আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

আমার পশুপাখির প্রতি প্রচণ্ড মায়া: মাহি

প্রকাশিত:সোমবার ২০ জুন ২০22 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জুন ২০22 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যা পুরো দেশের মানুষকে নাড়া দিয়েছে। সেখানকার লাখ লাখ মানুষের অসহায় অবস্থা দেখে অনেকেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। শোবিজের বেশ কয়েকজন তারকাও সহযোগিতা করেছেন। তবে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে নজর দিতে চাইছেন। তার মতে, মানুষ কোনো না কোনোভাবে বন্যা পরিস্থিতি থেকে বাঁচার চেষ্টা করতে পারবে। কিন্তু অবলা পশুপাখি তো কিছুই বুঝতে পারবে না। মানুষের সহায়তা ছাড়া তো তারা বাঁচতে পারবে না।

এই দুশ্চিন্তায় ঠিকমতো ঘুমাতেও পারছেন না মাহি। ফেসবুক লাইভে এসে মলিন চাহনিতে সে কথা জানালেন তিনি। মাহি বলেন, মানুষ কোনো না কোনোভাবে বাঁচার চেষ্টা করবে। কিন্তু পশুপাখিগুলো অন্যের সহায়তা ছাড়া কীভাবে নিরাপদ হবে। এই নিয়ে টেনশনে রাতে আমার ঠিকমতো ঘুম হচ্ছে না। আমার সামর্থ্য বা উপায় থাকলে, যত গরুছাগল, কুকুরসহ অন্য পশুপাখি রয়েছে, সব নিয়ে নিরাপদ স্থানে চলে আসতাম। তাদের সেভ জোন দিতে পারলে মনে শান্তি লাগত। আমার পশুপাখির প্রতি প্রচণ্ড মায়া। তাদের করুণ দশা দেখে খারাপ লাগছে। ভিডিওতে দেখলাম, অনেকে কুকুরকে সেভ করছে। এটা দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে।

বন্যার্ত মানুষকে সহযোগিতাও করতে চান মাহি। তবে এতো বাজে পরিস্থিতিতে কীভাবে, কোন জায়গায় সহায়তা দেবেন, তা বুঝতে উঠতে পারছেন না নায়িকা। তিনি বলেন, সিলেটে বন্যার যে ভয়াবহ অবস্থা, আমাদের সবার যার যার জায়গা থেকে কিছু করা উচিত। আমরা সবাই সিলেট পছন্দ করি। অনেকে সিলেটের সৌন্দর্য দেখতে ঘুরতে গিয়েছেন। আমাদের সবার উচিত তাদের এই দুর্যোগে কিছু করা। শুরু থেকেই আমরা চিন্তা করছিলাম, কী করা যায়। এত বাজে অবস্থা! আমি বুঝে উঠতে পারছি না, এই সময় কীভাবে তাদের পাশে থাকা যায়। এই ব্যাপারে আমাদের সাজেস্ট করুন প্লিজ। আমরা তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসতে চাই।

লাইভে মাহির সঙ্গে তার স্বামী রাকিব সরকারও ছিলেন। তিনিও স্ত্রীর সুরে কথা বলেছেন। রাকিবের ভাষ্য, বন্যাকবলিত এলাকায় কাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত, কারা অবহেলিত, কাদের প্রায়োরিটি দেওয়া উচিত, আমাদের জানান। আমরা একটি টিম তৈরির কাজ করছি। আপনারা পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করুন।

নিউজ ট্যাগ: মাহিয়া মাহি

আরও খবর
নতুন খবর দিলেন বিদ্যা সিনহা মিম

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪

নিজেকে দেখে নিজেই মুগ্ধ পরীমণি

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




ফের আন্দোলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি পুরোপুরি না মেনে একাডেমিক কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে সকল দাবি আদায়ের লক্ষ্যে একাডেমিক কার্যক্রম ও টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়ে ফের অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল ৭টা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন এবং দাবি আদায়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

এর আগে, গত ২৭ মার্চ রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাসহ অন্য নেতাকর্মীরা বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশের মাধ্যমে নিষিদ্ধ রাজনীতি ফের শুরু করার অভিযোগ তুলে এর প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। এতে ছাত্রলীগকে প্রবেশে সহযোগিতাকারী শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ও ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধকরণসহ ৬ দফা দাবি জানালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের কিছু দাবি মেনে নেয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাদের সকল দাবিই মানতে হবে।

