আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

আরও ২ বছর স্বপদে থাকছেন আহমদ কায়কাউস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর বিদ্যুৎ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব হন তিনি। ২০১৭ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি সচিব পদে পদোন্নতি পান তিনি

আরও দুই বছর প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব থাকছেন ড. আহমদ কায়কাউস। তার অবসরোত্তর ছুটি (পিআরএল) স্থগিতের শর্তে এ নিয়োগ দিয়ে বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ জারি করা হয়েছে।

সরকারি চাকরির মেয়াদ শেষে আগামী ৩১ ডিসেম্বর আহমদ কায়কাউসের অবসরে যাওয়ার কথা ছিল। তার পিআরএল মঞ্জুর করে আগের দিন বুধবার আদেশও জারি করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

নতুন আদেশে বলা হয়, আগামী ১ জানুয়ারি বা যোগদানের তারিখ থেকে আহমদ কায়কাউসের এ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ কার্যকর হবে।

বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব থাকার সময় গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নিয়োগ পান আহমদ কায়কাউস। ১৯৮৪ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা আহমেদ কায়কাউস বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব থাকার সময় তাকে ভারপ্রাপ্ত সচিবের পদমর্যাদায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর বিদ্যুৎ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব হন তিনি। ২০১৭ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি সচিব পদে পদোন্নতি পান তিনি।


আরও খবর



সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিষয়ে অনুসন্ধান করবে দুদক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠায় দুর্নীতি অনুসন্ধান করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ঘটনায় কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এর আগে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদের স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে, যা তার আয়ের তুলনায় অসম।

গত ৩১ মার্চ দৈনিক কালের কণ্ঠে ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শকের স্ত্রী জিশান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন।

বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে তার আয়ের তুলনায় প্রতিবেদনে উল্লিখিত সম্পত্তিগুলো অধিগ্রহণ করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে চিঠিতে জানান ব্যারিস্টার সুমন। এমন পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী, বড় মেয়ে এবং ছোট মেয়ের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ সংগ্রহের জন্য তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদককে অনুরোধ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দৈনিক কালের কণ্ঠে ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এই আইজিপি।

জাতীয় ওই দৈনিক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে বেনজীর আহমেদের নানা অর্থ-সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হয়। বেনজীরের বিপুল সম্পদের মধ্যে রয়েছে, গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামের এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র। এছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার পাশে বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার। পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি। অথচ, গত ৩৪ বছর সাত মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদের বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় এক কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা।


আরও খবর



নাইকো দুর্নীতি মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ১১ জুন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাইকো দুর্নীতি মামলায় বাপেক্সের সাবেক এমডি মো. আব্দুল বাকী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন। এদিন তার সাক্ষ্য শেষ হয়নি। আগামী ১১ জুন অবশিষ্ট সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

এদিন অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে পারেননি। তারপক্ষে আইনজীবী হাজিরা দেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া এসব তথ্য জানান।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।  মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। গত ১৯ মার্চ একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতির আদালত নাকচ করে চার্জগঠনের আদেশ দেন।

অন্য আসামিরা হলেন-তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। এদের মধ্য প্রথম তিনজন পলাতক রয়েছেন।


আরও খবর



ঠিকাদারের হাতে জিম্মি রোগীরা, দেওয়া হয় বাসি-পঁচা খাবার

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

মহেশপুর(ঝিনাইদহ)প্রতিনিধি:

দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে একজন ঠিকাদার ঝিনাইদহের মহেশপুর ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা হাসপাতালে রোগীদের খাবার সরবরাহ করে আসছেন। একটানা ১৭ বছর একই ঠিকাদার খাবার সরবরাহের কারণে ঠিকাদারের কাছে জিম্মি রোগীরা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সরবরাহ খাবারের মান ও পরিমাপ নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন উঠলেও উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে গেছে কর্তৃপক্ষ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরকারি বরাদ্দে যে খাবার সরবরাহ করার তালিকা রয়েছে, সেসব খাবার কখনো পূরণ না করে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন এখানকার রোগীরা।

