আজঃ শনিবার ১১ মে ২০২৪
শিরোনাম

আমরা অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হওয়ার পথে : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ জানুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
আমরা যেন আত্মনির্ভরশীল হই, আত্মমর্যাদাশীল হই, সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হওয়ার পথে। আমরা প্রবাসীদের প্রণোদনা দিয়েছি

বিদেশগামী শ্রমিকদের যেন কোনো অসুবিধা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে মন্ত্রণালয়, রিক্রুটিং এজেন্সিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০২০ উদযাপন উপলক্ষে আজ বুধবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেওয়া বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাঁরা বিদেশে যেতে চান, তাঁরা যেন দক্ষ কারিগর হয়ে বাইরে যেতে পারেন, সেজন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে সরকার। প্রশিক্ষণ নিয়ে গেলে কেউ বিদেশে হেনস্তার শিকার হবেন না। দক্ষ হয়ে বিদেশে গেলে নিজের কাজটা নিজে করতে পারেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যেন আত্মনির্ভরশীল হই, আত্মমর্যাদাশীল হই, সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হওয়ার পথে। আমরা প্রবাসীদের প্রণোদনা দিয়েছি। সেজন্য রেমিট্যান্সও বেড়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের কর্মীরা যেসব দেশে যাচ্ছে, তারা সেসব দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন। আমার দেশের কর্মীরা আমাদের কাছে সম্মানের। তারা মানুষ, তাদের মর্যাদা দিতে হবে, তাদের যেন সমস্যা না হয়। তাদের নিরাপত্তা ঠিকমতো আছে কি না, এটা সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে। মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে রিক্রুটিং এজেন্ট এবং যারা বিদেশে পাঠায়, তাদের দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। অভিবাসীদের উদ্দেশে বলব, দালালদের খপ্পরে পড়বেন না। আমি যখনই বিদেশে গিয়েছি, আমি প্রবাসীদের সঙ্গে দেখা করা এবং তাদের সুবিধা-অসুবিধাগুলো জানার চেষ্টা করেছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেন, যাঁরা কাজ হারিয়েছেন, তাদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমরা তাদের ফিরিয়ে আনতে আমাদের বিমান পাঠিয়ে, কখনো এয়ারফোর্সের বিমান পাঠিয়ে তাদের ফেরত আনার চেষ্টা করেছি এবং নিয়েও এসেছি অনেককে।

দেশ কোনো গৃহহীন মানুষ থাকবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি মানুষও গৃহহারা থাকবে না। যাদের ভূমি নেই, গৃহ নেই, তাদের আমরা ঘর (তৈরি) করে দেব। মুজিববর্ষে এটাই আমাদের অঙ্গীকার যে, এই বাংলাদেশে কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না, ভূমিহীন থাকবে না। তাদের একটা ঠিকানা থাকবে। তারা একটা মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন যাতে করতে পারে, সে ব্যবস্থা আমরা করে দেব।

সরকার পরিবেশ রক্ষার জন্যও কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ব্যাপকহারে বৃক্ষরোপণ থেকে শুরু করে পরিবেশ রক্ষায়ও আমরা ব্যাপক কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছি এবং করোনাভাইরাস থেকে স্বাস্থ্যসুরক্ষা মেনে, সমাবেশ না করে, যতটুকু কর্মসূচি পালন করা (সম্ভব) আমরা করছি।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০২০ সাল (ছিল) জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী, (আর) ২০২১ সাল স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। একটি দেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি। এটা আমাদের একটা বিরাট অর্জন। সেই সুবর্ণজয়ন্তীও আমরা সেভাবে (স্বাস্থ্যসুরক্ষা মেনে) উদযাপন করব। কিন্তু করোনাভাইরাস আমাদের বাধাগ্রস্ত করেছে। তারপরও আমরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে, স্বাস্থ্যসুরক্ষা মেনে, যতটুকু আয়োজন করা (সম্ভব), আমরা তা করে যাব।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্য শেষ করার আগে বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষএই সময়ে অভিবাসীদের যে অনুষ্ঠান (আয়োজন করা হয়েছে), এ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে আমি আনন্দিত, সবাইকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই, সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, স্বাস্থ্যসুরক্ষা মেনে চলুন, এই কামনা করি।


আরও খবর



চট্টগ্রামে বিমান অবতরণ: অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন বিমানের ২০০ যাত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

এবার যান্ত্রিক ত্রুটি নিয়ে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেছে এয়ার এরাবিয়ার একটি ফ্লাইট।

