বিপিএল-২০২৪ আসরের প্রথম রানফোয়ারার ম্যাচ উপহার দিলো ফরচুন বরিশাল-চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সিলেটে দুপুরের ম্যাচে চট্টগ্রাম শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রান করে। বড় রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করলেও নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে বরিশালের ইনিংস থামে ১৮৩ রানে। এতে করে দশ রানের জয় পায় চট্টগ্রাম।
এদিন চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে ব্যাট হাতে আভিস্কা ফার্নান্দোর দারুণ ইনিংসের পর শেষদিকে ঝড় তোলেন কার্টিস ক্যাম্পার।
টস জিতে শুরুতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বরিশাল। প্রথম ওভারেই তাইজুল ইসলামকে বল দেন তামিম ইকবাল। প্রথম বল ডট দিলেও পরে বাউন্ডারি হাঁকানোর হ্যাটট্রিক করেন তরুণ তানজিদ তামিম। পঞ্চম বলে স্লগ সুইপ করে বড় শট হাঁকাতে গিয়ে স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো দুনিথ ভেল্লালগের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৫ বলে ১২ রান করেন ড্রেসিংরুমের ফিরেন তিনি।
তৃতীয় ওভারে এসে তাইজুল উইকেট নেন আরও একটি। এবার ৮ বলে ৪ রান করা ইমরানুজ্জামানকে ফেরান তিনি। আভিস্কা ফার্নান্দোর পরের জুটিতে সঙ্গী হন শাহাদাত হোসেন দীপু। ৫৫ বলে লঙ্কান ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ৭০ রান। অপরপ্রান্তে ২৯ বলে ৩১ রান করে ফেরেন শাহাদাত দীপু। সঙ্গী বদলালেও আভিস্কা ফার্নান্দোর রূপ বদলায়ানি। শুরুতে কিছুটা দেখে খেললেও পরে সময়ের সঙ্গে রানের গতি বাড়ান তিনি। নাজিবউল্লাহর সঙ্গে ৩৭ বলে ৬৮ রানের জুটিতে ১৯ বলে ৪৭ রান আসে আভিস্কার ব্যাট থেকে। নাজিবউল্লাহ ফেরার পর কার্টিস ক্যাম্পার এসে ঝড় তোলেন।
৯ বলে ২৯ রান আসে তার ব্যাট থেকে। সেঞ্চুরি থেকে ৯ রান দূরে থাকা আভিস্কা খেলেন ৫০ বল, ৫ চার ও ৭ ছক্কা আসে তার ব্যাট থেকে। ৪ ওভারে ২৬ রান নিয়ে দুই উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম, একটি করে উইকেট পান কামরুল রাব্বি ও বিদেশি ইয়ানিক।
ব্যাটের মতো বল হাতেও সফল হন ক্যাম্পার। রান তাড়ায় নেমে অবশ্য শুরুটা ভালো হয়েছিল বরিশালের। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে তারা তোলে ৬০ রান। যদিও একপ্রান্তে ঝড় তোলা আহমেদ শেহজাদ আউট হয়ে যান ১৭ বলে ৩৯ রান করে। আরেক ওপেনার তামিম শুরু থেকেই রানের গতির সঙ্গে পাল্লা দিতে পারছিলেন না। তিনি ক্যাম্পারের বল আভিস্কা ফার্নান্দোর হাতে ক্যাচ দেন ৩০ বলে ৩৩ রান করে।
তার ফেরার দুই বল পরই সৌম্য সরকারও আউট হয়ে যান ১৬ বলে ১৭ রান করে। এরপর অনেকটা একাই লড়ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু ১৬ বলে ৩৫ রান করে আল আমিন হোসেনের বলে তার দুর্দান্ত ক্যাচ নেন ক্যাম্পার। এরপরই কার্যত শেষ হয়ে যায় দলটির আশা। অনেক সময় টিকে থাকলেও আহামরি কিছু করতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। ২২ বলে ২৩ রান করেন তিনি। ৩ ওভারে স্রেফ ২০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন ক্যাম্পার। দুই উইকেট পান বিলাল খান।