তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ
সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'আমাদের দেশে নির্বাচন হবে আমাদের সংবিধানের আওতায়।
নির্বাচনে সংবিধানের একচুল ব্যত্যয় হবে না। সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন
সরকারের দায়িত্ব পালন করবে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই নির্বাচনকালে প্রধানমন্ত্রী
থাকবেন।'
শুক্রবার কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের
বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতার পূর্বে সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের প্রশ্নের
উত্তরে এ সব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন<< আজ কর্নেল তাহেরের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী
এ সময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত, যুক্তরাজ্য,
অস্ট্রেলিয়া, জাপান, কন্টিনেন্টাল ইউরোপের ফ্রান্স, জার্মানিসহ সকল গণতান্ত্রিক দেশে
যেভাবে যে সরকার দেশ পরিচালনা করে আসছে, তারাই নির্বাচনকালে সরকারের দায়িত্ব পালন করে।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করে না।
আর বিএনপি যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি
দিচ্ছে, তা শুধু পাকিস্তানে আছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমার প্রশ্ন-তারা শুধু
পাকিস্তানকে কেন অনুসরণ-অনুকরণ করে! মির্জা ফখরুল সাহেব ক'দিন আগেও বলেছেন-পাকিস্তানই
ভালো ছিল। তারা পাকিস্তানকে অনুকরণ করবে এটাই স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন<< আখাউড়া-লাকসাম ডাবল লাইন রেলপথের উদ্বোধন
এ সময় বিএনপির আন্দোলন নিয়ে হাছান মাহমুদ
বলেন, এখন বিএনপি হচ্ছে পা ভাঙা বাঘ আর খাঁচায় বন্দী সিংহ। তাদের তর্জন-গর্জনই সার।
অন্য কিছু করার সামর্থ্য তাদের নেই। আর তারা যদি দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা-স্থিতি বিনষ্টের
অপচেষ্টা করে, সরকার কঠোর হস্তে দমন করবে আর আওয়ামী লীগ জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিরোধ
করবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাষ্ট্রের
প্রতিনিধি দলের সফর নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইইউ প্রতিনিধি দল এসেছে
নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে। অন্য কারো আমন্ত্রণে নয়। যেহেতু নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে
এসেছে, তারা কমিশনের সাথে, সরকারি দল, বিরোধী দল-সবার সাথেই বৈঠক করেছে। এবং তাদের
এই আসাটা অত্যন্ত ইতিবাচক কারণ, নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, সুন্দর নির্বাচন
আয়োজনের লক্ষ্যে ইইউ প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। ইইউ তাদের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে
প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে। এটি খুবই ইতিবাচক।