আজঃ সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

আওয়ামী লীগের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

প্রকাশিত:শনিবার ০৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নতুন করে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আগামী সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেল ৩টায় শোক র‍্যালি করবে দলটি। র‍্যালিটি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট থেকে শুরু হয়ে বঙ্গবন্ধু ভবনে গিয়ে শেষ হবে।

আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির কথা জানান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ।

এরআগে আজ শনিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামীকাল রবিবার রাজধানী ঢাকা ও জেলা শহরে জমায়েত কর্মসূচি পালন করবে দলটি। এছাড়া সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেল ৩টায় শোক র‍্যালি করবে দলটি। র‍্যালিটি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট থেকে শুরু হয়ে বঙ্গবন্ধু ভবনে গিয়ে শেষ হবে।

এ সময় ওবায়দুল কাদের বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলামকে প্রশ্ন রেখে বলেন, গতকাল পুলিশ সদস্যকে নিষ্ঠুরভাবে এ হত্যার দায় কার? কারা হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করল? আওয়ামী লীগের সভাপতির বাড়িতে হামলা চালাল? আমরা নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করি, সাধারণ শিক্ষার্থীরা এসব সন্ত্রাস ও সহিংস কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয়।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বেহাত হয়ে গেছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাইবার সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন গুজব-অপপ্রচার চালাচ্ছে। দেশবিরোধী একটি মহল চলমান সংকট জিইয়ে রেখে ফায়দা লুটার তৎপরতা চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে পরিষ্কার হয়ে গেছে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বেহাত হয়ে গেছে, চলে গেছে তৃতীয় পক্ষের হাতে; যারা বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে এবং দেশকে খাদের কিনারায় নিয়ে যেতে চায়। এই অশুভ শক্তির অশুভ তৎপরতা আমরা সফল হতে দিতে পারি না।

এদিকে রবিবার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গতকাল শুক্রবার এক ভিডিও বার্তায় সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, সারা দেশে ছাত্র-নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে খুনের প্রতিবাদ ও ৯ দফা দাবিতে শনিবার সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও রবিবার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হলো।


আরও খবর
ঢাকায় এসেছেন কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান

শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সাম্প্রতিক সহিংসতার নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত চান জাতিসংঘ মহাসচিব

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া সব সহিংসতার ঘটনায় পূর্ণ, স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের ওপর জোর দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।

সোমবার (১২ আগস্ট) নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ মহাসচিবের দপ্তরের উপ-মুখপাত্র ফারহান হক এক বিবৃ‌তিতে এ কথা বলেন।

মহাসচিবের দপ্তরের উপ-মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশের জনগণের প্রতি পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করেছেন মহাসচিব এবং মানবাধিকারের প্রতি পূর্ণ সম্মান জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তি‌নি পরিস্থিতি শান্ত করা এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সহায়তায় সংসদ নির্বাচন করার ব্যবস্থা গ্রহণের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছেন।

ফারহান হক বলেন, সংসদ নির্বাচনের দিকে দেশটি (বাংলা‌দেশ) যাচ্ছে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মহাসচিব। তি‌নি নারী, যুব সম্প্রদায় এবং সমাজের সবার কথা শোনার আহ্বান জানিয়েছেন।


আরও খবর



হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে হবে, না হলে মানুষ শান্তিতে থাকবে না : ইউনূস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর ভারতে বসে দেশ সম্পর্কে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক রাজনৈতিক বক্তব্য-বিবৃতিকে অবন্ধুসুলভ আচরণ বলে বর্ণনা করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বাংলাদেশে তাকে প্রত্যর্পণ না করা পর্যন্ত হাসিনাকে ভারতে চুপ থাকতে হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস এই মন্তব্য করেন। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করেছে পিটিআই।

