আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

আমরা ক্ষমতাকে জনগণের সেবা করার সুযোগ হিসেবে দেখি : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার ক্ষমতাকে জনগণের সেবা করার সুযোগ হিসেবে দেখে। তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তার অটল অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষমতাকে জনগণের সেবা করার সুযোগ হিসেবে দেখি। অনেক বাধা-বিপত্তি মোকাবিলা করে ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকায় দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় পর্যায়ে নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ নয় বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ জাতীয় বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৩ তুলে দেন।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হত্যার পর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বারবার বাধাগ্রস্ত হয় এবং স্থিতিশীলতার অভাবের কারণে বাংলাদেশ এর আগে খুব একটা অগ্রগতি দেখতে পায়নি।

দেশের সার্বিক উন্নয়নে তার সরকারের সময়োপযোগী ও সুপরিকল্পিত পদক্ষেপের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে সরকার প্রধান বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে কারণ, আমরা কখনো এডহক ভিত্তিতে কোন পরিকল্পনা নেই নি।

তিনি বলেন, আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অক্ষুন্ন রেখে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছি। সুনির্দিষ্ট ও দূরদর্শী পরিকল্পনা নিয়ে আমরা সবকিছু করেছি। আমরা কোন এডহক ভিত্তিতে কিছুই করিনি। পরিকল্পনার ক্ষেত্রে আমরা সবসময় দেশের জনগণের কল্যাণকে প্রাধান্য দিই। 

স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন, মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) শামসুল আলম, প্রয়াত লেফটেন্যান্ট এজি মোহাম্মদ খুরশীদ (মরণোত্তর), শহীদ খাজা নিজামউদ্দিন ভূঁইয়া (মরণোত্তর) এবং মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া) বীর বিক্রম।

সাহিত্য ক্যাটাগরিতে প্রয়াত ড. মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন আহমেদ (সেলিম আল দীন) (মরণোত্তর) এবং সাংস্কৃতিক এবং ক্রীড়া ক্যাটাগরিতে যথাক্রমে পুরস্কার পেয়েছেন পবিত্র মোহন দে এবং এএসএম রকিবুল হাসান।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর সমাজ সেবা/জনসেবা বিভাগে এবং গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ক্যাটাগরিতে বেগম নাদিরা জাহান (সুরমা জাহিদ) এবং ড. ফেরদৌসী কাদরী পুরস্কার পেয়েছেন। এর আগে ৯ মার্চ স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

প্রত্যেক পুরস্কার প্রাপ্তরা প্রত্যেকে একটি করে স্বর্ণপদক, একটি সার্টিফিকেট এবং সম্মানী চেক পেয়েছেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এবং পুরস্কার প্রাপ্তদের সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত তুলে ধরেন। পুরস্কার প্রাপ্তদের মধ্যে ড. ফেরদৌসী কাদরী অনুষ্ঠানে তার নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হলেন আপেল

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল। ঠাকুরগাঁও জেলা রিটার্নিং অফিস কর্তৃক এক গণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

জেলা রিটার্নিং অফিসারের অফিস সূত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে তিনজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। গত ২২ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে একজন প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সন্তোষ কুমার আগরওয়ালা প্রত্যাহার করলে দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বী থাকেন। জেলা রিটার্নিং অফিসার যাচাই-বাছাইয়ে তিনজনের মধ্যে ব্যাংকে ঋণ খেলাপির দায়ে  জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এসএমএ মঈনের মনোনয়ন বাতিল করেন। অপর প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল মজিদ আপেলকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

পরে এসএমএ মঈন প্রার্থিতা ফিরে পেতে উচ্চ আদালতে রিট করেন। আদালত তার প্রার্থিতা বহাল রেখে তাকে প্রতীক বরাদ্দের আদেশ দেন। পরে গত ৫ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এসএমএ মঈনের আবেদন খারিজ করে ঠাকুরগাঁও জেলা রিটার্নিং অফিসারের গণবিজ্ঞপ্তি সঠিক বলে রায় দেন। এ অবস্থায় জেলা রিটার্নিং অফিসার আর কোনো প্রার্থী না থাকায় আব্দুল মজিদ আপেলকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করে গত ৭ মার্চ আবারও গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় শনিবার (৯ মার্চ) বিকেলে আব্দুল মজিদ আপেল জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় অফিসে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।

