আজঃ বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

আমেরিকা না গেলে কিচ্ছু যায় আসে না: শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কে আমাদের ভিসা দেবে না, কে স্যাংশন দেবে, সেসব নিয়ে মাথাব্যথা করে লাভ নেই। ২০ ঘণ্টা জার্নি করে, আটলান্টিক পার হয়ে আমেরিকা না গেলে কিচ্ছু যায় আসে না। পৃথিবীতে আরও অনেক মহাসাগর আছে, অনেক মহাদেশ আছে। আমরা সেসব মহাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব করব।

শনিবার (৩ জুন) বিকেলে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের নবনির্মিত কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আগামী অর্থবছরের (২০২৩-২৪) প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেন, কিন্তু আমরা বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারব বলেই এই বাজেট দিয়েছি। আওয়ামী লীগ জনগণের দল। জনগণের জন্যই কাজ করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির দায়ে আমেরিকা কিন্তু তারেক জিয়াকে ভিসা দেয়নি। তারাই এখন আবার ওদের পেছনে ধর্না দিয়ে বেড়াচ্ছে। জনগণের প্রতি আমার আস্থা আছে, বিশ্বাস আছে। তারা জানে একমাত্র নৌকায় ভোট দিলে তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়। নৌকায় ভোট দিয়ে স্বাধীনতা পেয়েছে। নৌকায় ভোট দিয়ে উন্নত জীবন পেয়েছে। নৌকায় ভোট দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ পেয়েছে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, নেতাকর্মীদের বলব, জনগণের স্বার্থে জনগণের কারণে ত্যাগ স্বীকার করলে জনগণ কিন্তু সেটার মর্যাদা দেয়। এই কথাটা মনে রাখতে হবে। জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি, জাতির পিতাও করে গেছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আজকে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিশ্বে উজ্জ্বল হয়েছে। বাংলাদেশ আজকে যে গণতান্ত্রিক ধারা অর্জন করতে পেরেছে সেখানে আওয়ামী লীগসহ আমাদের সমমনা দলগুলোকে নিয়ে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়েই আমরা গণতন্ত্র অর্জন করতে পেরেছি। যার ফলে আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অশুভ শক্তি যেন মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সে দিকে লক্ষ্য রাখা আমাদের দায়িত্ব। এজন্য নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।


আরও খবর



উপাচার্যসহ ৭৫ জনের পদত্যাগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সরকার থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার দেশত্যাগের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সাব্বির সাত্তারসহ প্রশাসনে থাকা এ পর্যন্ত মোট ৭৫ সদস্য পদত্যাগ করছেন। ফলে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে প্রশাসনিক কার্যক্রমে। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রেজিস্ট্রার দপ্তর।

রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, সর্বপ্রথম গত ছয় আগস্ট পদত্যাগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ ও জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক প্রণব কুমার পান্ডে।

এরপর গত আট আগস্ট একযোগে পদত্যাগ করেন ৩৩ জন প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা শিক্ষকেরা। তাদের মধ্যে রয়েছেন, উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর ও অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম, হিসাব পরিচালক ড. শামসুল আরেফিন, ইংলিশ এন্ড আদার ল্যাঙ্গুয়েজ ইনিস্টিউটের পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন, কোয়ালিটি এসিউরেন্স সেলে পরিচালক ড. দুলাল চন্দ্র রায় এবং সহ-পরিচালক ড. মশিউর রহমান ও ড. আব্দুর রশিদ সরকার, কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক শহিদুল আলম, লিগ্যাল সেলের প্রশাসক সাদিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান গবেষণাগারের পরিচালক সায়েদ মুস্তাফিজুর রহমান, টিএসসিসি'র ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. মিজানুর  রহমান খান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসের প্রশাসক সাখাওয়াত হোসেন, রাকসু কোষাধ্যক্ষ ড. জাফর সাদিক, কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার প্রশাসক অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, শহিদ মীর আব্দুল কাইয়ুম আন্তর্জাতিক ডরমিটরির অর্ডেন আতিউর রহমান, ওআইএ এর পরিচালক ড. মো. আজিজুর রহমান, অফিস অব. দি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের সহকারী পরিচালক ড. শামস্ মুহাম্মদ গালিব, ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং এন্ড ডেভেলপমেন্টের সহকারী পরিচালক যিনাতুল ইসলাম, বিজ্ঞান কারিগরি কারখানার প্রশাসক ড. মো. মাহাবুবুর রহমান, বিএনসিসির প্রফেসর আন্ডার অফিসার ড. শমরিতা আলম।

