আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

আমার স্বামীই হারুন স্যারকে আগে মারধর করেন: এডিসি সানজিদা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পুলিশের বরখাস্ত অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদ, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতাকে নির্যাতন এবং রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হক মামুনের মধ্যকার ঘটনার সূত্রপাত যাকে কেন্দ্র করে, সেই সানজিদা আফরিন অবশেষে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন, আমার স্বামীই এডিসি হারুন স্যারকে প্রথমে আঘাত করেছেন।

সানজিদা রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক মামুনের স্ত্রী। তিনি ৩৩তম বিসিএসের কর্মকর্তা। ডিএমপির ক্রাইম বিভাগে অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন সানজিদা।

সেদিনের ঘটনা নিয়ে সানজিদা আফরিন বেসরকারি একটি টেলিভিশনে কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি বেশ কয়েকদিন ধরে সিভিয়ার পেইনে (মারাত্মক ব্যথা) ভুগছিলাম। সেদিন পেইনটা একটু বেশিই অনুভূত হচ্ছিল। তাই তখন আমার একজন ডাক্তার দরকার ছিল। যেহেতু ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল স্যারের (এডিসি হারুন) জুরিসডিকশনের (আওতা) মধ্যে পড়ে তাই ডাক্তারের সিরিয়াল পাওয়ার জন্য আমি স্যারের হেল্প চেয়েছিলাম।

স্যারকে জানালে তিনি আমাকে বলেছিলেন, ঠিক আছে আমি আশপাশে আছি। আমি এসে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে দিচ্ছি। এরপর স্যার (এডিসি হারুন) এলেন। আসার পর একটা ডাক্তার ম্যানেজ হলো। এরপর ডাক্তার কিছু টেস্ট দিলেন। আমি ব্লাড টেস্টের জন্য স্যাম্পল দিলাম। ইকো টেস্ট আর ইসিজি করানো হলো।

সানজিদা আরও বলেন, যে রুমে ইটিটি করানো হয় আমার ঘটনার সময় সেই রুমে ছিলাম। ইটিটি করানোর ১৫-২০ মিনিট পর আমি বাইরে একটা হট্টগোলের শব্দ শুনি। শুনতে পাই স্যার (এডিসি হারুন) চিৎকার করে বলছেন- ভাই আপনি আমার গায়ে হাত তুললেন কেন? আপনি তো আমার গায়ে হাত তুলতে পারেন না। আমার প্রথমে ধারণা হয়েছিল যে হয়তো অন্য কারও সঙ্গে ঝামেলা। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পর আমি দেখতে পাই আমার হাজবেন্ড (আজিজুল হক মামুন), উনি আসলে ওখানে কী করছিলেন, কেন গিয়েছিলেন আমি জানি না। ওনাকে টোটালি আউট অব মাইন্ড লাগছিল (মানসিকভাবে স্থির ছিলেন না) এবং খুবই উত্তেজিত অবস্থায় ছিলেন। ওনার সঙ্গে আরও কয়েকজন ছেলে ছিল, আমি তাদের চিনি না। তারা স্যারকে (এডিসি হারুন) মারতে মারতে ইটিটি রুমে নিয়ে এলেন।

ওই সময় হারুন স্যার নিজের সেফটির (নিরাপত্তার) জন্য আমি যেখানে দাঁড়ানো ছিলাম সেই রুমের দিকে দৌড়ে এসে দাঁড়ালেন। ইটিটি রুমে এতলোক ঢোকাতে তখন সেখানে একটা অকওয়ার্ড সিচুয়েশন (বিব্রতকর পরিস্থিতি) তৈরি হয়। কারণ ইটিটি রুমে রেস্ট্রিকশন থাকে। তখন আমি শাউট করছিলাম। কারণ এই রুমে কোনো ছেলে ঢোকার কথা না।

সানজিদা বলেন, এরপর আমার হাজবেন্ড তার সঙ্গে থাকা লোকজনকে বললেন, এই ভিডিও কর। এরপর সবাই ফোন বের করে ভিডিও করা শুরু করে। যখন তারা ভিডিও শুরু করে তখন আমি আমার হাজবেন্ড এবং তার সঙ্গে থাকা লোকজনের সঙ্গে চিল্লাচিল্লি শুরু করছিলাম। এরপর যারা ভিডিও করছে তাদের মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের হাতের সঙ্গে লেগে আমার হাতেও সামান্য ব্যথা পাই। কারণ আমি চাচ্ছিলাম না সেই অবস্থায় কেউ আমার ভিডিও করুক। আর আমার হাজবেন্ডের সঙ্গে যেসব ছেলে ছিল আমি তাদের কাউকে চিনতামও না।

