আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

আড়াই বছরেই দেউলিয়া হয়েছে শ্রীলংকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ মে ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে অকল্পনীয় সব প্রতিশ্রুতি দেন গোতাবায়া রাজাপাকসে। ভোটার টানতে বড় আকারে ট্যাক্স মওকুফের ঘোষণা দেন। মূল্য সংযোজন কর ১৫ থেকে কমিয়ে ৮ শতাংশে নামিয়ে আনাসহ অন্যান্য করে বড় ছাড় দেয়ার কথা জানান।  প্রচারাভিযানে দেয়া তার এসব প্রতিশ্রুতিকে স্টান্টবাজি হিসেবে অ্যাখা দিয়েছিলেন অনেকে। তত্কালীন অর্থমন্ত্রী মঙ্গলা সামারাবিরা গোতাবায়ার এমন ঘোষণাকে বিপজ্জনক হিসেবে মন্তব্য করেন। সতর্ক করে বলেন, এমন অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত শ্রীলংকাকে কেবল দেউলিয়াই করবে না, ভেনিজুয়েলা ও গ্রিসের মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। তার ওই ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবে রূপ নিতে সময় লেগেছে মাত্র আড়াই বছর। রাজাপাকসে পরিবারের ক্ষমতার মসনদে ভাঙন ধরেছে। ধারাবাহিক বিক্ষোভে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে। টালমাটাল রাজাপাকসে পরিবারের শাসন।

নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য রাজাপাকসে পরিবার জনগণের ওপর করের চাপ কমানোর যে প্রলোভন দেখিয়েছে, সেটি আজ দেশের জন্যই হিতে বিপরীত হয়ে দেখা দিয়েছে। ঋণে জর্জরিত দেশটির রাজস্ব কমে যাওয়ার অর্থ ছিল তাদের নগদ অর্থের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ধরনা দেয়ার পথ তৈরি হওয়া। এমন ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি সে সময়কার নীতিনির্ধারকরা বুঝলেও রাজাপাকসে পরিবারের কাছে ক্ষমতায় আসাটাই ছিল মুখ্য।

নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর দ্বীপরাষ্ট্রটির রাজনৈতিক ক্ষমতার অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠে রাজাপাকসে পরিবার। পরের বছর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন মাহিন্দা রাজাপাকসে। ভাই প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের অধীনে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন তিনি। ২০২১ সালে তাদের আরেক ভাই বাসিল রাজাপাকসেকেও সরকারে আনা হয়। দায়িত্ব দেয়া হয় অর্থমন্ত্রীর। সরকারে আনা হয় পরিবারের অন্য সদস্যদেরও। এভাবে শ্রীলংকার রাজনীতি, সরকার ও ক্ষমতার মসনদে রাজাপাকসে পরিবারের অবস্থান শক্ত হয়ে ওঠে। এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী পরিবার হয়ে ওঠে তারা। তবে এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে রাজাপাকসে পরিবারের ক্ষমতাশীল হয়ে ওঠার সেই দৌড় থমকে যায়। যার শুরুটাও রাজাপাকসে পরিবারের হাত ধরেই।

প্রতিশ্রুতি মতো নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই ট্যাক্স কমিয়ে দেন গোতাবায়া রাজাপাকসে। ফিরিয়ে আনেন প্রেসিডেন্সিয়াল ক্ষমতা। কর্তৃত্ববাদী শাসনক্ষমতায় পাকাপোক্ত হওয়ার বাসনা আরো জেঁকে বসে রাজাপাকসে ভাইদের মাঝে। ঋণ নিয়ে আগ্রাসীভাবে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ নেন তারা। তবে অব্যবস্থাপনা আর অবাধ দুর্নীতি দেশটিকে খাদের কিনারে টেনে আনে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে মুদ্রাস্ফীতি। প্রকট হতে থাকে জ্বালানির সংকট। বিদ্যুৎ ছাড়াই থাকতে হয় নাগরিকদের বেশির ভাগ সময়। অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে খাদ্যনিরাপত্তা। ফুরিয়ে আসে আমদানি সক্ষমতাও। বিপরীতে ঋণে জর্জরিত দেশ। নাগরিকদের খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় সুবিধা নিশ্চিত করতে জরুরি ভিত্তিতে অনুদানের জন্য দাতা সংস্থা ও অন্য দেশের কাছে হাত পাততে হয় তাদের। মুদ্রাবাজার থেকে উচ্চসুদে বিপুল পরিমাণ ঋণ নেয় শ্রীলংকা। এ ঋণ ও তার সুদ পরিশোধ করতে না পেরে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে সরকার।

