আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

আরব আমিরাতের বন্দরে ভিড়েছে এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দর জেটিতে ভেড়ানো হয়েছে। সোমালি দস্যুদের কবল থেকে মুক্তির পর ২৩ নাবিককে রিসিভ করতে যাওয়া জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত এ তথ্য জানিয়েছেন।

গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) রাতে জাহাজটি বন্দরের জেটিতে ভেড়ানো হয়। এরপর শুরু হবে কয়লা খালাস পর্ব। আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দিনের বেলা খালাস শুরু হবে। সোমালিয়ার উপকূল থেকে মুক্ত হওয়ার ৯ দিনের মাথায় তীরের দেখা পেলেন জাহাজটির ২৩ নাবিক।

জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম বলেন, বাংলাদেশ সময় সোমবার রাত পৌনে ১০টায় আল-হামরিয়া বন্দরের জেটিতে জাহাজটি ভেড়ানো হয়েছে। এরপর শুরু হবে কয়লা খালাসের পর্ব।

এদিকে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি হামরিয়ায় ভেড়ানোর সময় বন্দর জেটিতে আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা ও শাহরিয়ার জাহান রাহাতের নেতৃত্বে কেএসআরএম গ্রুপের একটি দল উপস্থিত ছিল।

উল্লেখ্য, জিম্মিদশার পর ১৩ মার্চ দিবাগত রাতে ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ মুক্ত হয়। এর পরই জাহাজটি আল-হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়। ৯ দিনের মাথায় বন্দরে পৌঁছাল জাহাজটি।

জাহাজের ২৩ নাবিকের মধ্যে ২১ জন জাহাজে আর দুজন বিমানে চট্টগ্রামে ফিরবেন বলে জানান মালিকপক্ষের মুখপাত্র মো. মিজানুল ইসলাম।

প্রসঙ্গত, ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে জাহাজটি দস্যুদের কবলে পড়েছিল।


আরও খবর



বাংলাদেশের হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে প্রথম দফার ভোট শেষ হয়েছে। এবার সবার নজরে দ্বিতীয় দফার ভোট। আর তার আগে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) প্রচার প্রচারণার জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অমিত শাহ এসেছিলেন পশ্চিম বঙ্গে।

এদিন রাজ্যের বিভিন্ন স্থান চষিয়ে বেরোনোর পর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে এক সভাতে ভাষণ দেন অমিত শাহ। ভাষণে উঠে আসে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া শরণার্থীদের নাগরিকত্ব বিষয়টি।

দিনাজপুরের ভাষণে অমিত শাহ এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া সমালোচনা করেন।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এবার আমরা এই বাংলা থেকে কাটমানির কালচার বন্ধ করে দুর্নীতিমুক্ত বাংলা গড়বো। সিএএ কার্যকর হবে। সিএএ ও এনআরসি বন্ধ করতে পারবে না মমতাদি।’

অমিত শাহ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশ থেকে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে চাইছেন না। হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে চাইছেন না। আমি কথা দিচ্ছি, সব হিন্দু শরণার্থীরা নাগরিকত্ব পাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রবেশকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে।’

সামনেই লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা। ভোটের প্রচারে এসে ফের টার্গেটের কথা শোনালেন তিনি। পশ্চিম বঙ্গে বিজেপির লক্ষ্যমাত্রা ৪২টি সিটের মধ্যে তিরিশটির বেশি আসন জয়।

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মোদিজি সারাদেশের গরিব মানুষের জন্য কাজ করেছেন। ১২ কোটির বেশি শৌচালয় বানানো হয়েছে। ৪ কোটির বেশি মানুষ নিজের বাড়ি পেয়েছেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় প্রকল্প এখানে আসতে দেন না।’

পশ্চিম বাংলার মা-বোনরা বিজেপির হাতে সুরক্ষিত থাকবেন বলে আশা করেন অমিত শাহ। দুর্নীতি ইস্যুতেও ফের একবার শাহের মুখে পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গ। বলেন, তৃণমূলের এক মন্ত্রীর বাড়ি থেকে ৫১ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। তৃণমূলের যে নেতারা দশ বছর আগে ঝুপড়ি থাকত, সাইকেলে ঘুরত, তাদের এখন চারতলা বাড়ি।’

শেষে পশ্চিম বাংলার মানুষের কাছে চাইলেন ভোটের প্রতিশ্রুতি। এদিকে ঠিক একদিন আগেই করণদিঘিতে সভা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


আরও খবর



বান্দরবানে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানে সশস্ত্র গোষ্ঠী কেএনএফ-এর বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানের প্রস্তুতি নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। শনিবার (৬ এপ্রিল) ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে বান্দরবানে যান তিনি।

সফরকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। পরে দুপুরে বান্দরবান সার্কিট হাউসে মতবিনিময় শেষে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন তিনি। ঢাকা থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে গিয়েছেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

গত ৩ দিনে পরপর কয়েকটি হামলা, ব্যাংক ডাকাতি, অপহরণ, গোলাগুলি ও অস্ত্র লুটের ঘটনার পর, কুকি চিনের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে আজ থেকেই সমন্বিত অভিযান শুরুর কথা রয়েছে।

র‍্যাব জানায়, যৌথ অভিযান কেএনএফ সন্ত্রাসীদের নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত চলবে। এই অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, র‍্যাব, বিজিবি ও পুলিশ অংশ নিচ্ছে।

র‍্যাব আরও জানায়, বান্দরবান জেলায় বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক সংগঠন রয়েছে। তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতা, উত্তরসূরিদের অনুপ্রেরণা ও বিশ্বে তাদের সহযোগীদের সক্ষমতা জানান দিতেই এ ঘটনাটি কেএনএফ সশস্ত্র সদস্যরা ঘটিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। এর আগেও কুকি-চিন সদস্যরা টাকার বিনিময়ে জঙ্গিদের অস্ত্র পরিচালনা প্রশিক্ষণ দেয়াসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল।


আরও খবর



সময়মতো কমলাপুর ছাড়ছে ট্রেন, খুশি যাত্রীরা

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আর মাত্র এক বা দুইদিন পরেই ঈদ। পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন রাজধানীবাসী। অনেকেই যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে ট্রেনকে বেছে নিয়েছেন। ঈদ উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে। যারা অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করেছিলেন তারা এখন ভ্রমণ করতে পারছেন। এবার ট্রেনে ঈদ যাত্রায় খুশি যাত্রীরা। দেখা যায়নি ভোগান্তির তেমন কোন চিত্র, ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় নেই। সময়মতো গন্তব্যের উদ্দেশ্যে স্টেশন ছেড়ে যাচ্ছে ট্রেন।

সোমবার (৮ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে দেখা যায়, একের পর এক ট্রেন নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে যাচ্ছে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রুটে যাতায়াতকারী মহানগর প্রভাতী ট্রেনটি স্টেশন ছাড়ার সময় ছিল ৭টা ৪৫ মিনিটে৷ ট্রেনটি এক মিনিটও বিলম্ব না করে নির্দিষ্ট সময়েই স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ত্যাগ করে।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন সূত্র জানায়, সকাল থকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মহানগর প্রভাতী, বালাকা, ধুমকেতু, পারাবত, সুন্দরবন, নীলসাগর এক্সপ্রেসসহ মোট ১১ টি ট্রেন বিভিন্ন গন্তব্যে স্টেশন ত্যাগ করেছে।

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, ট্রেনের কোনো সিডিউল বিপর্যয় নেই। এমনকি ট্রেন যাত্রায় বিলম্বও নেই। প্রতিটি ট্রেন তার নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুযায়ী স্টেশন ত্যাগ করছে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি এবং সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এবারের ঈদ যাত্রায় রেলওয়ের ব্যবস্থাপনায় খুশি সাধারণ যাত্রীরা। তারা বলছেন, ট্রেনে ঈদ যাত্রায় আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় এবার স্বস্তিদায়ক৷ একদিনে ট্রেন যেমন সময়মতো ছাড়ছে অন্যদিকে বিনা টিকিটের কোন যাত্রী ভ্রমণ করতে পারছেন না। রেলওয়ের ব্যবস্থাপনায় যাত্রাও ভালো হচ্ছে।

বুড়িমারি এক্সপ্রেসে লালমনিরহাট যাবেন আশরাফুল ইমন৷ এবারের ঈদ যাত্রা সন্তোষজনক জানিয়ে তিনি বলেন, এবারের ব্যবস্থাপনা খুবই ভালো লেগেছে৷ বিশেষ করে বিনা টিকিটের যাত্রী ঠেকাতে এখানকার ব্যবস্থাপনা প্রশংসনীয়৷ এসে দেখলাম সবগুলো ট্রেনই সময়মতো ছেড়ে যাচ্ছে৷ আগে বিলম্বে ট্রেন ছাড়ার অহরহ ঘটনা ঘটলেও এবারের ঈদে সেটি দেখা যাচ্ছে না।

ট্রেনের আরেক যাত্রী আকলিমা আক্তার বলেন, গত ঈদে বাড়ি যেতে অনেক ভেগান্তিতে পোহাতে হয়েছিল। এবার স্টেশনে এসে ভালো লাগছে। ব্যবস্থাপনা ভালো। সবার ঈদযাত্রা আনন্দের হোক।


আরও খবর



যাত্রাবাড়ীতে পরিবহন চাঁদাবাজ চক্রের মূলহোতাসহ গ্রেফতার ১১

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে চাঁদাবাজ চক্রের অন্যতম মূলহোতা মো. মারুফসহ ১১ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