নবনির্বাচিত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ আপেল বলেন, আমি সব সময় সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে গেছি এবং সততার  সঙ্গে কাজ করে যাব। আমার বড় ভাই মরহুম মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশীর অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করব। সকলকে সঙ্গে নিয়ে একটি মডেল জেলা পরিষদ গড়ে তুলবো।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৪ অক্টোবর ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুহ. সাদেক কুরাইশী মৃত্যুবরণ করলে পদটি শূন্য হয়। ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৭৫৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫৭৮ জন ও নারী ভোটার ১৮০ জন।


আরও খবর



চাকরি দিতে ইবি উপাচার্যকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ প্রস্তাব

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

চাকরি দিলে ১০ লাখ টাকা দেবেনএমন মেসেজ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য শেখ আবদুস সালামের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়েছেন এক নারী।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মেসেজটি আসে উপাচার্যের ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে।

এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আজ দুপুরে ইবি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান। জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন রহমান।

জিডিতে বলা হয়, আজ মঙ্গলবার সকালে উপাচার্যের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে অজ্ঞাত নম্বর থেকে ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে চাকরিপ্রদানের অনুরোধ জানিয়ে মেসেজ দেন এক নারী। উপাচার্যের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলতে অনুরোধও করেন ওই নারী। উপাচার্য কথা বলতে না চাইলে মেসেজ পাঠান। ওই মেসেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা হলে উপাচার্যের মানহানি হবে। এমন অবস্থায় এ বিষয়টি ভবিষ্যতের জন্য সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করে রাখার অনুরোধ করা হয়।

উপাচার্যকে পাঠানো মেসেজের স্ক্রিনশটে লেখা ছিল, স্যার, ১০ লাখ মিষ্টি খেতে নেন। এটা আপনি আর আমি ছাড়া কেউ জানবে না। আমার সত্যিই ওখানে কেউ নেই। প্লিজ স্যার, চাকরিটা খুব দরকার।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত নারী বলেন, এরকম মেসেজ আমি দেইনি। আমার আইডিটা হয়তো হ্যাক হয়েছে। আমি গরিব মানুষ। আমাদের এত টাকা নেই।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, এটা কুচক্রী মহলের কাজ। এখানে একটা গ্রুপ আছে। এসব করে আমাদের ট্রাপে ফালাইতে চায়। আপাতত থানায় ডায়েরি করা হয়েছে। বিষয়গুলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খতিয়ে দেখবে।


আরও খবর



যে পুরুষের প্রেমে মরিয়া ছিলেন ঐশ্বরিয়া রাই

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। সাবেক বিশ্বসুন্দরী ও বলিউডের প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী। যার রূপ-গুনে মুগ্ধ ছিলেন হাজারো তরুণ-যুবক। কিন্তু এই অভিনেত্রী কি না একজনের প্রেমে মরিয়া ছিলেন। কে সেই পুরুষ?

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টিভি নাইন-এর প্রতিবেদন অনুসারে, ছোটবেলা থেকেই রূপে-গুনে এগিয়ে ছিলেন ঐশ্বরিয়া। সৌন্দর্যের পাশাপাশি দারুণ মেধাবীও ছিলেন তিনি। স্কুলে পড়ার সময়েও তার মেধার ছাপ ছিল সকল ক্ষেত্রে। যে কারণে এক শিক্ষিকার পরামর্শ শুনে মডেলিং দুনিয়ায় পা রাখেন। এরপরই জীবন পাল্টে যায় তার।

বিশ্বসুন্দরী হওয়ার আগেই অনেক প্রেমের প্রস্তাব পেয়েছেন ঐশ্বরিয়া। তার মন জেতার জন্য রীতিমতো লড়াই করতেন পুরুষেরা। তবে অভিনেত্রী নাকি একজনকে বেশ পছন্দ করতেন। যার জন্য তাকে অন্তর্জালে লড়াই করতে হত অভিনেত্রী মণীষা কৈরালার সঙ্গে! কে ছিলেন সেই পুরুষ, যার মন পাওয়ার প্রতিযোগিতা চলেছিল এই দুই সুন্দরীর মাঝে?

