আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

আমি নির্বাচনে হারলে মার্কিন গণতন্ত্রের অবসান ঘটবে : ট্রাম্প

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

চলতি বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সময় যতই এগিয়ে চলেছে, বৈশ্বিক পরাশক্তি এই দেশটিতে রাজনৈতিক উত্তাপও বাড়ছে সমানতালে। চার বছর আগের মতো এবারের নির্বাচনেও দেখা মিলবে বাইডেন ও ট্রাম্পের দ্বৈরথ।

আর তাই গত নির্বাচনের পরাজয়ের ক্ষত থেকেই উত্তেজনার পারদ চড়াচ্ছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার দাবি, সামনের নির্বাচনে তিনি হারলে মার্কিন গণতন্ত্রের অবসান ঘটবে।

এমনকি তিনি না জিতলে রক্তগঙ্গা বয়ে যাওয়ার বিষয়েও সতর্ক করেছেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। রোববার (১৭ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার বলেছেন, তিনি যদি আগামী নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী না হন তবে এর অর্থ হবে আমেরিকান গণতন্ত্রের সম্ভাব্য সমাপ্তি বা অবসান। রিপাবলিকান পার্টির এই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ওহিওতে সমর্থকদের সাথে কথা বলার সময় ২০২০ সালের নির্বাচন নিয়ে তার ভিত্তিহীন দাবিরও পুনরাবৃত্তি করেন।

তিনি দাবি করেন, ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে ২০২০ সালের নির্বাচনে তার পরাজয় ছিল নির্বাচনী জালিয়াতির ফলাফল।

রয়টার্স বলছে, স্থানীয় সময় শনিবার আউটডোরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প ভবিষ্যদ্বাণী করেন, তিনি যদি আগামী ৫ নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী না হন তবে আমেরিকান গণতন্ত্রের অবসান ঘটবে। ট্রাম্প বলেন, আমরা যদি এই নির্বাচনে না জিততে পারি, আমি মনে করি না যে আপনারা এই দেশে আর কোনও নির্বাচন পাবেন।

জর্জিয়ায় ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দেওয়ার চেষ্টা করার দায়ে ট্রাম্প বর্তমানে ফৌজদারি অভিযোগের অধীনে রয়েছেন। আর এর মধ্যেই চলতি সপ্তাহে রিপাবলিকান মনোনয়ন পাওয়ার জন্য যথেষ্ট সমর্থন পেয়ে গেছেন তিনি।

ট্রাম্প এদিন ডেটনে তার সমর্থকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এই মন্তব্যটি করেন যারা ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি মার্কিন ক্যাপিটলে দাঙ্গা ও হামলার জন্য কারাগারে রয়েছেন। সেদিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে জো বাইডেনকে আনুষ্ঠানিক ভাবে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তুতি চলছিল।

একপর্যায়ে ক্যাপিটল ভবনের নিরাপত্তা ব্যারিকেড ও মূল ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন ট্রাম্প সমর্থকরা। হামলাকারীদের অনেকেই ছিল সশস্ত্র। ভেতরে ঢুকে সিনেট হলে রীতিমতো তাণ্ডব চালায় তারা। শুধু তা-ই নয়, তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিসহ বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতার কার্যালয়ও তছনছ করে তারা। হামলা-সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্যসহ নিহত হন পাঁচজন। সেই ঘটনায়ই ট্রাম্পের অনেক সমর্থক কারাগারে রয়েছেন। তবে ট্রাম্প তাদেরকে স্যালুট জানান এবং তাদের দেশপ্রেমিক এবং জিম্মি বলেও আখ্যায়িত করেন।

রয়টার্স বলছে, সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট দেশের অবস্থা সম্পর্কে তার বক্তৃতায় ক্রমবর্ধমানভাবে ডাইস্টোপিয়ান (এমন কল্পিত রাষ্ট্র বা সমাজ যেখানে ব্যাপক যন্ত্রণা ও কষ্ট বা অবিচার আছে) ব্যবহার করছেন।

আমদানি করা গাড়ির ওপর শুল্ক বসানো এবং মার্কিন অটো শিল্পের জন্য বিদেশি প্রতিযোগিতার বিষয়ে নিজের বক্তৃতার একটি অংশের মাঝখানে ট্রাম্প ঘোষণা করেন: আমি যদি নির্বাচিত না হই, তবে এটি পুরো দেশের জন্য রক্তগঙ্গা হতে চলেছে।

