আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

আরও সাড়ে ৭৭ কোটি ডলারের অস্ত্র পাচ্ছে ইউক্রেন

প্রকাশিত:শনিবার ২০ আগস্ট ২০22 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ আগস্ট ২০22 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ইউক্রেনকে আরও সাড়ে ৭৭ কোটি ডলারের অস্ত্রসহায়তার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার হামলা শুরুর পর থেকেই ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে বাইডেন প্রশাসন। সহায়তার এই ধারা অব্যাহত রাখার কথাও জানিয়েছে ওয়াশিংটন। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

শুক্রবার (১৯ আগস্ট) এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন জানান, সহায়তার মধ্যে প্রতিরক্ষা বিভাগ থেকে অতিরিক্ত অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সরঞ্জাম অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।

ব্লিংকেন বলেন, প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট করেছেন যে রাশিয়ার আগ্রাসন মোকাবিলায় ইউক্রেনের জনগণকে এভাবেই সমর্থন করতে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা ইউক্রেনকে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

রাশিয়ান সৈন্যরা গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে। এর পর থেকে কয়েক দফায় ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রুশ বাহিনীর হামলা প্রতিহতে ইউক্রেন সরকারকে এ পর্যন্ত কয়েক বিলিয়ন ডলারের সহায়তায় দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। আর সামরিক সহায়তার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট সিস্টেম, জ্যাভলিন, অ্যান্টি-ট্যাংক অস্ত্র, রাইফেল, বুলেটসহ অনেক কিছু।


আরও খবর



‘স্থায়ী দোকানে টিসিবির পণ্য সরবরাহের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে’

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে স্থায়ী দোকানে টিসিবির সুলভ মূল্যের পণ্য সরবরাহ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। শুক্রবার (২২ মার্চ) সকালে নাগরপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে টিসিবির স্মাট কার্ড ও হুইল চেয়ার বিতরণ এবং অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, টিসিবির কার্ডধারীদের দুর্ভোগ ও ভোগান্তি লাঘবে এই চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। টিসিবির ট্রাক সেল থেকে পণ্য নিতে এসে অনেকেরই শ্রমঘণ্টা নষ্ট হতে দেখা যায়। বাড়ির পাশের দোকান থেকেই যদি কার্ডধারীরা টিসিবির পণ্য সংগ্রহ করতে পারেন তাহলে এই সমস্যা থাকে না। এজন্য টাঙ্গাইলের নাগরপুরকে মডেল হিসেবে নিয়ে স্থায়ী দোকানে টিসিবি পণ্য সরবরাহের পরিকল্পনা রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারা দেশের এক কোটি পরিবারের মধ্যে প্রতি মাসে টিসিবির মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে নাগরপুরে রয়েছে ১৬ হাজার ৪২৯ পরিবার। টিসিবি অনেক বড় একটি কর্মযজ্ঞ। এ দেশের মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা পূরণে ১৯৭২ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টিসিবি প্রতিষ্ঠা করেন।

নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রেজা মো. গোলাম মাসুম প্রধানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম জসিম উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সামিনা বেগম শিপ্রা, পাকুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক, গয়হাটার ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শামসুল হক ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. এমরান হোসাইন শাকিল প্রমুখ।

এর আগে মন্ত্রী কলিয়া-সরিষাজানি রাস্তার উদ্বোধন করেন। মতবিনিময় সভা শেষে দুপুরে তেবাড়িয়াপাইকশা বাজার এবং তেবাড়িয়া মহারাজের দোকান হতে নদীর ঘাট পর্যন্ত রাস্তার ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করেন। পরে সলিমাবাদে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত  উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ খান ঝলকের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন।


আরও খবর



পাবনায় ধানের চাতালে বয়লার বিস্ফোরণ, শিশুসহ নিহত ২

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

Image

পাবনার ফরিদপুরে চালকলে ধান সিদ্ধ করার সময় বয়লার বিস্ফোরণে শিশুসহ দুই জন নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কাশিপুর গ্রামের জাহাঙ্গীরের ধানের চাতালে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন ফরিদপুর উপজেলার কাশিপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ও চালকলের মালিক জাহাঙ্গীর আলম (৩৭)। অপরজন চাতালে কর্মরত মহিলা শ্রমিক গোপাল নগর গ্রামের পাখি খাতুনের শিশু সন্তান তারেক হোসেন (৫)।

ফরিদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, থানার কাশিপুর গ্রামের জাহাঙ্গীরের ধানের চাতালে ধান সিদ্ধ করার সময় বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় চাতালের মালিক জাহাঙ্গীর আলমের শরীর ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। চাতালে কর্মরত নারী শ্রমিক পাখি খাতুনের শিশু সন্তান তারেক হোসেনের গায়ে বিস্ফোরণের পর বয়লারের টুকরা পরলে গুরুতর আহত হয়। ঘটনার পর ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন ।

ওসি হাফিজুর রহমান আরও জানান, এ ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশের টিম পাঠানো হয়। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মরদেহ পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



ছাত্রলীগের বাইরে নিয়োগ বাতিল: চবি রেজিস্ট্রারকে নেতার হুমকি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ছাত্রলীগ কর্মী ছাড়া অন্য সবার নিয়োগ বাতিল করতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) রেজিস্ট্রারকে হুমকি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা। সহকারী প্রক্টরদের উপস্থিতিতেই রেজিস্ট্রার কক্ষে উচ্চ বাচ্য করে তাকে শাসিয়েছেন চবি ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা।

বুধবার (২০ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমদের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রেজিস্ট্রার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরকে মৌখিকভাবে বিষয়টি অবহিত করেছেন।

এর আগে রেজিস্ট্রার কক্ষে চাকরিতে যোগদান করতে আসা ইয়াহিয়া টিপু নামে এক যুবককে মারধর করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তাকে ৫৫০ টাকা দৈনিক মজুরির শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগে কম্পিউটার ল্যাব সহকারী হিসেবে নিয়োগ দিয়ে যান সদ্য সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।

ছাত্রলীগ কর্মীদের বাইরে সব নিয়োগ ক্যান্সেল করতে রেজিস্ট্রারকে প্রথমে শাসাতে থাকেন শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়ের একাংশের নেতা ওয়াহিদুল ইসলাম। তিনি রেজিস্ট্রারের দিকে আঙুল উঁচিয়ে বলতে থাকেন, এখনও পিছনে বসে আছে ও। ও ছাত্রলীগ করে না। তবুও ওরে চাকরি দিয়েছেন। ওর কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ খাইছে ভিসি ম্যাম।

এ বিষয়ে জানতে সদ্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এরপর শাসাতে থাকেন একই গ্রুপের নেতা শাখা ছাত্রলীগের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোরশেদুল আলম রিফাত। এসময় তিনি রেজিস্ট্রারকে বলতে থাকেন, ছাত্রলীগের বাইরের এগুলা ক্যান্সেল। ছাত্রলীগ কর্মী না। ছাত্রলীগের বাইরের নিয়োগ ক্যান্সেল। ছাত্রলীগের পোলারে নিয়োগ দিলে সমস্যা নাই। ছাত্রলীগের বাইরে যেগুলা, ওইগুলা ক্যান্সেল। ছাত্রলীগের পোলাপাইনের চাকরি নেওয়ার অধিকার আছে। বাইরের পোলাপাইনের কী অধিকার! ছাত্রলীগের বাইরে সব ক্যান্সেল।

তার সঙ্গে এসময় উপস্থিত সব ছাত্রলীগ নেতাকর্মী রেজিস্ট্রারকে শাসাতে থাকেন। আর ভিসিকে এসব নিয়োগের ব্যাপারে বলার জন্য তাদের পক্ষে রেজিস্ট্রারকে বুঝাতে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. সুমন মামুন, সাধারণ সম্পাদক মো. মনসুর আলী।

এসময় রেজিস্ট্রার অফিসে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নাজেমুল আলম মুরাদ, মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন, আব্দুল মান্নান ও শঙ্কর বড়ুয়া।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এক নূর আহমদ বলেন, আমার অফিসে এসে তারা এরকম আচরণ করেছে। এটা আমার জন্য অপমানজনক! আমি তো তাদের নিয়োগ দিতে পারব না। নিয়োগ দেবেন ভিসি। তবুও তারা আমার এখানে এসে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে। আমি ভিসি মহোদয় ও প্রক্টর এই বিষয়ে মৌখিকভাবে অবহিত করেছি। প্রয়োজনে প্রক্টরকে লিখিত অভিযোগ দিব।’

