আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

আমের মুকুলে সুবাসিত বরগুনার প্রকৃতি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ জানুয়ারী ২০23 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ জানুয়ারী ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
অলিউল্লাহ্ ইমরান, বরগুনা

Image

প্রকৃতিতে যখন মাঘের হাওয়ার শীতের কাঁপন চলছে। তখন শীত ভেদ করে পাতার ফাঁকে ফাঁকে এখন শতে শতে দেখা মিলছে আমের স্বর্ণালী মুকুলের। ইতিমধ্যে মৌ মৌ ঘ্রাণ ছড়াতেও শুরু করেছে প্রকৃতিতে।

রোদ-কুয়াশার লুকোচুরির মধ্যেই বরগুনার ৪নং ইউনিয়নের কোটবাড়িয়া গ্রামের এ্যাড. সোহরাব এর আমের বাগানের প্রকৃতি সাজাতে স্বর্ণালী মুকুল প্রষ্ফুটিত হচ্ছে গাছে গাছে। তিনি এরই মধ্যে বাগান পরিচর্যায় নেমে পড়েছেন। এবার অনেক গাছে আগাম মুকুলের দেখা মিলছে। এতে সে এবং তার পরিবার সহ তার কমর্চারিরাও ভীষণ খুশি।

তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, মৌসুম শুরুর আগে গাছে মুকুল আসা তেমনটা ভালো নয়। কারন আগেভাগে মুকুল আসায় কুঁয়াশায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে গাছে গাছে আগাম মুকুলে বাগানের মালিক সোনাখালী এলাকার নাসির উদ্দিন, ও অন্যান্য চাষিরাও খুশি।

শুক্রবার সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, চান্দখালী, লাকুরতলা, বুড়িরচর, সোনাখালী, কোটবাড়িয়া, আদম দরবার এলাকায় অপেক্ষাকৃত ছোট ছোট আম গাছে মুকুল আসতে শুরু হয়েছে। কিছু কিছু গাছে মুকুলে ছেয়ে গেছে গাছ। সোনারাঙা সেই মুকুলের সৌরভ ছড়াচ্ছে বাতাসে। প্রজাপতি, মৌমাছি মধু সংগ্রহে ব্যাস্ত হয়ে পরছে। অন্যদিকে মুকুল আসা শুরুর পর থেকেই বাগানের পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন বাগানের মালিক, চাষি ও ব্যবসায়ীরা।

আম চাষি ও বাগান মালিকরা বলছেন, মাঘের মাঝামাঝিতে গাছে মুকুল দেখে তারা বুঝছেন, আমের মৌসুম এসে গেছে। বাগানের গাছগুলোর যত্ন নিতে পরিশ্রম শুরু করে দিয়েছেন। ভালো ফলনের আশায় জোরেশোরে বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত তারা। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবার গাছগুলোতে মুকুলের সমারোহ ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে এবারও আমের বাম্পার ফলন হবে।

বরগুনা অঞ্চলে ১৫ থেকে ২০ জাতের আম চাষ হয়ে থাকে। আর সারা বাংলাদেশে রয়েছে ২শ ৫০ জাতের। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ফজলী, গোপাল ভোগ, মোহন ভোগ, ন্যাংড়া, ক্ষিরসাপাত, হিমসাগর, কৃষাণ ভোগ, মল্লিকা, লক্ষণা, আম্রপলি, দুধসর, দুধকলম, বিন্দাবনী, আরজান, রাণী পসন, মিশ্রীদানা, সিঁন্দুরী, আশ্বিনা সেই সঙ্গে নানা প্রকার গুটি আম।

বরগুনা সদর উপজেলার কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের কোটবাড়িয়া আদম দরবার এলাকার এ্যাড. সোহরাব হোসেন মামুন আম চাষি জানান, তার একটি আম বাগান রয়েছে। অধিকাংশ গাছেই মুকুল দেখা দিয়েছে। তাও খুব সামান্য। সম্ভাব্য মুকুলের মাথাগুলোকে পোকা মাকড়ের আক্রমন থেকে রক্ষার জন্য স্প্রে করা হচ্ছে। তবে কিছুদিন থেকে ঘন কুয়াশার কারনে মুকুল কিছুটা নষ্ট হয়েছে।

