বুকে ব্যথা নিয়ে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে যান এডিসি সানজিদা আফরিন। ইটিটি করতে ৪০২৩ নম্বর কক্ষে ছিলেন। বাইরে বসে অপেক্ষা করছিলেন এডিসি হারুন অর রশিদ। এরমধ্যে হাসপাতালে আসেন সানজিদার স্বামী এপিএস আজিজুল হক মামুন। রুমে প্রবেশ করতে চাইলে বাধা দেন হারুন। তখন এপিএস মামুন চিৎকার দিয়ে বলেন, আমার বউয়ের কাছে আমি যাব, তুই আটকানোর কে? বলেই হারুনকে মারধর করেন মামুন।
কথাগুলো বলেন ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা ইটিটিতে দায়িত্বে থাকা এক আয়া। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই আয়া বলেন, এপিএস মামুন এসেই এডিসি হারুনকে বলেন, ‘আপনি এখানে কী করছেন।’ স্ত্রী কোথায় আছেন জানার পর মামুন সরাসরি ইটিটি রুমে চলে যান। পেছন থেকে বাধা দেন এডিসি হারুন। ততক্ষণে আশপাশে মানুষ জড়ো হয়ে যায়। এপিএস মামুন তখন চিৎকার দিয়ে বলেন, আমার বউয়ের কাছে আমি যাব তুই আটকানোর কে?’জোর করেই মামুন ইটিটি রুমে গিয়ে সঙ্গে থাকা দুই ছেলেকে ভিডিও করতে বলেন, তখন তার স্ত্রী সানজিদা এপিএস মামুনের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে যান। তাদের বাধা দেন চতুর্থ তলায় দায়িত্বরত গার্ড।
তিনি বলেন, ইটিটি রুমে বিশৃঙ্খলা থামাতে সবাইকে রুম থেকে বের হওয়ার অনুরোধ করি। একটু পরই পুলিশ এসে তাদের নিয়ে যায়।
প্রসঙ্গ, এর আগে ৯ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে পুলিশ নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ।
এই দুজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভুক্তভোগী ও তাদের সহপাঠীদের অভিযোগ- পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদ তাদের থানায় নিয়ে বেদম পিটিয়েছেন। ছাত্রলীগের নেতা পরিচয় দেওয়ার পরও হারুনের সঙ্গে ১০-১৫ পুলিশ সদস্য মিলে তাদের পেটান।
পুলিশ সূত্র জানায়, এডিসি হারুনের সঙ্গে শাহবাগের একটি হাসপাতালে পুলিশের এক নারী কর্মকর্তা আড্ডা দিচ্ছিলেন। সেখানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে ওই নারী কর্মকর্তার স্বামী হাজির হন। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে এডিসি হারুন সেখান থেকে চলে যান। পরে পুলিশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের শাহবাগ থানায় ডেকে নিয়ে মারধর করে।