আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি

Image

নরসিংদীর রায়পুরায় ভৈরব রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সানিয়া আক্তারকে (১৯) আত্মহত্যায় পরোচনা দেওয়ার অভিযোগে তাঁর স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।

শনিবার (৪ মার্চ) উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মাহমুদাবাদ নামাপাড়া এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে কয়েক শতাধিক লোকজন অংশ নিয়ে জড়িতদের বিচার দাবি জানিয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নিহত কলেজছাত্রী সানিয়ার চাচা আব্দুল বাতেন হাজারী, স্থানীয়দের মধ্যে আলমগীর কবির, দেলোয়ার হোসেন, সোলাইমান কাদের, সোবর হাজারী, আব্দুল হামিদ ও একেএম মিলন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বিয়ের পর থেকেই সানিয়াকে চরম অবহেলা ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলেন তাঁর স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির লোকেরা। এ সর্ম্পকও মেনে নেননি তাঁরা। এতে চরম ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন সানিয়া। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে আত্মহননের পথ বেচে নেন তিনি। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছে তাঁর স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি। এ সময় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি জানান তাঁরা।

জানা গেছে, ছয়মাস আগে পরিবারকে না জানিয়ে ভালোবেসে কলেজ ছাত্রী সানিয়া আক্তারকে বিয়ে করেন একই ইউনিয়নের মাহমুদাবাদ এলাকার বাসিন্দা সাজ্জাদ হোসেন সাজিদ। পরে বিয়ের কথা জানাজানি হলে, প্রথমে সাজিদের বাবা সানাউল্লাহ অভি এ সর্ম্পক মেনে নিলেও পরক্ষণে তা অস্বীকার করেন।

এ দিকে স্বামীর অবেহেলা ও শ্বশুরবাড়ি লোকজনের মানসিক নির্যাতনের কারণে ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন ওই কলেজ ছাত্রী। পরে ২৮ ফেব্রুয়ারী ফাঁকা বাসায় আত্মহত্যা করেন সানিয়া। এ ঘটনার পর সাজিদ ও তাঁর মা-বাবাকে আসামি করে রায়পুরা থানায় একটি অভিযোগ করেন নিহত কলেজছাত্রীর মা বিলকিছ বেগম।

রায়পুরা থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। জড়িতদের ধরতে চেষ্টা চলছে।

নিউজ ট্যাগ: নরসিংদী

আরও খবর



খুলনায় সালাম জুট মিলে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

খুলনার রূপসায় জাবুসা এলাকার সালাম জুট মিলে আগুন লেগেছে। আজ বুধবার বিকেলে এ আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করছে।

খুলনা ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকা মো. আব্দুল কাদির সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বিকেল ৫টা ৩৮ মিনিটে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ চলছে। বিস্তারিত পরে জানানো যাবে।


আরও খবর



আড়াইহাজারে বাসের ধাক্কায় ট্রাফিক পুলিশ নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে দায়িত্ব পালনকালে বাসের ধাক্কায় আব্দুল গফুর নামের এক কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে উপজেলার ছনপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় মান্নান নামে আরও এক পুলিশ সদস্য আহত হন। নিহত আব্দুল গফুরের গ্রামের বাড়ি জামালপুরে। তিনি নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, ছনপাড়ায় দায়িত্ব পালনকালে নরসিংদী থেকে ঢাকামুখী সোহাগ পরিবহনের একটি বাস পুলিশ সদস্য গফুর ও মান্নানকে ধাক্কা দেয়। তাদের উদ্ধার করে রূপগঞ্জের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে গফুরের মৃত্যু হয়।