শুধু এবারের নির্বাচনই নয়, শ্রীলংকার রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই রাজাপাকসে ভাইদের মধ্যেই ক্ষমতার হাতবদল হয়েছে। সেই অর্থে অর্থনৈতিক দুর্বলতার মধ্যেই ক্ষমতায় আসে রাজাপাকসে পরিবার। ক্ষমতায় আসার পর চীন থেকে বড় আকারে ঋণ নেয় সরকার। গভীর সমুদ্রবন্দরসহ বড় বড় প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। এশিয়ার মধ্যে নিজেদের আরেক সিঙ্গাপুর বানানোর উচ্চাভিলাষ জেগে বসে রাজাপাকসে ভাইদের মাঝে। যদিও বেশির ভাগ প্রকল্পই শ্বেতহস্তীতে পরিণত হয়। কয়েক বছরের ব্যবধানে দ্বিগুণ হয় ঋণের পরিমাণ। ২০১৯ সালের ইস্টার সানডেতে সন্ত্রাসী হামলা অর্থনীতির ওপর আরো চাপ তৈরি করে। পর্যটননির্ভর অর্থনীতির ধকল কাটিয়ে ওঠার আগেই টালমাটাল পরিস্থিতিতে ফেলে দেয় করোনা অতিমারী।

গত এপ্রিলে সরকারের অদূরদর্শী আরেক সিদ্ধান্ত শ্রীলংকার আর্থিক বিপর্যয়কে ত্বরান্বিত করে। সরকার হঠাৎ করে এ সময়ে রাসায়নিক সার ব্যবহার নিষিদ্ধ করে। মূলত ডলার সাশ্রয় করার জন্যই ওই উদ্যোগ নেয়। উদেশ্য ছিল সার আমদানি বন্ধ করে অর্গানিক কৃষিতে ঝোঁকা। তবে সেটি বুমেরাং হয়ে ওঠে। অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে ধস নামে। রফতানি আয়ের অন্যতম উৎস চায়ের উৎপাদনেও ধস দেখা দেয়। এ খাত থেকে রফতানি আয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে আসে। বিপরীতে খাদ্যশস্যের উৎপাদনে ধস দেখা দেয়ায় বাধ্য হয়ে চালসহ খাদ্য আমদানি করতে হয় সরকারকে। অভ্যন্তরীণ বাজারে খাদ্যপণ্যের ব্যয় বাড়তে থাকে। নিত্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হতে থাকে নাগরিকরা। সবকিছু মিলিয়ে নাগরিকদের মাঝে ক্ষোভ তীব্র আকার ধারণ করে। যার বহিঃপ্রকাশ দেখা গেছে সাম্প্রতিক সময়ে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় নাগরিকরা ফুঁসে ওঠে। বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে দেশ। পদে টিকে থাকার শেষ চেষ্টা করেও পারলেন না মাহিন্দা রাজাপাকসে। পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি।

স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে মাহিন্দা রাজাপাকসের পদত্যাগের মধ্যেই সহিংসতায় এক এমপিসহ অন্তত সাত শ্রীলংকান নিহত হয়েছে। এ অবস্থায় সহিংস এ উসকানির জন্য মাহিন্দা রাজাপাকসেকে গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন দেশটির আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, তারকা ক্রিকেটারসহ বিভিন্ন স্তরের নাগরিক। পাশাপাশি গোতাবায়ার পদত্যাগের দাবিও জোরালো হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজাপাকসে পরিবারের দীর্ঘদিনের ক্ষমতা এবার খর্ব হতে চলেছে। গত দুই দশকের মধ্যে ১২ বছরই দ্বীপরাষ্ট্রটির শাসন করতে থাকা পরিবারের ডিক্টেটরশিপ এখন ধ্বংসের মুখে। যেকোনো সময় গোতাবায়াকেও ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হতে পারে। আর সেটি হলো দেশ ও দেশের বাইরে বিরূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে তাদের। মানবাধিকার লঙ্ঘন, যুদ্ধাপরাধ ও দুর্নীতির দায়ে বিচারের আওতায় আসতে হতে পারে। শেষ পর্যন্ত ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে থাকার চেষ্টা করে যাবেন গোতাবায়া। যে কারণে অনেকটা কৌশলেই ভাই মাহিন্দাকে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়তে অনুরোধ করেন তিনি। উদ্দেশ্য চলমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা।