প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হকসহ প্রক্টরিয়াল বডির সকল সদস্য পদত্যাগ করেন। সহকারী প্রক্টররা হলেন, ড. মাহফুজুর রহমান, ড. পুরনজিত মহালদার, ড. হাকিমুল হক, ড. জহুরুল আনিস, ড. সাইকা কবির মিতু, ড. হামিদুল হক, ড. জাকির হোসেন, ড. কনক পারভেজ, ড. রতন কুমার, ড. কামরুজ্জামান ও ড. আল মামুন।

এদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি আবাসিক হলের মধ্যে ৯টি হলের প্রাধ্যক্ষরা পদত্যাগ করেছেন গত ১৪ আগস্ট। পাশাপাশি এইসকল হলের ৩১ জন আবাসিক শিক্ষকও পদত্যাগ করেছেন।

পদত্যাগ করা ৯ প্রাধ্যক্ষ হলেন- রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জয়ন্তী রানী বসাক, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ফারজানা কাইয়ূম কেয়া, রহমতুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হাসনা হেনা, শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নাসিরুদ্দিন, তাপসী রাবেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ ড. জুয়েলী বিশ্বাস, বেগম খালেদা জিয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক হোসনে আরা খানম, মন্নুজান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশিদা খাতুন, বঙ্গবন্ধু হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শায়খুল ইসলাম মামুন জিয়াদ এবং শহীদ হবিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শরিফুল ইসলাম।

পদত্যাগ করা ৩১ জন আবাসিক শিক্ষক হলেন- রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষক ড. দুলাল চন্দ্র কবিরাজ, ড. ফেরদৌস আক্তার, ড. রনী রানী, ড. মো. মতিকুল ইসলাম ও সোমা দেব; বঙ্গমাতা হলের আবাসিক শিক্ষক ড. ইসতিয়াক মাহফুজ, ড. সুমনা সরকার, ড. বেবী বিশ্বাস ও ড. মনিকৃষ্ণ মহন্ত; রহমতুন্নেসা হলের আবাসিক শিক্ষক ড. মো. আমিরুজ্জামান, শারমিন আখতার, কে এম সাব্বির হাসান; জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষক তপন কুমার বর্মণ, হেমন্ত কুমার ভদ্র, ড. মো. আবদুর রশিদ ও ওমর ফারুক।

শহীদ হবিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষক ড. মো. সাইফুল ইসলাম, ড. মোহা. আশিক শাহরিয়ার, ড. ছালেকুজ্জামান খান ও মো. আরমান হোসেন; তাপসী রাবেয়া হলের আবাসিক শিক্ষক মো. তামজিদ হোসেন মোল্লা, মো. রাকিবুল ইসলাম, রাদিয়া আউয়াল তৃষা ও মো. ওমর ফারুক; বেগম খালেদা জিয়া হলের আবাসিক শিক্ষক আইরিন চৌধুরী, ড. শেখ সেমন্তী ও সঞ্জয় কুমার চক্রবর্ত্তী; মন্নুজান হলের আবাসিক শিক্ষক ড. খাইরুল ইসলাম, ড. মাহমুদা আকতার, ড. মো. শামীম হোসেন এবং ড. মো. ইসামঈল হোসেন।

এবিষয়ে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক তারিকুল হাসান বলেন, ব্যক্তিগত কারণেই অধিকাংশ প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন।