আজ শুক্রবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে ফ্লাইটটি অবতরণ করে। চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, এয়ার এরাবিয়ার ফ্লাইট জি ৯৫২৬-এ ১৯১ জন যাত্রী ও সাতজন ক্রু ছিল। সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে ফ্লাইটটি চট্টগ্রামে আসছিল। এর মধ্যে সেখানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। ফ্লাইটের ত্রুটির সংকেত পাঠানো হয় শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কন্ট্রোল রুমে। এরপর পাইলটের দক্ষতায় নিরাপদে অবতরণ করে ফ্লাইটটি।

তাসলিম আহমেদ বলেন, সকাল ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে ত্রুটি নিয়ে ফ্লাইটটি অবতরণ করে। যাত্রীরা সবাই নিরাপদে ছিল। সেখানে ১৯১ জন যাত্রীসহ সাতজন ক্রু ছিল।


আরও খবর



জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রাথমিক দল ঘোষণা বাংলাদেশের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

আগামী জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। বিশ্বকাপের আগে নিজেদের প্রস্তুত করতে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে নামছে বাংলাদেশ। যেখানে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে দুই দল।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজকে সামনে রেখে প্রস্তুতি ক্যাম্পের জন্য ১৭ সদস্যের প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যেখানে রাখা হয়নি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ও সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে।

এবারের আইপিএলে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি পেসার মুস্তাফিজ। যেখানে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলছেন কাটার মাস্টার ফিজ। বাঁহাতি এই পেসারকে আগামী ১ মে পর্যন্ত ছুটি দিয়েছে বিসিবি। আর সাকিব যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের কাছে থাকায় নেই প্রাথমিক এ ক্যাম্পে।

আগামী ২৬ থেকে ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে এই প্রস্তুতি ক্যাম্প। এরপর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ শুরু হবে ৩ মে। ৪ ও ৭ মে চট্টগ্রামেই পরের দুটি টি-টোয়েন্টি। এরপর মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১০ ও ১২ মে হবে সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচ।

বাংলাদেশের প্রাথমিক স্কোয়াড : নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন কুমার দাস, তানজিদ হাসান তামিম, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলি অনিক, শেখ মেহেদি হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, পারভেজ হোসেন ইমন, তানভীর ইসলাম, আফিফ হোসেন ধ্রুব, হাসান মাহমুদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও সৌম্য সরকার।


আরও খবর



উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

প্রথম ধাপে বিনা ভোটে ২৬ প্রার্থী নির্বাচিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬ প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। এসব পদে ভোটের প্রয়োজন পড়ছে না।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা ওই প্রার্থীদের নির্বাচিত ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা।

চেয়ারম্যান পদে সাত জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে নয় জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এতে বালিয়াডাংগি (ঠাকুরগাঁও) উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, হাকিমপুরে (দিনাজপুর) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, সাঘাটায় (গাইবান্ধা) চেয়ারম্যান, বেড়া (পাবনা) উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, সিংড়ায় (নাটোর) চেয়ারম্যান, কুষ্টিয়া সদরে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, বাগেরহাট সদরে সব পদ, মুন্সীগঞ্জ সদরে সব পদ, শিবচরে (মাদারীপুর) সব পদ, বড়লেখায় (মৌলভীবাজার) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, পরশুরামে (ফেনী) সব পদ, সন্দ্বীপে (চট্টগ্রাম) ভাইস চেয়ারম্যান, কক্সবাজার সদরে ভাইস চেয়ারম্যান, রোয়াংছড়িতে (বান্দরবান) চেয়ারম্যান পদ, কাউখালীতে (রাঙামাটি) ভাইস চেয়ারম্যান, চুয়াডাঙ্গার ডামুহুদায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ভোটের প্রয়োজন পড়বে না।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে দেড়শ উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে প্রার্থীরা প্রতীক নিয়ে প্রচারে নেমে পড়েছেন।


আরও খবর



বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩ জন্মবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাঙালির আত্মিক মুক্তি ও সার্বিক স্বনির্ভরতার প্রতীক, বাংলাভাষা ও সাহিত্যের উৎকর্ষের নায়ক, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী বুধবার (৮ মে)। ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখের এই দিনে জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঘর আলো করে জন্মগ্রহণ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ।

