আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

আরআরআর টিমকে রামচরণের উপহার

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বক্স অফিসে তুফান তুলেছে এসএস রাজামৌলির 'আরআরআর'। ৪৫০ কোটি বাজেটের ছবি দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই দ্বিগুণ অঙ্কের টাকা তুলে নিয়েছে। এই মুহূর্তে আরআরআরের পকেটে ৯০০ কোটি। সেই আনন্দে দক্ষিণী অভিনেতা আলুরি সীতারাম রাজু ওরফে রামচরণ 'আরআরআর' সদস্যদের স্বর্ণমুদ্রা উপহার দিয়েছেন বলেও জানা গেছে। একেকটি মুদ্রার ওজন নাকি ১০ গ্রাম!

দলের ৩৫ জন সদস্যকে সব মিলিয়ে মোট ১৮ লাখ টাকার স্বর্ণ মুদ্রা দিয়ে আনন্দ উদ্‌যাপন করেছেন অভিনেতা। শুধু তাই নয়, হায়দরাবাদের বাড়িতে তাঁর সঙ্গে প্রাতঃরাশের আমন্ত্রণও জানিয়েছেন সকলকে।

একটা তেলুগু যুদ্ধের ছবি এমন বিপুল সাফল্য পাবে তা আশা করেননি দলের কেউই, তবে মানুষের ভাল লাগবে এমনটা বুঝেছিলেন। রামচরণ জানান, দর্শকের এমন প্রতিক্রিয়া তাঁর কাছেও বড় চমক। তাই মিষ্টির বাক্স আর স্বর্ণমুদ্রায় ভরিয়ে তুললেন আনন্দের মুহূর্ত। সদস্যদের যে সোনার কয়েন উপহার দিয়েছেন তিনি সেগুলোর এক পিঠে 'আরআরআর' লোগো রয়েছে, অন্য পিঠে রয়েছে রামচরণের নাম। 


আরও খবর



মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। বুধবার (১ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল ঢাকার মিরপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। 

এর আগে গত ২৫ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে মানবতার ফেরিওয়ালার মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর সব প্রতারণার খবর প্রকাশ পায়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, মিল্টন সমাদ্দার নামক এক ব্যক্তি চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারনামের বৃদ্ধাশ্রম গড়ে রাস্তা থেকে অসুস্থ কিংবা ভবঘুরেদের কুড়িয়ে সেখানে আশ্রয় দেন। সেসব নারী, পুরুষ ও শিশুকে নিয়ে ভিডিও তৈরি করে প্রায়ই তাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করতে দেখা যায়।

মানুষের অসহায়ত্ব তুলে ধরে তাদের জন্য বিত্তবানদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন। তার আবেদনে সাড়াও মেলে প্রচুর। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ১৬টির বেশি নম্বর এবং তিনটি ব্যাংক হিসাবে প্রতি মাসে প্রায় কোটি টাকা জমা হয়। এর বাইরে অনেকেই তার প্রতিষ্ঠানে সরাসরি অনুদান দিয়ে আসেন। মানবিক কাজের জন্য এখন পর্যন্ত তিনটি রাষ্ট্রীয় পুরস্কারও পেয়েছেন মিল্টন সমাদ্দার।


আরও খবর



যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া বিএনপি: কাদের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির বোধগম্য হয় না যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে; জনকল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে। আমরা সর্বদা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।

বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকারবিরোধী তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নেয় বলে দাবি করে কাদের বলেন, বিএনপি ও তার দোসরদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনী সরকারের সুসমৃণ পথচলা এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ।

কাদের বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, পূর্বের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের নামেও তারা অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। আর দেশের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও মহামান্য আদালত জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিএনপি নেতারা সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায়।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে নিজেদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীর পাশাপাশি বাংলা ভাইয়ের মতো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর সৃষ্টি করেছিল এবং তাকে রক্ষা করার জন্য বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।

বিবৃতিতে কাদের বলেন, শেখ হাসিনা জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসা বিচারহীনতার সংস্কৃতির অর্গল ভেঙে বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসী বা অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্যের আড়ালে সন্ত্রাসীদের রক্ষার অপকৌশল সফল হবে না।

