কাতার বিশ্বকাপের
কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস ম্যাচে রেকর্ড ১৮ বার হলুদ কার্ড দেখানো
হয়েছিল। তবে সেই ম্যাচে স্প্যানিশ রেফারি আন্তোনিও লাহোজকে চলমান আসরে আর সুযোগ দিচ্ছে
না ফিফা। তিনি ইতোমধ্যে স্পেনে ফিরে গেছেন।
সেদিন মোট ৪৮
বার ফাউলের বাঁশি বাজিয়েছিলেন লাহোজ। এতে ৪৮ বছর বয়সী এই রেফারির ওপর বিরক্ত হয়েছিলেন
দুই দলের খেলোয়াড় ও সমর্থকরা।
লাহোজকে সেমিফাইনাল
বা ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে রেখে ঝুঁকি নিতে চায়নি ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা।
ডাচদের বিপক্ষে
সেই ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখা থেকে বাদ পড়েননি আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসিও। মেসি
শুধুমাত্র রেফারির সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়েছিলেন বলেই কার্ড দেখেন। এমনকি দলের কোচ স্কালোনি
ও কোচিং স্টাফ ওয়াল্টার সামুয়েলকেও দেখতে হয়েছিল হলুদ কার্ড। আর টুর্নামেন্টে দ্বিতীয়
হলুদ কার্ড দেখার জন্য তো সেমিফাইনালেই খেলা হবে না আর্জেন্টিনার মার্কোস আনুকিয়া ও
গনসালো মনতিয়েলেরর।
পরে ম্যাচ শেষে
লাহোজ যেন আর্জেন্টিনার পরের কোনো ম্যাচে না থাকেন এমনটি জানিয়েছিলেন মেসি।
মেসি বলেছিলেন,
‘মানুষ দেখেছে কী হয়েছে। এমন রেফারিকে এ
ধরনের ম্যাচে দায়িত্ব দেয়া উচিত নয় ফিফার। তাদের এটা পুনর্বিবেচনা করা উচিত। যিনি নিজের
কাজটা ভালোভাবে জানেন না, এত গুরুত্বপূর্ণ এক ম্যাচে তাকে দায়িত্ব দেয়া উচিত হয়নি।
‘আমরা খুব একটা
ভালো খেলতে পারিনি। এর মধ্যে রেফারির কারণেই খেলা অতিরিক্ত সময়ে গড়িয়েছে। তিনি সবসময়
আমাদের বিপক্ষে ছিলেন। এমনকি যে গোলটি দিয়ে সমতায় ফিরেছে ওরা, সেটাও ফাউল ছিল না।’