আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

আন্তঃনগর ট্রেনের দায়িত্বে পুলিশ, ক্ষুব্ধ রেলবাহিনী

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আন্তঃনগর ট্রেনের নিরাপত্তা দেবে পুলিশ। রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) আর এ দায়িত্ব পালন করতে পারবে না। ফলে ভাতাও পাবে না। এতে ক্ষুব্ধ রেলের নিজস্ব বাহিনীর সদস্যরা। রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, আরএনবি ট্রেন পরিচালনায় সম্পৃক্ত জনবল তথা রানিং স্টাফ নয়। তাদের ভাতা পাওয়ার সুযোগ নেই। তাই চলন্ত ট্রেনের দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে।

রেলওয়ের নিরাপত্তার জন্য পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শকের নেতৃত্বে রেঞ্জ রয়েছে। কর্মপরিধি অনুযায়ী, স্টেশন এলাকা ও রেললাইনের দুই পাশের ১০ ফুট করে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব রেলওয়ে পুলিশের। অন্যান্য স্থাপনা ও সম্পদ পাহারায় থাকে আরএনবি। এ বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে যাত্রী হয়রানি, ট্রেনে বিনাটিকিটে যাত্রী তুলে নিজের পকেট ভারী করার অভিযোগ রয়েছে। আবার চলন্ত ট্রেনের দায়িত্ব পালনের কারণে ভাতাও পেয়ে থাকেন।

বিনাটিকিটের যাত্রী ও ভাতার খরচ কমাতে আরএনবিকে চলন্ত ট্রেনের দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে রেলসূত্রের খবর। তবে আরএনবি সদস্যদের দাবি, এতে তারা শুধু ভাতা হারাবেন না, যাত্রীরাও নিরাপত্তাহীনতায় পড়বেন। ছিনতাই, মাদক পরিবহন, ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ, মলমপার্টির উৎপাত বাড়বে। বিনাটিকিটের যাত্রীদের কাছ থেকে পাওয়া টাকার পুরোটা পকেটে ঢোকাতে কর্তৃপক্ষকে দিয়ে পুলিশ ও আউটসোর্সিংয়ের কর্মীরা আরএনবিকে দায়িত্ব থেকে সরিয়েছে।

তবে রেলসূত্রের ভাষ্য, আরএনবি সদস্যদের অস্ত্র না থাকায় ছিনতাই, মাদক পরিবহন, চোরাচালানের মতো অপরাধ দমনে সক্ষম নয়। বিনাটিকিটের যাত্রী তুলে যে উপরি আয় হয়, তা পুলিশ, রানিং স্টাফ এবং আরএনবির মধ্যে ভাগ হতো। দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়ায় এ ভাগ হারিয়েছে আরএনবি। পুলিশের কব্জায় যাবে তা। ভাতা ও উপরি আয় হারিয়ে ক্ষুব্ধ আরএনবি। 

আরও পড়ুন>> উচ্চবিত্ত পর্যায়ে দুর্নীতি বেশি হচ্ছে : পরিকল্পনামন্ত্রী

রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসান বলেছেন, আরএনবি রানিং স্টাফ নয়। তাই আন্তঃনগর ট্রেনের দায়িত্ব থেকে তাদের সরানো হয়েছে। অন্যান্য ট্রেনে তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব দিতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। ট্রেনের সামনের দিকে এবং পেছনে দুটি পৃথক গার্ড ব্রেক থাকে। আরএনবি সদস্যরা তা পাহারা দিতেন। সিদ্ধান্ত হয়েছে সামনের গার্ড ব্রেকটি তালাবদ্ধ রাখা হবে।