সংবিধানের সর্বশেষ সংশোধনী অনুযায়ী অসীম ক্ষমতা উপভোগ করছেন শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট। মন্ত্রিপরিষদ নিয়োগ থেকে শুরু করে তাদের বহিষ্কার ও অপসারণের ক্ষমতা রাখেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি বিচারক নিয়োগ দিয়ে থাকেন এবং নিজে যেকোনো জবাবদিহিতার বাইরে থাকতে পারেন। নির্বাহী প্রেসিডেন্টের এমন অসীম ক্ষমতার মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে আগ্রহ দেখাচ্ছে না বিরোধী দলগুলো। তারাও গোতাবায়ার পদত্যাগ দাবি করছে। চলতি সপ্তাহে গোতাবায়ার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন ইস্যুতে বিরোধী নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকও ডেকেছেন সংসদের স্পিকার। ফলে শেষ পর্যন্ত রাজাপাকসে পরিবারের ক্ষমতায় টিকে থাকা এখন অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে।

নিউজ ট্যাগ: শ্রীলংকা

আরও খবর



জয়পুরহাটে পানির দামে বিক্রি হচ্ছে দুধ!

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের কালাইয়ে দুধের চাহিদা না থাকায় এক লিটার গরুর দুধ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। অথচ উপজেলার অনেক বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এক লিটার বোতলজাত পানি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পানির দামে দুধ বিক্রি হওয়ায় উপজেলার শত শত দুগ্ধ খামারিরা দুঃচিন্তা ও হতাশায় ভুগছেন এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

কালাই প্রেসক্লাবের মাঠের সামনে সপ্তাহে পাঁচ দিন দুধের বাজার বসে। সেখানে শুক্রবার দুধ বিক্রি করতে আসা কয়েকজন খামারি ও কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একজন খামারির ১০ লিটার দুধ উৎপাদনে একটি দুগ্ধবর্তী গাভীর জন্য ভুসি, খৈল, ঘাস, ভিটামিন, বিদ্যুৎ বিল, লবণ, মজুরি, চিকিৎসাসহ খরচ হয় প্রায় ৬০০ থেকে থেকে ৬৫০ টাকা। একজন কৃষকের ১০ লিটার দুধ উৎপাদনে খরচ হয় ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা। এক লিটার দুধ বিক্রি করে প্রায় ৩০ টাকা দুগ্ধ খামারির লোকসান হয় এবং একজন কৃষকের এক লিটার দুধ বিক্রি করে প্রায় ২০ টাকা লোকসান হচ্ছে।

দুধ বিক্রি করতে আসা কৃষক সোহেল, আনোয়ার, নুরনবীসহ আরও অনেকে জানান, সিন্ডিকেটের কারণে দুধের বাজার কমে যায়। তারা প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চান।

দুধ কিনতে আসা জাহিদুল, খন্দকার আরিফ, জামাল ও সোহরাব হোসেন জানান, কিছু দিন আগে ঈদুল ফিতরের সময় প্রচুর পরিমাণ দই ও মিষ্টি বিক্রি হওয়ার কারণে মানুষ দই, মিষ্টি কিনছে না। এ কারণে অল্প দিনের জন্য দুধের বাজার কম।

স্থানীয় খামারির মালিক আব্দুল আলিম সরকার ও শাহারুল জানান, দুধ বিক্রির জন্য নির্ধারিত ক্রয়কেন্দ্র প্রয়োজন। কিন্তু তাদের এখানে নেই। ক্রেতা না পেয়ে লোকসান করেই দুধ বিক্রি করতে হয়। সরকার যদি খামারিদের দিকে নজর না দেয়, তাহলে অনেকেই দুগ্ধ খামারির পেশা থেকে সরে আসবেন।