সেই ব্যক্তির নাম রাজীব মুলচান্দানি। ঐশ্বরিয়ার ক্যারিয়ারের শুরুতে তার সঙ্গেই প্রেমের গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। রাজীব ছিলেন সে সময়ের বেশ নামকরা ফটোগ্রাফার। যিনি ঐশ্বরিয়ার একাধিক ফটোশুট করেছেন। তখনই নাকি রাজীবকে মনে ধরে নায়িকার।

মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতা জেতার আগের ঘটনা। রাজীবকে নিয়ে সেসময় রীতিমতো টানাটানি চলত অভিনেত্রীদের মাঝে। বলিউডের প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী মণীষা কৈরালার সঙ্গেও বেশ ঘনিষ্ঠ ছিলেন রাজীব। ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে তার মেলামেশা বেড়ে যাওয়াকে ভালোভাবে নেননি তিনি। দুই সুন্দরীর মধ্যে তৈরি হয় বিবাদ।

এসবই পুরোনো ঘটনা। এরপর ঐশ্বরিয়াও ক্যারিয়ারে প্রতিষ্ঠিত হন। ১৯৯৯ সালে সঞ্জয় লীলা ভানসালীর হাম দিল দে চুকে সানাম সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়ে সালমান খানের প্রেমে পড়েন এই নায়িকা। একসঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে কাছাকাছি চলে আসেন দুজন। প্রায় দুই বছরের মতো সম্পর্ক ছিল দুজনের।

কিন্তু একটা সময় সালমানের উপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসেন ঐশ্বরিয়া। এর কয়েক বছর পর অভিষেক বচ্চনকে বিয়ে করেন নায়িকা। বর্তমানে এই অভিনেতার সঙ্গেই তার সুখের সংসার।

নিউজ ট্যাগ: ঐশ্বরিয়া রাই

আরও খবর
বাংলাদেশে আসছেন আতিফ আসলাম

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




জিম্মি জাহাজ থেকে নতুন অডিও বার্তা দিলেন চিফ অফিসার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকদের অস্ত্রের মুখে বন্দি করে রাখা হয়েছে একটি কেভিনে। এখন পর্যন্ত জলদস্যুরা নাবিকদের উপর কোন ধরনের শারীরিক নির্যাতন করেনি। তবে অস্ত্রের মুখে তাদের কথা মেনে চলতে বাধ্য করছে দস্যুরা।

জিম্মি জাহাজের চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খান পরিবারের কাছে পাঠানো এক অডিও বার্তায় জানিয়েছেন, নাবিকদের সামনে জলদস্যুরা অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আশপাশে নেভি জাহাজ দেখলেই ওরা মাথায় অস্ত্র ঠেকাচ্ছে। মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ওরা আমাদের জিম্মি করে রাখছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বিকেলে পরিবারের কাছে পাঠানো এক অডিও বার্তায় তিনি এ তথ্য জানান।

চিফ অফিসার বলেন, আমি যেখানে ঘুমাই সেখানে পাশ ফিরলেই দেখতে পাই আমার দিকে বড় বড় মেশিনগান তাক করে রেখেছে। এই অবস্থায় ঘুমানো অসম্ভব। মানসিকভাবে চাপে থাকলেও সুস্থ থাকার চেষ্টা করছি।

জাহাজে মজুত রাখা খাবারের বিষয়ে তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, এখনো খাবার আছে। কিন্তু, যেহেতু জলদস্যুরাও আমাদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করছে, আমাদের পানি ব্যবহার করছে, আমাদের খাবার আর কতদিন যাবে সেটা বলতে পারছি না। আর হয়তো ১০-১৫ দিন যেতে পারে। এরপর খাবার ও পানি শেষ হয়ে গেলে খুব কষ্টে পরে যাবো।

এদিকে, বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ২৩ নাবিককে উদ্ধার করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মেরিটাইম সিকিউরিটি ফোর্সের একটি যুদ্ধজাহাজ তাদের পিছু নেয়। কয়েক দফায় জলদস্যু ও নৌবাহিনীর (নেভি) সদস্যদের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়। একপর্যায়ে জিম্মি বাংলাদেশি নাবিকদের একে একে হত্যার হুমকিও দেয় জলদস্যুরা। এরপর কোনো উপায় না থাকায় পিছু হটে নেভির যুদ্ধজাহাজটি।

