আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ন্যায়বিচার পাইনি

প্রকাশিত:সোমবার ০১ মার্চ ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ মার্চ ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

একাডেমিক গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির ঘটনায় শাস্তি হিসেবে পদাবনতি হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমান বলেছেন, তাঁকে  ষড়যন্ত্র করে অন্যায়ভাবে ফাঁসানো হয়েছে। তাঁকে বলির পাঁঠা বানানো হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ন্যায়বিচার পাননি। এ বিষয়ে প্রকৃত সত্য উদ্‌ঘাটন করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে কঠোর নির্দেশ দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতির কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যেও আছেন।

আজ সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সামিয়া রহমান এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলন আরও উপস্থিত ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ এবং আইনজীবী তুরিন আফরোজ।

সামিয়া রহমান বলেন, যে গবেষণার লেখার জন্য তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, সেটা তিনি লেখেননি, জমাও দেননি। এসংক্রান্ত প্রমাণও তাঁর কাছে আছে। এই ষড়যন্ত্রের পেছনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কেউ কেউ এবং কিছু শিক্ষক জড়িত রয়েছেন বলে ইঙ্গিত করেন সামিয়া রহমান। তবে তাঁদের নাম না বলে এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে তা বের করতে সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানান।

সামিয়া রহমান বলেন, এ ঘটনার জন্য জার্নালের রিভিউয়ার ও বোর্ডের শাস্তির সুপারিশ ছিল। তিনি বলেন, তাঁদের শাস্তি হয় না, কারণ তাঁরা প্রতিষ্ঠিত বলে বিশ্ববিদ্যালয় তা সুকৌশলে এড়িয়ে যায়, আর বলির পাঁঠা হই আমি। প্রতিহিংসা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাজনীতির নোংরামির চরম শিকার হলাম আমি।শিকাগো জার্নালের যে ব্যক্তির ই-মেইলের কথা বলা হয়েছে, সেটি ভুয়া বলে দাবি করেন সামিয়া রহমান।

গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমানকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদাবনতি দিয়েছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে তিনি পদোন্নতির জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

আর শাস্তি পাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষক প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজান এখন শিক্ষা ছুটি নিয়ে দেশের বাইরে আছেন। ছুটি শেষে ফেরার পর তিনি পদোন্নতি পেয়ে যেতেন। কিন্তু সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিভাগে যোগ দেওয়ার পর তাঁকে আরও দুই বছর প্রভাষক পদে চাকরি করতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: সামিয়া রহমান

আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে মেয়রের বিরুদ্ধে কাউন্সিলরদের অবস্থান, চলছে কর্মবিরতি

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও ব্যর্থতার সুরাহা চেয়ে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা বন্যার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে পৌরসভার সকল কাউন্সিলগণ। প্রতিবাদ স্বরূপ তারা দুইদিন থেকে কর্মবিরতিতে রয়েছেন। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

সোমবার (১১ মার্চ) বেলা ১১টায় কর্মবিরতিতে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঠাকুরগাঁও পৌরসভার প্যানেল মেয়র কাইয়ূম। পৌরসভার ১৫ জনের সকলেই এই কর্মবিরতি পালন করছেন বলে তিনি জানান।

ঠাকুরগাঁও পৌরসভার প্যানেল মেয়র কাইয়ূম চৌধুরী বলেন, পৌরসভায় সর্বমোট ১২টি ওয়ার্ড রয়েছে যার কোনোটিতে কোনো উন্নয়ন নেই। রাস্তাঘাটের বেহাল দশা। জনগণ আমাদেরকে ভোট দিয়েছে এমন পরিস্থিতিতে এই ব্যর্থতার দায় মেয়রকে নিতে হবে। সেই সাথে বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতি রয়েছে। পৌরসভার হেল্প ডেস্কে সীমাহীন অব্যবস্থাপনায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পৌর নাগরিকদের। আমরা এগুলার সুরাহা ও জবাবদিহিতা চাই। এর আগে আমাদের কর্মবিরতি থামবেনা।