এদিকে মার্কিন অটো শিল্প এবং অর্থনীতি সম্পর্কে আলোচনার মধ্যে ট্রাম্পের রক্তগঙ্গা মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রচারণার মুখপাত্র জেমস সিঙ্গার ট্রাম্পের চরমপন্থা, প্রতিশোধের প্রতি তার তৃষ্ণা এবং তার রাজনৈতিক সহিংসতার হুমকির নিন্দা করেন।

ট্রাম্প কৃষ্ণাঙ্গ এবং হিস্পানিকদের (লাতিন আমেরিকান বংশোদ্ভূত এবং বিশেষ করে কিউবান, মেক্সিকান বা পুয়ের্তোরিকান বংশোদ্ভূত ব্যক্তি যারা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন) কাছেও আবেদন করেছেন।

তার মতে, এই ভোটাররা নভেম্বরের নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করবে।

নিউজ ট্যাগ: ডোনাল্ড ট্রাম্প

আরও খবর



ইরানে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

এবার ইরানের ভূখণ্ডে একটি ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দুটি মার্কিন সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

এই ঘটনার পর বেশ কয়েকটি শহরে বিমান চলাচল বাতিল করার কথা জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।

এর আগে, গত শনিবার ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর থেকেই উচ্চ সতর্কতায় ছিলো ইরান।

ইরানের ইসফাহান শহরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে এই বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

ফার্স নিউজ স্থানীয় বিমানবন্দরের কাছে বিস্ফোরণের খবর দিলেও কোনো বিস্তারিত তথ্য দেয়নি। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি ইরানি প্রদেশে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু করার খবর দিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইরনা।


আরও খবর



চুয়েটের ২ শিক্ষার্থীক চাপা দেয়া সেই বাসচালক গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

বাসের ধাক্কায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বাসচালক তাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বাড়ি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার পৌরসভার উত্তর ঘাটচেক এলাকায়।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জেলা বিশেষ শাখা) আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আরিফ হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে কাপ্তাই সেলিনা কাদের চৌধুরী কলেজ সংলগ্ন এলাকায় বাসের ধাক্কায় চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা এবং গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌফিক হোসাইন। একই ঘটনায় আহত হয়ে জাকারিয়া নামের আরেক চুয়েট শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনায় ওই দিন রাত ৮টার দিকে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বাস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।


আরও খবর



তীব্র গরমে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চলমান দাবদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার (২১ এপ্রিল) থেকে ৭ দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন এ কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, তীব্র গরমের কারণে ২১ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয়সমূহ ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে।

এর আগে সকালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, গরমের কারণে স্কুল শুরুর আগে অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে। কিন্তু ক্লাস চলমান থাকবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।

রমজান, ঈদ ও বৈশাখের টানা ২৬ দিনের ছুটি কাটিয়ে রোববার (২১ এপ্রিল) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার কথা ছিল। তবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ছুটি আরও বাড়ানোর দাবি জানায় অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।


আরও খবর



ভয়াবহ খরায় জিম্বাবুয়েতে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দীর্ঘদিন ধরে ভয়াবহ খরায় ভুগছে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশ জিম্বাবুয়ে। আর এরই জেরে এবার খরা মোকাবিলায় জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। এছাড়া ক্ষুধা মোকাবিলায় বিপুল অর্থ প্রয়োজন বলেও জানিয়েছে দেশটি। বুধবার (৩ এপ্রিল) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘস্থায়ী খরা সংকট মোকাবিলায় জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাগওয়া দেশটিতে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করেছেন। নানগাগওয়া বুধবার বলেছেন, কম বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট খরা ও ক্ষুধা মোকাবিলায় তার দেশের ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন। মূলত বৃষ্টিপাত কম হওয়ার ফলে দেশটির প্রায় অর্ধেক ভুট্টা ফসল নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।

এদিকে শস্যের ঘাটতি জিম্বাবুয়েতে খাদ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে এবং এতে করে আনুমানিক ২৭ লাখ মানুষ ক্ষুধার মুখোমুখি হবে। এছাড়া প্রতিবেশী জাম্বিয়া এবং মালাউইও সম্প্রতি খরার কারণে রাষ্ট্রীয় দুর্যোগ বা বিপর্যয়ের ঘোষণা দিয়েছে।

কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন, আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশগুলোতে চলমান এই খরা হবে গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ। ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি) বলেছে, ১ কোটি ৩৬ লাখ মানুষ বর্তমানে এই অঞ্চলে সংকট স্তরের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাগওয়া বলেন, সমস্ত জিম্বাবুয়ের জন্য খাদ্য সুরক্ষিত করাই আমাদের অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে। জিম্বাবুয়ের কোনও নাগরিককে ক্ষুধায় আত্মহত্যা করতে বা মরতে হবে না।