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ বলেন, বাসটি আটক করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস। বাঙালি জাতির জীবনে ১৯৭১ সালের এইদিন শেষে এক বিভীষিকাময় ভয়াল রাত নেমে এসেছিল। এদিন মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্ব পরিকল্পিত অপারেশন সার্চ লাইটের নীলনকশা অনুযায়ী বাঙালি জাতির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়ার ঘৃণ্য লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নিরস্ত্র বাঙালীদের ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্খা মুছে দেয়ার চেষ্টায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গণহত্যা শুরু করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। তারপর নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এসেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে ব্যাপক গণহত্যা চালিয়ে বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী যে সশস্ত্র অভিযান পরিচালনা করে, তারই নাম অপারেশন সার্চলাইট।

এই অভিযানের নির্দেশ নামা তৈরি করে পাকিস্তানের দুই সামরিক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা ও মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী। নির্দেশনামার কোনও লিখিত নথি রাখা হয়নি। গণহত্যার সেই পুরো নির্দেশ মুখে মুখে ফরমেশন কমান্ডার বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানানো হয়।

অনেক পরে, ২০১২ সালে, মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা এ স্ট্রেঞ্জার ইন মাই ওন কান্ট্রি নামে আত্মজীবনী প্রকাশ করেন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস প্রকাশিত সেই আত্মজীবনীতে প্রথমবারের মতো অপারেশন সার্চলাইট সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রকাশিত হয়।

অপারেশন সার্চলাইট কিভাবে পরিকল্পিত হয়, ১৯৭১ সালের সেই স্মৃতিচারণ করে রাজা লিখেছেন, ১৭ মার্চ, সকাল প্রায় ১০টা বাজে। টিক্কা খান আমাকে ও মেজর জেনারেল ফরমানকে কমান্ড হাউসে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে খবর পাঠান। খবর পেয়ে আমরা দুজন টিক্কা খানের সঙ্গে দেখা করি। গিয়ে দেখি, সেখানে জেনারেল আবদুল হামিদ খানও রয়েছেন। টিক্কা খান আমাদের বলেন, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শেখ মুজিবের সমঝোতা আলোচনা ইতিবাচক দিকে এগোচ্ছে না। প্রেসিডেন্ট চান আমরা যেন সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি গ্রহন করি এবং সে অনুযায়ী একটা পরিকল্পনা তৈরি করি। এ ছাড়া আর কোনো মৌখিক বা লিখিত নির্দেশনা আমরা পাইনি। আমাদের বলা হয়, পরদিন ১৮ মার্চ বিকেলে আমরা দুজন যেন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ওই পরিকল্পনা চূড়ান্ত করি। পরদিন সকালেই খাদিম হোসেন রাজা তাঁর কার্যালয়ে রাও ফরমান আলীকে নিয়ে বসেন। তারাই গণহত্যার এ অভিযানের নাম দেন অপারেশন সার্চলাইট।

মার্কিন সাংবাদিক রবার্ট পেইন ২৫ মার্চ রাত সম্পর্কে লিখেছেন, সেই রাতে ৭০০০ মানুষকে হত্যা করা হয়, গ্রেপ্তার করা হলো আরও ৩০০০ লোক। ঢাকায় ঘটনার শুরু মাত্র হয়েছিল। এরপর সমস্ত পূর্ব পাকিস্তান জুড়ে সৈন্যরা বাড়িয়ে চললো মৃতের সংখ্যা। জ্বালাতে শুরু করলো ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট। লুট আর ধ্বংস যেন তাদের নেশায় পরিণত হল। রাস্তায় রাস্তায় পড়ে থাকা মৃতদেহগুলো কাক-শেয়ালের খাবারে পরিণত হল। সমস্ত বাংলাদেশ হয়ে উঠলো শকুন তাড়িত শ্মশান ভূমি।

পাইকারি এই গণহত্যার স্বীকৃতি খোদ পাকিস্তান সরকার প্রকাশিত দলিলেও রয়েছে। পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্কট সম্পর্কে যে শ্বেতপত্র পাকিস্তান সরকার মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রকাশ করেছিল তাতে বলা হয়, ১৯৭১ সালের পয়লা মার্চ থেকে ২৫ মার্চ রাত পর্যন্ত ১ লাখেরও বেশি মানুষের জীবননাশ হয়েছিল।

