আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে যা জানালো পুলিশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঢাকায় ৪ দিন আটকে রেখে এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু ঘটনার বিস্তারিত এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। তবে তথ্য উদঘাটনের জন্য কাজ চলছে বলে জানা গেছে।

পুলিশের দাবি, ওই তরুণী একেক সময় একেক কথা বলছেন। একবার তার বর্তমান ঠিকানা লালবাগ এলাকায় বললেও পরে বলছেন হাজারীবাগ এলাকায়।

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া একটার দিকে লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম মোর্শেদ জানান, ওই তরুণী শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ তাই একেক সময় একেক কথা বলছে। সুস্থ হলে বিস্তারিত জানা যাবে। তবে সর্বশেষ আমরা জানতে পেরেছি তার বাসা হাজারীবাগ থানা এলাকায়। আবার বলছে ধর্ষণের ঘটনা বাসাবো বৌদ্ধ মন্দির এলাকায়। তরুণীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে হাজারীবাগ থেকেই তাকে নেওয়া হয়েছে বাসাবো বৌদ্ধ মন্দির এলাকায়। বিষয়টি এখন হাজারীবাগ থানা দেখবে।

এদিকে রাতেই হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তারুজ্জামান সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ওই তরুণীর বাসা হাজারীবাগ থানা এলাকায়। পুলিশ বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে।

এদিকে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার ওসিসির সমন্বয়কারী ডা. বিলকিস বেগম জানান, বুধবার দিনগত রাতে পুলিশ মেয়েটিকে আমাদের এখানে নিয়ে এসেছিল। প্রথমে মেয়েটির শারীরিক চিকিৎসা দরকার। তাই তাকে হাসপাতালের গাইনি বিভাগে পাঠানো হয়েছে। সেখানে ডিএনএ স্যাম্পলসহ শারীরিক চিকিৎসা শেষে আবার আমাদের এখানে আনবে। তখন আমরা তাকে ভর্তি নিয়ে কাউন্সিলিংসহ যা যা করা দরকার সবই করা হবে।

প্রসঙ্গত ওই তরুণীকে (১৮) তুলে নিয়ে চার দিন আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া যায়। বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ওই তরুণীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ওই তরুণী পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন, তিনি লালবাগ এলাকায় থাকেন। প্রতিবেশী শুভ নামে এক ছেলে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিতেন। এতে রাজি না হওয়ায় গত শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে বাসা থেকে বের হলে লালবাগের একটি গলি থেকে শুভ ও শাকিল নামে দুজন তার মুখে রুমাল চেপে ধরে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান।

ওই তরুণী আরও অভিযোগ করেন, তাকে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়েছে। গত চারদিন ধরেই তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। পরে আজ বিকেল পৌনে ৩টার দিকে সোনালি রঙের একটি প্রাইভেটকারে করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে তাকে ফেলে যায় ধর্ষকরা।

টিএসসি থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা এক নারী পথচারী বলেন, ওই তরুণী তাকে বলেছেন, তাকে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে কয়েকজন। পরে ধর্ষণকারীরা টিএসসি এলাকায় তাকে ফেলে গেছেন। পরে পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসি।

শাহবাগ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুত হাওলাদার বলেন, এক তরুণীকে অসুস্থ অবস্থায় টিএসসি এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি অসুস্থ। আগে তার চিকিৎসার দরকার। তাকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ওই তরুণী শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হলে বিস্তারিত জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জেনেছে ওই তরুণীর বাড়ি লালবাগ এলাকায়। সেখান থেকে কে বা কারা তাকে মুখে রুমাল চেপে ধরে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে জোরপূর্বক অনৈতিক কাজ করেছেন। এছাড়া ওই তরুণী নিজেকে ছাত্রী হিসেবে দাবি করছেন। আজ একটি গাড়িতে করে তাকে টিএসসি এলাকায় ফেলে রেখে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই তরুণী। বিষয়টি নিয়ে লালবাগ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এছাড়া ওই তরুণী একেক সময় একেক কথা বলছেন। বিস্তারিত জানতে পুলিশ কাজ করছে।

লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম মোর্শেদ জানান, ওই তরুণীর বাসা লালবাগ এলাকায়। তবে তিনি ছাত্রী কী না এখনো জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে তিনি ছাত্রী না। তবে তিনি একেক সময় একেক কথা বলছেন। এখন বলছেন তিনি ঘটনার সময় আরবী পড়তে যাচ্ছিলেন। বিস্তারিত জানতে আমরা কাজ করছি।

নিউজ ট্যাগ: গণধর্ষণ

আরও খবর



তিনটি নতুন সমঝোতা স্মারক সই, নবায়ন হলো একটি

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুকের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ-ভুটানের মধ্যে তিনটি নতুন সমঝোতা স্মারক সই এবং পুরোনো একটি চুক্তি নবায়ন করা হয়েছে।

সোমবার (২৫ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই দুই নেতার মধ্যে বৈঠক শেষে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই ও একটি চুক্তি নবায়ন করা হয়। পরে দুই দেশের পক্ষে বইয়ে সই করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সমঝোতাগুলো হলো, ভুটানের রাজধানীতে থিম্পুতে একটি বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত, কুড়িগ্রামে ভুটানের বিনিয়োগে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং ভোক্তা সুরক্ষায় প্রযুক্তিগত সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি। এছাড়া, নবায়ন হয়েছে সাংস্কৃতিক সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি।

চারদিনের বাংলাদেশ সফরের প্রথম দিনেই রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক। দুপুর ১টার কিছু পরে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছান ভুটানের রাজা। এ সময়, টাইগারগেটে রাষ্ট্রীয় অতিথিকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পরে দুই শীর্ষ নেতা একান্ত বৈঠকে বসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভুটানের রানি জেতসুন পেমা। পরে, প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক সেখানেই অনুষ্ঠিত হয়। সবশেষ, দুই নেতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ-ভুটানের মধ্যে তিনটি সমঝোতা সই এবং একটি চুক্তি নবায়ন করা হয়।


আরও খবর



বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ড: ২৩ জনের মৃতদেহ হস্তান্তর

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে অগ্নিকাণ্ডে মারা যাওয়া ৪৪ জনের মধ্যে ২৩ জনের মৃতদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার (০১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত মৃতদেহ হস্তান্তরের এই সংখ্যা জানিয়েছেন ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একেএম হেদায়েতুল ইসলাম।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা বার্ন ইন্সটিটিউটে মোট ৪৪টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২৩টি মৃতদেহ নিহতদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল থেকে ১৫টি এবং বার্ন ইন্সটিটিউট থেকে ৮ জনের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার (০১ মার্চ) ভোর ৫টা ৪১ মিনিটে মৃতদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়।

বৃহস্পতিবার রাত ২টার পর থেকে মৃতদেহ হস্তান্তরের জন্য নিহতদের স্বজনদের তথ্য চায় ঢাকা জেলা প্রশাসন। তথ্য সংগ্রহ সাপেক্ষে মৃতদেহ শনাক্তের পর মৃতদেহ হস্তান্তর শুরু হয়।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ভবনে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। এতে অন্তত ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া, গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন।


আরও খবর



নবাবগঞ্জে পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাজনীন শিকদার (দোহার-নবাবগঞ্জ)