ছাত্ররাজনীতি প্রতিরোধে তাদের ৬ দফা দাবিগুলো হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে আমরা বুয়েটের সকল ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ২৭ মার্চের মধ্যরাতে রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক ইমতিয়াজ রাব্বির বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার এবং হল বাতিল; উক্ত ঘটনায় ইমতিয়াজ রাব্বির সঙ্গে বুয়েটের বাকি যেসব শিক্ষার্থী জড়িত ছিল তাদের বিভিন্ন মেয়াদে হল এবং টার্ম বহিষ্কার; বহিরাগত রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ যারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করল তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, তারা কেন, কীভাবে প্রবেশ করার অনুমতি পেল এই ব্যাপারে সুস্পষ্ট সদুত্তর এবং জবাবদিহিতা বুয়েট প্রশাসন কর্তৃক আসতে হবে; প্রথম ও দ্বিতীয় দাবি শনিবার সকাল ৯টার মধ্যে বাস্তবায়ন করা না হলে সকল ডিএসডাবলুর পদত্যাগ করতে হবে; ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে বহিরাগতদের প্রবেশের কারণে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হওয়াত এর প্রতিবাদ হিসেবে ৩০ ও ৩১ মার্চের টার্ম ফাইনালসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন এবং আন্দোলনরত বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনোরকম হয়রানিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না- এই মর্মে লিখিত প্রতিশ্রুতি প্রদান।

তাছাড়া শিক্ষার্থীরা বলছেন, নিরাপদ ক্যাম্পাসের নিশ্চয়তা, রাজনীতিবিহীন পরিবেশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিমালা বজায় রাখা সম্পূর্ণরূপে বিঘ্নিত হয়েছে ২৭ মার্চ মধ্যরাতে ছাত্রলীগের প্রবেশের অনুমতি পাওয়ার মাধ্যমে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার সর্বদা বিরোধী।

এদিকে, গত শুক্রবার রাতে বুয়েট উপাচার্যের নির্দেশক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ফোরকান উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রলীগকে সহযোগিতায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বির হলের সিট বাতিল, তদন্ত কমিটি গঠন ও তদন্ত অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং পরীক্ষাসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম চলমান থাকার কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৭ মার্চ রাত ১টার দিকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সংঘটিত ঘটনার প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে-

১. বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিমের (স্টুডেন্ট নম্বর ২১০৪১৪১) হলের সিট বাতিল করা হলো।

২. এ ছাড়া সার্বিক বিষয়ে তদন্তপূর্বক সুপারিশ প্রদান করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর টার্ম/সেমিস্টার ফাইনালসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম চলমান থাকবে।

এর আগে, উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, তোমাদের দাবির প্রেক্ষিতে ইমতিয়াজ রাব্বির হলের সিট বাতিল করা হবে। আর তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হলে সেটা ডিসিপ্লিন কমিটিতে যাবে। সেখান থেকে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে এবং তখন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে বহিষ্কারের পথ সুগম হবে।

প্রসঙ্গত, গত ২৭ মার্চ রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি, দপ্তর সম্পাদকসহ অনেকেই বিশাল বহর নিয়ে বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। তাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বি। ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার পরও বুয়েটে এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে নতুন করে রাজনীতি শুরুর পাঁয়তারা হিসেবে দেখছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। যার প্রেক্ষিতে, ক্যাম্পাসে পুনরায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়া ও নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে আন্দোলন শুরু করেন তারা।


আরও খবর
ফের মাউশির ডিজি হলেন অধ্যাপক নেহাল

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




সাগর-রুনি হত্যা মামলা: ১০৭ বার পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ১০৭ বারের মতো পিছিয়েছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল।

তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৬ মে দিন ঠিক করেছেন আদালত। তদন্ত সংস্থা র‌্যাব প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এদিন ঠিক করেন।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়। এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)। চারদিন পর চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।


আরও খবর



বিশেষ ট্রেনের ইঞ্জিনসহ ৩ বগি লাইনচ্যুত, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার যোগাযোগ বন্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী বিশেষ ট্রেনের (ঈদ স্পেশাল) ইঞ্জিনসহ তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারায় এ লাইনচ্যুতের ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন মাস্টার মো. গোলাম রব্বানী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সকাল ৭টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ওই বিশেষ ট্রেনটি রওনা দেয়। সকাল ১০টার দিকে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারায় বিকটশব্দে ওই ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। এতে চট্টগ্রামের সঙ্গে কক্সবাজারের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

চট্টগ্রামে উদ্ধারকারী ট্রেনকে খবর দেওয়া হয়েছে। ট্রেনটি ঘটনাস্থলে পৌঁছে মেরামতের কাজ শেষ করলেই ওই রুটে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হবে বলে জানান ওই স্টোশন কর্মকতা।