এই বিষয়ে জানতে চাইলে চবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. নূরুল আজিম সিকদার প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, রেজিস্ট্রার মৌখিকভাবে বিষয়টি অবহিত করেছেন। দেখি আমরা কী করতে পারি। পরে এ বিষয়ে জানানো হবে।’


আরও খবর



রমজান শুরু কবে, জানা যাবে সোমবার

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) নাকি বুধবার (১৩ মার্চ) তা জানা যাবে কাল সোমবার সন্ধ্যায়।

রমজান মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনায় সোমবার (১১ মার্চ) বাদ মাগরিব (সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট) সভায় বসছে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে কমিটির এ সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী ও কমিটির সভাপতি মো. ফরিদুল হক খান।

রোববার (১০ মার্চ) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সোমবার সন্ধ্যায় হিজরি ১৪৪৫ সনের রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেলে মঙ্গলবার থেকে রমজান মাস গণনা শুরু হবে ও মুসলমানরা রোজা রাখা শুরু করবেন। সেক্ষেত্রে সোমবার রাতেই এশার নামাজের পর তারাবিহ নামাজ পড়া শুরু হবে, রোজা রাখতে শেষ রাতে প্রথম সেহরিও খাবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

অন্যদিকে সোমবার চাঁদ দেখা না গেলে মঙ্গলবার শাবান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে, রমজান মাস গণনা শুরু হবে বুধবার। এক্ষেত্রে মঙ্গলবার এশার নামাজের পর তারাবিহ নামাজ পড়া শুরু হবে ও শেষ রাতে খেতে হবে সাহরি।

বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭ টেলিফোন এবং ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১ ফ্যাক্স নম্বরে বা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) বা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।


আরও খবর
ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




অগ্নিঝরা মার্চের প্রথম দিন আজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অগ্নিঝরা মার্চ, বাঙালির স্বপ্নসাধ যৌক্তিক পরিণতির মাস। বাংলাদেশের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসে শ্রেষ্ঠতম ঘটনা হচ্ছে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের এই ঐতিহাসিক ঘটনার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির কয়েক হাজার বছরের সামাজিক-রাজনৈতিক স্বপ্নসাধ পূরণ হয়।

১৯৭১ সালে এসে যে রাজনৈতিক সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করে, তার গোড়াপত্তন হয়েছিল বহু বছর আগে।  ৫২র ভাষা আন্দোলন, ৬২র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬র ছয় দফা আন্দোলনের পথ ধরে  ৬৯র গণ অভ্যুন্থানের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের মার্চে এসে বাঙালির সেই স্বপ্নসাধ যৌক্তিক পরিণতিকে স্পর্শ করে। প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ের গহীনে লালন করা তখনো অধরা স্বাধীনতার দুর্বার আকাঙ্খা যেন অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মতো সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্রষ্ঠা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণে এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম স্বাধীনতার অমর কাব্যের এই পঙিটি বাঙালি জাতিকে ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তায় বলীয়ান করে তোলে।

এই মার্চেই বাঙালি পাকিস্তানকে বিদায় জানায়। পাকিস্তানি সৈন্যরা ২৫ মার্চ রাতে কামান, মর্টার, রাইফেল নিয়ে অতর্কিতে ঘুমন্ত নিরীহ বাঙালিদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধু তখন গ্রেপ্তার হওয়ার ঠিক পূর্ব মুহূর্তে তার সর্বশেষ বাণী বাংলার মানুষের কাছে পাঠান এই বলে, এই হয়ত তোমাদের জন্য আমার শেষ বাণী। আজকে থেকে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। যে যেখানেই থেকে থাক, যে অবস্থায়ই থাক, হাতে যার যা আছে তাই নিয়ে দখলদার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত প্রতিরোধ গড়ে তোল। ততদিন পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে, যতদিন পর্যন্ত না দখলদার পাকিস্তানিদের শেষ সৈনিকটি বাংলাদেশের মাটিতে থেকে বহিষ্কৃত হচ্ছে এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হচ্ছে।

