আজঃ শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

‘আলোকবর্তিকার মশাল হাতে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন শেখ হাসিনা’

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের আলোকবর্তিকা। আর সেই আলোকবর্তিকার মশাল হাতে নিয়ে উন্নয়নের ধারায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা।

বুধবার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

রেজাউল করিম বলেন, বঙ্গবন্ধুর আধুনিক বাংলাদেশের স্বপ্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপান্তর করছেন তার কন্যা শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মাধ্যমে বাঙালির অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশ থেমে থাকেনি, দেশের উন্নয়নের জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনা অবিরাম জেগে আছেন আমাদের জন্য।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা মনে করেন, কৃষি নির্ভর দেশে কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। এ জন্য তিনি কৃষিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছেন কৃষকদের উন্নয়নে। কীভাবে টেকসই উন্নয়ন হবে, সে বিষয়েও তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। আর আমাদের এই দেশে শেখ হাসিনার সরকারের আমলে কেউ সংখ্যালঘু নয়, সকলেই সংখ্যাগরিষ্ঠ।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, শেখ মুজিব বাংলাদেশের জন্য আলোকবর্তিকা। আর সেই আলোকবর্তিকার মশাল হাতে নিয়ে উন্নয়নের ধারায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করে যেতে পারেননি, তার সুযোগ্য কন্যা ক্ষমতায় আসার পর সেটাকে অনুসরণ করে তাদের বিচার করেছেন, যা বাংলাদেশকে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বের করে এনেছে।

আয়োজনে বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দ প্রিয় বলেন, দীর্ঘদিন স্বৈরাচারীদের হাতে দেশ ছিল। পরবর্তীতে শেখ হাসিনা দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করে দেশের লাগাতার উন্নয়ন করেছেন। ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে শেখ হাসিনা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।

এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সুপরিকল্পিতভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ।

আয়োজনে সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দেশের প্রত্যেকটি জায়গায় শিক্ষা সংস্কৃতি সম্প্রীতি নিয়ে বঙ্গবন্ধুর যেসব কাজ অসমাপ্ত রয়ে গেছে, সেগুলোই সম্পূর্ণ করছেন তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ আজকে একটি রোল মডেল এবং ভবিষ্যতে এটি বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশকেই পেছনে ফেলে আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে।


আরও খবর
কোটালীপাড়ায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




চট্টগ্রামে স্বর্ণ ব্যবসায়ী সুমন সাহা হত্যাকাণ্ডে আটক ৩

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামে সুমন সাহা (২৬) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। সোমবার রাতে আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী রোডে আরএস টাওয়ার নামে একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।

নিহত সুমন হাজারী গলির স্বর্ণ ব্যবসায়ী শ্যামল সাহার ছেলে। সুমনদের বাড়ি কুমিল্লা হলেও পরিবার নিয়ে থাকতেন চট্টগ্রামের নন্দনকানন ২ নম্বর গলিতে। ঘটনার পরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মফিজুল ইসলাম দুলুসহ তিনজনকে আটক করে।

পুলিশ জানায়, মাদক ও স্বর্ণ চোরাচালানের আর্থিক লেনদেনের বিরোধে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। আরএস টাওয়ারের দ্বিতীয় তলায় কিছু ব্যাচেলর বাসা রয়েছে। সুমন ও তার অন্য সহযোগীরা সেখানকার এক বাসায় মাদক সেবন করেন। সেখানে মাদকের আসরে তাকে মারধর করা হয়। মারধরে সুমন অসুস্থ হয়ে পড়লে, অন্যরা সুমনের মামাকে ফোনে ডেকে নেন। সুমনের মামা ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতাল এবং পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তবে মারধরে সুমনের শরীরের বিভিন্ন অংশ কালচে হয়ে রক্ত জমাট বেঁধে যায়। মাদক ও স্বর্ণ চোরাচালানের দেনা-পাওনা নিয়ে বিরোধের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আটক সাবেক ছাত্রলীগ নেতাও সুমনের সঙ্গে এসব কাজে জড়িত বলে ধারণা করছে পুলিশ।