নিউজ ট্যাগ: ওবায়দুল কাদের

আরও খবর
আরও ৬১ নেতাকে শোকজ বিএনপির

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4




বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই : পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের আগে পাকিস্তানের অংশ ছিল বাংলাদেশ। ওই সময় বাংলাদেশ পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু পাকিস্তানের অংশ থাকা অবস্থায় পশ্চিম পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্যের শিকার হতেন এ অঞ্চলের মানুষ। শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তি পেতে মুক্তিকামী মানুষ পাক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। টানা ৯ মাস যুদ্ধ করে ৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশ।

পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেছেন, যে সময় বাংলাদেশ পাকিস্তানের অংশ ছিল তখন তাদেরকে বলা হতো, এই অংশটি পাকিস্তানের ওপর একটি বোঝা। কিন্তু ওই বোঝাই এখন অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ব্যাপক উন্নতি করেছে। ফলে এখন বাংলাদেশের দিকে তাকালে তিনি লজ্জিত হন। কারণ বাংলাদেশ এগিয়ে গেলেও পাকিস্তান এখনো অনেক পিছিয়ে আছে।

পাকিস্তানের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) একটি মতবিনিময় সভা করেন শেহবাজ শরীফ। ওই সময় তাদের তিনি বলেন, আমি খুবই তরুণ ছিলাম। আমাদের বলা হতো বাংলাদেশ আমাদের ওপর একটি বোঝা। আজ সবাই জানেন অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ওই বোঝা কোথায় পৌঁছে গেছে। তিনি আরও বলেছেন, আমরা এখন যখন বাংলাদেশের দিকে তাকাই লজ্জিত হই।

শেহবাজ শরীফের সঙ্গে পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশের ব্যবসায়ী নেতারা গতকাল বুধবার সিন্ধ সিএম হাউজে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। তারা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি ভারতের সঙ্গেও ব্যবসা বিষয়ক আলোচনা শুরুর তাগিদ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনের মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন শেহবাজ শরীফ। গত কয়েক বছর ধরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নাজুক অবস্থায় রয়েছে। এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য শেহবাজ শরীফের ওপর চাপ রয়েছে।


আরও খবর



চলতি বছর ছাড়াতে পারে তাপমাত্রার রেকর্ড

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চৈত্রের প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস মানুষ। রাজধানীসহ অনেক জেলায় বইছে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ। গত বছরের চেয়ে চলতি বছরজুড়ে তাপমাত্রা বেশি থাকবে। এর মধ্যে এপ্রিলে গরমের তীব্রতা পৌঁছাতে পারে সর্বোচ্চ পর্যায়ে বলে জানিয়েছে আবহওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি হওয়ায় গরমে অস্বস্তি আরও বাড়ছে। ২০২৩ সালের তুলনায় এবছর তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।  বাংলাদেশে সাধারণত মার্চ থেকে মে মাসকে বছরের উষ্ণতম সময় ধরা হয়। এর মধ্যে এপ্রিল মাসেই সাধারণত তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে।

বিশেষজ্ঞের মতে, নির্বিচারে গাছ কাটা, জলাশয় ভরাট করা, এসির অত্যধিক ব্যবহারের কারণে রাজধানীর তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে।

এ বছরের তাপপ্রবাহ তীব্র হওয়ার আশঙ্কা কেন?

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের গত কয়েকদিনের পূর্বাভাসের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে এখন বেশি তাপমাত্রা বিরাজ করছে।

এর কারণ হিসেবে আবহাওয়াবিদরা জানান, বাংলাদেশের ঐ অঞ্চলের দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তরপ্রদেশ ইত্যাদি রাজ্যের অবস্থান। কিন্তু এইসব প্রদেশের তাপমাত্রা অনেক বেশি। এসব জায়গায় বছরের এই সময়ে তাপমাত্রা ৪২ থেকে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মাঝে ওঠানামা করে।