কৃষি বিভাগ বলছে, এবার শেষ সময়ে শীতের প্রকোপ থাকার পরেও আমের মুকুল এসেছে। তাদের ভাষ্য, জলবায়ূ পরিবর্তনের কারণে অপেক্ষাকৃত উষ্ণ এলাকায় কিছু কিছু গাছে আগাম মুকুলের দেখা মিলেছে। ফাল্গুনের শুরুতেই এবার শতভাগ গাছেই প্রষ্ফুটিত হবে মুকুল। আর এক সপ্তাহের মধ্যে পাল্টে যাবে আম বাগানের চেহারা। তখন গাছে গাছে দেখা মিলবে শুধু মুকুল আর মুকুল। স্বর্ণালী মুকুলের সুবাসিত গন্ধে মুখরিত হবে বরগুনা। তার আভাস এখনই পাওয়া যাচ্ছে বরগুনার প্রকৃতিতে। তাই আম প্রধান এই অঞ্চলের মানুষের এখনই সময় কাটটে শুরু করেছে আম গাছ ও মুকুলের যত্নআত্তি নিয়েই।

এদিকে এরইমধ্যে মুকুলের উকিতে গাছে গাছে প্রজাতির, মৌমাছির গুঞ্জন শুরু হয়েছে। মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণ যেন জাদুর মতো কাছে টানছে তাদের। গাছের প্রতিটি শাখা-প্রশাখায় তাই চলছে মৌমাছি আর ভ্রমরের সুর-ব্যঞ্জনা। বছর ঘুরে আবারও তাই ব্যাকুল হয়ে উঠেছে আম চাষিদের মন।

জেলার বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতেও চাষ হয়ে থাকে নানা জাতের আম। লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছরই আম চাষের জমি বাড়ছে বরগুনায়। কৃষি বিভাগ জানায়, আমের ফলন নির্ভর করে আবহাওয়ার ওপর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন বাগান মালিকরাও।

বরগুনা সদর উপজেলার বেতাগী উপজেলার আমবাগান মালিক অ্যাড. মনিরুল ইসলাম বলেন, আমার বাগানে কিছু ড়কিছু গাছে মুকুল দেখা দিয়েছে। তবে ২০-২৫ দিনের মধ্যে সব গাছে মুকুল চলে আসবে।

বরগুনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু সৈয়দ মো. জোবায়দুল আলম বলেন, এখনও পুরোদমে গাছে মুকুল আসেনি। তবে কিছু কিছু গাছে এসেছে। এ সময় পরিচর্যার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু আমাদের সাধারণ চাষিদের বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে কিছু প্রতিষ্ঠান অতি মুনাফার লোভে অতিরিক্ত রাসায়নিক ও হরমোন প্রয়োগ করাচ্ছে। এতে আমের গুণগত মান ঠিক থাকছে না।

নিউজ ট্যাগ: বরগুনা

আরও খবর



নির্বাচনে জয়লাভের পর ফের পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি পুতিনের

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় লাভের পর ফের পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে পশ্চিমাদের সতর্ক করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

পুতিন বলেন, রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্টের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের মধ্যে সরাসরি সংঘাতের অর্থ– পৃথিবী তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ থেকে মাত্র এক ধাপ দূরে।’ তবে এমন দৃশ্যপট কেউই চায় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ইউক্রেন যুদ্ধ ১৯৬২ সালের ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর পশ্চিমাদের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক গভীর সংকটে নিমজ্জিত করেছে। পুতিন একাধিকবার পারমাণবিক যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তবে ইউক্রেনে তিনি পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন না বলেও মন্তব্য করেছেন।

ফ্রান্সের প্রসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁন গতমাসে ইউক্রেনে পদাতিক বাহিনী মোতায়েন করার সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছিলেন। যদিও অধিকাংশ পশ্চিমা মিত্র ম্যাক্রঁনের সঙ্গে একমত হননি।

রয়টার্স এ নিয়ে পুতিনের কাছে মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। পুতিন বলেছিলেন, আধুনিক বিশ্বে সবই সম্ভব।’ অর্থাৎ পশ্চিমারা ইউক্রেনে সরাসরি সেনা মোতায়েন করলে রাশিয়া তার কাছে থাকা পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবে।

গত শুক্রবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। রবিবার সবশেষ দেশটির সবচেয়ে পশ্চিমে বাল্টিক সাগরের তীরে কালিনিনগ্রাদ অঞ্চলে ভোটগ্রহণ হয়। এরপর বুথ ফেরত জরিপের ফল প্রকাশ করে রাশিয়ার সরকারি জরিপ সংস্থা ভিটিএসআইওএম।

জরিপ অনুযায়ী, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৮৭ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে জয় পেয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণার আগে এ জরিপ করা হয়।


আরও খবর



শেষ মুহূর্তের গোলে হারলো বাংলাদেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে প্রথম লেগের ম্যাচে নিরপেক্ষ ভেন্যু কাতারে ৫-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ।

