আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

আর্জেন্টিনার গোলে হার্ট অ্যাটাকে যুবকের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৭ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে আর্জেন্টিনার জয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে গিয়ে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে শামীম মিয়া (২৮) নামের এক যুবকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) দিনগত রাত ২টার দিকে ফুটবল বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা মেক্সিকোর বিরুদ্ধে গোল করার পর এ ঘটনা ঘটে।

শামীম মিয়া উপজেলার বড়তলী-বানিয়াহারী ইউনিয়নের কলুংকা গ্রামের তাহের উদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয়রা সূত্রে জানা গেছে, শামীম মিয়া আর্জেন্টিনার অন্ধভক্ত ছিলেন। শনিবার রাতে আর্জেন্টিনা- মেক্সিকো ম্যাচ দেখছিলেন। খেলায় আর্জেন্টিনা গোল করলে চরম খুশি হন শামীম। এ সময় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে গিয়ে তার হার্ট অ্যাটাক হয়।

তাৎক্ষণিকভাবে পরিবারের লোকজন তাকে পার্শ্ববর্তী সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

শামীমের বাবা তাহের উদ্দিন বলেন, শামীমের হার্টের সমস্যা রয়েছে। এর আগেও তার দুবার হার্ট অ্যাটাক হয়। তবে গত রাতে আর্জেন্টিনা গোল দেওয়ায় সবার সঙ্গে সেও চিৎকার দেয়। এ সময় সে হার্ট অ্যাটাক করে। পরে উপস্থিত লোকজন তাকে ধর্মপাশা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মোহনগঞ্জের বড়তলী-বানিয়াহারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহাগ তালুকদার বলেন, শামীমের আগে থেকেই হার্টে সমস্যা ছিল। যেহেতু এটা স্বাভাবিক মৃত্যু তাই এ ঘটনায় থানায় খবর দেওয়া হয়নি।

মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি ছুটিতে ছিলাম। আজ এসেছি। তবে ঘটনাটি শুনেছি।


আরও খবর



ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ। আজকের দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। প্রায় দেড় হাজার বছর আগে হিজরির দ্বিতীয় সনের ১৭ রমজান মদিনা থেকে প্রায় ৭০ মাইল দূরে বদর প্রান্তরে সংঘটিত হয়েছিল বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসীদের লড়াই বদরযুদ্ধ

বিশ্বমানবতার মুক্তির দূত প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর নিয়ে আসা ধর্ম, ইসলামের বিরুদ্ধবাদী বিশাল সৈন্য-সামন্তের মোকাবিলায় ইমানদার বান্দাদের ছোট একটি দলের সশস্ত্র সংগ্রাম ছিল এটি।

একদিকে আল্লাহর নবির সঙ্গে মাত্র ৩১৩ জন মুজাহিদ। তারা প্রায় নিরস্ত্র। অপর পক্ষে অবিশ্বাসীদের নেতা আবু জাহেলের নেতৃত্বে এক হাজার প্রশিক্ষিত সৈন্যের সুসজ্জিত বাহিনী। এ যুদ্ধে মানুষের ধারণাপ্রসূত সব ধরনের চিন্তা ও উপলব্ধির বাইরে গিয়ে আল্লাহতায়ালা অস্ত্রশস্ত্রহীন ইমানদারের অতিক্ষুদ্র দলটিকে বিজয় দান করেন। সেদিন বদরের প্রান্তরে ইমান ও কুফর, ন্যায় ও অন্যায়ের এক নতুন ইতিহাস রচিত হয়, যা শত শত বছর ধরে এক আল্লাহতে বিশ্বাসী মুসলমানদের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে আছে।