ট্রেন চালানোর সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত কর্মী তথা পরিচালক, লোকোমাস্টার (চালক), সহকারী লোকোমাস্টার, সাব লোকোমাস্টাররা রানিং স্টাফ হিসেবে গণ্য হন। তারা দিনে ১০০ মাইলের বেশি ট্রেন পরিচালনা করলে এক দিনের বেতনের সমপরিমাণ মাইলেজ ভাতা পান, যার ৭৫ শতাংশ পেনশনে যোগ হয়। পরে আদালতের রায়ে ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরিদর্শক (টিটিই), অ্যাটেন্ড্যান্টসরা রানিং স্টাফের স্বীকৃতি পেয়েছেন। খরচ কমাতে সরকার মাইলেজ ভাতার সুবিধা বাতিল করেছে। তবে রানিং স্টাফদের আন্দোলনে তা পুনর্বহালের প্রক্রিয়া চলছে। আরএনবিও একই সুবিধা চাইছে। মাইলেজ না পেলেও ট্রেনে দায়িত্বের জন্য মূল বেতনের অনুপাতে ভাতা পেতেন আরএনবি সদস্যরা।

গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে আন্তঃনগর ট্রেন থেকে আরএনবিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগে প্রতিটি ট্রেনে একজন হাবিলদারের নেতৃত্বে দু-তিনজন করে আরএনবি সিপাহি থাকত। অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী বলেন, বিভিন্ন সময় আরএনবি সদস্য বিষয়ে কথা উঠেছে। তারা কিছু অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটিয়েছে। তাই এই বাহিনীর সদস্যদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তবে ঠিক কী কারণে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা বোধগম্য নয় বলে দাবি করেছেন আরএনবির পূর্বাঞ্চলীয় চিফ কমান্ডেন্ট মো. জহিরুল ইসলাম। বাহিনীতে দুই হাজার সদস্য থাকার কথা থাকলেও এখন আছে মাত্র ৮০০। 

আরও পড়ুন>> দেশে নতুন জঙ্গি সংগঠন, করছিল হামলার পরিকল্পনা

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট কার্যালয়ের চাহিদায় ২০০৬ সালের ২২ ডিসেম্বর থেকে ট্রেনে আরএনবি সদস্য মোতায়েন করা হয়। একজন লোকোমাস্টার ঢাকা-ময়মনসিংহ-মোহনগঞ্জ রুটের আন্তঃনগর হাওর এক্সপ্রেসের উদাহরণ দিয়ে বলেন, ট্রেনটিতে প্রতি যাত্রায় অন্তত শপাঁচেক বিনাটিকিটের যাত্রী থাকেন। পুলিশ, আরএনবি এবং রানিং স্টাফরা এসব যাত্রী তোলেন। যাত্রীপ্রতি ২০০ টাকা আদায় করলেও প্রতি যাত্রায় লাখ টাকা উপরি আয় হয়। পুলিশ, আরএনবি এবং রানিং স্টাফ মিলিয়ে একটি ট্রেনে ২০ জনের বেশি থাকে না। ফলে জনপ্রতি দিনে আয় ৫ হাজার টাকা। খরচ কমাতে অ্যাটেনড্যান্টস সরিয়ে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ঠিকাদারের মাধ্যমে অনবোর্ড সেবা দিতে যেসব বেসরকারি কর্মী রাখা হয়েছে, তারাও ভাগ পান। ভাগ পান রেলের কর্মকর্তারাও। উপরি আয়ের জন্যই আরএনবিসহ সবাই ট্রেনে দায়িত্ব পালন করতে চায়।


আরও খবর



শনিবারও চলবে ক্লাস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্ধ অ্যাসেম্বলি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রমজান, ঈদুল ফিতর, নববর্ষের সঙ্গে তীব্র গরমে ঘোষিত ছুটি শেষে আগামী ২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে। অর্থাৎ দাবদাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আর বাড়াচ্ছে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এদিকে ঘাটতি পূরণ করতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রজ্ঞাপনে সই করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির ধারাবাহিকতায় তাপপ্রবাহের কারণে গত ২০ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ঘোষিত ছুটি শেষ হওয়ার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপণে ২৮ এপ্রিল রবিবার থেকে যথারীতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে এবং শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে। এ সময় তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।

শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাইরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং শিক্ষার্থীদের সূর্যের সংস্পর্শে আসতে হয়, সেসব কার্যক্রম সীমিত থাকবে। তাপপ্রবাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা পূরণ এবং নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহের শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।