সেই অবস্থায় আমার হাজবেন্ড (এপিএস আজিজুল হক) আমার গায়ে হাত তোলেন এবং স্যারকে বের করার চেষ্টা করছিলেন। তখন স্যারের কাছে বিষয়টি সেফ মনে হয়নি। এরপর স্যার কিছুক্ষণ অপেক্ষা করছিলেন। তখন হাসপাতালের সিকিউরিটির লোকজনও এলেন। এর ১০-১৫ মিনিট পর ফোর্স এলে তারা সেখান থেকে বের হয়ে যায়।

এসব ঘটনার স্থান কোথায় এবং কয়টার দিকে হয়েছে জানতে চাইলে সানজিদা আফরিন বলেন, আমার ডাক্তার দেখানোর সিরিয়াল ছিল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে। এরপর ৭টার দিকে স্যার (হারুন) এসেছিলেন, পরে ডাক্তারও আসেন। এরপর আমি ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকি। ঘটনা ঘটেছে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের চারতলার কার্ডিওলজি বিভাগে।

আপনার অসুস্থের বিষয়ে আপনার স্বামী (আজিজুল হক মামুন) জানতেন কি না, জানতে চাইলে সানজিদা বলেন, আমি অসুস্থ এটা আমার হাজবেন্ড জানতেন। কিন্তু আমি যে সেদিনই ডাক্তার দেখাতে যাবো তা তিনি জানতেন না। এর আগেও বিভিন্ন সময় ডাক্তার দেখানোর কথা ছিল। কিন্তু কোনো করণে তা তিনি মিস করে গিয়েছিলেন। অথবা বিজি ছিলেন। যেহেতু ৬-৭ দিন ধরে আমার সিভিয়ার টেস্ট পেইন হচ্ছিল...। যাইহোক, সবসময় তো পরিস্থিতি সেরকম থাকে না যে আমি তার সঙ্গে শেয়ার করবো। যেহেতু আমার সিভিয়ার পেইন হচ্ছিল তাই আমি নিজেই ডাক্তারের কাছে গেছি।

এর আগে ৯ সেপ্টেম্বর রাতে শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের তিন নেতাকে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে।

আহত তিন নেতা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈম, বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান।

এর জেরে ওইদিন রাতেই শাহবাগ থানার সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভিড় করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও পুলিশের কর্মকর্তারা থানায় গিয়ে মধ্যরাতে মীমাংসা করেন। তবে ঘটনাটি আলোচনার জন্ম দেয়।

এরপর ১০ সেপ্টেম্বর এডিসি হারুনকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে।


আরও খবর



শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও তিন হত্যা মামলা

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঢাকায় আরও তিনটি হত্যা মামলা হয়েছে। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এসব মামলা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি মামলা থানা পুলিশকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অপর মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।

শামীম হত্যা: রাজধানীর রুপনগরে শামীম হাওলাদার নামে এক ব্যক্তিক গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৩৯ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে ভিকটিমের চাচাতো ভাই মো. সম্রাট এ মামলা করেন।

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে এ বিষয়ে কোনো জিডি বা অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে কিনা ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রুপনগর থানা পুলিশকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

এ মামলার অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- আসাদুজ্জামান খান কামাল, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাহবুবুল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, মাইনুল হোসেন খান নিখিল, সাবিনা আক্তার তুহিন, শাহেদা তারেক দীপ্তি, কামাল আহমেদ মজুমদার, গাজী মেজবাউল হক সাচ্চু।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ২০ জুলাই বিকেলে মিরপুর-১০ নম্বর সংলগ্ন প্রশিকা মোড়ে উপরোক্ত আসামিদের নির্দেশে গুলিতে শামীম হাওলাদার নিহত হন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

সাদিকুল হত্যা: হাফেজ মাওলানা সাদিকুল হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালতে হাবিবুল্লাহ বাহারের প্রতিবেশী চাচা আশরাফ সিদ্দিকী মামলাটি করেন। আদালত এ মামলার আবেদনটি রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে নির্দেশ দেন।