পৌরভার ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মানিক ইসলাম বলেন, আমাদের মেয়র গত ৩ বছরে ৪৭বার ঢাকা গেছে যা সম্পূর্ণ পৌরসভার খরচে। ঠাকুরগাঁওয়ে কোনো মেয়রের ইতিহাসে এমনটা নেই। নিজের ভোগবিলাসে সে পৌরসভার টাকা খরচ করে, এই টাকাতো তার নিজস্ব সম্পদ না। এরকম চলতে থাকলে আমাদের এলাকার উন্নয়ন কিভাবে হবে, আমি আমার ভোটারদের কি জবাব দিবো।

৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা লুৎফর বলেন, গত দুইদিন থেকে কর্মবিরতিতে থাকার ফলে পৌরসভার কোনো কাজ করছেনা কাউন্সিলররা। এতে সেবা নিতে এসে বার বার ফিরে যাচ্ছে সেবা গ্রহীতারা। কাউন্সিলরদের এই অবস্থান বিপাকে ফেলেছে পৌরবাসীকে। দ্রুতই এই জটিলতার সুরাহা চাই।

আরেক বাসিন্দা রফিক বলেন, বেশ কয়বার আমি জন্ম নিবন্ধন এর কাগজ নিয়ে গেলেও কাজ করাতে পারিনি। জন্ম নিবন্ধন ছাড়া এখন শিশুর টিকা দেয়া যায় না। আমি কি করবো বুঝতে পারছিনা।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা বন্যা বলেন, বিষয়টি নিয়ে কাউন্সিলরদের সাথে আলোচনা চলছে। আশাকরি দ্রুতই এর একটা সুরাহা হবে।


আরও খবর



সোমালি জলদস্যুদের জানতে দেখুন এই পাঁচ সিনেমা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

গত কয়েক বছর স্তিমিত থাকলেও সম্প্রতি নতুন করে ব্যাপক তৎপরতা দেখা যাচ্ছে সোমালি জলদস্যুদের। গত মঙ্গলবার এই জলদস্যুরা বাংলাদেশি একটি জাহাজ ছিনতাই করে ২৩ জন নাবিককে জিম্মি করেছে। এরপর থেকেই ফের আলোচনায় তারা।

গত কয়েক দশকে সোমালি জলদস্যুদের নিয়ে তৈরি হয়েছে বেশ কয়েকটি সিনেমা। বাস্তবে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই সিনেমাগুলো তৈরি করা হয়েছে। টানটান উত্তেজনায় ভরা এই সিনেমাগুলোতে দেখানো হয়েছে নাবিকদের জিম্মি করা, মুক্তিপণ চাওয়া এবং না দিলে খুন করে ফেলার ঘটনা। বাস্তবে সোমালি জলদস্যুদের কাছে জিম্মি হওয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে এমন ব্যক্তিও অভিনয় করেছেন এসব ছবিতে। তাই প্রতিটি ঘটনা জীবন্ত হয়ে ফুটে উঠেছে পর্দায়। এক নজরে জেনে নিন সোমালি জলদস্যুদের নিয়ে তৈরি পাঁচ সিনেমা সম্পর্কে।

স্টোলেন সিস: ছবিটি মুক্তি পেয়েছে ২০১২ সালে। সোমালি জলদস্যুদের বিষয়গুলোকে ভিন্ন আঙ্গিকে দেখানো হয়েছে ছবিতে। ২০০৮ সালের ৭ নভেম্বর ড্যানিশ জাহাজ এমভি সিইসি ফিউচার ছিনতাইয়ে ঘটনা অবলম্বনে তৈরি হয়েছে ছবিটি। জিম্মি হওয়া নাবিকদের দুর্দশা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নির্মাতা থিমায়া পেইনের এই ছবিতে।

আ হাইজ্যাকিং: ড্যানিশ এই সিনেমাটি মুক্তি পায় ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর। ডেনমার্কের একটি কার্গো জাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনা অবলম্বনে নির্মাণ করা হয়েছে এই ছবি। কার্গো জাহাজের মালিকের জলদস্যুদের সঙ্গে দেন-দরবারের দৃশ্যগুলো দারুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

