আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

আওয়ামী লীগ নামলে অন্য কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ রাজপথে নামলে অন্য কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ রাজপথের দল। আমরা যদি আজকে আমাদের নেতাকর্মীদের সারাদেশে রাজপথে নামার জন্য ঘোষণা দেই তখন অন্য কাউকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে বিএনপি আওয়ামী লীগকে রাস্তায় পরীক্ষা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে এ বক্তব্যের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা রাজপথে যুদ্ধ করতে চাই না, আমাদের কর্মীদেরকে সংযত হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছি। আর বিএনপি তো রাজপথেই আছে এবং রাজপথে থাকতে গিয়ে তারা ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে রাজপথের গাছপালা পর্যন্ত উপড়ে ফেলেছে, পুলিশ বক্স ভাংচুর করেছে। আমরা চাই তারা নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করুক, এতে সরকারের পুলিশ প্রশাসনসহ সবাই তাদেরকে সহযোগিতা করবে এবং করছে।

তিনি বলেন, কিন্তু বিএনপি আসলে চায় একটা সাংঘর্ষিক রাজনীতি। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ করা, মানুষের সাথে সংঘর্ষ করা। তারা চায় যাতে আরো প্রাণহানি ঘটে। আমি কিছু ভিডিও ক্লিপ দেখেছি, যদিও এখনো চূড়ান্ত হয়নি কিন্তু অনেকেই বলেছে মুন্সিগঞ্জে যে ছেলেটি মারা গেছে সে তাদেরই ইটের আঘাতে মারা গেছে।

তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, বিএনপি যখন সমাবেশ করতে গিয়ে নিজেরা নিজেরা মারামারি করে, নিজেরা সমাবেশ পন্ড করে, যখন পুলিশের ওপর হামলা পরিচালনা করে, জনগণের সম্পত্তির ওপর হামলা পরিচালনা করে ভাংচুর করে, অগ্নিসংযোগ করে, তখন জনগণ তাদের প্রতিহত অতীতেও করেছে, ভবিষ্যতেও করবে। আর জনগণের সাথে যদি আমাদের নেতাকর্মীরা থাকে বিএনপি পালাবার পথ খুঁজে পাবে না। তাদের এই খালি কলসি বাজে বেশি ধরণের হুমকি-ধামকি প্রায় সাড়ে ১৩ বছর ধরে শুনে আসছি। দেশে শান্তি, স্থিতি রক্ষা সরকারের দায়িত্ব। সেটি বজায় রাখতে সরকার যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন সেটি অত্যন্ত সংযতভাবে সবসময় করে আসছে।

নির্বাচন উপলক্ষে রাজনীতি সরব হয়ে উঠছে এমন প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল অতীতের তুলনায় বেশি সরব হবে, এটিই স্বাভাবিক এবং এটি গণতান্ত্রিক রীতিনীতি চর্চারই অংশ। সুতরাং গণতান্ত্রিক রীতিনীতির চর্চা করে কেউ যদি আন্দোলন করে, সরকারের সমালোচনা করে, সরকারের বিরুদ্ধে বলে, তাতে কোন আপত্তি নেই। সেটি করতে গিয়ে যদি সাংঘর্ষিক রাজনীতি করে সেখানেই বিপত্তি।

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর চলমান যুক্তরাষ্ট্র সফর সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই সফরটি এখন পর্যন্ত অত্যন্ত সফল। তাঁর সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাক্ষাৎ হয়েছে, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সাথে বৈঠক হয়েছে। অনেক দেশের সরকার প্রধান, রাষ্ট্রপ্রধানদের সাথে সাক্ষাৎ ও বৈঠক হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আগামী ২ তারিখ সেখান থেকে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে। আসার পর তিনি সবিস্তারে বলবেন, তবে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে অত্যন্ত সফল একটা সফর হচ্ছে এবং এ কারণে যারা বিদেশিদের কাছে বারংবার ধর্ণা দেয় তাদের চেহেরাটা ফ্যাকাশে হয়ে গেছে।


আরও খবর
বিএনপির আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি: রিজভী

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




এবারও কিউএস র‌্যাংঙ্কিংয়ে স্থান পেল বুয়েট-ঢাবি

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডসের (কিউএস) বিষয়ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাংঙ্কিংয়ে দেশের শুধু দুটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় দুটি হলো- বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)।

বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়- এমন ৫৫টি বিষয়কে পাঁচ ক্যাটাগরিতে ভাগ করে ২০২৪ সালের এ র‌্যাংঙ্কিং প্রকাশ করা হয়েছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) তাদের ওয়েবসাইটে এ র‌্যাংঙ্কিং প্রকাশ করা হয়।

প্রকাশিত র‌্যাংঙ্কিং অনুযায়ী- এ বছর বিশ্বের ৯৫টি দেশের এক হাজার ৫৫৯টি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৬ হাজার ৪০০টিরও বেশি একাডেমিক প্রোগ্রামের মর্যাদা ও গবেষণাকে বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে র‌্যাংঙ্কিংয়ে স্থান দেওয়া হয়েছে।

এবারের র‌্যাংঙ্কিংয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ক্যাটাগরিতে বুয়েট ৬৪ দশমিক পাঁচ স্কোর নিয়ে ৩০৫তম স্থানে আছে। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৫০১ থেকে ৫৫০ এর মধ্যে।

সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ক্যাটাগরিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৪৫১ থেকে ৫০০ এর মধ্যে। আর আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিস ক্যাটাগরিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৫০১ থেকে ৫৫০ এর মধ্যে। অন্যান্য ক্যাটাগরিগুলো হলো- লাইফ সায়েন্স অ্যান্ড মেডিসিন, ন্যাচারাল সায়েন্স। এই দুই ক্যাটাগরিতে দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হয়নি।

এর আগে ২০২৩ সালে প্রকাশিত কিউএস বিষয়ভিত্তিক র‌্যাংঙ্কিংয়েও দেশের শুধু বুয়েট ও ঢাবির স্থান হয়েছিল। সেবার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি এবং সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ক্যাটাগরিতে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হয়েছিল।


আরও খবর
১১ মের মধ্যেই এসএসসির ফল প্রকাশ

শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪




বুয়েটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চাইলে চলবে রাজনীতি

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) রাজনীতি করা বন্ধ হয়েছিল। তারা চাইলে আবার শুরু হবে। তবে সেই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের থেকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বুয়েটের উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার।

আজ রবিবার (৩১ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে উপাচার্যের কক্ষে এই মন্তব্য করেন তিনি।

উপাচার্য বলেন, রাজনীতি না করলে দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ আসবে না। রাজনীতি করার অধিকার সকলেরই আছে।

আন্দোলন ছেড়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে যাবার আহ্বানও জানান তিনি। তদন্ত প্রতিবেদন পাবার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সামগ্রিক বিষয়ে সিদ্ধান্তে যাবে বলেও মন্তব্য করেন উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার।

বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও ব্যক্তিদের ক্যাম্পাসে আসার প্রতিবাদে টানা বিক্ষোভ করে আসছিল বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের প্রতিবাদ জানিয়ে কর্মসূচি পালন করছে ছাত্রলীগ।

এদিকে আজ ২২ তম ব্যাচের সকল বিভাগের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থীর বিপরীতে দুইজন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।

পরীক্ষায় অংশ না নেওয়া শিক্ষার্থীদের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে এমন প্রশ্নে উপাচার্য বলেন, তারা আসলে আলোচনা করে কী ব্যবস্থা নেয়া যায় সেটি দেখা যাবে।


আরও খবর



নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড্যানিয়েল কাহনেম্যান মারা গেছেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মনোবিজ্ঞানী ড্যানিয়েল কাহনেম্যান মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। শেষ জীবনে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে অবস্থিত প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির মনোবিদ্যা এবং পাবলিক অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রফেসার এমেরিটাস হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বিহেভেরিয়াল ইকোনমিক্স বা আচরণগত অর্থনীতির সমার্থক হয়ে উঠেছিলেন ড্যানিয়েল কাহনেম্যান। যদিও কখনও অর্থনীতির কোর্স করেননি এই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। ইউনিভার্সিটি ড্যানিয়েল কাহনেম্যানের মৃত্যুর কথা ঘোষণা করেছে।