আরও খবর



শিশু হাসপাতালে আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রাজধানীর শিশু হাসপাতালের ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ৫ ইউনিটের তৎপরতায় আজ দুপুর প্রায় ২টা ২০ মিনিটে হাসপাতালটির আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এর আগে আগুন লাগার ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম বলেছেন, আজ শুক্রবার ১টা ৪৭ মিনিটে শিশু হাসপাতালে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়।

খবর পেয়ে দ্রুত প্রথমে দুই ইউনিট ও পরে আরও তিন ইউনিট হাসপাতালে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করছে। এখন পর্যন্ত ৫ ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে।

তবে প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের কোনো খবর এখনও জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।


আরও খবর



পদ্মা সেতুতে একদিনে প্রায় ৫ কোটি টাকা টোল আদায়ের রেকর্ড

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

একদিনে টোল আদায়ে সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়েছে পদ্মা সেতু। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) পদ্মা সেতুতে টোল আদায়ের এই নতুন রেকর্ড তৈরি হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় সেতু পাড়ি দিয়েছে ৪৫ হাজার ২০৪টি যানবাহন। এতে টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৯০ লাখ ৬৭ হাজার ৫০ টাকা। যা একদিনে টোল আদায়ের সর্বোচ্চ রেকর্ড। পদ্মা সেতু সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আমিরুল হায়দার চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রায় গতকাল যানবাহনের ঢল থাকলেও আজ অনেকটাই চাপশূন্য ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে ও পদ্মা সেতুর মাওয়া টোলপ্লাজা। ঈদযাত্রার শেষ দিনে বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল থেকে এই পথে যানবাহনের ক্রমাগত উপস্থিতি থাকলেও নেই কোনো জট কিংবা গাড়ির সারি। এতে অনেকটাই ভোগান্তিহীন স্বস্তি নিয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ।

সেতু সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এদিন সেতুর মাওয়া প্রান্ত হয়ে ৩০ হাজার ৩৩০টি ও জাজিরা প্রান্ত হয়ে ১৪ হাজার ৮৭৪টি যানবাহন সেতু পাড়ি দেয়। এতে মাওয়া প্রান্তে ইটিসিএস, ক্রেডিটসহ আয় হয় ২ কোটি ৭৬ লাখ ৬৯ হাজার ৬৫০ টাকা আর জাজিরা প্রান্তে আয় হয় ২ কোটি ১৩ লাখ ৯৭ হাজার ৪০০ টাকা।

এর আগে পদ্মা সেতুর সর্বোচ্চ টোল আদায় হয়েছিল গতবছর ২০২৩ সালের ২৭ জুন। সেদিন সেতু দিয়ে ৪৩ হাজার ১৩৭টি যানবাহন পারাপার হয়। টোল আদায় হয় ৪ কোটি ৬০ লাখ ৫৩ হাজার ৩০০ টাকা। যা বর্তমানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সেতু তৃতীয় সর্বোচ্চ টোল আদায়ের পরিমাণ ৪ কোটি ১৯ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫০ টাকা। যা আদায় হয়েছিল গত বছরের ৮ জুলাই।

সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে আরও জানা যায়, এ পর্যন্ত সেতুতে মোট টোল আদায় হয়েছে ১৪৫৩ কোটি ১৪ লাখ ১২ হাজার ৮০০ টাকা। মোট যানবাহন পারাপার হয়েছে ১ কোটি ৮ লাখ ৫৫ হাজার ৬৬২টি।

দেখা যায়, মাওয়া টোলপ্লাজায় ৭টি বুথের মধ্যে ৬টি দিয়ে গণপরিবহন ও পণ্যবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত যানবাহন পাড়ি দিচ্ছে সেতু। মোটরসাইকেলের জন্য রয়েছে অপর একটি নির্ধারিত টোলবুথ। টোলপ্লাজায় আসা মোটরসাইকেল পর্যায়ক্রমে সারিবদ্ধভাবে টোল প্রদান করে সেতুতে উঠছে। তবে মোটরসাইকেল আরোহীদের হেলমেট ছাড়া উঠতে দেওয়া হচ্ছে না সেতুতে। গাড়ির উপস্থিতি তেমন না থাকায় টোল প্রদানে খুব একটা অপেক্ষা করতে হচ্ছে না কাউকে।


