এক কিশোরকে গুলি করে হত্যা করা হয়৷ তার
তিন বন্ধুর ওপর চালানো হয় অকথ্য নির্যাতন৷ কিশোররা গরিব ঘরের এবং ‘শ্যামলা' বর্ণের
বলে পুলিশ তাদের ওপর গুলি চালিয়েছিল বলে অভিযোগ৷ অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নয় পুলিশ
কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দিয়েছে আর্জেন্টিনার আদালত৷
২০২১ সালের ঘটনা৷ ফুটবল প্রশিক্ষণ শেষে
গাড়িতে বাড়ি ফিরছিলেন বুয়েনর্স আইরেসের চার কিশোর৷ হঠাৎ একটি গাড়ি পিছন থেকে তাড়া
করে৷ সেই গাড়িতে কিছু লেখা না থাকায় দুর্বৃত্তরা তাড়া করেছে ভেবে নিজেদের গাড়ির গতি
বাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করে কিশোররা৷ পেছনের গাড়ি আরো গতি বাড়িয়ে চলে আসে কাছে, চালানো
হয় গুলি৷ দুটো গুলি লাগে লুকাস গঞ্জালেসের মাথায়৷ গাড়িতেই লুটিয়ে পড়ে সে৷ তারপরও চলে
নির্যাতন৷মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ১৭ বছর বয়সি লুকাসের গায়ের বিভিন্ন স্থানে চেপে ধরা হয়
জ্বলন্ত সিগারেট৷
আরও পড়ুন<< শান্তির বাণীর পরেও সহিংসতা থামছে না
মঙ্গলবার ২০২১ সালের নভেম্বরের সেই হত্যা
ও নির্যাতনের ঘটনার রায় ঘোষণা করেছে বুয়েনর্স আইরেসের আদালত৷ হত্যা ও নির্যাতনে সরাসরি
জড়িত থাকায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে তিন কর্মকর্তার৷ তবে মামলা হয়েছিল মোট ১১ জনের
বিরুদ্ধে৷ তাদের মধ্যে ছয় জন হত্যা ও নির্যাতনের আলামত নষ্ট ও তথ্য গোপনের চেষ্টা
করেছিলেন৷ অপরাধের মাত্রাভেদে চার থেকে আট বছরের কারাদণ্ড হয়েছে তাদের৷
আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বাদিপক্ষের
আইনজীবী গ্রেগোরিও দালবন বলেছেন, আমরা খুশি, কারণ, এর আগে কখনোই বর্ণবাদী ঘৃণার কারণে
প্রাতিষ্ঠানিক সহিংসতার বিচার পাইনি৷
আরও পড়ুন<< পাকিস্তানে সামরিক ঘাঁটিতে হামলা, নিহত ৮
লুকাস গঞ্জালেস ও তার তিন বন্ধু বারাকাস
সেন্ট্রাল ক্লাবের যুব দলে খেলতেন৷ লুকাস মারা যাওয়ার পর চার কিশোরকেই অপরাধচক্রের
সদস্য প্রমাণ করার চেষ্টা করে পুলিশ৷ আদালতে দাবি করা হয়, লুকাস ও তার বন্ধুরা আগে
গুলি চালানোয় বাধ্য হয়ে পুলিশও গুলি চালায় আর সেই গুলিতেই প্রাণ যায় লুকাসের৷ লুকাসরা
গুলি চালিয়েছিলেন- এ কথা বিশ্বাস করানোর জন্য গাড়িতে একটি বন্দুক রেখে দিয়েছিল পুলিশ৷
পরে দেখা যায় সেটা আসলে খেলনা বন্দুক৷