সরকার নির্ধারিত বরাদ্দে (২০২২-২০২৩) অর্থছরের তালিকা অনুয়ায়ী প্রতিটি রোগীর জন্য সকালের নাস্তা রুটি, কলা, ডিম- ৩৯ টাকা, দুপুরে ও রাতে মাছ, সবজি, ডাল ও সাপ্তাহে ৩ দিন মাংস- ১৩৬ টাকা। দিন প্রতিজন রোগীর জন্য ১৭৫ টাকা বরাদ্ধ থাকলেও যে ধরনের খাবার এবং যে পরিমাণ খাবার সরবরাহ করার কথা, রোগীরা সে পরিমাণ খাবার পাচ্ছেন না। পরিমাপে কম ও  পরিবেশন করা সকল খাবারই নিম্নমানের।

মাংস তো দুরের কথা মোটা চালের ভাত, নামে মাত্র মাছ, পঁচা-বাসি তরকারিসহ নিম্নমানের খাবার পরিবেশন ও পরিমাণে কম সরবরাহ করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী রোগীরা।

রোগীর স্বজন ও রোগীরা জানান, প্রতিদিন হাসপাতাল থেকে যে পরিমান খাবার দেওয়া হয় তা অতি সামান্য ও নিম্নমানের যা অনেকে খেতে পারেন না। অনেকে খাবার নেন না। আবার কেউ কেউ খাবার নিলেও রোগীরা খান না। নির্ধারিত পরিমানে মানসম্মত খাবার সরবরাহের দাবি তাদের।

মহেশপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা জানান, বর্তমান সরকার সেবাখাতকে জনকল্যাণমূলক করতে নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। হাসপাতালে যারা ভর্তি থাকেন তাদের বেশিরভাগই গরীব রোগী। তাদের চিকিৎসার পাশাপাশি খাদ্য সরবরাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। খাবারের মান নিয়ে যেহেতু রোগীদের অভিযোগ রয়েছে, তাই এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।

খাবার সরবরাহকারী ঠিকাদার মো.হাচান আলী বলেন, টেন্ডারের খাবার তালিকা অনুযায়ী প্রতিজন রোগীর জন্য ১৭৫ টাকা বরাদ্ধ থাকলেও শতকরা ২৫% ভ্যাটসহ অন্যদিকের খরচ বাদ দিয়ে কত টাকা থাকে আপনি বলেন? তারপরও বাজারের যে অবস্থা এর চাইতে রোগীদেরকে আর কি খাওয়াবো? 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের একাধিক কর্মচারী বলেন, নামে মাত্র কাগজে কলমে খাবারের তালিকা থাকলেও আজ পর্যন্ত কোন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খাবারের তালিকা অনুযায়ী রোগীদেরকে খাবার দেয়নি। তারা আরও বলেন এনিয়ে বেশি কিছু বলতেও পারি না যদি কোনো ঝামেলা করে।

নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের বিষয় জানতে চাইলে আরএমও ডা.সুলতান আহম্মেদ বলেন, আমি দায়িত্বে থাকলেও বিষয়টি সম্পূর্ণ দেখভাল কারেন স্যার(টিএইচও)। তারপরও তিনি খোজ খবর নিয়ে দেখবেন বলে জনান।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহমুদ বিন হেদায়েত বলেন, প্রতিদিন খাবারের মান ও পরিমাপ পরীক্ষা করা হয়। নিম্নমানের খাবার দেওয়া তো প্রশ্নই ওঠে না।


আরও খবর



এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েও শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত পূর্ণ বিশ্বাসের

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবারের হাল ধরতে কাজ করতেন গ্যারেজে মিস্ত্রি হিসেবে। অভাবের সংসারে জম্ম হলেও এই মেধাবী ছাত্র বড় হয়ে একজন ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। বাবা প্রিয়তোষ বিশ্বাস সিএনজি অটোরিকশা চালিয়ে কোনরকমে সংসার চালাতেন।

অভাব অনটনের মাঝে মেধাবী শিক্ষার্থী পূর্ণ বিশ্বাস হাল ছাড়েনি পড়াশোনার। সকালে স্কুলে আর বিকালে স্থানীয় বাজারে একটি দোকানে গাড়ির গ্যারেজে কাজ করতেন। রাতে বাড়ি ফিরে বসে পড়তেন পড়ার টেবিলে। বিজ্ঞান বিভাগে পড়ালেখা করা সন্তানকে সামর্থ না থাকায় তাঁর কোনো প্রাইভেট শিক্ষাক দিতে পারেনি বাবা-মা। কিন্তু নিজের অদম্য ইচ্ছা এবং অধ্যবসায় কাজে লাগিয়ে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে অংশ নিয়ে এই দরিদ্র ঘরের সন্তান জিপিএ-৫ পেয়েছে। তাঁর এই সাফল্য দরিদ্র পরিবারে অসহায় বাবা মায়ের মুখে হাঁসি ফুটেছে।