বুধবার পিটিআইকে দেওয়া এই সাক্ষাৎকারে ইউনূস আরও ইঙ্গিত দিয়েছেন, হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে বাংলাদেশ অনুরোধ না করা পর্যন্ত ভারত যদি হাসিনাকে নিজের দেশে রাখতে চায়, তাহলে তাকে (হাসিনাকে) আরও মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়া হাসিনা ছাড়া সবাইকে ইসলামপন্থি হিসেবে তুলে ধরার জন্য তিনি ভারতের সমালোচনাও করেন।

হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ঢাকায় নিজের সরকারি বাসভবনে পিটিআই-কে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে ইউনূস জোর দিয়ে বলেন, ভারতের সাথে শক্তিশালী সম্পর্ককে বাংলাদেশ সম্মান করে এবং এই কারণে নয়াদিল্লিকে অবশ্যই এমন ধারণা বাইরে যেতে হবে যেটাতে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য সব রাজনৈতিক দলকে ইসলামপন্থি হিসেবে চিত্রিত করে এবং শেখ হাসিনা ছাড়া দেশ আফগানিস্তানে পরিণত হবে বলে মনে করা হয়।

ড. ইউনূস বলেন, ভারতে হাসিনা অবস্থান করায় কেউই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না। কারণ বিচার করার জন্য আমরা তাকে ফেরত আনতে চাই। তিনি (হাসিনা) ভারতে রয়েছেন এবং সেখান থেকেই মাঝে মাঝে তিনি কথা বলছেন, এটি সমস্যা তৈরি করছে। যদি তিনি চুপ থাকতেন, তাহলে আমরা ভুলে যেতাম; মানুষও এটা ভুলে যেত যদি তিনি তার নিজের জগতেই থাকতেন, কিন্তু তিনি ভারতে বসে কথা বলছেন এবং দিক-নির্দেশনা দিচ্ছেন, কেউই এটা পছন্দ করছে না।

এই মন্তব্যের মাধ্যমে ড. ইউনূস স্পষ্টতই গত ১৩ আগস্ট হাসিনার বক্তব্যের কথাই উল্লেখ করেন। সেসময় হাসিনা ন্যায়বিচার দাবি করেছিলেন এবং বলেছিলেন, সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, হত্যা ও ভাঙচুরের সাথে জড়িতদের অবশ্যই তদন্ত, চিহ্নিত এবং শাস্তি দিতে হবে।

ড. ইউনূস পিটিআইকে বলেন, এটা আমাদের বা ভারতের জন্য ভালো নয়। এটি নিয়ে অস্বস্তি রয়েছে।

পিটিআই বলছে, ছাত্র-জনতা অভূতপূর্ব সরকার বিরোধী বিক্ষোভের মুখে গত ৫ আগস্ট হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং ভারতে পালিয়ে যান। এরপর প্রায় চার সপ্তাহ ধরে ভারতে তার উপস্থিতি বাংলাদেশে অনেক জল্পনাকেই উসকে দিয়েছে।

হাসিনার চুপ থাকার বিষয়ে বাংলাদেশ তার অবস্থান ভারতের কাছে জানিয়ে দিয়েছে কি না জানতে চাইলে ড. ইউনূস বলেন, মৌখিকভাবে এবং বেশ দৃঢ়ভাবে জানানো হয়েছে যে তার চুপ থাকা উচিত।

নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, সবাই এটা বোঝে। আমরা বেশ দৃঢ়ভাবে বলেছি যে তার চুপ থাকা উচিত। এটি আমাদের প্রতি অবন্ধুসুলভ অঙ্গভঙ্গি; তাকে সেখানে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে এবং সেখান থেকে তিনি প্রচারণা চালাচ্ছেন। তিনি যে স্বাভাবিক নিয়মেই সেখানে (ভারতে) গেছেন তা নয়। জনগণের অভ্যুত্থান এবং জনরোষের কারণে তিনি পালিয়ে গেছেন।

ইউনূস বলেন, (হাসিনা সরকারের আমলে হওয়া) নৃশংসতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ন্যায়বিচারের জন্যই তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন। হ্যাঁ, তাকে (হাসিনাকে) ফিরিয়ে আনতে হবে, তা না হলে বাংলাদেশের মানুষ শান্তিতে থাকবে না। হাসিনা যে ধরনের নৃশংসতা করেছেন, তাকে এখানে সবার সামনে বিচার করতে হবে।