এ মামলার অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- আব্দুর রাজ্জাক, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান কামাল, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই উত্তরা ৯ নং সেক্টরে আধুনিক মেডিক্যালে পাশে উপরোক্ত আসামিদের নির্দেশে অন্যান্য আসামিরা গুলি ছোঁড়ে। এতে হাফেজ মাওলানা হাবিবুল্লাহ বাহার গুলিবিদ্ধ হন। পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

আমির হত্যা: রাজধানীর রামপুরায় আমীর হোসেন নামে এক ব্যক্তি গুলিতে নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৪ জনের নামে হত্যা মামলা করা হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আফনান সুমীর আদালতে নিহতের স্ত্রী আননী মামলাটি করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

এ মামলার অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন-সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান কামাল, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান (পলাশ), এবিএম সিদ্দিক।

গত ১৯ জুলাই বিটিভি ভবনের সামনে উপরোক্ত আসামিদের নির্দেশে অন্যান্য আসামিরা আমির হোসেনকে গুলি করে হত্যা করে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: আওয়ামী লীগ

আরও খবর
দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে পুলিশ কর্মকর্তা কাফি

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




শুভ সন্ধ্যা সৈকতে সর্বপ্রথম দৃষ্টিনন্দন ডাকবাংলো “সাম্পান” উদ্বোধন

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অলিউল্লাহ্ ইমরান, বরগুনা

Image

বরগুনার জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র তালতলী শুভ সন্ধ্যা সৈকতে সর্বপ্রথম দৃষ্টিনন্দন ডাকবাংলো সাম্পান এর উদ্বোধন করেছেন জেলা প্রশাসক মুহা. রফিকুল ইসলাম।

শনিবার(৩১ আগষ্ট) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নে শুভ সন্ধ্যা সৈকত সংলগ্ন আধুনিক ডাকবাংলো ভবণটি উদ্বোধন করা হয়েছে।

এই শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতটি অল্প সময় জনপ্রিয়তা পেলেও ঘুড়তে আসা পর্যটকদের রাত্রিযাপনের জন্য কোন ব্যবস্থা না থাকায় পর্যটকদের কথা চিন্তা করে এই ডাকবাংলোটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয় উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুম্পার পরিকল্পনা ও নির্দেশনা গত এক বছরের ভেতরেই বিভিন্ন অনুদানের টাকায়  সাম্পান নামের এই ডাকবাংলোটি নির্মান করা হয়।একতলা বিশিষ্ট এই ভবনে দুইটি বেড রুমসহ ড্রইং-ডাইনিং স্পেস  রয়েছে। পাশাপাশি এখানে বিনোদন পার্ক, আধুনিক বারবি কিউ রেস্তোরা ও পার্কিং এর জন্য স্থান রাখা হয়েছে, যা পর্যায়ক্রমে নির্মিত হবে।

প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মুহা. রফিকুল ইসলাম বলেন, এটি নির্মাণের উদ্দেশ্য হচ্ছে সৈকতটি ঘিরে একটি নান্দনিক পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা। দীর্ঘস্থায়ীভাবে সি-বীচ রক্ষায় করার জন্য প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। পর্যটন কেন্দ্রিক কর্মসংস্থান ও আর্থ সামাজিক উন্নয়নে এই বাংলোটি অবদান রাখবে। তিনি বেসরকারী উদ্যোক্তাদের এই সৈকত কেন্দ্রিকহোটেল-মোটেল নির্মানের জন্য আহবান জানান।

এসময়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) পিজুস চন্দ্র দে, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অনিমেষ বিশ্বাস, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা, সহকারী কমিশনার (ভুমি) অমিত দত্ত, তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, নিশানবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ড.কামরুজ্জামান বাচ্চু প্রমুখসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: বরগুনা

আরও খবর
সিলেটে ব্যবসায়ী-সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সিলেটে গুলিতে আহত রাইয়ানকে বিদেশে নেওয়ার পরামর্শ

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার সামনে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা মিলে বিজয় উল্লাস করছিল। সেখানে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয় দক্ষিণ সুরমার সিলাম ইউনিয়নের ডালিপাড়া গ্রামের নানু মিয়ার ছোট ছেলে রাইয়ান আহমদ।

১৭ দিন পর ঢাকার নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে জ্ঞান ফিরেছে রাইয়ানের। তবে তার শারীরিক অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন।