আজ মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ঘরের মাঠে ফিরতি লেগের ম্যাচে তাদের বিপক্ষে দারুণ লড়াই করে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। ৯০ মিনিট পর্যন্ত নিজেদের জাল অক্ষত রাখে। কিন্তু যোগ করা সময়ে (৯০+৪) গোল হজম করে ১-০ ব্যবধান হার মানে বাংলাদেশ।

তবে বাহবা দিতে হবে বাংলাদেশের গোলরক্ষক মিতুল মারমাকে। যিনি ফিলিস্তিনের অন্তত অর্ধডজন নিশ্চিত গোলের সুযোগ দারুণ দক্ষতায় রুখে দিয়েছেন। নতুবা হারের ব্যবধান আরও বড় হতে পারতো।

এদিন শুরু থেকে ফিলিস্তিনের সঙ্গে দারুণ লড়াই করে বাংলাদেশ। সেই লড়াইয়ে প্রথমার্ধে গোল পায় না কেউ। এরপর দ্বিতীয়ার্ধেও গোল হয় না। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর (৯০+২) দশজনের দলে পরিণত হয় ফিলিস্তিন। এ সময় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন আমিত মাহাজনা।

দশজনের দলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে যেখানে গোল করবে বাংলাদেশ, সেখানে উল্টো ৯০+৪ মিনিটের মাথায় তারা গোল হজম করে বসে। এ সময় ডি বক্সের বাইরে থেকে ইসলাম বাত্রানের বাড়িয়ে দেওয়া বলে ডান পায়ের শট নিয়ে জালে জড়ান ফিলিস্তিনের মিকেল তারমানিনি। নিশ্চিত করেন ১-০ ব্যবধানের জয়।

অন্যদিকে ঘরের মাঠে দারুণ খেলেও অন্তিম মুহূর্তের গোলে হৃদয় ভাঙে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের, সমর্থকদের।

জুনে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের পরবর্তী ম্যাচে ঘরের মাঠে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। প্রথম লেগে যাদের কাছে ৭-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




৭ ঘণ্টা পর ঢাকা-খুলনা রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

Image

৭ ঘণ্টা পর পাবনার ঈশ্বরদীতে তেলবাহী ও মালবাহী ট্রেনের লাইনচ্যুত দুটি বগি উদ্ধার করা হয়েছে। তারপর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। পাকশী পশ্চিমাঞ্চল বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহ সূফী নুর মোহাম্মদ বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল পৌনে সাতটার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, প্রায় সাত ঘণ্টা পর লাইনচ্যুত হওয়া দুটি টেনের দুই বগি উদ্ধার করা হয়। এরপর ঈশ্বরদী থেকে ঢাকা ও খুলনার সঙ্গে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এর আগে রাত ১১টা ৫০ মিনিটে পাবনার ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে তেলবাহী ট্রেনে মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে ঢাকার সঙ্গে খুলনা রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

পশ্চিমাঞ্চল পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন জানান, একটি তেলবাহী ট্রেন পার্বতীপুরে তেল নামিয়ে দিয়ে খুলনার দিকে যাবার পথে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে এসে দাঁড়ায়। ঘটনার সময় পাথর বোঝাই একটি মালবাহী ট্রেন ভারত থেকে ঢাকা যাবার পথে একই স্টেশনে দাঁড়ায়। এ সময় পাথর বোঝাই ট্রেনটি শানটিং করার সময় (বগি এক লাইন থেকে আরেক লাইনে নেয়ার সময়) তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। তখন তেলবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন ও মালবাহী ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। তারপর ঈশ্বরদী লোকোমোটিভ থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন গিয়ে বগি উদ্ধারে কাজ করে।

পাকশী পশ্চিমাঞ্চল বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক শাহ সুফি নূর মোহাম্মদ জানান, ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনা খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন, বিভাগীয় সিনিয়র সহকারী সংকেত প্রকৌশলী, সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা, সহকারী যান্ত্রিক প্রকৌশলী ও সহকারী প্রকৌশলী।

কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রাথমিকভাবে মালবাহী ট্রেনের চালক, সহকারী চালক এবং অন-ডিউটি সহকারী স্টেশন মাস্টারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: ঈশ্বরদী

আরও খবর



নিখোঁজের পরদিন ভুট্টা ক্ষেতে মিলল ব্যবসায়ীর মরদেহ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