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ভবিষ্যত নিয়ে কথা বলার সময় ড. ইউনূস ভারতের সাথে সুসম্পর্কের আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেন। কিন্তু তিনি জোর দিয়ে বলেন, নয়াদিল্লিকে এই মনোভাব ত্যাগ করতে হবে যে শুধুমাত্র হাসিনার নেতৃত্বই বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, (বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার উপায় হচ্ছে) ভারতের তাদের নিজেদের আখ্যান থেকে বেরিয়ে আসা। আখ্যানটি হলো (বাংলাদেশে) সবাই ইসলামপন্থি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ইসলামপন্থি এবং বাকি সবাই ইসলামপন্থি এবং এই দেশকে তারা আফগানিস্তানে পরিণত করবে। আর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ নিরাপদ থাকবে। এই আখ্যানে ভারত বিমোহিত। ভারতকে এই আখ্যান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও তাদের আরেকটি প্রতিবেশী।


আরও খবর



শরীয়তপুরে দোকানির মাধ্যমে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ এসআইয়ের বিরুদ্ধে

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শাওন মিয়া (জাজিরা) শরীয়তপুর

Image

শরীয়তপুরের জাজিরা থানা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের তদন্তের দায়িত্ব পালনের সময় সেবাগ্রহীতাদের থেকে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রাথমিকভাবে অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের আবেদনের পর যখন স্থানীয় থানায় তদন্তের জন্য পাঠানো হয় তখন থানা থেকে এসআই হুমায়ুন কবির সেবাগ্রহীতার মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করে থানায় এসে দেখা করতে বলেন। পরে সেবাগ্রহীতারা যখন থানায় আসেন তখন তাদের থানার সামনে অবস্থিত একটি দোকানি সাথে দেখা করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপি দিয়ে যেতে বলেন। সেবাগ্রহীতারা যখন ঐ দোকানি  সাথে দেখা করেন তখন ঐ পুলিশ কর্মকর্তার নির্দেশনা মত তাদের কাগজপত্র যাচাই করে চাহিদামত পেলে পাঁচশো থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত দাবী করা হয়। যারা চাহিদামত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান তাদের তদন্ত প্রতিবেদন নেগেটিভ দেয়া হবে বলে প্রদান করা হয়।

জাজিরা পৌরসভার দক্ষিণ বাইকশা এলাকার বাসিন্দা রাকিব হাসান ইউরোপের একটি দেশে শ্রমিক হিসেবে যেতে ভিসার আবেদন করেছেন। সেখানে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের প্রয়োজন।

তিনি বলেন, "আমি অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার জন্য নির্ধারিত ফি ৫০০ টাকা দিয়ে আবেদন করেছি। পরে জাজিরা থানা থেকে পুলিশ সদস্য হুমায়ুন কবির আমার জাতীয় পরিচয়পত্র, বাবা মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র, চেয়ারম্যানের সার্টিফিকেট, পাসপোর্টের ফটোকপি ও বিদ্যুৎ বিলের কপি নিয়ে থানায় যেতে বলেন। পরে তার চাহিদামত কাগজপত্র নিয়ে থানায় গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তাকে ফোন দিলে তিনি আমাকে থানার সামনে থাকা একটি কম্পিউটার সেন্টারের সামনে যেতে বলেন।

আমি সেখানে যাওয়ার পর এসআই হুমায়ুন আমার কাগজপত্র গুলো হাতে নিয়ে ঐ কম্পিউটার দোকানের লোক এর কাছে দিতে বলে সে সব বুঝে রাখবে বলে সেখান থেকে চলে যান। পরে ঐ কম্পিউটার দোকানি আমাকে বসতে বলেন। একটু পর দোকানি আমাকে বলেন, কাগজপত্র সব ঠিক আছে। ১ হাজার টাকা দাও। তখন আমি কিসের টাকা জানতে চাইলে তিনি বলেন, খরচ আছে তাই দিতে হবে। কোন উপায়ন্তর না দেখে আমি তাকে ৫০০ টাকা দেই।