কালাই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাসান আলী জানান, দুধের বাজার স্বাভাবিক রাখতে জয়পুরহাটে দ্রুতই দুধ সংগ্রহকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এতে করে খামারি ও কৃষকরা ন্যায্য দামে দুধ বিক্রি করতে পারবেন।


আরও খবর



এফডিসিতে সাংবাদিকের ওপর হামলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন বা এফডিসিতে সাংবাদিকের ওপর হামলা চালিয়েছেন শিল্পীরা। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় ২৭ এর বেশি সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এর মধ্যে সাতজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, এ হামলার মূল হোতা খল অভিনেতা শিবা শানু। এর পর জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো হামলা চালান। হামলার একপর্যায়ে পুরো এফডিসির ফাইট ডিরেক্টরাও হামলায় অংশ নেন।

তবে ঠিক কী কারণে সাংবাদিকদের ওপর শিল্পীরা হামলা চালান, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।

এদিন বিকেলে ২০২৪-২৬ এর শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটি শপথ গ্রহণ করে। সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগরকে শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু। এরপর বাকি সদস্যরা মিশা সওদাগরের নেতৃত্বে শপথ গ্রহণ করেন।

শিল্পী সমিতির ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে মিশা-ডিপজল পরিষদ। সভাপতি পদে মিশা সওদাগর পেয়েছেন ২৬৫ ভোট। নিকটতম প্রার্থী মাহমুদ কলি পেয়েছেন ১৭০ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজল পেয়েছেন ২২৫ ভোট। একই পদে ২০৯ ভোট পেয়েছেন নিপুণ আক্তার। মাত্র ১৭ ভোটে পরাজিত হয়েছেন গতবারের এই সাধারণ সম্পাদক।


আরও খবর



২৫ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ নিয়ে নতুন ঘোষণা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশজুড়ে তীব্র তাপদাহে দেশের ২৫ জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, দেশে চলমান তাপদাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ‘আবহাওয়া পূর্বাভাস’র ভিত্তিতে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের সকল জেলার, ঢাকা বিভাগের ঢাকা ও টাঙ্গাইল জেলার, চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর জেলার এবং রংপুর বিভাগের রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলার সকল মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামীকাল শনিবার, ৪ মে ২০২৪ তারিখ বন্ধ থাকবে।

এর আগে, গত ২০ এপ্রিলে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর গত ২৮ এপ্রিল খুলে দেয়া হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে পরের দিন সোমবার হাইকোর্ট দেশের সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসার ক্লাস বন্ধের নির্দেশ দেন।

হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা আলাদা নোটিশ জারি করে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে সিদ্ধান্ত রয়েছে মাধ্যমিকে পাঠদান চলবে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবারেও। সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শনিবার থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান শুরুর কথা জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় রোববার (৫ মে) থেকেই ক্লাস শুরু করতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে এতে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনাগুলো হলএক শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলো প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। দুই শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলোয় প্রথম শিফট সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট সকাল পৌনে ১০টা থেকে থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। তাপ প্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি (প্রাত্যহিক সমাবেশ) বন্ধ থাকবে।

এছাড়াও, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সংশ্লিষ্টদের নিয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর হতে প্রেরিত রুটিন বিবেচনায় নিয়ে উপজেলা ভিত্তিক শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সাপ্তাহিক রুটিন প্রণয়ন করবেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।


আরও খবর



ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ

আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে মেক্সিকো, কানাডা ও ফ্রান্সের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলোতে চলা আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে অন্যান্য দেশেও। মেক্সিকো কানাডা ও ফ্রান্সের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বর্বতার প্রতিবাদে অবস্থান নিয়েছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন। এরপরেই বছরের পর বছর ধরে গাজায় চলা সামরিক পদক্ষেপ জোরালো করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে প্রাণ হারিয়েছে ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত ৭৪ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক। এমন অবস্থায় বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছে।