বঙ্গবন্ধুর এই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিল বাঙালি জাতি। ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার প্রেক্ষাপট শুরু হয় মার্চের প্রথম দিন থেকে। এদিন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন। দুপুর ১টা ৫ মিনিটে রেডিও পাকিস্তানের সকল কেন্দ্রে একযোগে প্রেসিডেন্টের এই ঘোষণা প্রচার করা হয়। পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী, ৩ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন ঢাকায় হওয়ার কথা ছিল। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়ে যায়, দেশ আবার কঠোর সামরিক ব্যবস্থার দিকে যাচ্ছে এবং সামরিক আইন কঠোর করে ভেতরে ভেতরে কোনো গভীর প্রস্তুতি চলছে। দুপুরে রেডিওতে যখন জাতীয় পরিষদ অধিবেশন স্থগিত করার সংবাদ প্রচারিত হচ্ছিল, তখন ঢাকা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠানরত পাকিস্তান ও বিশ্ব একাদশের মধ্যে এক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্রতিযোগিতার ধারা বিবরণী চলছিল। তাই মাঠের ক্রিকেট দর্শকরাই রেডিওতে প্রথম ইয়াহিয়ার এই ঘোষণা শুনতে পান।

রেডিওতে খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা শহরে সর্বপ্রথম সংঘটিত প্রতিক্রিয়াটি ব্যক্ত করে স্টেডিয়ামের  হাজার হাজার ক্রিকেট দর্শক। তারা সমস্বরে চিৎকার করে উঠে জয় বাংলা বলে। ধাওয়া করে পশ্চিম পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের এবং শ্লোগানে উত্তাল হয়ে জঙ্গি মিছিল নিয়ে রাজপথে নেমে পড়ে। জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিতের খবর শুনে পিআইএর বাঙালি কর্মচারীরাও জনসাধারণের সঙ্গে রাস্তায় নেমে পড়েন। জগন্নাথ কলেজ ও পার্শ্ববর্তী কায়েদে আযম কলেজের ছাত্ররাও লাঠিসোটা হাতে রাস্তা প্রদক্ষিণ করতে থাকে। আদমজী মিলের শ্রমিকরা চাকা বন্ধ করে শোভাযাত্রা সহকারে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন।

মিছিলকারীরা এ সময় বঙ্গবন্ধুর পরবর্তী নির্দেশ জানার জন্য হোটেল পূর্বাণী অভিমুখে মিছিলের পর মিছিল নিয়ে এগিয়ে চলে। বঙ্গবন্ধু তখন হোটেল পূর্বাণীতে। সেখানে আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি পার্টির বৈঠক হওয়ার কথা। লাখ লাখ মানুষের শ্লোগান  আর মিছিলে হোটেল পূর্বাণীর চত্বর প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। সকলেই বঙ্গবন্ধুর পরবর্তী নির্দেশ শোনার জন্য উৎকণ্ঠার সঙ্গে অপেক্ষা করতে থাকে। বঙ্গবন্ধু সাংবাদিকদের বলেন, তিনি এক্ষুণি চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন না। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য তিনি মওলানা ভাসানী, অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ, আতাউর রহমান খানসহ অন্যান্য নেতার সঙ্গে আলোচনা করবেন। তবে বঙ্গবন্ধু অত্যন্ত তেজোদৃপ্ত ভঙ্গিতে বলেন, অধিবেশন স্থগিত হওয়ার বিষয়টি তিনি বিনা চ্যালেঞ্জে যেতে দিতে পারেন না। তিনি বলেন, আগামী ৭ মার্চ তিনি রেসকোর্স ময়দানে বাংলার মানুষের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার অর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। ২ মার্চ ঢাকায় এবং ৩ মার্চ বুধবার সারাদেশে হরতাল পালিত হবে। বঙ্গবন্ধু বললেন, আমি জনতাকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে এবং যে কোন ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে বলব। এরই মধ্যে শহরের বিভিন্ন অলিগলি পথ থেকে শত শত মিছিল পল্টন ময়দানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এসে জমায়েত হয়। অল্প সময়ের মধ্যে এই জমায়েত জনসমুদ্রে পরিণত হয়। সেখানে অনুষ্ঠিত ছাত্রলীগের সমাবেশে বক্তৃতা করেন সাবেক ছাত্রনেতা ও নবনির্বাচিত জাতীয় পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, আর ৬ দফা, ১১ দফা নয়, এবার বাংলার মানুষের ১ দফার সংগ্রাম শুরু করব। আর এই এক দফা হচ্ছে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব।

নিউজ ট্যাগ: অগ্নিঝরা মার্চ

আরও খবর
আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস

সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