Image

ঢাকার নবাবগঞ্জের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পুলিশ সদস্য পরিচয়ে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামী মো. মোজাম্মেল হোসেন আপেল ওরফে হাজী আপেল (৪৬) ও মো. আইয়ুব (৩৮) নামে তার এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার ((৭ মার্চ)) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন অর-রশিদ। এ ডাকাতির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত মোজাম্মেল হোসেন আপেল গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার জামালপুর গ্রামের মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে ওসি মামুন অর-রশিদ জানান, নবাবগঞ্জ উপজেলার আগলা বাজারে দিয়া জুয়েলার্সের মালিক কৃষ্ণ সাহা গত বছরের ৩০ এপ্রিল সকালে টিকরপুরের বাড়ি থেকে অটোরিক্সায় দোকানে যাচ্ছিলেন। আগলা পোস্ট অফিসের সামনে পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতরা তাঁকে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। পরে মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইরের সাওরাইল গ্রামের নির্জন খাদের কাছে কৃষ্ণ সাহাকে মারধর করে ২৫০ ভরি স্বর্ণ ও ৫০০ ভরি রুপা ও নগদ টাকা লুট করে ডাকাতরা। সেখানেই তাঁকে ফেলে মাইক্রোবাস নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। এ ঘটনায় মামলার পর অভিযানে নামে পুলিশ।

সিসিটিভি ফুটেজ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় টানা সাত দিন ঢাকা, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, লক্ষীপুর জেলায় অভিযান চালিয়ে ১৭৭ ভরি স্বর্ণ ও ৩৮৬ ভরি রুপা, একটি মাইক্রোবাস, দুটি অটোরিক্সাসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে গ্রেপ্তারকৃত ১৩ জনের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এঘটনায় জড়িত প্রধান আসামী মোজাম্মেল হোসেন আপেল ওরফে হাজী আপেলকে রাজধানীর মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মোজাম্মেল হোসেন আপেলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ২১ ভরি স্বর্ণালংকার, দেড় ভরি রুপা ও নগদ অর্থ উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় তার সহযোগি আইয়ুবকে।

ওসি আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামী মোজাম্মেল হোসেন আপেল ওরফে হাজী আপেলের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ১৭টি মামলা রয়েছে।



নিউজ ট্যাগ: নবাবগঞ্জ

আরও খবর



মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে নৌযান শ্রমিকরা

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিভিন্ন দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন। আগামী মঙ্গলবার (সোমবার দিবাগত রাত ১২টা) থেকে নৌযান শ্রমিকরা কর্মবিরতি শুরু করবেন। সংগঠনটির ১১টি দাবির মধ্যে রয়েছে, নৌযান শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা, নৌপথে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি বন্ধ, ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস প্রভৃতি।

রোববার (৩ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেয় সংগঠনটি।

লিখিত বক্তব্যে চৌধুরী আশিকুল আলম বলেন, নদীমাতৃক দেশের অর্থনীতিতে নৌপরিবহন শিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রায় শতভাগ ব্যক্তিমালিকানায় পরিচালিত এই শিল্প স্বল্পব্যয়ে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। দেশের আমদানি ও রফতানি পণ্য পরিবহন অনেকাংশেই নৌপরিবহনের ওপর নির্ভরশীল। অথচ নৌযান শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন ও নিরাপত্তার বিষয় সব সময় উপেক্ষিত থেকেছে।

তিনি বলেন, আমরা এসব সমস্যার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে বছরের পর বছর দাবি জানিয়ে ও সংগ্রাম করে আসছি। সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে দাবি মেনে নিয়ে কিছু কিছু কার্যকর করলেও অধিকাংশ সিদ্ধান্তই উপেক্ষিত বছরের পর বছর। এ কারণে ১১ দাবি নিয়ে আমাদের এই কর্মবিরতির ঘোষণা।

নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের দাবি

>> নৌযান শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নাবিক কল্যাণ তহবিল ও ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে কন্টিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড গঠন।

>> সব মালিক সমিতিসমূহকে এক প্লাটফর্মে এনে এককেন্দ্রিক সিরিয়ালে আনা।

>> মালিক সমিতিন সঙ্গে গেজেট বহির্ভূত দ্বিপাক্ষিক চুক্তিভুক্ত অমীমাংসিত দাবি পুনর্র্নিধারণ করে চুক্তি সম্পাদন।

>> চট্টগ্রাম বন্দরে নিরাপদে জাহাজ রাখার জন্য শঙ্খ নদীকে পোতাশ্রয়ের উপযোগী করা, নদীর নাব্য রক্ষা, নৌপথ, নদী ও সব সমুদ্র বন্দরে পর্যাপ্ত সংখ্যক মার্কা-বয়া-বাতি স্থাপন, চ্যানেলে জাল পাতা বন্ধ এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পাইলট সরবরাহ নিশ্চিত করা।

