বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিকে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা ব্যবসায়ী বলেই বেশি সম্বোধন করেন বলে তিনি অভিযোগ করে বলেছেন, আমি ব্যবসায়ী বলে আমার অপরাধ। মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বাণিজ্য সংগঠন বিল-২০২২ উত্থাপন করলে বিলের উপর জনমত যাচাইয়ের আলোচনায় বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এ কথা বলেন। এর আগে জনমত যাচাইয়ের আলোচনায় অংশ নিয়ে গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী দেশের শীর্ষস্থানীয় সফল ব্যবসায়ী। মন্ত্রী হিসেবে তিনি কতটুকু সফল সেটা বলতে না পারলেও, বাজারে গেলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সেটি ভালোভাবে জানা যাবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দাবি করে তারা ব্যবসাবান্ধব। যে সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী একজন ব্যবসায়ী, সেই সরকার জনবান্ধব নয়, ব্যবসাবান্ধব হওয়াই স্বাভাবিক।
বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, আমি বরাবরই লক্ষ্য করি কেউ আমার মন্ত্রণালয়ের কোনো কথা বলতে গেলে প্রথমেই বলেন যে বাণিজ্যমন্ত্রী নিজেই তো ব্যবসায়ী। আমি ব্যবসা করি আজকে ৪০ বছর, আর রাজনীতি করি আজকে ৫৬ বছর। ৬৬ সাল থেকে রাজনীতি শুরু করেছি কিন্তু রাজনীতিবিদ হতে পারলাম না। এই ঢাকা শহরে ৭৩ সালে ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম। ৬৯ সালে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমার, কোনো উকিল বা ডাক্তার যখন পার্লামেন্টে মেম্বার হয় তখন কেউ বলে না যে এখানে উকিল বা ডাক্তার কেন আসছে? কিন্তু আমি ব্যবসায়ী বলে আমার অপরাধ।
তিনি বলেন, দুর্ভাগ্য আমার আমি কেন যে ব্যবসায়ী হলাম। আমাকে বার বার এ কথাটাই শুনতে হয়। এ দু:খ যাবে না তার কারণ রাজনীতি সেই ৬৯ সাল থেকে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেছি। ৬৬ সালে ঢুকেছি, বাবাসহ একসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ করেছি। আজকে যেখানে দাড়িয়ে এই বক্তৃতা দিচ্ছি ৭৩ সালে আমি এই এলাকার ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট। দুর্ভাগ্য আমার তবুও আমি ব্যবসায়ী।
মন্ত্রী বলেন, আমরা সবাই জানি জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। আমি কখনোই বলি নাই যে যুদ্ধের কারণে তেলের দাম বেড়েছে। বারবার বলা হচ্ছে সিন্ডিকেট, সরকার কোনো ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে না। ব্যবসাকে সাহায্য করতে চায়। যে কেউ চাইলে আপনারাও তেল আনতে পারেন। তেল আনতে কোনো বাধা নাই। সরকার চেষ্টা করে যাতে সবায় ন্যায্য মূল্যটা পায় যে ন্যায্য মূল্যটা হওয়া উচিত।