তখন তিনি ৫০০ টাকায় হবেনা বলে আমাকে ফিরিয়ে দেন এবং বলেন, কাজ ঠিকমত হতে হলে অন্তত ৮০০ টাকা দিতে হবে। যদি এখন না পারো তাহলে গিয়ে বিকাশে পাঠিয়ে দিও। এরপর আমি চলে আসার পর টাকার জন্য আমাকে অনেকবার ফোন দেয়া হয়েছিল। পুলিশ এখনো আমাদের সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ঘুষ খাওয়া বন্ধ করলো না। বিষয়টি নিয়ে আমি খুবই কষ্ট পাই। সে কষ্টে ফেসবুকে একটি পোস্টও করি। ফেসবুকের সেই পোস্ট ডিলিট করার জন্যও আমাকে অনেকবার ফোন করে বলা হয়েছে।"

জাজিরা উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নের বাসিন্দা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ভুক্তভোগী বলেন, 'অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের আবেদন করার দুদিন পর জাজিরা থানা থেকে এক পুলিশ সদস্য ফোন করে কাগজপত্র নিয়ে থানায় যেতে বলেন। থানায় যাওয়ার পর থানার সামনে থাকা কম্পিউটারের দোকানে কাগজপত্র দিয়ে যেতে বলা হয়। পরে সেখানে কাগজপত্র জমা দিলে ওই দোকানের এক লোক খরচ লাগবে বলে ১ হাজার টাকা চায়। টাকা না দিতে চাইলে তিনি বলেন, কাজ হতে হলে টাকা দিতে হবে। পরে ৫০০ টাকা দিতে বাধ্য হই।'

এছাড়াও আরো কয়েকজন ভুক্তভোগী একই অভিযোগ করে বলেন, সরকার অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদনের ব্যবস্থা করেছে সেখানে প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র আপলোড করে তারপর আবেদন দাখিল করতে হয়। আর আবেদনের সাথে ৫০০টাকা ফ্রি নেয়া হয়। এরপরও তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া পুলিশ কর্মকর্তারা সরাসরি এসে তদন্ত না করে থানায় বসে বসে আমাদের ভুক্তভোগীদের হয়রানি করে। আবার বাড়তি টাকার দাবী করে। আর যদি কোন ভুল পায় তাহলে তো ভোগান্তির শেষ থাকেনা। একারনে পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থার অবনতি হয়েছে।

টাকা দাবীর বিষয়ে জানতে চাইলে কম্পিউটার সেন্টারের পরিচালক বলেন কারো কাছে কোন টাকা চাইনি। এরপর তিনি ফোন রেখে দেন।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে অভিযুক্ত পুলিশের কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তিনি কোন সদুত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দেন। এরপর মুঠোফোন বন্ধ করে রাখেন। পরে থানায় গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।

এবিষয়ে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলমের সাথে কথা বললে তিনি ঐ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।

নিউজ ট্যাগ: শরীয়তপুর

আরও খবর



শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি: রয়টার্সকে জয়

প্রকাশিত:শনিবার ১০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে দেশ ছেড়ে চলে গেছেন শেখ হাসিনা। তবে তিনি কখনোই পদত্যাগ করেননি বলে দাবি করেছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।

ওয়াশিংটন থেকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জয় বলেন, আমার মা কখনোই আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেননি। সেই সময় তিনি পাননি। একটি বিবৃতি দিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার। কিন্তু এরপর আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে অগ্রসর হতে লাগল এবং তখন আর সময় ছিল না। এমনকি আমার মা গোছানোর সময়টুকুও পায়নি। সংবিধান অনুযায়ী, তিনি এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

জয় জানান, প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ না করা সত্ত্বেও অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রক্রিয়াকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যেতে পারে। শেখ হাসিনা চলে যাওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন নোবেলজয়ী ড.মুহাম্মদ ইউনূস। এই সরকারের মেয়াদ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। তবে আগামী তিন মাসের ভেতর বাংলাদেশে নির্বাচন দেখতে চাইছেন জয়। যেখানে অংশ নেবে আওয়ামী লীগও।