>> চট্টগ্রাম চরপাড়া-জালিয়াপাড়া পর্যন্ত নাবিকদের নিরাপদে ওঠানামার জন্য কমপক্ষে ৫টি ইজারামুক্ত ঘাট ও মেরিন ড্রাইভ সড়কের চরপাড়া ও জালিয়াপাড়া এলাকায় ২টি ফুটওভার ব্রিজ স্থাপন।

>> ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস নিশ্চিত করা।

>> পরীক্ষায় অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ, মালিক কর্তৃক নিশ্চিত হয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া।

>> বালুবাহী নৌযানে কর্মরত শ্রমিকদের ওপর পুলিশি হয়রানি ও চাঁদাবাজি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।

>> আদালতের সিদ্ধান্ত ছাড়া মাস্টার-ড্রাইভার সনদ বাতিলের কর্মকাণ্ড বন্ধ করা।

>> সামুদ্রিক মৎস্য শিকারি জাহাজ শ্রমিকদের গেজেটের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন এবং অন্য সব দাবি অবিলম্বে মেনে নিতে হবে।

>> নৌপথে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি-কালোবাজারি-জাহাজ ছিনতাই বন্ধ করা।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহ আলম, সহ-সভাপতি সৈয়দ শাহাদাত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলমসহ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



দীর্ঘ ৪ দিন পর ভেসে উঠল মরদেহ, সঙ্গে ৫ কেজি স্বর্ণ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এম এ রহিম, বেনাপোল (যশোর)

Image

যশোরের শার্শার গোগা সীমান্তে ইছামতি নদীর খলিসাখালি খাল এলাকা থেকে বুধবার সকালে মশিয়ার রহমান নামে এক সোনা চোরাকারবারির মরদেহ উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশ।

মরদেহের শরীরে ৫ কেজি ২শ গ্রাম ওজনের ৪০টি স্বর্ণের বার বাঁধা ছিল।

নিহত মশিয়ার গোগা হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামের বুদো মড়লের ছেলে। খুলনা ২১ বিজিবির সিও লে. কর্নেল খুরসিদ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত ১০মার্চ বিকেলে একটি স্বর্ণের চালান নিয়ে ইছামতি নদী দিয়ে ভারতের পিপলি সীমান্তে প্রবেশকালে নদীতে ডুবে যান মশিয়ার। গত ৩ দিন ধরে সীমান্তের ইছামতি নদীতে তাঁর মরদেহ উদ্ধারে বিজিবি, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা ও ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) চেষ্টা চালায়। তবে ভারত অংশে প্রবেশে বিএসএফ বাধা দেওয়ার ডুবুরিরা মরদেহ উদ্ধারে ব্যর্থ হয়। অবশেষে দীর্ঘ ৪ দিন পর আজ সকালে ঘটনাস্থল থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে খলসিখাল এলাকায় মরদেহটি ভেসে ওঠে।

স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে বিজিবি ও পুলিশকে খবর দেয়। এদিন দুপুরে বিজিবি সদস্যরা মরদেহটি উদ্ধার করে শার্শা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

জামাল ও রহিম বক্স নামে দুজন চোরাকারবারি মশিয়ারকে বাড়ি থেকে ডেকে নিযে গিয়েছিল বলে জানায় স্বজনেরা। তাঁরা হত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তবিবর রহমান বলেন, নদীতে ভেসে থাকা মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে প্রশাসনের সহযোগিতা চাই।

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মনির বলেন, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মর্গে পাঠানো হবে। ঘটনা উদঘাটনে পুলিশ ও যশোর ডিবি পুলিশ চেষ্টা করছে।

উদ্ধার স্বর্ণ যশোর ট্রেজারিতে জমা দেওয়া হবে জানান ওসি মনিরুজ্জামান।


আরও খবর