনেক কিছুই জানে না। আমাদের সঙ্গে কখনো কথাও বলেনি। আমরা যখন আমাদের সমস্যাগুলো কোয়াবকে জানিয়ে এসেছি, তারা কোনো উদ্যোগ নিত না। আমরা ৬৪ জেলার যারা এসেছি, সবার একই দাবি, কোয়াব পুনর্গঠন করা হোক।

বিসিবির নতুন পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম, যিনি নিজেও একজন বরেণ্য কোচ ও ক্রিকেট সংগঠক, ক্রিকেটারদের ফুলেল শুভেচ্ছা গ্রহণ করে তাদের দাবি মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।

ফাহিমের আশ্বাসে ৬৪ জেলার ক্রিকেটাররা আশাবাদী যে, তাদের দাবি পূরণ হলে দেশের ক্রিকেটের সামগ্রিক উন্নয়ন ঘটবে এবং জেলা পর্যায়ে ক্রিকেটারদের যথাযথ মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত হবে।

নিউজ ট্যাগ: বিসিবি

আরও খবর



আসাদুজ্জামান নূরের গ্রেপ্তারে ১১ সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্বেগ

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে সাবেক সংসদ সদস্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূরকে মিরপুরের একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে গ্রেপ্তার করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্কৃতিকর্মীসহ সাধারণ মানুষের অনেকে।

সাংস্কৃতিক জোটসহ দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের বিভিন্ন মাধ্যমের ১১টি মোর্চা এই গ্রেপ্তরের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।

বিবৃতিদাতা সংগঠনগুলো হচ্ছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ, বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদ, বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা, বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ, বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদ, আইটিআই বাংলাদেশ কেন্দ্র, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার, বাংলাদেশ যাত্রাশিল্প উন্নয়ন পরিষদ ও বাংলাদেশ শিশু সংগঠন ঐক্যজোট।

২০০১ সাল থেকে আওয়ামী লীগের হয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর। সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

এর আগে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তিনি।


আরও খবর
জনগণের কাছে দেশটা কারাগার : আফজাল হোসেন

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

যৌনকর্মী থেকে নেত্রী হওয়ার গল্প

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




জামায়াতের সঙ্গে জোট করার আভাস ইসলামী আন্দোলনের

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজনীতি ডেস্ক

Image

মতের মিল হলে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে ঐক্য করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে শাহবাগে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে এক সমাবেশে এ কথা জানান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।

জামায়াতে ইসলামীকে উদ্দেশ্য করে ফয়জুল করীম বলেন, আজকে আমি জামায়াতকে বলবো, আপনাদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ চলে আসছে। আগামীকালই নির্বাচন হবে না। হক্কানী ওলামায়ে কেরামের সাথে আপনাদের যে মতানৈক্য আছে, বসে সমাধান করেন। চমৎকার এক সুযোগ।

তিনি আরও বলেন, নৈতিক ও আদর্শের মিল না থাকলে সাময়িক মিল থাকে না। বিএনপির সঙ্গে আপনাদের চরম দোস্তি ছিল। একইসঙ্গে আন্দোলন, সংগ্রাম করেছেন। কিন্তু আদর্শ ও নৈতিক ও আদর্শের মিল না থাকার কারণে উভয়ের প্ল্যাটফর্ম ভিন্ন হয়ে গেছে। লোক দেখানো কোনো ঐক্য আমরা চাই না। আমরা চাই টেকসই, স্থায়ী ঐক্য, যে ঐক্য কোনোদিন ভাঙবে না, ফাটল ধরবে না। এজন্য আমি জামায়াতকে বলব, আমাদেরকে কোনো রকম বুঝিয়ে শুনিয়ে এই নির্বাচনের তরী পাড়ি দেবেন, এটা আমাদের দ্বারা সম্ভব না।

জামায়াতের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির বলেন, আপনারা আসুন, বসুন। হক্কানী ওলামায়ে কেরামের সাথে মতানৈক্য মিটিয়ে আমরা টেকসইভাবে ঐক্যবদ্ধ হবো, যে ঐক্য কেউ ভাঙতে পারবে না। ইনশাআল্লাহ আগামী রাষ্ট্র হবে ইসলামী রাষ্ট্র।

এ সময় তিনি বলেন, আগামী বাংলাদেশ ইসলামী মৌলবাদীদের বাংলাদেশ। আগামী বাংলাদেশ কোরআন ও সুন্নাহর বাংলাদেশ। আগামী বাংলাদেশ এ দেশের স্বাধীনতাকামীদের বাংলাদেশ। আগামী বাংলাদেশ ধর্মীয় ব্যক্তিদের বাংলাদেশ। আগামী বাংলাদেশ সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার বাংলাদেশ। আগামী বাংলাদেশ হবে বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ, এখানে থাকবে না কোনো ভেদাভেদ। এখানে কোনো বৈষম্য দেখতে চাই না। এখানে সবার অধিকার থাকবে। সম্মিলিতভাবে এ দেশটাকে গড়তে হবে।

ফয়জুল করীম বলেন, ভারত ফারাক্কা বাঁধ দিয়ে আমাদের দেশকে মরুভুমি করেছে। আজও ফারাক্কা ও তিস্তা নিয়ে কোনো সমাধান হয়নি। ভারত থেকে যে খাল ও নদীগুলো বাংলাদেশে এসেছে তার ন্যায্য অধিকার আমরা পায়নি। ভারত আমাদের প্রতি বছর পানি দিয়ে আমাদের হত্যা করার চেষ্টা করছে।

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে হবে জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এ সিনিয়র নায়েবে আমির বলেন, সব ধর্মীয় বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়ে শিক্ষার সিলেবাস তৈরি করতে হবে। বর্তমান সরকার আলেম ওলামা ও জ্ঞানীদের দিয়ে নতুন শিক্ষা কমিশন করতে হবে। ৯২ শতাংশ মানুষের চিন্তা চেতনা বাদ দিয়ে কোনো সিলেবাস হতে পারে না। মুসলিমদের চিন্তাচেতনা বিরোধী কোনো সিলেবাস চলবে না।


আরও খবর