গ্রেফতাররা হলেন- মূলহোতা মো. মারুফ (৩৮), মো. ইমরান হোসেন (৩৫), মো. জাকির হোসেন (২৩), মো. রায়হান (২২), মো. চয়ন (১৮), মো. আপন (১৮), মো. রুহুল আমিন (৪০), মো. আল আমিন (২৫), মো. তানজির (২৪), মো. এহসান আহম্মেদ সজীব (২৬) ও মো. আরিফুল হাসান শাওন (১৮)।

এসময় তাদের কাছ থেকে আদায় করা চাঁদার নগদ ১২ হাজার ৩২০ টাকা এবং ১১টি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২ মে) র‌্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি এম. জে. সোহেল এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ২ মে ভোর সাড়ে ৪টা থেকে সকাল ৭টা ১০ মিনিট পর্যন্ত র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় একাধিক অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরি ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহন থেকে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকালে পরিবহন চাঁদাবাজ চক্রের অন্যতম মূলহোতাসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

এএসপি সোহেল আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা বেশ কিছুদিন ধরে যাত্রাবাড়ীসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরি ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপারদের সঙ্গে অশোভন আচণের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে জোর করে চাঁদা আদায় করে আসছিল।

গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজুর পর সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান র‌্যাবের এ কর্মকর্তা।


আরও খবর



চার মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নানা জল্পনা কল্পনার পর শেষ পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেনের রেয়াত সুবিধা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর ফলে ট্রেনের ভাড়া কিছুটা বাড়বে। যা আগামী চার মে থেকে কার্যকর হবে। সোমবার (২২ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ রেলওয়ে।

তবে এখন পর্যন্ত নতুন ভাড়ার হার নির্ধারণ করেনি রেলওয়ের বাণিজ্যিক বিভাগ। যা চলতি সপ্তাহেই চূড়ান্ত হবে বলে জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি দেওয়া হয়। ২০১২ সালে সেকশনাল রেয়াত রহিত করা হলেও দূরত্বভিত্তিক রেয়াত বলবৎ থাকে। সম্প্রতি যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোতে ভাড়া বৃদ্ধি না করে শুধু বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ৪ মে থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।

বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, রেয়াত প্রত্যাহারের মাধ্যমে আগামী ৪ মে থেকে ট্রেনের ভাড়া সমন্বয় করা হবে। ট্রেনের ভাড়া কী হারে বাড়ছে, এ প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, এটা রেলওয়ের বাণিজ্যিক শাখা নির্ধারণ করবে।

রেলওয়ের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, ১০১-১৫০ কিলোমিটার ভ্রমণে ২০ শতাংশ, ১৫১-৪০০ কিলোমিটার ২৫ শতাংশ আর ৪০০ কিলোমিটারের বেশি পথ ভ্রমণে ৩০ শতাংশ রেয়াত সুবিধা পান যাত্রীরা। এই সুবিধাটি এখন বাতিল করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলের এই প্রস্তাব সম্প্রতি অনুমোদন করেছেন। যা চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।

গত ১৬ মার্চ বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী রেলের ভাড়া বাড়ানো হবে বলে কয়েকটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন। তখন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম জানিয়েছিলেন ভাড়া বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা নেই। এখন রেয়াত সুবিধা প্রত্যাহারের মাধ্যমে ঠিকই যাত্রীদের কাঁধে বাড়তি ভাড়া চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, কোনো যাত্রী ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে গেলে তার ভাড়ার ক্ষেত্রে এতদিন ধরে ছাড় (রেয়াত) দিয়ে আসছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে। সূত্রটি জানিয়েছে, ৪ মে থেকে যদি একজন যাত্রী ট্রেনে ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণ কারণে, তাহলে বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে।

এর আগে ২০১২ ও ২০১৬ সালে ভাড়া বাড়িয়েছিল রেলওয়ে। ২০১২ সালের অক্টোবরে সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১১০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। পরে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আরেক দফায় রেলের ভাড়া বাড়ানো হয় ৭ থেকে ৯ শতাংশ। এর প্রায় সাত বছর পর ২০২৩ সালের শেষার্ধে রেলওয়ের বিভিন্ন সেতু ও ভায়াডাক্টে পন্টেজ চার্জ আরোপের মাধ্যমে আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি সুবিধা চালু হয়েছিল ১৯৯২ সালে। এর মধ্যে সেকশনভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহার করা হয় ২০১২ সালে। দূরত্বভিত্তিক রেয়াত সুবিধার কারণে দূরপাল্লার ভ্রমণে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের ভাড়া নির্ধারণ হয় দূরত্বের তুলনায় কম।


আরও খবর