জয় বলেন, আমি আত্মবিশ্বাসী আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে। না হলে, আমরা বিরোধী দল হব। যেটাই হোক ভালো হবে। আমি মিসেস খালেদা জিয়ার ভাষণ শুনে খুশি হয়েছি। আসুন আমরা অতীতকে ভুলে যাই। আমরা যেন প্রতিহিংসার রাজনীতি না করি। ঐক্যবদ্ধ সরকার হোক বা না হোক, আমাদের একসঙ্গে কাজ করে যেতে হবে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন করতে আমি বিএনপিকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। তাদের সঙ্গে কাজ করে নিশ্চিত করতে হবে যে, আমাদের শান্তিপূর্ণ গণতন্ত্র রয়েছে যেখানে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। আমি বিশ্বাস করি, রাজনীতিতে আলাপ-আলোচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা তর্ক করতে পারি, অসম্মতিতে একমত হতে পারি এবং সবসময় একটি সমঝোতা পথ খুঁজে পেতে পারি।

আওয়ামী লীগ চাইলে আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে ভাববেন জয়, এই মেয়াদ শেষে এমনিতেই আমার মা রাজনীতি থেকে অবসরে যেত। যদি দল আমাকে চায়, আমি অবশ্যই সেটা বিবেচনায় রাখব।

রয়টার্সের দেওয়া তথ্যমতে, আন্দোলনে  নিহতের সংখ্যা প্রায় ৩০০ জনের মতো। সেজন্য শেখ হাসিনাকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন ছাত্ররা। জয় বলেন, গ্রেপ্তারের হুমকিতে আমার মা আগেও কখনো ভয় পাননি। আমার মা ভুল কিছু করেননি। শুধু তার সরকারের লোকেরা বেআইনি কাজ করেছেন, এর মানে এই নয় যে, আমার মায়ের নির্দেশেই কাজগুলো করেছেন তারা। এর মানে এই নয় যে, আমার মা এসবের জন্য দায়ী। যারা এর জন্য দায়ী, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা উচিত। আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা করার জন্য আমার মা কাউকে আদেশ দেননি। পুলিশ সহিংসতা ঠেকানোর চেষ্টা করে গেছে, কিন্তু কিছু পুলিশ অফিসার অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করেছেন।


আরও খবর
ঢাকায় এসেছেন কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান

শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ডিআর কঙ্গোতে জেল ভেঙে পালানোর চেষ্টকালে নিহত ১২৯

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোর সরকার জানিয়েছে, রাজধানী কিনশাসার কেন্দ্রীয় মাকালা কারাগার ভেঙে পালানোর চেষ্টাকালে অন্তত ১২৯ জন নিহত হয়েছেন।  রোববার রাতের এ ঘটনার পর পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে বলে দাবি করেছে সরকার।

রোববার দুপুর রাত ২টার দিকে কারাগারটিতে থাকা বন্দিরা কারাগার ভেঙে পালানো চেষ্টা করেছিল। অন্য বন্দিরা রয়টার্সকে জানান, তারা ব্যাপক গুলির আওয়াজ ও বাইরে বন্দিদের হইচই শুনেছেন।

মঙ্গলবার ভোররাতে সামাজিক মাধ্যম এক্স এ পোস্ট করা এক ভিডিও বিবৃতিতে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানি লুক জানান, ঘটনার সময় কারাগারটির প্রশাসনিক ভবন, খাদ্য গুদাম ও হাসপাতালে আগুন ধরে গিয়েছিল। ১২৯ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আরও ৫৯ জন আহত হয়েছেন।

তিনি বলেন, মাকালা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালানোর এই গণপ্রচেষ্টায় বহু প্রাণহানি ও সম্পদের উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এর আগে এক কারা কর্মকর্তা জানান, কোনো বন্দি পালাতে পারেননি, যারাই পালানোর চেষ্টা করেছে নিহত হয়েছে। সরকার ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করছে।


আরও খবর