আরও খবর



বাংলাদেশ সীমান্তে আবারও রোহিঙ্গাদের ভিড়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মিয়ানমারের মংডু সীমান্তে অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢোকার অপেক্ষা করছে। সংখ্যাটা কমপক্ষে ২০ হাজার হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে রোহিঙ্গাদের ওপর ভয়াবহ ড্রোন হামলার জেরে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে।

বেশ কিছু লাশ নাফ নদী ধরে বাংলাদেশে ভেসে এসেছে। টেকনাফের একজন এনজিও কর্মী বাংলাদেশে বেশ কিছু লাশ দাফনের দাবি করেছেন। একজন রোহিঙ্গা বলেছেন, ড্রোন হামলায় মংডু এলাকায় তার ৯ জন আত্মীয় নিহত হয়েছেন। আর আহত চারজন বাংলাদেশে এসে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদিকে, বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে নিরাপত্তা ও টহল বাড়িয়েছে বিজিবি। অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।

গত সপ্তাহে বাংলাদেশের দিকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের মংডুতে ড্রোন হামলা চালানো হয়। গুলিও করা হয়। এতে অন্তত ২০০ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। আরাকান আর্মি এই হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম এখন পর্যন্ত অর্ধশত লাশ বাংলাদেশে ভেসে আসার খবর দিয়েছে। তবে টেকনাফ এলাকার এনজিও কর্মী মাহবুব আলম মিনার বলেছেন, আমার তত্ত্বাবধানেই ১৭০ জন রোহিঙ্গার লাশ আমরা এখানে দাফন করেছি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাফন করা হয়েছে শাহপরীর দ্বীপে বড় মাদ্রাসা মসজিদের কবরস্থানে, সেখানে ৫৫টি লাশ দাফন করা হয়েছে।

তিনি দাবি করেন, আমি যে তথ্য পেয়েছি তাতে টেকনাফ ও উখিয়া সীমান্তের ওই পাড়ে কমপক্ষে সাত থেকে ১০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় আছে।

টেকনাফ এলাকার এক ক্যাম্পের বাসিন্দা আব্দুন নূর বলেন, ড্রোন হামলা ও গুলিতে আমাদের পরিবারের চারজনসহ আমার পরিচিত মোট ৯ জন মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। আহত অবস্থায় পালিয়ে আসতে পেরেছেন চারজন। তাদের মধ্যে আমার বোন ও তার ছেলে-মেয়েরা আছে। তাদের বাংলাদেশের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমার জানা মতে সীমান্তের ওপারে ২০-৩০ হাজার রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। তাদের অবস্থা খুবই খারাপ।

আর কুতুপালং ক্যাম্পের ইউনূস আরমান বলেন, কিছু রোহিঙ্গা বিচ্ছিন্নভাবে আসছেন। তবে আসার অপেক্ষায় রয়েছেন কয়েক হাজার রোহিঙ্গা। তারা মংডুতে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও আরাকান আর্মি উভয়ের তোপের মুখে আছে।

মিয়ামারের আরাকানের সিটুএ-তে বাংলাদেশের সাবেক মিশন প্রধান মেজর (অব.) মো. এমদাদুল ইসলাম বলেন, কিছু রোহিঙ্গা মিয়ানমার বাহিনীতে যোগ দিয়েছে। ফলে এখন মংডু এলাকার রোহিঙ্গারা আরাকান আর্মির টার্গেটে পরিণত হয়েছে। আর এ কারণেই আরাকান আর্মি গত সপ্তাহে ওই ড্রোন হামলা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে আমরা যে খবর পাচ্ছি, তাতে প্রতি দিনই সেখানে রোহিঙ্গাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। আর তারা সীমান্তে এসে জড়ো হচ্ছেন। সীমান্ত সীল করা থাকায় তারা বাংলাদেশে ঢুকতে পারছেন না।

তার কথা, এখন বাংলাদেশ সরকারের চীনের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা দরকার। কারণ, মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ও আরাকান আর্মি উভয়ের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক রয়েছে। ফলে চীনের মাধ্যমে এর সমাধান সহজ, যদি তাদের রাজি করানো যায়। আর আলাদাভাবে মিয়ানমার সরকার ও আরাকান আর্মির সঙ্গেও ভিন্নভাবে যোগাযোগ করা প্রয়োজন।