১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের কাছে পাকিস্তানি জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করার ফলে সৃষ্ট রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের প্রক্রিয়া চলাকালে পাকিস্তানি সেনারা কুখ্যাত অপারেশন সার্চ লাইট নাম দিয়ে নিরীহ বাঙালি বেসামরিক লোকজনের ওপর গণহত্যা শুরু করে। তাদের এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতা-কর্মীসহ সকল সচেতন নাগরিককে নির্বিচারে হত্যা করা। এদিন দুপুরের পর থেকেই ঢাকাসহ সারাদেশে থমথমে অবস্থা বিরাজ করতে থাকে। সকাল থেকেই সেনা কর্মকর্তাদের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত। হেলিকপ্টারযোগে তারা দেশের বিভিন্ন সেনানিবাস পরিদর্শন করে বিকেলের মধ্যে ঢাকা সেনানিবাসে ফিরে আসে।

ঢাকার ইপিআর সদর দফতর পিলখানাতে অবস্থানরত ২২তম বালুচ রেজিমেন্টকে পিলখানার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিতে দেখা যায়। মধ্যরাতে পিলখানা, রাজারবাগ, নীলক্ষেত আক্রমণ করে পাকিস্তানি সেনারা। হানাদার বাহিনী ট্যাঙ্ক ও মর্টারের মাধ্যমে নীলক্ষেতসহ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা দখল নেয়। সেনাবাহিনীর মেশিনগানের গুলিতে, ট্যাঙ্ক-মর্টারের গোলায় ও আগুনের লেলিহান শিখায় নগরীর রাত হয়ে উঠে বিভীষিকাময়।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খান এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল এএকে নিয়াজীর জনসংযোগ অফিসারের দায়িত্বে থাকা সিদ্দিক সালিকের উইটনেস টু সারেন্ডার গ্রন্থেও এ সংক্রান্ত একটি বিবরণ পাওয়া যায়। সিদ্দিক সালিক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জেনারেল নিয়াজীর পাশেই ছিলেন। বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে অনুগত পাকিস্তানি হিসাবে পাক সামরিক জান্তার চক্রান্ত তিনি খুব কাছে থেকেই দেখেছেন। ২৫ মার্চ, অপারেশন সার্চ লাইট শুরুর মুহূর্ত নিয়ে তিনি লিখেন নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সামরিক কার্যক্রম শুরু হয়ে যায়। এমন আঘাত হানার নির্ধারিত মুহূর্ত (এইচ-আওয়ার) পর্যন্ত স্থির থাকার চিহ্ন বিলুপ্ত হয়ে গেল। নরকের দরজা উন্মুক্ত হয়ে গেল।

পাকিস্তানি হায়েনাদের কাছ থেকে রক্ষা পায়নি রোকেয়া হলের ছাত্রীরাও। ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব ও জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, ড. মনিরুজ্জামানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৯ জন শিক্ষককে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। ঢাবির জগন্নাথ হলে চলে নৃশংসতম হত্যার সবচেয়ে বড় ঘটনাটি। এখানে হত্যাযজ্ঞ চলে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত।

প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান অপারেশন সার্চ লাইট পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সকল পদক্ষেপ চূড়ান্ত করে গোপনে ঢাকা ত্যাগ করে করাচি চলে যান। সেনা অভিযানের শুরুতেই হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের আগে ২৬ মার্চ (২৫ মার্চ মধ্যরাতে) বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং যে কোন মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

বঙ্গবন্ধুর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র লড়াই শেষে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পূর্ণ বিজয় অর্জন করে। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের।

যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ রাত ১১ থেকে ১১টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত সারাদেশে প্রতীকী ব্ল্যাক আউট পালন করা হবে। তবে কেপিআই এবং জরুরি স্থাপনা এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দেবেন। এদিন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গণহত্যা দিবসের ওপর আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছে।

