পাকিস্তানের বোলারদের তোপে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল আফগানিস্তান। ধারণা করা হচ্ছিল, একশ রানই করতে পারবে না আফগানরা।
কিন্তু সামনে
থেকে ঠিকই নেতৃত্ব দিলেন অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি। গুলবাদিন নাইবকে সঙ্গে নিয়ে করলেন ৪২
বলে ৬৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে পাকিস্তানকে ১৪৮ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিলেন।
আর সেই লক্ষ্য
পেরুতে শেষ দিকে প্রায় হোঁচট খেতে বসেছিল পাকিস্তান। তবে ১৯তম ওভারে করিম জান্নাতকে
চারটি ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন আসিফ আলি।
৬ বল বাকি থাকতেই
৫ উইকেটে আফগানিস্তানকে হারিয়ে সেমিফাইনাল প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে পাকিস্তান।
১৪৮ রানের তাড়ায়
১৬ ওভার পর্যন্ত ম্যাচেই ছিল পাকিস্তান। ৪৫ বলে ফিফটি হাঁকিয়ে সামনে থেকে দলকে এগিয়ে
নিয়ে যাচ্ছিলেন অধিনায়ক বাবর আজম।
জয়ের জন্য বাকি
৪ ওভারে দরকার ছিল ৩৮ রানের তথা ২৪ বলে ৩৮ রান! হাতে ৭ উইকেট, যা হেসেখেলেই করে ফেলা
সম্ভব।
কিন্তু ১৭তম ওভারের
শেষ বলে গুগলি ডেলিভারিতে চমক দেখান রশিদ খান। ফিরিয়ে দেন বাবর আজমকে।
১৮তম ওভারের পঞ্চম
বলে অভিজ্ঞ শোয়েব মালিককে ফেরান নাভেদ। ফলে খেলায় টান টান উত্তেজনা চলে আসে।
১৫ বলে ১৯ রান
করেন শোয়েব মালিক।
শেষ ২ ওভারে তথা
১২ বলে পাকিস্তানের প্রয়োজন পড়ে ২৪ রানের। হাতে ৫ উইকেট। ক্রিজে আসিফ আলি। দলকে জেতাতে
শেষ ওভারের প্রয়োজন পড়েনি তার।
করিম জানাতের
প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান আসিফ। এক বল ডট দিয়ে তৃতীয় ডেলিভারিকে ফের উড়িয়ে সীমানার বাইরে
পাঠান।
ফের এক বল ডট
দিয়ে শেষ দুই বলে দুটি ছক্কা হাঁকান তিনি। এক ওভারেই চার ছক্কায় ২৪ রান নিয়ে দলকে জয়ের
বন্দরে পৌঁছে দেন আসিফ।
এর আগে দুবাইয়ে
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি। শুরু থেকেই তাদের
চেপে ধরেন পাকিস্তানি বোলাররা। ১৩ রানের মধ্যে তুলে নেন ২ উইকেট।
ইনিংসের দ্বিতীয়
ওভারে ইমাদ ওয়াসিমের শিকার হজরতউল্লাহ জাজাই (০)। পরের ওভারে মোহাম্মদ শাহজাদকে (৮)
তুলে নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।
৭ বলে একটি করে
চার-ছক্কায় আসঘর আফগান করেন ১০ রান। রহমানুল্লাহ
গুরবাজ ফেরেন ১০ রানে।
৩৯ রানে ৪ উইকেট
হারিয়ে ধরে খেলতে চাইলেও পাক বোলারদের তোপে তা সম্ভব হয়নি আফগানদের। নিয়মিত বিরতিতেই
উইকেট পতন ঘটতে থাকে।
১৭ বলে ১৫ করে
সাজঘরের পথ ধরেন করিম জানাত, ২১ বলে ২২ আসে জাদরানের ব্যাট থেকে।
এক পর্যায়ে ৭৬
রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে আফগানিস্তান।
এমন বিপদে দলকে
দারুণভাবে লড়াইয়ে ফেরান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি আর গুলবাদিন নাইব। সপ্তম উইকেটে তারা
গড়েন ৪২ বলে ৬৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। নাইম ২৫ বলে ৩৫ আর নবি ৩২ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত
থাকেন।
যেখানে তিন অঙ্কের
ফিগারে পৌঁছানোই অসম্ভব মনে হচ্ছিল, সেখানে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান স্কোরবোর্ডে তোলে
আফগানিস্তান।
পাকিস্তানি বোলারদের
মধ্যে সবচেয়ে সফল ইমাদ ওয়াসিম। ২৫ রানে ২টি উইকেট শিকার করেন এই বাঁহাতি স্পিনার।