মূলত মানুষের অভ্যাস, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ধরন কী ভাবে ব্যয় এবং তার হাত ধরে অর্থনীতিকে প্রভাবিত করে (বিহেভেরিয়াল ইকনমিক্স) তা নিয়ে গবেষণা করেছেন কাহনেম্যান। বিশেষত অনেক কিছুই না জেনে কীভাবে একজন সিদ্ধান্ত নেন বা নেন না, কেমন আয়ের মানুষ বেশি খুশি থাকেন এই সব ঘিরেই আবর্তিত তার কাজ। আর এটিই পাল্টে দিয়েছে অর্থনীতি সম্পর্কে বহু চিরাচরিত ধ্যান-ধারণাকে। প্রসপেক্ট থিয়োরি (অনিশ্চয়তার মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া) নিয়ে গবেষণার জন্য ২০০২ সালে নোবেল পান তিনি।

১৯৩৪ সালে কাহনেম্যান ফিলিস্তিনের (বর্তমান ইসরায়েলের) তেল আবিবে জন্মগ্রহণ করেন। নিজের প্রাথমিক জীবনের বেশিরভাগ সময় নাৎসি-অধিকৃত ফ্রান্সে কাটিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তার বাবা একটি রাসায়নিক কারখানায় গবেষণার প্রধান হিসেবে কাজ করতেন। তবে ইসরায়েল রাষ্ট্র সৃষ্টির ঠিক আগে ১৯৪৮ সালে কাহনেম্যানের পরিবার ব্রিটিশ শাসিত ফিলিস্তিনে ফিরে আসে।

১৯৫৪ সালে ইসরায়েলের জেরুজালেমে হিব্রু ইউনিভার্সিটি থেকে মনস্তত্ত্ববিদ্যা নিয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন কাহনেম্যান। পরে তিনি যোগ দেন ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সে। সেখানে সেনা নিয়োগে মানসিকতা যাচাই করতে তৈরি করেন বিশেষ ব্যবস্থা। পরে আমেরিকার বার্কলেতে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফর্নিয়া থেকে পিএইচডি করার পরে ফের হিব্রু ইউনিভার্টিসিতে যোগ দেন অধ্যাপক হিসেবে। ২০১১ সালে প্রকাশিত হয় কাহনেম্যানের বিখ্যাত বই থিংকিং ফাস্ট অ্যান্ড স্লো


আরও খবর



মৌসুমের আগেই চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাধারণত বর্ষার ঠিক আগে আগে শুরু হয় ডেঙ্গুর প্রকোপ। বছরের মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়টাকে ডেঙ্গুর মৌসুম ধরা হয়। তবে গত কয়েক বছর ধরে সারা বছরই কম-বেশি ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে। এ বছর ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২২ জন। এ সময়ের মধ্যে ১ হাজার ৭৮৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, সামনে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।  

ডেঙ্গু এডিস মশাবাহিত রোগ। এ রোগের ভাইরাসের একমাত্র বাহক স্ত্রী এডিস মশা। এ মশার মাধ্যমে ভাইরাস মানবদেহে সংক্রমিত হলে ডেঙ্গু হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিকে এডিস মশা কামড়ালেও মশার মধ্যে ভাইরাস সংক্রমিত হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ডেঙ্গু আক্রান্ত বাহক অন্য জায়গায় ভ্রমণের মাধ্যমে রোগটি ছড়িয়ে পড়ে। অর্থাৎ একজন আক্রান্ত ব্যক্তি যখন অন্য জায়গায় ভ্রমণ করেন, সেখানে তাকে এডিস মশা কামড়ালে সেই মশার ভেতরেও ডেঙ্গুর জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে, আর সেসব মশা যাদের কামড়ায় তাদের ডেঙ্গুরোগ হতে পারে।

বর্ষা মৌসুমে এডিস মশার প্রজনন বৃদ্ধি পায় বলে এ সময় ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় এমন ধারণা প্রচলিত থাকলেও বিগত কয়েক বছরে দেখা গেছে, উপযুক্ত পরিবেশ পেলে বছরের যেকোনও সময় এ মশার বংশবিস্তার ঘটে এবং ডেঙ্গুরোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৭৮৯ জন এবং মারা গেছেন ২২ জন। এর মধ্যে জানুয়ারিতে রোগী ছিল ১ হাজার ৫৫ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৩৯ জন এবং মার্চে ৩১১ জন। এপ্রিলের ৯ দিনে রোগী পাওয়া গেছে ৮৪ জন।