সারা দেশে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গীতিনাট্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্মৃতিচারণা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশনে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করা হবে। এছাড়াও ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এদিন বাদ জোহর বা সুবিধাজনক সময় দেশের সব মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য উপাসনালয়ে প্রার্থনা করা হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে একই কর্মসূচি পালন করা হবে।


আরও খবর



প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার তারিখ জানাল মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে লিখিত (এমসিকিউ) পরীক্ষা আগামী ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত  ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের (পার্বত্য জেলা বাদে) ২১ জেলায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ছয় হাজার ২০২টি আসনের বিপরীতে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা তিন লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন।

এ পরীক্ষায় মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৪১৪টি। মৌখিক পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ৫ থেকে ২০ মে, চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে ১০ জুন।

বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।

তিনি জানান, এই দুটি বিভাগে অন্যান্য বিভাগের চেয়ে পরীক্ষার্থী বেশি। তাই পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করতে একটু বেশি সাবধানতা অবলম্বন করা হয়েছে। পরীক্ষার দিন প্রতিটি কেন্দ্রে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। প্রশ্নপত্র ও অন্যান্য কাগজপত্রাদি সম্বলিত ট্রাংক ঢাকা হতে গ্রহণ, জেলার ট্রেজারিতে সংরক্ষণ এবং উত্তরপত্র ঢাকায় পাঠানোসহ জেলা প্রশাসকরা প্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কোনো জেলায় পর্যাপ্ত সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট না থাকলে বিভাগীয় কমিশনাররা প্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিতে পারেন। ম্যাজিস্ট্রেরিয়াল ক্ষমতা সম্পন্ন কর্মকর্তাদের ক্ষমতা পুনরুজ্জীবিত করার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করেছে।

তিনি জানান, পরীক্ষার্থীরা ওয়েবসাইট থেকে ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে অথবা এসএসসি পরীক্ষার রোল, বোর্ড ও পাসের সাল দিয়ে লগইন করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থীদেরকে অবশ্যই ডাউনলোড করা প্রবেশপত্রের রঙিন প্রিন্ট এবং নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে আনতে হবে। পরীক্ষাসংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য প্রবেশপত্রে পাওয়া যাবে।

সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য গত ১৮ জুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আবেদন শুরু হয়েছিল ২৪ জুন, আবেদনের শেষ সময় ৮ জুলাই।

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম দ্রুত শেষ করতে এবারই প্রথম আবেদন ও নিয়োগ পরীক্ষা ধাপে ধাপে নেওয়া হচ্ছে। গুচ্ছভিত্তিক এ নিয়োগে তিন ধাপে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষাও আলাদাভাবে নেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শারীরিকভাবে অসুস্থতার কারণে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। রোববার (৩১ মার্চ) রাত পৌনে ৩টার দিকে তাকে সেখানে নেয়া হয়।

এদিন হঠাৎ স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় খালেদা জিয়াকে দেখতে গুলশানের বাসা ফিরোজায় যান চিকিৎসক দল। বাসায় জরুরি কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন চিকিৎসকেরা। পরে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তাকে হাসপাতালে নেয়া হয় । সেখানে তার আরো কিছু পরীক্ষা করা হবে।

গত বুধবার খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কিছুটা খারাপ হয়। এরপর চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা গুলশানে তার বাসভবনে গিয়ে স্বাস্থ্যের কিছু পরীক্ষা করেন।

গত ১৩ মার্চ এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের কিছু পরীক্ষা করা হয়েছিল। সেসময় একদিন সেখানে ছিলেন তিনি। গত বছরের ৯ আগস্ট তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

তখন সেখানে ৫ মাসের বেশি সময় চিকিৎসা নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। পরে গত ১১ জানুয়ারি গুলশানের বাসায় ফেরেন বিএনপির চেয়ারপারসন।


আরও খবর