আরও খবর



টেসলাকে ছাড়িয়ে বিশ্ববাজারে চীনের বিওয়াইডি’র বাজিমাত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিদ্যুৎচালিত গাড়ির ক্ষেত্রে বিশ্বে সবচেয়ে পরিচিত নাম টেসলা, তবে তাদের চীনা এক প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছে। এটি বিওয়াইডি বা বিল্ড ইওর ড্রিম। উৎপাদনের প্রান্তিক ভিত্তিতে হিসাব করলে, এটি ইতিমধ্যেই টেসলাকে ছাড়িয়ে গেছে। আর বিশ্বজুড়ে এ ধরনের গাড়ি বিক্রির ক্ষেত্রে তাদের অবস্থান দ্বিতীয়। তবে বিওয়াইডির মূল সাফল্য অন্য জায়গায়এটি দেখাচ্ছে চীনা গাড়িশিল্প কতটা এগিয়েছে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাড়ি রপ্তানিতে চীন এরই মধ্যে জাপানকে ছাড়িয়ে গেছে। অর্থাৎ এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় গাড়ি রপ্তানিকারক দেশ চীন। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির এই দেশ এখন নানা সমস্যায় জর্জরিত। তবে গাড়িশিল্পই এখন তাদের সবচেয়ে উজ্জ্বল দিক।

তবে অনুজ্জ্বল একটি দিকও আছে, আর তাহলো যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সঙ্গে বেইজিংয়ের চলমান উত্তেজনা। চীনের বিদ্যুৎচালিত গাড়ি বা ইলেকট্রিক ভেহিকেলের সবচেয়ে বড় বাজার এসব দেশই। তবে বিশ্ব যেহেতু আধুনিক ও পরিবেশসম্মত প্রযুক্তির দিকে যাচ্ছে, তাই এটাও ঠিক যে চীনা পণ্য থেকে সরে যাওয়াও পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য খুব সহজ হবে না।

বিওয়াইডির স্বপ্নের বাস্তবায়ন

বিদ্যুৎচালিত গাড়ির বেশির ভাগ এসেছে প্রচলিত কোম্পানির হাত ধরে। তারা আগেই গাড়ি বানাত, পরে ইলেকট্রিক গাড়ি বানাতে শুরু করে। বিওয়াইডির বিষয়টি ভিন্ন। তারা আগে ব্যাটারি বানাত, পরে গাড়ি বানাতে শুরু করে। সুতরাং শুরু থেকেই তাদের একটি সুবিধাজনক অবস্থান ছিল।

কোম্পানির প্রধান নির্বাহী ওয়াং চুয়ানফু ১৯৬৬ সালে চীনের সবচেয়ে গরিব প্রদেশের একটিতে কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। কিশোর বয়সে তিনি এতিম হন। তাঁকে বড় করেন এক ভাই ও বোন। আজ তিনি ১ হাজার ৮৭০ কোটি ডলার মূল্যের সম্পদের মালিক। ১৯৯৫ সালে তিনি এক ভাইকে নিয়ে শেনজেনে বিওয়াইডি প্রতিষ্ঠা করেন।

বিওয়াইডি তখন এমন ব্যাটারি বানাত, যা রিচার্জ করা যায়। জাপানো বানানো ব্যাটারির চেয়ে সস্তায় তারা পণ্য দিতেন। ২০০২ সালে এটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এরপর তারা কিনে নেয় ধুকতে থাকা রাষ্ট্রমালিকানার কিনচুয়ান অটোমোবাইল কোম্পানিকে। আর এর মাধ্যমে তারা তাদের ব্যবসা অন্য খাতে সম্প্রসারণ করে।

ইলেকট্রিক ভেহিকেল বা ইভি তখনো একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে, তবে বেইজিংয়ের কর্মকর্তারা সুযোগ খুঁজছিলেন কীভাবে শূন্যস্থান পূরণ করা যায়। ২০০০-এর দশকের গোড়ার দিকে সরকার এ খাতে ভর্তুকি ও কর সুবিধা দেয়। ওই সময়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে সরকার অগ্রাধিকার দেওয়া শুরু করে।

বিওয়াইডির জন্য এটা ছিল একবারে মোক্ষম সময়। যে ব্যাটারি তারা তৈরি করছিল, সেই ব্যাটারিই এবার ব্যবহার হবে ইভির জন্য। ২০০৮ সালে মার্কিন বিলিয়নিয়ার বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেট বিওয়াইডির ১০ শতাংশ শেয়ার কেনেন। তখন তিনি বলেছিলেন, অবশ্যম্ভাবীভাবে বৈশ্বিক বাজারে ইলেকট্রিক গাড়ি প্রাধান্য বিস্তার করবে এবং একদিন বিওয়াইডি হবে সেই বাজারের সবচেয়ে বড় খেলোয়াড়

