আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’, সমুদ্র বন্দরে ১ নম্বর দূরবর্তী সংকেত

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ মে ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। রোববার (০৮ মে) এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ফলে সমুদ্রবন্দরগুলোকে এক নম্বর দূরবর্তী সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে নাম হবে অশনি, এটি শ্রীলংকার দেওয়া নাম। বর্তমানে উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে এটি। আগামী সোমবার (০৯ মে) মধ্যরাতে ভারতের উড়িষ্যা উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছতে পারে। এরপর এটি পূর্ব দিকে গতিমুখ পরিবর্তন করে পশ্চিমবঙ্গের দিকে আসতে পারে ১১ মে। এই সময়ে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। তবে বাংলাদেশের উপকূলে আসবে কি-না, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানিয়েছেন, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আরও সামান্য উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে শনিবার  (০৭ মে) দুপুর ১২টায় একই এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এ সময় নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪২৫ কি.মি. দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৪০ কি.মি. দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৬০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪০৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সৰ্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।

এই অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ০১ (এক) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

এদিকে অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রোববার (০৮ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলী চমকানোসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এছাড়া রাঙ্গামাটি, সৈয়দপুর, খুলনা, মোংলা, সাতক্ষীরা ও যশোর অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে নবমবারের মতো তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থেকে বিস্তার লাভ করতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়বে।

সোমবার (৯ মে) নাগাদ আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। বর্ধিত ৫ (পাঁচ) দিনের আবহাওয়ায় বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।


আরও খবর
ঢাকার বায়ু আজও অস্বাস্থ্যকর

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




মশা নিধনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মশা নিধন কারো একার পক্ষে সম্ভব নয় উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, জনপ্রতিনিধি ও জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে হবে। প্রতিকার থেকে প্রতিরোধ উত্তম উল্লেখ করে তিনি বলেন, মশা নিধনে সবচেয়ে কার্যকর পন্থা হচ্ছে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা যাতে মশার উৎপাদন না হয়। সেজন্য জনপ্রতিনিধি ও জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি।

বুধবার (২০ মার্চ) ঢাকার উত্তরায় ১২নং সেক্টর খালপাড়ে সিটি করপোরেশনের মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরগন উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন ধরনের মশা যেমন কিউলেক্স মশা, অ্যানোফিলিস মশা ও এডিস মশার প্রজননস্থল ভিন্ন ভিন্ন হওয়ায় আমাদেরকে সেদিকে লক্ষ্য রেখে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালাতে হবে। অ্যানোফিলিস মশা ম্যালেরিয়া রোগ, কিউলেক্স মশা ফাইলেরিয়া এবং এডিস মশা ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের জন্য দায়ী উল্লেখ করে তিনি বলেন, মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে মশার প্রজননস্থল ধ্বংসই হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম পন্থা।

মন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরের বিভিন্ন খালে বাসাবাড়ির সুয়ারেজ বর্জ্যের কারণে পানি দূষিত হচ্ছে এবং কচুরিপানার ফলে প্রচুর মশা উৎপাদন হচ্ছে। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ঢাকাকে পাঁচটি ক্যাচমেন্ট এরিয়াতে ভাগ করে বর্জ্য নিষ্পত্তি করার জন্য সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট স্থাপন করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এরই মধ্যে দাসেরকান্দিতে একটি প্লান্ট উদ্বোধন করেছেন এবং উত্তরাতেও একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী উত্তরা ১২ নং সেক্টরে লেক পরিষ্কার করার যে উদ্যোগ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র নিয়েছেন তাকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করার জন্য এই ধরনের খাল বা লেক যেখানে কচুরিপানা এবং দূষিত পানির কারণে মশার উৎপাদন বেশি হয় তা সবাইকে মিলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের এই লেক ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে পরিষ্কার করা হবে বলেও জানান তিনি।

এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে এ বছরের জানুয়ারি মাস থেকে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে এবং সিটি করপোরেশনগুলোর সক্ষমতা পর্যালোচনা করে যেখানে যতটুকু দরকার মন্ত্রণালয় থেকে সহযোগিতা করা হয়েছে। মন্ত্রী আবারও এডিস মশা নির্মূলে জনপ্রতিনিধি এবং জনগণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, নিজ বসতবাড়ি এবং নিজ এলাকা পরিষ্কার করার দায়িত্ব আমাদের সবার তাহলেই প্রাণঘাতী ডেঙ্গু জ্বর থেকে আমরা নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারবো।


আরও খবর



ঈদুল ফিতরে যেভাবে মিলবে টানা ১০ দিনের ছুটি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকারি কর্মচারী এবারের ঈদুল ফিতরের ছুটির সঙ্গে দুই দিনের ছুটি নিলেই তার টানা ১০ দিনের ছুটি ভোগের সুযোগ তৈরি হয়েছে। সুযোগ কাজে লাগাতে অনেকেই ২ দিনের ছুটির আবেদনও প্রস্তুত করছেন। সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