চিকিৎসকরা বলছেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ইউকে বা সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।

আহত রাইয়ানের ভাই আইমান আহমদ এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল সে। সেখানে ১৪ দিন চিকিৎসা নিয়েও তার জ্ঞান ফিরেনি। সিলেটের চিকিৎসকরা তাকে ঢাকার নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে রেফার করেন। এখন সে ন্যাশনাল নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। শুক্রবার তার জ্ঞান ফিরেছে। এখন শুধু চোখ খুলে তাকাতে পারে। আমাদের সবাইকে চেনতে পারছে বুঝা যায়। মাঝে মাঝে বলে তার মাথায় খুব যন্ত্রণা করে।

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিজয় উল্লাসের সময় সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ১২ দিন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেয় রাইয়ান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ১৭ আগস্ট সকালে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।

জানা যায়, আহত রাইয়ান আহমদ সিলাম পিএল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।

নিউজ ট্যাগ: সিলেট

আরও খবর
সিলেটে ব্যবসায়ী-সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




রাজধানীতে গরম-যানজটে দুর্বিষহ জনজীবন

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বর্ষা মৌসুম শেষ হতে এখনো বাকি। তবে বর্ষা শেষ না হলেও দেশে বৃষ্টির প্রকোপ কমেছে। ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি থেকে সারাদেশে তাপমাত্রাও বেড়েছে। এ অবস্থায় সারাদেশের মতো গরম বেড়েছে রাজধানীতেও। সেই সঙ্গে তীব্র যানজট। গরম-যানজটে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ঝকঝকে আলো পেরিয়ে মেঘের দেখা মেলে রাজধানীর আকাশে। কয়েকটি এলাকায় হালকা বৃষ্টিও হয়। বৃষ্টির পরপর অনুভূত হতে থাকে ভ্যাপসা গরম। অন্যদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে। নগরীর বিভিন্ন জায়গায় সৃষ্টি হয় যানজট।

এদিন রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, গুলিস্তান, পল্টন, মগবাজার, বাড্ডা সড়কে যানজট দেখা যায়। থেমে থেমে চলতে দেখা যায় গাড়ি। তীব্র গরমের সঙ্গে যানজটে ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীদের।

পল্টন মোড়ে ভিক্টর পরিবহনের একটি বাসে কথা হয় ব্যবসায়ী সালাহউদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, সদরঘাট থেকে গাড়িতে উঠেছি, এক ঘণ্টায় মনে হয় তিন কিলোমিটার আসছি। প্রতিটি মোড়ে সিগন্যাল। এর মধ্যে গরমে ঘামতে ঘামতে ক্লান্ত হয়ে গেছি। বনশ্রী যাবো, পৌঁছাতে কতক্ষণ লাগবে জানি না।

এই মোড়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ সদস্য বলেন, প্রতিদিন এই মোড়ে ঝামেলা হয়। কেউ কথা শোনে না। গুলিস্তান জিরো পয়েন্টের দিকে গাড়ি আগায় না। যে যেভাবে পারে সিগন্যাল ছাড়াই ফাঁকা দেখলে চলে যায়।

রামপুরা ব্রিজে কথা হয় রাইদা পরিবহনের চালক ইব্রাহিমের সঙ্গে। তিনি বলেন, রামপুরা ব্রিজ থেকে বাড্ডা লিংক রোড যেতে আধাঘণ্টার বেশি সময় লাগে। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কারণে এখন যানযট আরও বেড়ে গেছে। এর মধ্যে অসহনীয় গরম।

বাসের চালক-যাত্রীদের মতো রাইড শেয়ারিংয়ের মোটারসাইকেলের চালক-যাত্রীদেরও গরম যানজটে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। একজন পথচারীর সঙ্গেও কথা হয় এদিন। লিমন নামে ওই পথচারী বলেন, লোকাল বাসে ওঠা যাচ্ছে না। বাইরেও অনেক রোদ। বিভিন্ন মোড়ে ট্রাফিক নেই, যা তা অবস্থা। আজ বের হয়ে খুবই কষ্ট হচ্ছে।

এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তা কমেছে। পাশাপাশি দীর্ঘদিন পর ফিরে এসেছে তাপপ্রবাহ। দেশের দুটি বিভাগ ও পাঁচটি জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় গরম আরও বাড়তে পারে।