আরও খবর



সকলের প্রতি যে আহ্বান জানিয়েছে চাঁদ দেখা কমিটি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সৌদি আরবে বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উদযাপনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সোমবার (৮ এপ্রিল) দেশটিতে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। এদিকে আজ সন্ধ্যায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা হবে।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় (মাগরিবের নামাজের পর) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সায়লা শারমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে বা বাদ মাগরিব বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন কমিটির সভাপতি ও ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। সভায় ১৪৪৫ হিজরি সনের শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা করে ঈদুল ফিতর উদযাপনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

যদি আজ শাওয়ালের চাঁদ দেখা যায়, তাহলে বুধবার বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। আর তা না হলে ৩০ রোজা শেষে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদ উদযাপন করবে বাংলাদেশের মানুষ।

এক মাস রমজানের রোজা শেষে শাওয়াল মাসের ১ তারিখে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। মঙ্গলবার দেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে পরদিন বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। কোথাও চাঁদ দেখা না গেলে বুধবার রমজান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। সেক্ষেত্রে ঈদ উদযাপিত হবে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল)।

বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭ টেলিফোন নম্বরে ফোন করে এবং ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১ নম্বরে ফ্যাক্স করে বা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানানোর অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

উল্লেখ্য, সোমবার সৌদি আরব, ভারত-পাকিস্তানসহ এশিয়ার কোনো দেশে চাঁদ দেখা যায়নি। দেশগুলো ৩০ রমজান পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবার এসব দেশে ঈদ উদযাপিত হবে।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের তথ্য

সামরিক শক্তিতে ইসরায়েলের চেয়ে ৩ ধাপ এগিয়ে ইরান

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে গত ১ এপ্রিল হামলা চালায় ইসরায়েল। এর জবাবে গত শনিবার তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছে ইরান। এরপর দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যসহ পুরো বিশ্বের নজর এখন ইরান-ইসরায়েল পরিস্থিতির দিকে।

দুই দেশের মধ্যে যদি আসলেই পূর্ণ যুদ্ধ শুরু হয়ে যায় তাহলে কী ঘটবে? আর কে কার থেকে এগিয়ে আছে সামরিক শক্তিতে? এমন প্রশ্ন এখন অনেকেরই মনে।

দুটি দেশই সামরিক দিক থেকে অত্যন্ত শক্তিশালী। দুটি দেশই বিশ্বের সামরিক শক্তিধর দেশের শীর্ষ কুড়িটি দেশের মধ্যে অবস্থান করছে। তবে গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার-এর পরিসংখ্যান বলছে, ইরান সামরিক সক্ষমতার দিক থেকে ইসরায়েলের তুলনায় তিন ধাপ এগিয়ে আছে। সামরিক সক্ষমতায় শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে র‍্যাংকিংয়ে ইরানের অবস্থান ১৪তম আর ইসরায়েলের অবস্থান ১৭তম।

সামরিক শক্তির তুলনা : প্রতিরক্ষা খাতে ইরান ও ইসরায়েল দুই দেশই প্রচুর অর্থ ব্যয় করে। তবে বাৎসরিক সামরিক বাজেটে ইরানের তুলনায় ইসরায়েলের ব্যয় দ্বিগুণেরও বেশি। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাজেট হলো ২৪৪০ কোটি ডলার। অন্যদিকে ইরানের বাজেট ৯৯৫ কোটি ডলার। প্রতিরক্ষা বাজেটের দিক থেকে র‍্যাংকিংয়ের ১৪৫ দেশের মধ্যে ইরান ৩৩তম অবস্থানে আর ইসরায়েল ১৯তম অবস্থানে রয়েছে।

