শ্রীলংকার সদস্যপদ স্থগিত করেছে আন্তর্জাতিক
ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। দেশটির ক্রিকেট বোর্ডে দুর্নীতির অভিযোগ এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের
হস্তক্ষেপ নিয়ে গত কিছুদিন ধরেই আলোচনা চলছিল।
শুক্রবার রাতে এক বিবৃতিতে আইসিসি জানায়,
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে শ্রীলংকার সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। ১৯৮১ সালে আইসিসির
পূর্ণ সদস্যপদ পেয়েছিল শ্রীলংকা।
আইসিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আইসিসি বোর্ড
আজ সভায় বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রীলংকা ক্রিকেট সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বিধিনিষেধ
লঙ্ঘন করেছে। বিশেষ করে, স্বাধীনভাবে কাজ করতে ক্রিকেট প্রশাসনকে সরকারি হস্তক্ষেপের
বাইরে থাকার প্রয়োজন ছিল। সময়মতো এই স্থগিতাদেশের শর্তগুলো জানিয়ে দেবে আইসিসি বোর্ড।’
বিশ্বকাপে এমন বাজে পারফরম্যান্সের কারণে
ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাহী কমিটির পদত্যাগ দাবি করেছিলেন দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রী রোশান
ফার্নান্দো। এক বিবৃতিতে ক্রীড়ামন্ত্রী জানান, ‘শ্রীলংকার ক্রিকেট
অফিসিয়ালদের পদে থাকার কোনো নৈতিক অধিকার নেই। তাদের স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা উচিত।’
শ্রীলংকার ক্রীড়া আইন অনুযায়ী অন্য খেলার
মতো ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনেই থাকবে এসএলসি। কিন্তু আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী বোর্ডে
সরকারি কোনো হস্তক্ষেপ থাকতে পারবে না। যে কারণে চাইলেও খুব একটা প্রভাব দেখাতে পারে
না মন্ত্রণালয়। ২০১৪ সালে নির্বাচিত বোর্ড ভেঙে অন্তর্বর্তীকালীন এক কমিটি গড়েছিল শ্রীলংকা
সরকার। তখন আইসিসি শ্রীলংকার প্রাপ্য অর্থ প্রদান স্থগিত করেছিল।
আইসিসি নিষেধাজ্ঞা দিলেও সেই নিষেধাজ্ঞা
খুব দ্রুতই উঠে যাবে এমন আশা ব্যক্ত করেছে শ্রীলংকার অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস। তিনি বলেন,
‘আমরা আশা করছি
দ্রুতই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে। এতে করে আমরা আবার অনুশীলন শুরু করতে পারবো। অনূর্ধ্ব-১৯
ক্রিকেট বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পারাটাও আমাদের জন্য বিশেষ কিছু হবে।’