সরকারি ক্যালেন্ডারের হিসাব অনুসারে ৫ ও ৬ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। ৭ এপ্রিল পবিত্র শবে কদরের সরকারি ছুটি। সে ক্ষেত্রে ৮ ও ৯ এপ্রিল দুই দিনের ছুটি নিলেই ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ১০ দিনের ছুটি ভোগের সুযোগ রয়েছে। কারণ ১০, ১১ এবং ১২ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতরের সরকারি ছুটি। আবার ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি এবং ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ। অর্থাৎ, মাত্র দুই দিনের ছুটি নিলেই একসঙ্গে ১০ দিন ছুটি কাটাতে পারবেন কর্মচারীরা।

আবার যদি রোজা ২৯টি হয় তাহলে ৯, ১০ এবং ১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের সরকারি ছুটি থাকবে। সেক্ষেত্রে ৮ এপ্রিল মাত্র ১ দিনের ছুটি নিলেই টানা ১০ দিনের ছুটি ভোগ করতে পারবেন সরকারি কর্মচারীরা। কারণ ১২ এবং ১৩ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। পর দিন ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুবিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার নির্বাহী আদেশে ছুটির ফাইল উঠার সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ। কারণ সরকারি ছুটির পরিমাণ অনেক বেশি।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা দুই দিনের আগাম ছুটির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দু-এক দিনের মধ্যে কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটির আবেদন জমা দেবেন। অনেকে আবার ঈদের ছুটিতে বিদেশ সফর করবেন। তবে সেক্ষেত্রে অধিকাংশ উচ্চপর্যায়ের কর্মচারী চিকিৎসা সেবা নিতে বিদেশ সফরের আবেদন করবেন বলে জানা গেছে।


আরও খবর



রমজানে ৩০ স্থানে ৬০০ টাকায় মিলবে গরুর মাংস

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেছেন, রমজান উপলক্ষে ১০ মার্চ থেকে ঈদ পর্যন্ত রাজধানীর ৩০ স্থানে গরুর মাংস ৬০০ এবং খাসির মাংস ৯০০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি করা হবে।

সোমবার (৪ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ড্রেসিং করা মুরগির (ব্রয়লার) মাংসের কেজি ২৮০ টাকা। ডিম ১০ টাকা ৫০ পয়সা করে ট্রাকে বিক্রি করবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

ঈদের আগের দিন পর্যন্ত হ্রাসকৃত মূল্যে পণ্য বিক্রি চলবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ঢাকার বাইরে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করার তাগিদ আছে। ব্যবসায়ীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, মানুষকে কষ্ট দিয়ে অধিক মুনাফা লাভের চেষ্টা করবেন না।


আরও খবর



অভিশ্রুতি ওরফে বৃষ্টির মরদেহ হস্তান্তর আজ

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডের ভয়াবহ আগুনে নিহত গণমাধ্যমকর্মী অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি খাতুনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদনে বেরিয়ে এসেছে তার বাবা সবুজ শেখ এবং মা বিউটি খাতুন। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক ল্যাবে তার পরিচয় শনাক্ত হয়।

অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ আজ সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

সিআইডির পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান বলেন, সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতির লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গ থেকে তার বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের নিহত ৪৬ জনের মধ্যে একজন এই বৃষ্টি খাতুন। বৃষ্টি তার বন্ধু, সহকর্মী ও ফেসবুকে অভিশ্রুত শাস্ত্রী নামে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে নিজেকে পরিচয় দেওয়ার কারণে তার মরদেহ হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। মৃত্যুর পর মন্দিরের পুরোহিত তাকে সনাতন ধর্মালম্বী দাবি করেন।

অন্যদিকে, সবুজ শেখ ও বিউটি খাতুন বাবা-মা দাবি করে জানান, নিহত তরুণী অভিশ্রুতি নয়, তার নাম বৃষ্টি খাতুন। বৃষ্টি তাদের সন্তান। এমন পরিস্থিতিতে পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ।

বৃষ্টির গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বনগ্রাম গ্রামের প‌শ্চিমপাড়ায়। কলেজের সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রেও অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর নাম বৃষ্টি খাতুন। তবে তার বন্ধু সহকর্মীরা জানতেন তার নাম অভিশ্রুতি। মৃত্যুর পর এই নাম নিয়েই জটিলতা তৈরি হয়। তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রয়েছে।


আরও খবর



সংসদে সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী

অননুমোদিত ১৩০০ ভবন চিহ্নিত করা হলেও ভাঙা সম্ভব হয়নি (ভিডিও)

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুনের ঘটনা তদন্ত করে ৬২ জন লোকের বিরুদ্ধে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছিল; কিন্তু চার্জশিট দেওয়ার সময় অনেকের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে এবং আজ পর্যন্ত সেই মামলার অভিযোগ গঠন পর্যন্ত হয়নি। 