নিয়মিত সৈন্য : গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার জানাচ্ছে, সৈন্য সংখ্যার হিসেবে ইসরায়েলের চেয়ে এগিয়ে আছে ইরান। ইরানের নিয়মিত সেনা আছে ১১ লাখ ৮০ হাজার, ইসরায়েলের সৈন্য ৬ লাখ ৭০ হাজার। এর মধ্যে ইরানের রিজার্ভ সৈন্য সংখ্যা সাড়ে তিন লাখ আর ইসরায়েলের রিজার্ভ সেনা আছে ৪ লাখ ৬৫ হাজার।

যুদ্ধ বিমান : ইরানের মোট সামরিক বিমানের সংখ্যা ৫৫১টি আর ইসরায়েলের আছে ৬১২টি। এর মধ্যে ইরানের যুদ্ধ বিমান আছে ১৮৬টি আর ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান আছে ২৪১টি। ইরানের অ্যাটাকিং বিমান সংখ্যা ২৩টি, ইসরায়েলের আছে ৩৯টি। ইরানের পরিবহন বিমান আছে ৮৬টি, ইসরায়েলের আছে ১২টি। ইরানের প্রশিক্ষণ বিমান ১০২টি আর ইসরায়েলের আছে ১৫৫টি।

হেলিকপ্টার : গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের পরিসংখ্যান বলছে, ইরানের হেলিকপ্টার আছে ১২৯টি আর ইসরায়েলের ১৪৬টি। ৪৮টি অ্যাটাক হেলিকপ্টার নিয়ে ইরানের চেয়ে শক্তিশালী ইসরায়েল। ইরানের অ্যাটক হেলিকপ্টারের সংখ্যা ১৩টি।

ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান : গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার-এর তথ্য অনুযায়ী, ট্যাংক ও সাঁজোয়া যানের দিক থেকে ইসরায়েলের চাইতে এগিয়ে আছে ইরান। ইসরায়েলের ট্যাংক আছে ১৩৭০টি আর ইরানের ১৯৯৬টি। সাঁজোয়া যান আছে ইরানের ৬৫ হাজার ৭৬৫টি আর ইসরায়েলের আছে ৪৩ হাজার ৪০৩টি।

এছাড়া আর্টিলারি সক্ষমতায় এগিয়ে ইরান। তাদের রকেট আর্টিলারি এমএলআরএস-এর সংখ্যা ৭৭৫টি এবং সেলফ প্রপেলড আর্টিলারির সংখ্যা ৫৮০টি। অন্যদিকে, ইসরায়েলের এদিক থেকে সেফল প্রপেলড আর্টিলারির সংখ্যা ৬৫০টি এবং এমএলআরএস বা রকেট আর্টিলারির সংখ্যা ১৫০টি।

নৌ শক্তি : নৌবাহিনীর শক্তির দিক থেকেও এগিয়ে আছে ইরান। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার বলছে, ইরানের ১০১টি যুদ্ধজাহাজ রয়েছে যেখানে ৭টি ফ্রিগেট এবং ২১টি টহল জাহাজ আর ইসরায়েলের যুদ্ধজাহাজ সংখ্যা ৬৭টি। সাবমেরিনের দিক থেকেও ইরান শক্তিশালী। দেশটির সাবমেরিন আছে ১৯টি, ইসরায়েলের সাবমেরিন আছে ৫টি।

পারমাণবিক শক্তি : সুইডেন-ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের শুরুতে বিশ্বের নয়টি দেশের কাছে প্রায় ১২ হাজার ৫১২টি পারমাণবিক অস্ত্র আছে। দেশগুলো হলো- যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, ভারত, পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়া এবং ইসরায়েল। এই তালিকায় ইরানের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পারমাণবিক অস্ত্র কখনোই ছিল না। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকবার দাবি করেছে যে, ইরান তাদের ইউরেনিয়ামের মজুত দিয়ে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে। ইরান দাবি করে তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ।

গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেনি যে, কোন দেশের হাতে কতটি এ ধরনের অস্ত্র রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, পারমাণবিক অস্ত্র ক্ষমতার বিষয়টি তারা তাদের রিপোর্টে বিবেচনায় নেয়নি।


আরও খবর