মেজর (অব.) মো. এমদাদুল ইসলাম আরও বলেন, মংডুতে যা হচ্ছে, তা যদি না কমে, তাহলে বাংলাদেশ সীমান্তে চাপ বাড়তেই থাকবে। তখন পরিস্থিতি আরো জটিল হতে পারে।

টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নিরাপত্তা ও টহল জোরদার করা হয়েছে। ফোর্সও বাড়ানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত নতুন কোনো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকতে পারেনি।


আরও খবর
উত্তর প্রদেশে মাথাবিহীন নারীর লাশ উদ্ধার

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বন্যায় সাজেকে আটকা ২৫০ পর্যটক

প্রকাশিত:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে মাইনি ও কাচালং নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ডুবে গেছে খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়কের একাধিক অংশ। ফলে এ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আটকা পড়েছেন অন্তত ২৫০ পর্যটক।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেল থেকে সাজেক সড়কের কবাখালি, বাঘাইহাট বাজার ও মাচালং বাজারসহ একাধিক অংশ ৫-৬ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আক্তার বলেন, সাজেক সড়কের বাঘাইহাট বাজার, মাচালং ও কবাখালি অংশে পানি উঠে যাওয়ায় যানচলাচল বন্ধ আছে। এতে আটকা পড়েছে ২৫০ জন পর্যটক। তারা আজকে ফিরতে পারবে না।

এদিকে চেঙ্গী নদীর পানি কমে যাওয়ায় খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা থেকে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। খাগড়াছড়ির শহর তলীর এলাকা থেকে পানি নেমে গেছে। তবে কয়েক দফা বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় স্থানীয়রা দুর্ভোগে পড়েছে।


আরও খবর



শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আজ বসছেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে গত ১২ আগস্ট রংপুরের আবু সাঈদের বাড়িতে যান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ওই সময় তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

তারও আগে গত ৮ আগস্ট ফ্রান্স থেকে দেশে ফিরে এয়ারপোর্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।


আরও খবর



পুলিশের ১২ ডিআইজি ও ১২ এসপিকে রদবদল

প্রকাশিত:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ পুলিশের ১২ উপপুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এবং ১১ পুলিশ সুপারকে (এসপি) রদবদল করা হয়েছে। বুধবার (২১ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা শাখা থেকে জারি করা পৃথক প্রজ্ঞাপনে তাদের বদলি করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব মো. মাহাবুর রহমান শেখ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

বদলি হওয়া কর্মকর্তারা হলেন- ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নূরুল ইসলামকে রাজশাহীর সারদায় পুলিশ একাডেমিতে সংযুক্ত, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনাকে রাজশাহীর সারদায় পুলিশ একাডেমিতে সংযুক্ত, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শফিউর রহমানকে রেলওয়ে পুলিশে সংযুক্ত, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনিসুর রহমানকে নৌ পুলিশে সংযুক্ত, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মঈনুল হককে রাজশাহীর সারদায় পুলিশ একাডেমিতে সংযুক্ত, বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটে সংযুক্ত এবং ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি মো. শাহ আবিদ হোসেনকে ট্যুরিস্ট পুলিশে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরী পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) মো. সাইফুল ইসলামকে রাজশাহীর সারদায় পুলিশ একাডেমিতে সংযুক্ত, রাজশাহী মহানগরী পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) বিপ্লব বিজয় তালুকদারকে টিঅ্যান্ডআইএমে সংযুক্ত, সিলেট মহানগরী পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) মো. জাকির হোসেন খানকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) সংযুক্ত, গাজীপুর মহানগরী পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) মো. মাহবুব আলমকে রেলওয়ে পুলিশে সংযুক্ত এবং বরিশাল মহানগরী পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) জিহাদুল কবিরকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) সংযুক্ত করা হয়েছে।


আরও খবর