তিনি স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল করে এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার করার আহ্বান জানান।

শনিবার (২ মার্চ) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে শ ম রেজাউল করিম এ কথা জানান। 

এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, বড় বড় অপরাধীদের বিচার হয়েছে। সেক্ষেত্রে দায়মুক্তি থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি। কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় আরও কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুন লাগার পর সেই সময় আমি গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলাম। আমি তখন গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে কাজ করেছিলাম, তদন্ত করে ৬২ জন লোকের বিরুদ্ধে আমরা রিপোর্ট দিয়েছিলাম। দুর্ভাগ্য সর্বোচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার পরও সবার বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। তার পর চার্জশিট দেওয়ার সময় অনেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এখানেই শেষ নয় আজ পর্যন্ত সেই মামলার অভিযোগ গঠন পর্যন্ত হয়নি। 

তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের একটি ফুড ফ্যাক্টরিতে ৫২ জনকে পুড়িয়ে হত্যা করালো। সেই প্রক্রিয়ার আসামিরা সব জেলে গেছেন, আজ পর্যন্ত বিচার কার্যক্রম শুরু হয়নি। এ রকম অনেক ঘটনা যেটা বিরোধী দলের চিপ হুইপ বলেছেন। এই জায়গায় আমার দাবি, এই জাতীয় অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত প্রয়োজনে আইন পরিবর্তন করে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল করে তাদের বিচার করা না হলে শুধু এই অপরাধের না, অন্যদের কাছে একটা মেসেজ যাবে না। 

সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, আমরা সেই সময় ১৩০০ ভবনকে চিহ্নিত করেছিলাম। গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে যে ভবনের প্ল্যান সঠিক নাই, যে ভবনের অধিকাংশ ফ্লোর অনুমোদিতভাবে নেওয়া হয়েছে সেই ভবনগুলো কিন্তু ভাঙা সম্ভব হয়নি। এটাও কিন্তু এক প্রকারের দায়মুক্তি দেওয়া। কাজে আমি আশা করব সেটা করা দরকার। আর একটা বিষয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসেন, আমি বলব আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ কায়েম করেছি কিন্তু ডিজিটাল ব্যবস্থা অপব্যবহারে ভয়ংকর ক্ষতিগ্রস্ত যারা তাদেরও বিচার পাওয়ার অধিকার আছে। আমি একটি মামলার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে গিয়েছি, পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়েছি। আসামিরা স্বীকারোক্তি করার মামলায় তিন বছরে চার্জশিট দেওয়া হয় না। এই অজুহাতে আসামিরা জেলখানা থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ দরকার কিন্তু ডিজিটাল ব্যবস্থার অপব্যবহার করে যারা তাদেরও বিচারের জন্য যদি ব্যবস্থা না হয় সেটাও কিন্তু এক প্রকার দায়মুক্তি তাদের জন্য হয়ে যায়। আমি আশা করি এই বিষয়গুলোকে সম্পৃক্ত করে, বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য শুধু আর্থ সামাজিক উন্নয়ন না, অবকাঠামো উন্নয়ন না; আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার যে মৌলিক লক্ষ্য যেটা নিয়ে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম সেই জায়াগায় আমাদের পৌঁছাতে হবে। অন্যথায় দেখা যাবে যে, আমাদের একদিকে উন্নয়ন হলো অন্যদিকে আমরা পিছিয়ে পড়ছি। আশা করি এই বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তারা গুরুত্বেও সঙ্গে বিবেচনা করবেন। 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্র সুসংহত করার জন্য যদি নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হতো তাহলে বাংলাদেশে সাংবিধানিক শূন্যতা দেখা দিত। আমাদের দেশের সর্বোচ্চ আইন বাংলাদেশের সংবিধান। সেখানে সংবিধানের বিধিবিধান এবং সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে বলা হয়েছে একটি নির্বাচিত সরকার আর একটা নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। এর মধ্যবর্তী কোনো অবস্থা নাই। যেটা আমাদের সাংবিধানিক অবস্থান এবং একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের রায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রার অপ্রতিরোধ্য গতির মধ্য থেকে দেশে গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে এর ফলে আজকে বাংলাদেশ স্থিতিশীলতা পেয়েছে,উন্নয়ন পেয়েছে, সমৃদ্ধি পেয়েছে। সেই কারণে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। উন্নয়নের জাদুকর শেখ হাসিনা বিশ্বের কাছে বিস্ময়। বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুকন্যা আজকে যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা করেছেন সে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব হচ্ছে আমার বিশ্বাস, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকার কারণে। আমরা বিশ্বাস করি শেখ হাসিনার হাতেই নিরাপদ বাংলাদেশ।

নিউজ ট্যাগ: শ ম রেজাউল করিম

আরও খবর