মুসলমানরা বিশ্বাস করেন, জয়-পরাজয় আল্লাহর হাতে। সম্মান ও অপমান আল্লাহর হাতে। এ বিশ্বাস ও চেতনা লালন করে পৃথিবীর যে প্রান্তে যখনই মুসলমানরা অসত্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন, তারা সংখ্যায় বা উপকরণে কম হলেও আল্লাহ তাদের বিজয় দান করেছেন। পক্ষান্তরে আল্লাহর ওপর ভরসাহীন অঢেল সম্পদ ও বিপুল সৈন্য-সামন্তে সজ্জিত মুসলমানদের পরাজয়ের বর্ণনায় ইতিহাসের পাতা ভরপুর হয়ে আছে।

বদরের যুদ্ধ শুরুর আগে আল্লাহর নবী দোয়া করেছিলেন-হে আল্লাহ! তুমি যদি চাও দুনিয়াতে তোমার ইবাদত করার কেউ না থাকুক, তাহলে এ ক্ষুদ্র দলটিকে নিশ্চিহ্ন হতে দাও। আল্লাহতায়ালা রাসূল (সা.)-এর দোয়া কবুল করেন। কুরাইশদের অহমিকা ও দম্ভ মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেন। চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন বাহ্যিক উপায়-উপকরণের তুচ্ছতা। তাই প্রায় নিরস্ত্র মুষ্টিমেয় মুজাহিদদের কাছে পরাজিত হয় সুসজ্জিত বিশাল বাহিনী। তাদের পক্ষে নিহত হয় সত্তরজন। বন্দি হয় আরও সত্তরজন। আর মুসলমানদের মধ্যে শহিদ হন মাত্র চৌদ্দজন। যুদ্ধের এ ধরনের ফলাফল ছিল সম্পূর্ণ অকল্পনীয়। কিন্তু তা ছিল মহান আল্লাহর অসীম কুদরতের প্রমাণ। তিনি স্বল্পসংখ্যক মানুষকে বিশাল বাহিনীর বিরুদ্ধে জয়ী করে দেখিয়ে দিলেন অবিশ্বাসী লোকদের প্রকৃত দুর্বলতা ও অসহায়তা। তাই বদরের যুদ্ধ ইসলামের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ যুদ্ধ।

মহানবি (সা.) মদিনায় হিজরত করে যাওয়ার দ্বিতীয় বছর সশস্ত্র যুদ্ধের অনুমতি নিয়ে হজরত জিবরাইল (আ.) কুরআন মজিদের কয়েকটি আয়াত নিয়ে আসেন-যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো হচ্ছে, তাদেরকে (যুদ্ধের) অনুমতি দেওয়া হলো এজন্য যে, তারা নির্যাতিত হয়েছে। আর আল্লাহ তাদের সাহায্য করতে সক্ষম। তাদের নিজেদের বাড়িঘর থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল অন্যায়ভাবে শুধু এ কারণে, তারা বলে আমাদের প্রভু আল্লাহ। (সূরা হজ, ৩৭)।

এভাবে সশস্ত্র পন্থায় অবিশ্বাসীদের প্রতিরোধ করার অনুমতি লাভের পর আল্লাহর নবী (সা.) বদরযুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে ছিলেন। বদরের প্রান্তরে ইসলাম বিজয়ের সূচনা হয়েছিল। তাই প্রতিবছর ১৭ রমজান এলেই বিশ্ব মুসলিম শ্রদ্ধা ও গৌরবের সঙ্গে বদরের বিজয়কে স্মরণ করে। বদরের শহিদদের স্মরণ করে বিশেষ সম্মানে।