জিম্বাবুয়ে অবশ্য ইতোমধ্যেই খাদ্য মূল্যের কারণে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির শিকার হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দেশটি এখন আন্তর্জাতিক বাজারে পর্যাপ্ত ভুট্টা খুঁজে পেতে আঞ্চলিক লড়াইয়ে যোগ দিয়েছে।

বিবিসি বলছে, জিম্বাবুয়ে একসময় আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলে রুটির ঝুড়ি হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফসল এবং গবাদি পশুর ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি মারাত্মক খরার সম্মুখীন হয়েছে দেশটি। আফ্রিকার এই দেশটিতে সবচেয়ে খারাপ খরা ঘটেছিল ১৯৯২ সালে। সেসময় দেশটির গবাদি পশুর এক-চতুর্থাংশই মারা গিয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ক্রমবর্ধমান শুষ্ক আবহাওয়া আবারও ফিরে এসেছে। এর আগে ২০১৬ সালে এবং এরপর ২০১৯ সালেও দেশটিতে খরা ঘোষণা করা হয়েছিল।

যদিও সব খরা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হয় না, তবে বায়ুমণ্ডলে অতিরিক্ত তাপ পৃথিবী থেকে আরও বেশি আর্দ্রতা বের করে দেয় এবং এতে করে খরা আরও বেশি খারাপ হয়ে উঠছে।

উল্লেখ্য, শিল্প যুগ শুরু হওয়ার পর থেকে পৃথিবী ইতোমধ্যেই প্রায় ১.২ সেলসিয়াস তাপমাত্রায় উষ্ণ হয়েছে এবং বিশ্বের সকল দেশ কার্বন নির্গমন ব্যাপকভাবে হ্রাস না করলে তাপমাত্রা আরও বাড়তেই থাকবে।


আরও খবর



ট্রলের জবাবে যা বললেন রাশমিকা

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

দফায় দফায় বিতর্কের মুখে পড়েছে রণবীর-রাশমিকার অ্যানিমেল ছবি। নারীবিদ্বেষীর তকমা মেলে। সম্প্রতি নেহা ধুপিয়ার একটি অনুষ্ঠানে এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন পর্দার গীতাঞ্জলি

তিনি বললেন, রণবীরের চরিত্র বিজয় তার বাবার জন্য যত দূর ইচ্ছে যেতে পারে। মাথার মধ্যে বিশৃঙ্খল চিন্তাভাবনা। ছবির শুটিংয়ের সময় এই কথাটা মাথায় গেঁথে নিয়েছিলাম আমি। এটা নিয়ে কেউ কিছু করতে পারবে না। কারণ এই চরিত্রকে ঘিরেই গল্প। ছবির স্বতন্ত্রতা, পটভূমি ও প্রকৃত স্বাদ বজায় রাখার নিদর্শন এই ছবি। ছবি দেখার পর নারীবিদ্বেষী বা অন্য কিছু বলে লাভ নেই। ছবি যদি উপভোগ করে থাকেন তা হলে এই বিষয়গুলো বাদ দিন।

রণবীরের সঙ্গে তৃপ্তি ডিমরির সাহসী দৃশ্য, রাশমিকার অভিনয় এমনকি শারীরিক গঠন নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন দর্শকের একাংশ। নারীদের শারীরিক গঠন নিয়ে ট্রলিং সমর্থন করি না। আমার সংলাপ বা অন্য কোনো বিষয় নিয়ে ট্রল করা হলে অসুবিধা নেই, বলেন রাশমিকা মান্দানা।

রাশমিকার হিন্দি সংলাপ নিয়েও দর্শকের সমালোচনার শিকার হন এই দক্ষিণী তারকা। তার কথায়, সেটে সবাই করবাচৌথের দৃশ্যটি পছন্দ করেছিল। কিন্তু প্রচার ঝলক মুক্তি পাওয়ার পর আমাকে ওই দৃশ্য নিয়ে ট্রল করা হয়। আমি কিন্তু ভেবেছিলাম, এই ৯ মিনিটের দৃশ্যটি আমি খুব ভালো করেছি। তা হলে কি আমি বুদবুদে বাস করছিলাম এতদিন? আমি জানি, আমি যা করছি সবই সুন্দর নয়। কিন্তু নির্দিষ্টভাবে এই বিষয়টি আমি বুঝতে পারিনি। পরে যখন দেখলাম, ছবি মুক্তি পাওয়ার পর অধিকাংশ দর্শকের কাছে আমার এই দৃশ্যটি প্রশংসা পেয়েছে, তখন বুঝলাম প্রথম থেকে আমার ভাবনা সঠিক ছিল।


আরও খবর