আরও খবর



সময়মতো কমলাপুর ছাড়ছে ট্রেন, খুশি যাত্রীরা

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আর মাত্র এক বা দুইদিন পরেই ঈদ। পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন রাজধানীবাসী। অনেকেই যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে ট্রেনকে বেছে নিয়েছেন। ঈদ উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে। যারা অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করেছিলেন তারা এখন ভ্রমণ করতে পারছেন। এবার ট্রেনে ঈদ যাত্রায় খুশি যাত্রীরা। দেখা যায়নি ভোগান্তির তেমন কোন চিত্র, ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় নেই। সময়মতো গন্তব্যের উদ্দেশ্যে স্টেশন ছেড়ে যাচ্ছে ট্রেন।

সোমবার (৮ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে দেখা যায়, একের পর এক ট্রেন নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে যাচ্ছে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রুটে যাতায়াতকারী মহানগর প্রভাতী ট্রেনটি স্টেশন ছাড়ার সময় ছিল ৭টা ৪৫ মিনিটে৷ ট্রেনটি এক মিনিটও বিলম্ব না করে নির্দিষ্ট সময়েই স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ত্যাগ করে।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন সূত্র জানায়, সকাল থকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মহানগর প্রভাতী, বালাকা, ধুমকেতু, পারাবত, সুন্দরবন, নীলসাগর এক্সপ্রেসসহ মোট ১১ টি ট্রেন বিভিন্ন গন্তব্যে স্টেশন ত্যাগ করেছে।

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, ট্রেনের কোনো সিডিউল বিপর্যয় নেই। এমনকি ট্রেন যাত্রায় বিলম্বও নেই। প্রতিটি ট্রেন তার নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুযায়ী স্টেশন ত্যাগ করছে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি এবং সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এবারের ঈদ যাত্রায় রেলওয়ের ব্যবস্থাপনায় খুশি সাধারণ যাত্রীরা। তারা বলছেন, ট্রেনে ঈদ যাত্রায় আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় এবার স্বস্তিদায়ক৷ একদিনে ট্রেন যেমন সময়মতো ছাড়ছে অন্যদিকে বিনা টিকিটের কোন যাত্রী ভ্রমণ করতে পারছেন না। রেলওয়ের ব্যবস্থাপনায় যাত্রাও ভালো হচ্ছে।

বুড়িমারি এক্সপ্রেসে লালমনিরহাট যাবেন আশরাফুল ইমন৷ এবারের ঈদ যাত্রা সন্তোষজনক জানিয়ে তিনি বলেন, এবারের ব্যবস্থাপনা খুবই ভালো লেগেছে৷ বিশেষ করে বিনা টিকিটের যাত্রী ঠেকাতে এখানকার ব্যবস্থাপনা প্রশংসনীয়৷ এসে দেখলাম সবগুলো ট্রেনই সময়মতো ছেড়ে যাচ্ছে৷ আগে বিলম্বে ট্রেন ছাড়ার অহরহ ঘটনা ঘটলেও এবারের ঈদে সেটি দেখা যাচ্ছে না।

ট্রেনের আরেক যাত্রী আকলিমা আক্তার বলেন, গত ঈদে বাড়ি যেতে অনেক ভেগান্তিতে পোহাতে হয়েছিল। এবার স্টেশনে এসে ভালো লাগছে। ব্যবস্থাপনা ভালো। সবার ঈদযাত্রা আনন্দের হোক।


আরও খবর



যুদ্ধ বন্ধে বিশ্বনেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর উদাত্ত আহ্বান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাশিয়া-ইউক্রেন এবং ইসরাইল-ইরান-প্যালেস্টাইনের যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, যুদ্ধ কখনো কোনো সমাধান দিতে পারে না। এটা অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত। নারী-শিশু-সব বয়সী মানুষ এর শিকার হয়ে জীবন দিচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে ব্যাংককে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়-বিষয়ক জাতিসংঘের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) সম্মেলনের ৮০তম সেশনে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধের ভয়াবহতা আমি জানি। বাংলাদেশ কোনো যুদ্ধ চায় না। আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। যারা এখনো বিভিন্নভাবে কষ্ট পাচ্ছেন যুদ্ধের কারণে, তাদের দিকে দেখে বিশ্বনেতাদের যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

এ সময় রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবিলা ও মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাত নিয়ন্ত্রণে আসিয়ানকে ভূমিকা রাখারও আহ্বান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছিলো মানবিক প্রেক্ষাপট থেকে। কিন্তু তারাই বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এর আগে গতকাল বুধবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ৬ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে দেশটিতে পৌঁছান শেখ হাসিনা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে একান্ত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন এবং যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন।


আরও খবর