নিউজ ট্যাগ: বদর দিবস

আরও খবর



টিকিট কালোবাজারি বন্ধে জিরো টলারেন্স : রেলমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেন, টিকিট কালোবাজারির প্রতি আমাদের জিরো টলারেন্স। আমরা ইতোমধ্যে টিকিট কালোবাজারির কয়েকটি সিন্ডিকেটকে ধরেছি। জনগণকে বলব আপনারা কালোবাজারির কাছ থেকে টিকিট কাটবেন না। কালোবাজারিরা দেশটাকে ধ্বংস করতে চাই, রেলকে ধ্বংস করতে চাই।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের রেলগেট এলাকায় শহীদ স্মৃতি চত্বরে শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি রেলের টিকিটটা কালোবাজারি মুক্ত রাখতে। আসন্ন ঈদটা এবার যাত্রীদের ভালোই কাটবে। তারা নির্বিঘ্নে ঘরে ফিরতে পারবে। আজকে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে আমরা যুদ্ধ করে দেশটাকে স্বাধীন করেছিলাম পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে। পাকিস্তানি হানাদার ও একাত্তরের ঘাতক দালালরা ষড়যন্ত্র করে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর তারই সুযোগ্য কন্যা দেশকে শক্ত হাতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশ্য ছিল দেশটাকে ধ্বংস করার। তারা ফরিদপুরের রেল ও রাজবাড়ীর ভাটিয়াপাড়ার রেল বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসার পর শুধু রেল নয় সর্বক্ষেত্রে উন্নতির শিকড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু এই উন্নতি তো সবার পছন্দ না। অনেকেই ষড়যন্ত্র করে এই উন্নতিকে পিছিয়ে দিতে চাই, স্থবির করে দিতে চাই।

মন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে বড় কথা জনগণ উন্নয়ন চাই। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উন্নয়ন চান। আমরা সবাই আন্তরিকভাবে চেষ্টা করলে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করা সম্ভব। আজকের স্বাধীনতার এই দিনে আমাদের শপথ হবে, আমরা দেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করবো। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে তাকে সহযোগিতা করবো।

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, সহ-সভাপতি রেজাউল হক রেজা, ফকরুজ্জামান মুকুট, সালমা চৌধুরী রুমাসহ জেলা আওয়ামী ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



নারীদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নারীদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়াতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, নারীদের অর্থনৈতিক মুক্তিটাই বড়। নারীদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করছে সরকার। এজন্য সরকারি উচ্চপদে নারীদের ‍সুযোগ করে দিয়েছে সরকার।’

শুক্রবার (০৮ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মেয়েদের সুযোগ দিলে পারবে না, এটা আমি মানতে রাজি না। মেয়েদের অর্থনৈতিক মুক্তি সবচেয়ে বড়। অর্থাৎ, নারীকে অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা দিলে তারা সব পারবে।’

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি। প্রশাসন থেকে শুরু করে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী কোথাও মেয়েদের সুযোগ ছিল না। আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর সেই সুযোগ করে দিয়েছি। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে নারীরা সবচেয়ে বেশি দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। তারাই সুনাম বয়ে আনছেন বাংলাদেশের।’

এসময় শেখ হাসিনা তার মায়ের বিচক্ষণতার কথা তুলে ধরে বলেন, আমার বাবা রাজনীতি করতেন। তিনি বেশিরভাগ সময়ই জেলে থাকতেন। এ সময় তার কাজগুলো গোপানে আমার মা করতেন। কিন্তু গোয়েন্দা সংস্থাও আমার মাকে ধরতে পারেনি। আমার মা নিজের পোশাক পরিবর্তন করে গোপনে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে দেখা করতেন, পরামর্শ দিতেন- সে বিষয়টি ধরতে পারেনি। এতোটাই দক্ষ-বিচক্ষণ ছিলেন তিনি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ওই সময়ের প্রতিটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন দেখেছি কিন্তু কোথাও আমার মায়ের বিষয়টি নেই। তবে আগরতলা মামলা যখন দেয়া হয় তখন তারা মাকে টার্গেট করে, বুঝতে পারে। গ্রেফতার করার একটা শঙ্কা তৈরি হয়।’


আরও খবর



ময়মনসিংহে ২৭ ও কুমিল্লায় ২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে: ইসি