তাঁর আন্দাজ একেবারে ঠিকঠাক ছিল। আজ চীন যে বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে, তার অন্যতম কারণ বিওয়াইডি। বেইজিং এই অবস্থান ধরে রাখতে চায়। গত জুনে তারা ইভি খাতে আগামী ৪ বছরের জন্য ৭ হাজার ২৩০ কোটি ডলারের কর অব্যাহতির প্রস্তাব করেছে। গাড়ির বিক্রি যখন ধীর হয়ে পড়েছিল, তখন এই বিশাল সুবিধা দেওয়া হয়।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিওয়াইডির এই বেড়ে ওঠার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান তাদের পুরোনো ব্যবসাব্যাটারি তৈরি। বৈদ্যুতিক গাড়ি বানাতে বেশি খরচ হয় ব্যাটারির পেছনেই। তাই কোনো কোম্পানি যদি নিজেরাই তা বানাতে পারে, তাহলে খরচ অনেক বাঁচে। টেসলার মতো প্রতিযোগীরা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে ব্যাটারি তৈরি করে।

বিওয়াইডির কম দামের গাড়ি বিক্রি হয় ১১ হাজার ডলারে। অন্যদিকে, চীনে টেসলার মডেল ৩ সেডান গাড়ির দামই শুরু হয় ৩৬ হাজার ডলার থেকে। ইভি বাজারের বাইরেও বিওয়াইডি সফল। জার্মানির ফক্সওয়াগন এত দিন ছিল চীনে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া গাড়ি। বিওয়াইডি এ বছরের শুরুতে তাদেরকেও স্থানচ্যুত করেছে।

বিওয়াইডি বনাম টেসলা

ইলন মাস্ককে ২০১১ সালে এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বিওয়াইডি ও চীনা প্রতিযোগীদের সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিল। চীনাদের বিষয়টি তিনি হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। সেই সময় টেসলা ছিল ছোট একটি কোম্পানি, যারা তাদের ভবিষ্যৎ গাড়ি মডেল এস-এর একটি প্রোটোটাইপ বা প্রতিরূপ মাত্র জনসমক্ষে নিয়ে এসেছে।

আজ ইলন মাস্ক সম্ভবত তাঁর সেই জবাবের জন্য অনুতাপ করছেন। টেসলা সেপ্টেম্বরে চীনে তৈরি ৭৪ হাজার ৭৩টি ইভি বিক্রি করেছে। আগের বছরের তুলনায় তা প্রায় ১১ শতাংশ কম। অন্যদিকে, একই সময়ে বিওয়াইডির বিক্রি সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৮৬ হাজার ৯০৩। ইভি ও হাইব্রিড মডেলের ক্ষেত্রে এই প্রবৃদ্ধি ৪৩ শতাংশ।

সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, চীনে ইলেকট্রিক গাড়ির জনপ্রিয়তা যদি কেউ বাড়িয়ে থাকে, সেটি টেসলা। পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য দেওয়া সুবিধা দেওয়া হলেও টেসলা না আসা পর্যন্ত চীনে ইভি বিক্রি বাড়েনি। এমনকি এখনো টেসলা একটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ড, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে, এ কথা জানিয়েছেন কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের গাড়িবিষয়ক বিশ্লেষক ইভান ল্যাম।

পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি গাড়ি বিক্রি হয় চীনে। কিন্তু আরও বেশি পরিমাণ ইলেকট্রিক গাড়ি দেশে আনার জন্য তারা নিয়মেও পরিবর্তন আনে। সম্পূর্ণ বিদেশি মালিকানায় গাড়ির কারখানা বা বিক্রয়কেন্দ্র খোলার অনুমতি দেয় বেইজিং। এর আগে কারখানা খুলতে জেনারেল মোটরস কিংবা টয়োটার মতো কোম্পানিকে স্থানীয় অংশীদার খুঁজতে হয়েছে।

নিয়মে পরিবর্তন আসার পরই সুযোগ কাজে লাগায় টেসলা। এমনকি এখনো তারাই চীনে তৈরি বিদ্যুৎচালিত গাড়ির সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক ও চীনে এ ধরনের গাড়ির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিক্রেতা। ইলন মাস্ক চীনে আরও অনেক কিছু করতে চান। তবে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে বৈরিতা শুরু হওয়ার পর তিনি এখন ভারতের দিকেও দৃষ্টি ফিরিয়েছেন।