সোমালিয়ার স্থানীয় সময় গত বুধবার রাত থেকে এখন পর্যন্ত নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজটি তাদের অনুসরণ করে। কিন্তু দুর্ধর্ষ জলদস্যুদের অনড় এবং অনমনীয় অবস্থানের কারণে জিম্মি থাকা ২৩ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবুও মাত্র ২০ নটিক্যাল মাইল দূর থেকে বাংলাদেশি পতাকাবাহী এমবি আব্দুল্লাহ’কে অনুসরণ করে যায় নেভির জাহাজটি। ইতোমধ্যে সোমালি জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রিত জলসীমান্তে প্রবেশ করেছে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এই জাহাজটি। বৃহস্পতিবার এক জিম্মি নাবিকের পাঠানো মেসেজ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

জাহাজটি কোন দেশের তা নিশ্চিত হতে পারেননি জিম্মি ওই নাবিক। তবে একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, নেভির ওই যুদ্ধজাহাজটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ)।

ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী এমভি আবদুল্লাহ’ নামের জাহাজটি দেশের অন্যতম শিল্পগোষ্ঠী কবির গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং লিমিটেডের মালিকানাধীন। ইতোমধ্যে জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জিম্মি জাহাজের ২৩ নাবিকের পরিচয়ও জানা গেছে। বাঁচার আকুতি জানিয়ে গোপন অডিও বার্তা দিয়েছেন তাদের কেউ কেউ।


আরও খবর



থুসারার হ্যাটট্রিকে বিধ্বস্ত বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

মাথিশা পাথিরানাকেই বরং এখন মিস করছে বাংলাদেশ। প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে বেবি মালিঙ্গাকে বেশ ভালোভাবেই সামাল দিয়েছিল টাইগার ব্যাটিং লাইনআপ। তবে তৃতীয় ম্যাচে নেই তিনি। আর তার বদলে এসেই যেন সিলেটের পিচে বাংলাদেশের ধ্বংসযজ্ঞ চালালেন নুয়ান থুসারা।

ইনিংসের চতুর্থ ওভারে প্রথম থুসারাকে বোলিংয়ে আনেন অধিনায়ক হাসারাঙ্গা। এরপরেই বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ ধ্বংস হলো তাসের ঘরের মত। দ্বিতীয় বলে নাজমুল হোসেন শান্ত, তৃতীয় বলে হৃদয় এবং পঞ্চম বলে মাহমুদউল্লাহকে ফিরিয়ে টাইগার ব্যাটিংকে এক অর্থে ধ্বসিয়ে দিয়েছেন এই পেসার। তবে এখানেই থামেনি তার ধ্বংসযজ্ঞ। নিজের স্পেলের দ্বিতীয় ওভারে এসেই ফিরিয়েছেন সৌম্য সরকারকে।

চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে নাজমুল হোসেন শান্তকে তিনি ফিরিয়েছেন দুর্দান্ত এই ইনসুইং ডেলিভারিতে। শান্ত হয়েছেন বেসামাল। অফ স্ট্যাম্প খুইয়েছেন টাইগার দলপতি। হৃদয় এসে বুঝে ওঠার আগেই আউট। দ্রুতগতির আউটসুইংয়ে পরাস্ত হয়েছেন। ফুল লেন্থের বলটায় ভারসাম্যও হারিয়েছেন তিনি। সম্ভবত বাংলাদেশও ভারসাম্য হারিয়েছে তার ওই এক বলেই।

ফেরার পথে মেজাজও হারিয়েছেন তিনি। মাহমুদউল্লাহ এসেও ভরসা দিতে পারেননি। আরও এক আউটসুইং ডেলিভারিতে সাজঘরে ফিরলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। তবে এইবার ভাগ্যকে কিছুটা দুষতে পারেন তিনি। এলবিডব্লিউতে আউট হওয়ার সময় ইম্প্যাক্ট এবং উইকেট হিটিং দুটোই ছিল আম্পায়ার্স কল।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