শ্রম আইন লঙ্ঘনের
মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাসের
কারাদণ্ড দিয়ে এক মাসের মধ্যে আপিলের শর্তে জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। একই সঙ্গে চারজনকে
৩০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে। পরে আপিলের শর্তে ড. ইউনূসসহ চারজনকে এক মাসের
জামিন দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার
(১ জানুয়ারি) নতুন বছরের প্রথমদিনে রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনে তৃতীয় শ্রম আদালতের
বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা ৮৪ পৃষ্ঠার রায় পড়া শেষে এ আদেশ দেন। রায় শুনতে আদালতে
অনেক বিশিষ্ট নাগরিক উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে একই
আদালত আজ বেলা তিনটার দিকে ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ডাদেশ দেন। এ ছাড়া
তাঁদের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
রায়ের ঘোষণার পর ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, তাঁর মক্কেল ন্যায়বিচার পাননি।
আরও পড়ুন>> ড. ইউনূসের ৬ মাসের কারাদণ্ড
তবে কলকারখানার
পক্ষের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করছি। এখানে নোবেলজয়ী
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের রায় দেওয়া হয়নি। বরং গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যানের সাজা হয়েছে।
ড. ইউনূস, গ্রামীণ
টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও
মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মামলাটি করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান
পরিদর্শন অধিদপ্তর। মামলায় অভিযোগ আনা হয়, শ্রম আইন, ২০০৬ এবং বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা,
২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাঁদের
নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক
ছুটি দেওয়া, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয় না।