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার ডাবুয়া ইউনিয়নের কুলাল পাড়া গ্রামের অটো চালক প্রিয়াতোষ বিশ্বাস ও নন্দিতা বিশ্বাসের সন্তান পূণ (১৬)। উপজেলার এয়াছিননগর আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় সে। গত রবিবার পরীক্ষার ফলাফলে সে জিপিএ-৫ পেয়ে পাস করেন।

ছেলের সফলতা নিয়ে কথা হয় মা নন্দিতা বিশ্বাসের সাথে তিনি বলেন, আমার ছেলের এই অর্জন এলাকার সবার। আমরা গরীব তার বাবা একজন সাধারণ গাড়ি চালক। কোনো রকমে চলে আমাদের সংসার। সংসার চালাতেই আমরা হিমশিম খাচ্ছি। আমাদের ছেলে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ এ পেয়ে পাস করছেন। আমাদের স্বপ্ন তাকে ডাক্তার বানানো। এই অভাবের সংসারে কলেজে ভর্তি খরচ, পড়াশোনার খরচ আমরা কোথায় পাব। ছেলের এ সাফল্য অর্জনে চিন্তা বেড়েছে হতদরিদ্র মায়ের। তিনি সবার কাছে সন্তানের লেখাপড়া জন্য সহযোগিতা কামনা করেন।

মেধাবী শিক্ষার্থী পূর্ণ বিশ্বাস বলেন, আমার আজকের এ সাফল্যের পেছনে আমার বাবা মায়ের এবং এলাকার ও স্কুলের শিক্ষকদের অনেক বেশি অবদান রয়েছে। আমি ভালো কলেজে পড়ে ডাক্তার হত চাই। মানুষের সেবা করতে চাই। তবে আমাদের অর্থ সংকটের কারণে আমার আর পড়াশোনা করা সম্ভাব হবে কিনা আমি জানিনা। আমি দশম শ্রেণিতে পড়ালেখা করার সময়ে মাঝে মাঝে স্থানীয় একটি গাড়ির গ্যারেজে কাজ কর করি। আমার এসএসসি পরীক্ষার পর থেকে আমি ঐ গ্যারেজে প্রতিদিন কাজ করি।

এলাকার মানুষের সাথে কথা হলে তারা বলেন, পূর্ন বিশ্বাসের মাঝে অন্যরকম প্রতিভা রয়েছে। অভারের সংসারে সেই আজকে যে আলো দেখিয়েছে। তা আমাদের সমাজ ও গ্রামকে উজ্জ্বল করছে। গাড়ির গ্যারেজে কাজ করে এতোবেশি সফলতা অর্জন করেছে। কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে পরিবার তার লেখাপড়া চালাতে পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ করছেন গ্রামের মানুষ। দেশের মানুষকে তার পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তার এলাকার লোকজন। যাতে এই মেধাবী ছাত্র টাকা-পয়সার অভাবে পড়াশোনা থেকে বাদ পড়ে না যায়।

আমির হামজা, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



স্কুল বন্ধের আদেশ: আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে তীব্র তাপদাহের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মাদরাসার পাঠদান আগামী বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত বন্ধ রাখা নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফলে বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত স্কুল-মাদরাসায় ছুটি বহাল থাকছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের আপিল না করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

এর আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে গতকাল সোমবার হাইকোর্টের আদেশের পর অসন্তুষ্ট হয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানান। ওইদিন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে এক ধরনের মানসিকতা তৈরি হচ্ছে। সবকিছুতেই কেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর আদালতের নিদের্শনা নিয়ে আসতে হবে? সাংবিধানিকভাবে যার যা দায়িত্ব তা পালন করা বাঞ্ছনীয় বলেও মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী।

সোমবার আদেশে আদালত বলেন, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) রয়েছে সেগুলোতে যথারীতি পাঠদান ও পরীক্ষা কার্যক্রম চলবে। এ ছাড়া যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার দিন ধার্য করা থাকে সেক্ষেত্রে সিডিউল অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ সাইফুজ্জামান জামান আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শ্রেণিকক্ষে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বা এসি নেই, তীব্র গরমের কারণে এ ধরনের প্রাথমিক-মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসাগুলো বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ আইনজীবী আরও জানান, কোনো প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার দিন ধার্য থাকলে নির্ধারিত সময়সূচিতে পরীক্ষা নেওয়া যাবে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