গত বছর এযাবৎকালের সর্বাধিক ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হয়। তবে তখন রোগী বেশি ছিল মে থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ বছর জানুয়ারিতেই হাজারের বেশি রোগী পাওয়া গেছে, যা আগে কখনও পাওয়া যায়নি। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে রোগী পাওয়া যায় ১২৬ জন, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে রোগী ছিল ৩২ জন।

বিগত দিনগুলোর তুলনায় এ বছর মৃত্যুও বেড়েছে। এ বছরের জানুয়ারিতে মারা গেছেন ১৪ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন এবং মার্চে ৫ জন। গত বছরের জানুয়ারিতে মারা যান ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন এবং মার্চে কোনও মৃত্যু ছিল না। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ডেঙ্গুতে কেউ মারা যায়নি। তার আগে ২০২১ সালেও এই সময়ের মধ্যে এই রোগে মৃত্যুর কোনও ঘটনা ঘটেনি।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, কীটতত্ত্ববিদ ও চিকিৎসকরা বলছেন, এবারে পরিস্থিতি গতবারের চেয়ে নাজুক হতে পারে। সংক্রমণ ও মৃত্যু সেই পূর্বাভাস দিচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, বিভাগীয় ও জেলা শহরে স্বাস্থ্য অবকাঠামো যথেষ্ট আছে। কিন্তু প্রান্তিক পর্যায়ে বেশি রোগী হলে তা সামলানো কঠিন হয়ে যাবে।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) এক কীটতত্ত্ববিদ বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম বছরজুড়ে চালাতে হবে। গত বছর আমরা গ্রামাঞ্চলে রোগী পেতে শুরু করেছি। এ বছর এই পরিমাণটা আরও বাড়তে পারে। বাড়লে আমাদের চিকিৎসা সক্ষমতার ওপর অনেক চাপ পড়বে।

কীটতত্ত্ববিদ ড. জি এম সাইফুর রহমান বলেন, ২০১৩ সালের আগ পর্যন্ত আমরা দেখেছি, মার্চ-এপ্রিলে ডেঙ্গুরোগী পাওয়া যায়। ২০১৩ সালের পর থেকে ২০১৬ পর্যন্ত দুই-এক মাস বাদ দিয়ে প্রায় সব মাসেই ডেঙ্গুরোগী পাওয়া গেছে। ২০১৬ থেকে আজ পর্যন্ত প্রতি মাসেই একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোগী পাওয়া যাচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, এডিস মশার উপদ্রব বন্ধ করতে হবে। চিকিৎসা পরের কথা। চিকিৎসার জন্য যা যা দরকার সেটা নিয়ে আমরা এরইমধ্যে একটা মিটিং করেছি। এখন আবার বসবো যেন চিকিৎসায় কোনও ঘাটতি না হয়।


আরও খবর
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস আজ

রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪




পাথরঘাটায় দুইটি হরিণের চামড়াসহ আটক ৩

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি:

বরগুনার পাথরঘাটায় দুইটি হরিণের চামড়াসহ তিনজনকে আটক করেছে পাথরঘাটা থানা পুলিশ। এঘটনায় চক্রের মূল হোতা আবু বকর পালাতক আছে বলে জানিয়েছে পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আনোয়ার হোসেন।

বৃহস্পতিবার ভোররাত তিনটার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের গাববাড়িয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুইটি হরিণের চামড়াসহ দক্ষিন চরদুয়ানী এলাকার জাহাঙ্গীর আকনের ছেলে ফিরোজ আকন (২৬), দক্ষিণ জ্ঞানপাড়া ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাবিবুর রহমানের ছেলে মহিবুল্লাহ হাওলাদার (১৯), মঠেরখাল ৭ নম্বর ওয়ার্ডে শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে শামীম হাওলাদার(২৬) কে আটক করা হয়।

জানা যায়, এএসআই ওয়াসিম এর নেতৃত্বে পাথরঘাটা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে দুইটি হরিণের চামড়াসহ চোরাকারবারি চক্রের তিনজনকে আটক করা হয়।

পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চরদুয়ানি ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে হরিণের চামড়া সহ তিনজনকে আটক করা হয়। চক্রের মূল হোতা আবু বকর পালাতক রয়েছে। উদ্ধারকৃত হরিণের চামড়া পাথরঘাটা বন বিভাগের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়ার চলমান।


আরও খবর