ইলন মাস্ক বলেছেন, মানুষের পক্ষে যত দ্রুত সম্ভব, তত দ্রুত। তিনি টেসলাকে ভারতে নিয়ে যেতে চান।

দৌড়ে চীনা ইভি কতটা এগিয়ে

গতানুগতিক গাড়ি নির্মাতাদের জন্য রাস্তা দ্রুত সরু হয়ে যাচ্ছে। জীবাশ্মজ্বালানিনির্ভর এই প্রযুক্তি ২০৩০ সালে বড় পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে যাবে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় যেসব সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, সেসব কারণেই বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বাড়ছে, তবে ইউরোপ ও ব্রিটেনের গাড়ি নির্মাতারা প্রতিযোগিতা করে পারছে না। চীনের ব্যাপারে যেভাবে ইউরোপীয় দেশগুলো সতর্ক হয়ে উঠছে, তাতে এসব দেশে চীনা গাড়ি আমদানি করা কঠিন করতে আরও বেশি নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

ইউরোপীয় কমিশন চীন থেকে আমদানি করা সস্তার গাড়ি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। এই তদন্তের উদ্দেশ্য হলো, এটা দেখা যে স্থানীয় বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদকদের সুরক্ষা দিতে চীনা গাড়িতে শুল্ক বাড়ানো দরকার কি না। ইউরোপীয় কমিশন মনে করে, বেইজিংয়ের দেওয়া ভর্তুকির কারণে চীনা গাড়ি বিশেষ সুবিধা পাচ্ছে।

কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেয়েন বলেছেন, চীনের অন্যায্য বাণিজ্য রীতি থেকে ইউরোপের সৌরবিদ্যুৎশিল্প কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুলে যায়নি, তবে বাস্তবতা ভিন্ন। জার্মানির মতো দেশ উঁচু মূল্যস্ফীতি ও জ্বালানি খরচের কারণে সমস্যায় রয়েছে। সে কারণে বিওয়াইডির সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব গাড়ি সেখানে ব্যাপক সংখ্যায় বিক্রি হচ্ছে। মার্সিডিস-বেঞ্জ, বিএমডব্লিউ আর ফক্সওয়াগনের দেশটি বিদ্যুৎচালিত গাড়ির বৈশ্বিক চাহিদা পূরণ করতে হিমশিম খাচ্ছে। সে কারণে সেপ্টেম্বরের মিউনিখ গাড়ির প্রদর্শনীতে চীনা ইভি ছিল আলোচনার কেন্দ্রে।

অটোমবিলিটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী বিল রুসো বলেন, চাহিদার বিষয়টি বিশ্বের সব জায়গায় নির্ভর করে সামর্থ্যের ওপর। এটা সর্বজনীন ব্যাপার। তাঁর মতে, পৃথিবীর একটি দেশই দুনিয়াকে এই সুবিধা দিতে পারে, সেই দেশটি হলো চীন।


আরও খবর
কয়েক দফায় রেকর্ড গড়ে কমল সোনার দাম

বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩




সংসদ নির্বাচনে এখন পর্যন্ত কোনো থ্রেট দেখছি না: আইজিপি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, সংসদ নির্বাচনে এখন পর্যন্ত আমরা কোনো থ্রেট দেখছি না। এরপরও গোয়েন্দা সংস্থা সব জায়গায় ফিট করা আছে। তারা যে তথ্য দেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেই আলোকে ব্যবস্থা নেবে।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) অন্যান্য কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে কথা হয়েছে। নির্বাচন এলে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে কাজ করে থাকি। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে করার জন্য আইন অনুযায়ী যে কাজ করার দরকার তাই করে থাকি। আমরা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। 

আরও পড়ুন>> নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির জন্য আর কোনো স্পেস নেই: ওবায়দুল কাদের

আইজিপি বলেন, যারা সহিংসতা করছে, গাড়িতে-ট্রেনে আগুন দিচ্ছে এদের মধ্যে অনেকে অ্যারেস্ট হচ্ছে। তবে আমরা তৎপর আছি। আমাদের তৎপর থাকার কারণে রাস্তাঘাটে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে। বর্তমানে ৮০ শতাংশ গাড়ি রাস্তায় চলাচল করছে। প্রায় সবকিছুই স্বাভাবিক হচ্ছে। যারা চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছে দেশের আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আশঙ্কাজনক কোনো খবর নেই বা বোধও করছি না। ভোটের দিন সামনে রেখে সব প্রস্তুতি নিতে পুলিশ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ও প্রস্তুত আছে। ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেশবাসীকে উপহার দিতে পারব।