শুরু থেকেই এই সংঘাতে ফিলিস্তিনকে সমর্থন দিয়ে আসছিল যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সবচেয়ে সক্রিয় ছিল কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। গত মাসের শুরুর দিকে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্প উচ্ছেদ করার পর থেকে পুরো যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে একই ধরনের বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

বিক্ষোভ এবং গ্রেফতার দেশের প্রায় প্রতিটি প্রান্তে হয়েছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় লস অ্যাঞ্জেলেসে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া (ইউসিএলএ) সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে। সেখানে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দাঙ্গা পুলিশ বিক্ষোভকারীদের দিকে ধেয়ে আসে। শত শত বিক্ষোভকারী মানব বন্ধন সৃষ্টি করে ইউসিএলএ ক্যাম্পাস থেকে চলে যাবার আদেশ উপেক্ষা করে। পুলিশ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য সাউন্ড গ্রেনেড বা ফ্ল্যাশ-ব্যাং ব্যবহার করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাস থেকে ২ হাজারেরও বেশে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ।

সেই আন্দোলন এবার দেখা দিয়েছে অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকো ও কানাডায় অনেক শিক্ষার্থী ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্দোলন করছে।

ফরাসি সংবাদমাধ্যম ফ্রান্স টোয়েন্টি ফোরে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেক্সিকের ন্যাশনাল অটোনমাস ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। তারা ফিলিস্তিনের পক্ষে স্লোগান দিচ্ছিলেন। মেক্সিকো সরকারের কাছে তারা ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের আহ্বান জানান।

অন্যদিকে কানাডায় ইউনিভার্সিটি টরোন্টো, ব্রিটিশ কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি এবং ওতাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

এ ছাড়া ফ্রান্সে দ্বিতীয় সপ্তাহের মতো চলছে আন্দোলন। তাদের দাবি ইসরায়েলি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে।


আরও খবর



মমেক হাসপাতালে কুকুরের সঙ্গে রোগীদের বসবাস

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মমেক) তিনগুণের বেশি রোগী ভর্তি হওয়ায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগী ও তাঁদের স্বজনদের। এক হাজার শয্যা বিশিষ্ট ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৃহত্তর ময়মনসিংহের ছয় জেলা ছাড়াও বিভিন্ন জায়গার রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন।

জানা গেছে, হাসপাতালটিতে গড়ে প্রতিদিন ৩০০০-৩২০০ রোগী ভর্তি হয়ে থাকেন। এতে শয্যা সংকটের কারণে মেঝে ও বারান্দায় শুয়ে সেবা নিতে হচ্ছে অনেককে। চিকিৎসা সেবার মান নিয়েও রয়েছে জনমনে নানা প্রশ্ন। এতে করে সরকারি হাসপাতালের সেবা নিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকেই। জরুরি সেবা ছাড়া বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকগুলোতেই যেন স্বস্তি রোগীদের।

এদিকে, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বারান্দা এবং শয্যাগুলোতে অবাধেই ঘোরাফেরা করছে কুকুর। সিঁড়ির কোনায় কোনায় জমে আছে ময়লার স্তূপ। হাসপাতাল ভবনের ভেতরে কুকুরের অবাধ বিচরণের কারণে রোগী এবং স্বজনদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীন ভূমিকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা রয়েছেন চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে।

চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনরা জানান, সরকার যখন পুরো দেশবাসীকে সচেতন এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে নানামুখী কর্মসূচি নিচ্ছে সেই মুহূর্তে হাসপাতালের ভেতরে কুকুরের অবাধ আনাগোনা কাম্য নয়। কারণ কুকুর জলাতঙ্ক রোগ বহন করে। সেই কুকুরগুলো হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে রয়েছে। হাসপাতালটি কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ টেক্স লইয়ার্স এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এডভোকেট সাদিক হোসেন বলেন- এই যদি হাসপাতালে অবস্থা হয় কুকুর এবং মানুষ কি একসাথে বসবাস করতে পারে। এটাতো একটা ভয়াবহ পরিস্থিতি। এটা নিয়ে মন্তব্য করার কোন ভাষা নেই।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উপ-পরিচালক ডা: জাকিরুল ইসলামকে গতকাল রবিবার রাত ফোন দিলে তাকে পাওয়া যায়নি।


আরও খবর