তার লেখা আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি গান বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত। এদেশের মুক্তিযুদ্ধে তার অনেক কবিতা ও গান ছিল সীমাহীন প্রেরণা উৎস।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে তার গীতাঞ্জলী কাব্যগ্রন্থের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। কবির গান-কবিতা, বাণী এই অঞ্চলের মানুষের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তির ক্ষেত্রে প্রভূত সাহস যোগায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে শুধু নয়, চিরকালই কবির রচনাগুলো প্রাণের সঞ্চার করে। বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ নোবেল বিজয়ী এই বাঙালি কবিকে স্মরণ করবেন তার অগণিত ভক্তরা। শুধু দুই বাংলার বাঙালিই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাংলা ভাষাভাষী কবির জন্মবার্ষিকীর দিবসটি পালন করবে হৃদয় উৎসারিত আবেগ ও শ্রদ্ধায়।

বিশ্বকবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী  উপলক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বিশ্বকবির স্মৃতিবিজড়িত নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার পতিসরে, কুষ্টিয়ার শিলাইদহ কুঠিবাড়ী, সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর এবং খুলনার দক্ষিণডিহি ও পিঠাভোগে স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন করা হবে। এ উপলক্ষ্যে রবীন্দ্রমেলা, রবীন্দ্রবিষয়ক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।

কবি গুরুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বেলা ১১টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্বকবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে ৩ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করবেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ছায়ানটের রবীন্দ্র-উৎসব ২৫ ও ২৬ বৈশাখ (৮ ও ৯ মে) ছায়ানট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন অনুষ্ঠান শুরু হবে সন্ধ্যা ৭টায়। দুইদিনব্যাপী এই উৎসবে পরিবেশিত হবে একক ও সম্মেলক গান, নৃত্য, পাঠ-আবৃত্তি। অনুষ্ঠানে ছায়ানটের শিল্পী ছাড়াও আমন্ত্রিত শিল্পী ও দল অংশ নেবেন। ছায়ানট মিলনায়তনে আয়োজিত এই উৎসব সবার জন্য উন্মুক্ত।


আরও খবর



উজানের ঢলে প্লাবিত হচ্ছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

তীব্র তাপদাহ শেষে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। একই সঙ্গে সুরমা, কুশিয়ারা, পিয়াইন, ধলাই ও সারিসহ বিভিন্ন নদনদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৯টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আমলশীদ পয়েন্টের পানিও বিপৎসীমা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ফলে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।

এদিকে, উজানের ঢলে ও গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ও জৈন্তাপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে হাওরের বোরো ধান।

একই অবস্থা কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জকিগঞ্জের নিম্নাঞ্চলেও। বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে বোরো ফসল। এতে কৃষকদের মধ্যে ফসল হারানোর শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

শিলাবৃষ্টি কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর এবার বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়তে হবে কৃষকদের। বড় ধরনের ক্ষতি এড়াতে অনেকে আধাপাকা ধান কেটে আনছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। যা ছিল বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার ওপরে। রাত ৯টায় তা আরও বেড়ে ১১ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। রাত ৯টায় তা আরও বেড়ে ১২ দশমিক ২৯ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১৩ দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার।

সারি নদীর পানি সারিঘাট পয়েন্টে সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ৮৭ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৪১ সেন্টিমিটার উপরে ছিল। তবে রাত ৯টায় তা কমে ১০ দশমিক ৬২ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস জাগো নিউজকে বলেন, পাহাড়ি ঢলের কারণে নদনদীতে পানি বাড়ছে। বৃহস্পতিবার সকালে সারি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে ছিল। এখন তা কমে গেছে। তবে বরাক দিয়ে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।

তিনি বলেন, বরাক দিয়ে পানি নামার কারণে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। রাত ৯টায় বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এভাবে অব্যাহত থাকলে সকালে বিপৎসীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

এদিকে, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার নয়াবাড়ি, ফুলবাড়ি, কেন্দ্রী, ডিবিরহাওর, ঘিলাতৈল, মুক্তাপুর, বিরাইমারা হাওর, খারুবিল, চাতলারপাড়, ডুলটিরপাড়, ১ নম্বর লক্ষীপুর, ২ নম্বর লক্ষীপুর, আমবাড়ি, ঝিঙ্গাবাড়ি, কাঠালবাড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন এসব এলাকার কৃষক। একই অবস্থা জকিগঞ্জ, কানাইঘাট ও কোম্পানীগঞ্জেও।

জকিগঞ্জের কাজলশার এলাকার কৃষক জুবেল আহমদ বলেন, শিলাবৃষ্টির কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখন বন্যা হলে ফসলের অবশিষ্ট যা ছিল তাও হারাতে হবে।

জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, জৈন্তাপুর উপজেলায় অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয়। পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে টানা বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা (ফ্ল্যাশ ফ্লাড) পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।


আরও খবর