প্রকাশ্যে সিল মারা বন্ধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনা জানা নেই। তবে কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পেলে সে পুলিশ সদস্য হোক বা যেই হোক কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর
কোটালীপাড়ায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




মরণোত্তর দেহ দান করবেন অভিনেত্রী স্পর্শিয়া

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

জনপ্রিয় অভিনেত্রী অর্চিতা স্পর্শিয়া মরণোত্তর দেহ দান করবেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।

মৃত্যুর পরে তার দেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজে দান করা হবে। তার হৃদযন্ত্রসহ প্রয়োজনীয় অঙ্গপ্রতঙ্গ অন্য রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন ও চিকিৎসাশাস্ত্রের প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহারের জন্য তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন শুক্রবার তার ত্রিশতম জন্মদিনে।

আরও পড়ুন>> বিচ্ছেদের জল্পনা উড়িয়ে একসঙ্গে অভিষেক-ঐশ্বরিয়া

স্পর্শিয়া বলেন, আমরা নানাভাবেই মানুষের উপকার করার চেষ্টা করি। এটাও আমার এক ধরনের উপকারের চিন্তা। এ বিষয়ে আমি অনেকদিন ধরেই পরিকল্পনা করেছি। মৃত্যুর পর আমার শরীরের অঙ্গপ্রতঙ্গ জীবিত রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন হবে, এরপর চিকিৎশাস্ত্রের প্রয়োজনে ব্যবহার করা হবে। এটা অন্য এতে অন্য কোনো মানুষের উপকার হবে।

অর্চিতা স্পর্শিয়া ২০১১ সালে শোবিজে পা রাখেন। ক্যারিয়ারের একযুগে অজস্র বিজ্ঞাপন, নাটক ও চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। সামনে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে বেশকিছু কাজ।


আরও খবর



নিউমোনিয়ার ঝুঁকি এড়াতে করণীয়

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

শীতে তাপমাত্রার ওঠানামা অনেক বেশি। কোন কোন দিন আবার সারাদিন বৃষ্টি থাকছে। এই রকম আবহাওয়ায় সুস্থ থাকাটা চ্যালেঞ্জর। শীতে অন্য রোগের থেকে নিউমোনিয়া হওয়ার ঝুঁকির পরিমাণটা বেশি। দেখা যায়, বাচ্চাদের নিউমোনিয়া বেশি হয়ে থাকে। এ সময় সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ে। তাই যতটা সম্ভব সর্তক থাকার চেষ্টা করতে হবে।

নিউমোনিয়া ফুসফুসের সংক্রমণের কারণে হতে পারে। এ রোগ ফুসফুসে পানি জমেও হতে পারে। শুরুতে গুরুত্ব না দিলে পরর্বতীতে বড় ধরণের ক্ষতি হতে পারে। কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে নিউমোনিয়া থেকে নিজেদেরকে সুরক্ষিত রাখা যায়।

বার বার হাত ধোঁয়া

যতটা সম্ভব চেষ্টা করতে হবে হাত পরিষ্কার রাখা। বার বার হাত ধোঁয়ার অভ্যাস করুন। হাত ধুতে না পারলেও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা। এছাড়াও, হাত না ধুয়ে কোন কিছু না খাওয়া। খেতে বসার আগে সাবান দিয়ে ভালো ভাবে হাত ধুয়ে নিন।

গরম পোশাক পরুন

যাদের ঠাণ্ডার সমস্যা আছে তারা শীতে সবসময় গরম পোশাক পরে থাকার চেষ্টা করুন। শিশুরা অনেক সময় শরীরে গরম কাপড় বেশিক্ষণ পড়ে থাকতে চাই না তাই তাদের দিকে বিশেষ নজর রাখা উচিত। রাতে বাইরে বের হলেও মাথা ও কান মাফলারে মুড়িয়ে রাখতে চেষ্টা করুন।

স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া

বাজার ভরা শীতকালের নানান শাকসবজি। ফাইবার, ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেটে সমৃদ্ধ খাবার শীতে অন্য রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি জোগায়। এছাড়াও, ভিটামিন সি আছে এমন খাবার যেমন জলপাই, কমলা, লেবু ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে। এগুলো একপ্রকার প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।

 


আরও খবর
মোজা দিবস আজ

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩

আজকের রাশিফল: শুক্রবার ৮ ডিসেম্বর ২০২৩

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