এ নিয়ে আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, গত বছর ভারতের ওইসব অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেহেতু ওগুলো উত্তপ্ত অঞ্চল, তাই ওখানকার গরম বাতাস চুয়াডাঙ্গা, যশোর, কুষ্টিয়া, রাজশাহী হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এবং তা আমাদের তাপমাত্রাকে গরম করে দেয়।

এই আন্তঃমহাদেশীয় বাতাসের চলাচল ও স্থানীয় পর্যায়েও তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে দেশব্যাপী এবছর তাপপ্রবাহ তুলনামূলক বেশি থাকতে পারে বলে মনে করেন এই আবহাওয়াবিদ।

ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বিগত বছরের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে এটা প্রতীয়মান হচ্ছে যে ২০২৪ সাল উত্তপ্ত বছর হিসেবে যাবে। আমরা এ বছর তাপপ্রবাহের দিন এবং হার বেশি পেতে যাচ্ছি।


আরও খবর
আজ ঢাকায় কখন বৃষ্টি হবে

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4




৮ ঘণ্টা পর নিভল খুলনার জুট মিলে লাগা আগুন, চলছে ডাম্পিং

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

প্রায় ৮ ঘণ্টা পর খুলনার রূপসা উপজেলার জাবুসায় সালাম জুট মিলে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ও নৌবাহিনীর দুইটি ইউনিটের প্রচেষ্টায় বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত ২টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এখন চলছে ডার্মিংয়ের কাজ চলছে। এ ঘটনায় জুট মিলের চারটি গোডাউনে থাকা কাঁচা পাট ছাড়াও প্রক্রিয়াজাত করা সব পাটই পুড়ে গেছে।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, আগুন লাগা জুট মিলে কোনো ধরনের অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। বারবার এ বিষয়ে নোটিশ দেয়া হলেও মালিকপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। অন্যদিকে, পাটের আগুন হওয়ায় নিয়ন্ত্রণে আসতে এত সময় লেগেছে।

ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা জানান, আমার স্টেশনের ১১টা ইউনিট কাজ করেছে। আমারও একটি গাড়ি আছে, তবে সেটি অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার গাড়ি না। সেটা না ধরলে ১০টা ইউনিট হবে। আর প্রতিটি গাড়িতে দুইটি করে পাম্প থাকে। আমরা ২০টা পাম্প সেট করেছি, কমপক্ষে ২২-২৩ লাইন খুলেছি। পরে দেখলাম আমরা একটা প্রান্তে ঢুকতে পারছি না। শেষ পর্যন্ত আমার একটি ইউনিট রয়েছে, যেটা কোথাও কাটাকাটি করা লাগলে আমরা ব্যবহার করি। সেটিকে রেসকিউ ইউনিট বলা হয়। পরে ওই ইউনিট দিয়ে আমরা পেছন থেকে দুইটা দেয়াল কাটি।

তিনি বলেন, জুট মিলের দেয়ালগুলো ১২ ইঞ্চির। আর এটা একটা জেলখানার মতো জায়গা। ১২ থেকে ১৫ ফুট উঁচু করছে যেন মানুষ অপরপাশ দিয়ে না আসতে পারে। একটা করিডোরও তো রাখা যেতো। ২টা মানুষ যে এক্সিট হবে সে পথ রাখে নাই। দুইটা গেট রাখতো।

এর আগে বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে খুলনার এই জুট মিলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। পরে খবর পেয়ে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট। এরপর একে একে আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয় ১১টি ইউনিট। সেই সঙ্গে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় নৌবাহিনীর ২টি ইউনিট।

এদিকে, জুট মিলের মালিক এম এম এ সালাম জানিয়েছেন, আগুনে প্রায় ৭৫০ টন রপ্তানি উপযোগী পাটজাত পণ্য ছাড়াও প্রায় ৩৫ হাজার মণ কাঁচা পাট এবং মিলের যন্ত্রপাতি পুড়ে গেছে। সবমিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১২৫ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। এছাড়া কন্টিনেন্টাল ইনস্যুরেন্সে তার ৫০ কোটি টাকার ইনস্যুরেন্স করা ছিল বলেও দাবি করেছেন তিনি।

নিউজ ট্যাগ: খুলনা জুট মিল

আরও খবর
কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪

কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