ফিশিং উইদাউট নেটস: এ সিনেমায় জলদস্যুদের জীবনকে পর্দায় তুলে এনেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নির্মাতা কাটলার হডিয়র্ন। জীবনে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে কীভাবে জেলেরা বেঁচে থাকার তাগিদে জলদস্যুতে পরিণত হয়েছেন, সেই ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে ছবিতে। ছবিটি ২০১২ সালে সানড্যান্স ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল-এ গ্র্যান্ড জুরি অ্যাওয়ার্ড সহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রচুর প্রশংসা এবং পুরষ্কার জিতেছে।

দ্য প্রজেক্ট: যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক অ্যাডাম চারলস্কি নির্মিত ডকুড্রামা দ্য প্রোজেক্ট। এতে তুলে ধরা হয়েছে সোমালি জলদস্যুদের আধিপত্যের কারণে শিপিং বিশ্ব কতটা হুমকিতে পড়েছে। এই জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণ করতে কী করা যায়, এসব বিষয়ও উঠে এসেছে ডকুড্রামাটিতে। বিশ্বের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে দেখানো হয়েছে ডকুড্রামাটি।

ক্যাপ্টেন ফিলিপস: আমেরিকান মালবাহী জাহাজ মারস্ক আলাবামা ২০০৯ সালের ৭ এপ্রিলে ছিনতাই করেছিল সোমালি জলদস্যুরা। জাহাজটির ক্যাপ্টেন ছিলেন রিচার্ড ফিলিপস। তার জিম্মি অবস্থায় দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়েছে সিনেমায়। রিচার্ড ফিলিপসের চরিত্রে অভিনয় করেছেন টম হ্যাঙ্কস। জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে রিচার্ড ফিলিপস বই লিখেছিলেন। সেই বই অবলম্বনে পল গ্রিনগ্রাস ক্যাপ্টেন ফিলিপস সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন।


আরও খবর



ডলার কারসাজি: ২১ ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিদেশি মুদ্রা অবৈধ ক্রয়-বিক্রয় ও অর্থ পাচারের অভিযোগে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবস্থিত চারটি ব্যাংক ও দুটি মানি এক্সচেঞ্জ হাউজের ২১ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (২৭ মার্চ) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ কমিশনের উপপরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন রাষ্ট্রায়ত্ত্ব জনতা ব্যাংকের সিনিয়র প্রন্সিপাল অফিসার ও বুথ ইনচার্জ আনোয়ার পারভেজ, প্রিন্সিপাল অফিসার শামীম আহমেদ, মো. আশিকুজ্জামান, সিনিয়র অফিসার মো. সুরুজ জামাল, অমিত চন্দ্র দে, মো. মানিক মিয়া, সাদিক ইকবাল, মো. সুজন আলী ও মো. হুমায়ুন কবির।

অন্যদিকে সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মো. শরীফুল ইসলাম ভূইয়া (ক্যাশ), মো. কামরুল ইসলাম (ক্যাশ), একই ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মো. সোহরাব উদ্দিন খান, খান আশিকুর রহমান, এবিএম সাজ্জাদ হায়দার (ক্যাশ), সামিউল ইসলাম খান, অগ্রণী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মো. আব্দুর রাজ্জাককে আসামি করা হয়। এ ছাড়া বেসরকারি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের অফিসার মো. আবু তারেক প্রধান, ব্যাংকটির সাপোর্টিং স্টাফ মো. মোশাররফ হোসেন, এভিয়া মানি এক্সচেঞ্জারের কাস্টমাস সার্ভিস ম্যানেজার মো. আসাদুল হোসেন ও ইম্পিরিয়াল মানিএক্সচেঞ্জের পরিচালক কে এম কবির আহমেদকে আসামি করা হয়।

দুদক সচিব বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দরে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় বিদেশি মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় ও মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। তারা অবৈধভাবে বিদেশ হতে আসা প্রবাসীদের থেকে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করে মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচারকারী দুর্নীতিবাজদের মুদ্রা সরবরাহ করেন।’


আরও খবর



রমজানে ৫০ লাখ পরিবারকে চাল দেওয়া হবে: খাদ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় পবিত্র রমজান উপলক্ষে আগামী ১০ মার্চের মধ্যে ৫০ লাখ পরিবারকে দেড় লাখ টন চাল বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

