গত কয়েকদিনের
টানা বর্ষণে আকস্মিক বন্যায় দুর্দশার শেষ নেই ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের
জনজীবনে। রাজ্যে ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে
৭১ জনে। এখনও চারজন নিখোঁজ। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪২ লাখ। ৩৩
জেলায় ৫ হাজার ১৩৭টির বেশি গ্রাম প্লাবিত। সবশেষ ব্রিফিং এমনটাই জানিয়েছে আসামের দুর্যোগ
ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এসডিএমএ।
আসামের ৩৩ জেলার
নিম্নাঞ্চলগুলোয় শুধু থৈ থৈ পানি। রাস্তা, জলাশয় আর নদীর পানি মিলে মিশে একাকার। সবচেয়ে
ক্ষতিগ্রস্ত বারপেতা জেলা। এখানকার ১২ লাখ ৭৬ হাজার মানুষ পানিবন্দি।
যাদের গবাদি পশু আছে তারা পড়েছেন আরও বিপাকে। পানির কারণে নিরাপদ স্থানে নেওয়াটা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। কিছু কিছু স্থানে দেখা দিয়েছে ভূমিধস। এতে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বন্যায় এক লাখ ৭৩ হাজারের বেশি ফসলি জমি প্লাবিত। এমন পরিস্থিতিতে সামনে খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ার শঙ্কা রয়েছে আসামে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার
খবরে বলা হয়েছে, কপিলি নদীর পানি বেড়ে হোজাই জেলায় দুর্ভোগ আরও বাড়িয়েছে। প্রতিবেশি
দেশ ভুটানের বেশ কয়েকটি বাঁধ থেকে অতিরিক্ত পানি ছাড়ায় আসামের নিম্ন জেলাগুলোয় মারাত্মক
প্রভাব পড়েছে।
এদিকে সিসিএফ
-প্রধান বন সংরক্ষক এবং কেএনপি’র (কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান) পরিচালক যতীন্দ্র সরমার বলেন, জাতীয় উদ্যানের
১৫-২০ শতাংশ এলাকা পানি নিচে। দেখা দিয়েছে পশু-পাখিদের স্থান সংকট। পানি বাড়তে থাকলে
অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।
পরিস্থিতি মোকাবিলায়
১ হাজার ১৪৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যেখানে এখন পর্যন্ত আশ্রয় নিয়েছেন ১ লাখ ৮৬
হাজারের বেশি মানুষ। এদিকে ভারতের মেঘালয় এবং ত্রিপুরায় বন্যা পরিস্থিতিরও উন্নতির
খবর পাওয়া যায়নি।