আরও খবর



ব্যবসা দখল করতে গিয়ে ৩ ঘন্টা অবরুদ্ধ বিএনপি নেতা

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

ছাত্র আন্দোলনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিলে সারা দেশে ভেঙে পরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। পুরোপুরি স্বাভাবিক হওয়ার আগেই সুযোগ বুঝে সারাদেশে দখল ভাংচুর তান্ডব চালায় দুষ্কৃতিকারীরা। পিছিয়ে নেই সুযোগ সন্ধানী কিছু বিএনপির নেতাকর্মীরাও। নেতৃবৃন্দদের নির্দেশ অমান্য করে দখল প্রতিযোগিতায় নামছেন অনেকেই। এর মধ্যে ঝুট ব্যবসার দখলের অভিযোগ উঠেছে ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান মোহনের বিরুদ্ধে। কারখানার ঝুট দখল চেষ্টাকালে স্থানীয়দের তোপের মুখে পরেন তিনি। তিন ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকার পর মাফ চেয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন বলে জানায় স্থানীয়রা।

বুধবার (১৪ আগস্ট) সাভারের বাড়ইপাড়া তানজিলা টেক্সটাইল লিমিটেড নামের কারখানা এলাকায় গিয়ে এসব তথ্য জানা যায়। এর আগে গত ১৩ই আগস্ট বিকেলে কারখানার ঝুট অপসারণের প্রক্রিয়া শুরু করেন মোহন। এখবর ছড়িয়ে পরলে কারখানার ভিতরের অবরুদ্ধ করে রাখে স্থানীয়রা। প্রায় তিনঘন্টা পর ক্ষমা চেয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে মোহন। এব্যাপারে ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মোহনের ছবি সম্বলিত একটি পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওই পোস্টে লেখা হয়, আসাদুজ্জামান মোহন ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সেক্রেটারী আর আওয়ামী লীগের দালালের সহযোগিতায় বাড়ইপাড়া টেক্সটাইলে ওয়েস্টেজ নেওয়ার জন্য আসে। আসার পরে এলাকাবাসী তাকে তিনঘণ্টা আটকে রাখে। পরে ক্ষমা চেয়ে তিনি এলাকা থেকে বিদায় হন।

স্থানীয় বাসিন্দা মোর্শেদ বলেন, গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে কারখানার ভিতরের প্রবেশ করে স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান মোহন ও তার সহযোগীরা। পরে কারখানা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ঝুট বের করার প্রস্তুতি নেন তিনি। এতে অপর এক দল হামলার প্রস্তুতি নেয়। বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে স্থানীয়রা এক হয়ে কারখানার সামনে অবস্থান নেন। এসময় আসাদুজ্জামান মোহন ভিতরে আটকা পরেন। ঘটনার তিন ঘণ্টা পর সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে এলাকা থেকে চলে যান তিনি। গত কয়েক বছর ধরেই এই কারখানার ঝুট নিয়ে অনেক দ্বন্দ্ব ও দখল চেষ্টা চলছে। দেশ স্বাধীন হয়েছে নতুন করে কোন হতাহত চাই না। এলাকাবাসী সবাই এক রয়েছে যেকোন বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধ এলাকাবাসীই করবে।

দখল চেষ্টার ঘটনা জানতে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান মোহন বলেন, আমি কারখানার এক কর্মকর্তার সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য গিয়েছিলাম। কোন ধরনের ঝুট ব্যবসা দখল চেষ্টা আমি করি নাই। আর এধরনের ঘটনাও ঘটে নাই। আমি তো সাক্ষাৎ শেষে সেখান থেকে চলে এসেছি। আসার পরে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।

এব্যাপারে তানজিলা টেক্সটাইল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আমি ব্যাংকে রয়েছে। ১০ মিনিট পরে আপনার সাথে যোগাযোগ করবো।

তানজিলা টেক্সটাইল লিমিটেডের এডমিন ম্যানেজার আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেন, আসাদুজ্জামান মোহন আমাদের ফ্যাক্টরিতে এসেছিল আমাদের ম্যানেজার স্যারের সাথে কথা বলেছেন, তবে কি কথা বলেছেন তা আমি জানিনা এবং কতক্ষণ ছিলেন সেটাও বলতে পারব না।

ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সচিব নাজমুল হাসান অভি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে দলের ভাবমূর্তি নষ্টের প্রমান পাওয়া গেলে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: সাভার বিএনপি

আরও খবর