নিখোঁজের একদিন পর ভুট্টা খেতে মিলল সোহেল হোসেন (৩৫) নামের এক ইলেকট্রিক ব্যবসায়ীর মরদেহ।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে পাবনার ঈশ্বরদী এয়ারপোর্টের পাশের ভুট্টা খেত থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে সোমবার রাতে দোকান থেকে নিখোঁজ হন সোহেল।

নিহত সোহেল হোসেন নাটোরের লালপুর উপজেলার পুরাতন ঈশ্বরদী গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে।

পুরাতন ঈশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) খন্দকার আব্দুল মান্নান বলেন, সোমবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ঈশ্বরদীর এয়ারপোর্ট মোড় থেকে ইলেকট্রিক দোকানদার সোহেল হোসেন নিখোঁজ হয়। রাত গভীর হওয়ায় পরিবারের লোকজন আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের নিকট খোঁজ করেন। কোথাও না পেয়ে ঈশ্বরদী থানা ও লালপুর থানায় খোঁজ নেন। সেখানেও না পেয়ে আশেপাশের এলাকায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে ঈশ্বরদী এয়ারপোর্টের (বিমানবন্দর) পাশে ভুট্টা ক্ষেতের আইল দিয়ে একটি মহিলা যাওয়ার পথে সোহেলের মরদেহ দেখতে পেয়ে তার আত্মীয়স্বজনদের খবর দেন। সোহেল স্থানীয়ভাবে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি হিসেবে পরিচিত। ভুট্টা ক্ষেতটি লালপুর থানার অধীনে হওয়ায় সেখানে লালপুর থানার পুলিশ  প্রাথমিক তদন্ত করছেন।

এ ব্যাপারে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ জানান, আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। প্রাথমিক তদন্তের কাজ চলমান রয়েছে। মৃত সোহেল মিস্ত্রির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছে। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর



ধনকুবের পুত্রের বিয়েতে নেচে মাতালেন তিন খান

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ধনকুবের মুকেশ আম্বানির ছোট ছেলে আনান্ত আম্বানি ও তার হবু স্ত্রী রাধিকা মার্চেন্টের প্রাক-বিবাহ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণে হলিউড -বলিউড সহ বিশ্বের নামী সব ব্যক্তিত্বদের আগমনে গুজরাটের জামনগরে বর্তমানে যেন চাঁদের হাট বসেছে।

সেখানেই জমিয়ে নাচলেন বলিউডের তিন খান। শাহরুখ, সালমান ও আমিরের নাচের বিরল এই দৃশ্য সামাজিক মাধ্যমে এখন ভাইরাল।

ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী , অস্কার প্রাপ্ত নাটু নাটু গানে হাসি মুখে একে অপরের সঙ্গে নাচে পা মেলালেন। আবার একে অপরের সিগনেচার পোজ নকলও করলেন তারা।

নাটু নাটু ছাড়াও সালমান, আমির এবং শাহরুখকে ছাইয়া ছাইয়া, মুজসে শাদি করোগি থেকে টাওয়াল ডান্স, জিনে কে হ্যায় চার দিন আর রং দে বাসন্তি-এর মাস্তি কি পাঠশালা-গানের স্টেপে নাচতে দেখা যায়।

শাহরুখ, সালমান এবং আমির ছাড়াও বলিউডের আরও বেশ কয়েকজন তারকাকেও দেখা গিয়েছে এই অনুষ্ঠানে। তাদের মধ্যে ছিলেন সিদ্ধার্থ মালহোত্রা, কিয়ারা আদভানি, সাইফ আলি খান, কারিনা কাপুর খান, বরুণ ধাওয়ান, অনিল কাপুর, সারা আলি খান, ইব্রাহিম আলি খান, অনন্যা পান্ডে এবং আদিত্য রায় কাপুর। রানী মুখার্জি, দীপিকা পাড়ুকোন, রণবীর সিং, রণবীর কাপুর এবং আলিয়া ভাটকে দেখা যায় অনুষ্ঠানে।

১-৩ মার্চ গুজরাটেরর জামনগরে রিলায়েন্স গ্রিনস-এ অনন্ত ও রাধিকার প্রাক-বিবাহের একাধিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রয়েছে নাচ-গানের আয়োজন। বহু প্রতীক্ষিত এই প্রাক-বিবাহ আসরের প্রথম সন্ধ্যায় মূল আকর্ষণ ছিল পপতারকা রিহানার পারফরম্যান্স। তবে দ্বিতীয় সন্ধ্যায় মঞ্চ মাতিয়েছেন বলিউড তারকারা। হবু দম্পতি অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের চার হাত এক হবে আগামী ১২ জুলাই।


আরও খবর