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। শনিবার (৯ মার্চ) দুপুর ১২টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ সিটিতে ২৭ শতাংশ ও কুমিল্লা সিটিতে ২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি বলেন, সকাল থেকে স্থানীয় সরকারের ২৩১ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে। সকালে কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের একটি কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, দুই সিটির নির্বাচনে এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু ভোট হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কুমিল্লা সিটি মেয়র পদে উপ-নির্বাচনে ২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। আর ময়মনসিংহ সিটিতে ভোট পড়েছে ২৭ শতাংশ।

কুমিল্লা সংঘর্ষ নিয়ে রিটার্নিং অফিসার মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ৭৪, ৭৫ ও ৭৬ নম্বর কেন্দ্র তিনটি পাশাপাশি। গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে, এতে আহত হয়েছেন ২ জন। তবে এ ঘটনা কেন্দ্রের বাইরে।

ভোটের কার্যক্রম সচল রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে নির্বাচন কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন। এ ছাড়া ২০-২২ নম্বর কেন্দ্রের বাইরে একজনকে ছুরিকাহত করা হয়েছে বলেও জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা। কেন্দ্রের ভেতরে কোথাও ঝামেলা হয়নি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।


আরও খবর



দেশব্যাপী ইন্টারনেটের ধীর গতি থাকবে আজ

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আংশিকভাবে সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় আজ (০২ মার্চ) সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সারাদেশে ইন্টারনেট পরিষেবা আংশিক ব্যাহত হবে।

বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) জানিয়েছে, বাংলাদেশকে কক্সবাজার থেকে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে সংযুক্তকারী সাবমেরিন কমিউনিকেশন ক্যাবল সিস্টেম সি-মি-উই-৪ সিঙ্গাপুর অংশের সার্কিট এসময়ের মধ্যে আংশিকভাবে বন্ধ থাকবে।

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, রক্ষণাবেক্ষণের সময়কালে বিএসসিপিএলসির ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেট পরিষেবা সাময়িক মন্থরতা বা বাধার সম্মুখীন হতে পারে। রক্ষণাবেক্ষণের কাজের সময় গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। তবে কুয়াকাটায় স্থাপিত দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সি-মি-উই-৫ চালু থাকবে।

দেশে বর্তমানে মোট ব্যান্ডউইথ ব্যবহার দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ হাজার জিবিপিএসে। এর অর্ধেকেরও বেশিপ্রায় ২ হাজার ৭০০ জিবিপিএসআসে আন্তর্জাতিক টেরিস্ট্রিয়াল কেবল লাইসেন্সধারীদের মাধ্যমে। বাকি প্রায় ২ হাজার ৩০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ দুটি সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে সরবরাহ করে বিএসসিপিএলসি।

২০০৬ সালে বাংলাদেশ প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলে সংযুক্ত হয়। এর মাধ্যমে প্রায় ৮০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হয়। ২০১৭ সালে সি-মি-উই-৫ চালুর পর থেকে এর মাধ্যমে আরও ১ হাজার ৫০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হয়।

বিএসসিপিএলসি ২০২৫ সালের মধ্যে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সি-মি-উই-৬ স্থাপনের মাধ্যমে আরও ১৩ হাজার ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহের লক্ষ্যে কাজ করছে। এছাড়া, প্রতিষ্ঠানটি প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের সক্ষমতা প্রায় ছয় গুণ বাড়িয়ে ৪ হাজার ৬০০ জিবিপিএসে উন্নীত করতে তিন দশমিক দুই মিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে যাচ্ছে।

দেশের প্রথম বেসরকারি সাবমেরিন কেবল স্থাপনের জন্য কনসোর্টিয়াম গঠন করেছে সামিট কমিউনিকেশনস, সিডিনেট কমিউনিকেশনস এবং মেটাকোর সাবকম লিমিটেড। ২০২৫ সালের মধ্যে এই কনসোর্টিয়াম ৪৫ হাজার জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহের লক্ষ্যে কাজ করছে।


আরও খবর