আজ সোমবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে চলা জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন শেষে করা প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এই তথ্য জানান।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ১ মার্চ থেকেই লিফটিং (ডিলারদের চাল ওঠাতে) করতে বলেছি। ১ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত আমাদের একটি সিদ্ধান্ত ছিল। সেটা কমিয়ে ১০ মার্চের মধ্যে ৫০ লাখ পরিবারকে দেড় লাখ টন খাদ্য বিতরণ শেষ করা হবে।

এর ফলে বাজারে স্বস্তি ফিরবে কি না, এমন প্রশ্নে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, দেড় লাখ টন চাল যদি বাজারে ১৫ টাকা দরে যায়, তাহলে ৫০ লাখ পরিবারকে তো আর বাজার থেকে চাল কিনতে হবে না। এতে স্বস্তি আসবে বলে মনে করি।

২০ ফেব্রুয়ারি থেকে বস্তায় চালের দাম ও জাত লেখা থাকার সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে কি না, জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পরিপত্র জারি করব বলেছিলাম আর কার্যকর করব ১৪ এপ্রিল বা পহেলা বৈশাখ থেকে। তখন বাজারে বোরোর নতুন চাল আসবে। যেসব চাল এখন বাজারে বস্তাবন্দী আছে এবং সিল মারা আছে, সেগুলো এখন আর কেউ প্যাকেট চেঞ্জ করবে না। কাজেই নতুন বছরে বোরো চাল উঠবে, তখন থেকে এটা কার্যকর হবে।

ডিসিদের কাছে হালনাগাদ তথ্য আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডিসি ও মিলমালিকদের সঙ্গে মিটিং শুরু হয়েছে। ধান ও চালের জাতের যে নমুনা, সেটা তাদেরও সরবরাহ করা হচ্ছে। ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট সে জাতগুলো দিয়েছে। আউশ, আমন ও বোরোতে কোন কোন জাত, কোনটা মোটা, মাঝারি ও সরু সেই জাত দিয়েছে, সেটা নিয়ে তাদের সঙ্গে কাজ করছি।

মন্ত্রী বলেন, মজুদবিরোধী অভিযান অনেকাংশেই সফল হয়েছে। ডিসিদের নির্দেশনা দিয়েছি যাতে বস্তার গায়ে জাতের নাম লেখা নিয়ে যে পরিবর্তন এসেছে, সেটা বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতা করে।


আরও খবর



২০২৫ সালের এসএসসি ফেব্রুয়ারিতে, এইচএসসি এপ্রিলে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে শুরু হতে পারে। এ পরিকল্পনা অনুযায়ী সেভাবেই প্রস্তুতি নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। একই সঙ্গে আগামী বছর এপ্রিলের শুরুতেই এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানিয়েছেন।

অধ্যাপক তপন কুমার বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির আগে আমরা সাধারণত এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারির শুরুতে আয়োজন করতাম। আমরা আগের সেই সূচিতে ফিরে যেতে চাই। এসএসসি পরীক্ষা দ্রুত শেষ করতে পারলে এইচএসসি পরীক্ষাও আগের সূচিতে আয়োজন করা যাবে।

ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, এইচএসসি পরীক্ষা এপ্রিল মাসে আয়োজন করা হতো। করোনার কারণে পাবলিক পরীক্ষার সূচিতে পরিবর্তন আনতে হয়েছে। আশা করছি আগামী বছর ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এসএসসি এবং এপ্রিলের শুরুতেই এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজন করতে পারবো।

আগামী বছরের এইচএসসি পরীক্ষার সিলেবাস সম্পর্কে অধ্যাপক তপন কুমার বলেন, আমাদের পরিকল্পনা ছিল পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে শিক্ষার্থীদের সিলেবাস শেষ করা কঠিন হওয়ায় সংক্ষিপ্ত অর্থাৎ ২০২৩ সালের সিলেবাস অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

নিউজ ট্যাগ: এসএসসি এইচএসসি

আরও খবর