আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

আওয়ামী লীগের ইশতেহারে যেসব বিষয় অগ্রাধিকার পাবে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ অক্টোবর ২০23 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ অক্টোবর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনকে মূল ভিত্তি ধরে কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আগামী নির্বাচনের ইশতেহার তৈরি করছে আওয়ামী লীগ। চলমান অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠার পাশাপাশি সুশাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়টি এ ইশতেহারে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

এই বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়ে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ইশতেহার তৈরির কাজ চলছে বলে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে দলের ইশতেহার প্রণয়ন উপ-কমিটির দুটি সভা করেছে।

এ উপ-কমিটির একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের কথাও বলেছেন তিনি। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজ করছে আওয়ামী লীগ সরকার। এই প্রেক্ষাপটে দলের এবারের ইশতেহারের লক্ষ্য হবে ২০৪১ সাল। এই সময়ের মধ্যে উন্নত. সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে করণীয়গুলো চিহ্নিত করে ইশতেহারে তুলে ধরা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইশতেহার প্রণয়ন উপকমিটির সদস্য সচিব এবং আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, ২০০৮ সালে উন্নয়নের যে রূপরেখা দেওয়া হয়েছিল তার ভিত্তিতে এ পর্যন্ত দেশে যুগান্তকারী উন্নয়ন হয়েছে। শেখ হাসিনা সেটা করে দেখিয়েছেন। কোভিড এবং ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের প্রভাবে যেসব কাজ নির্দিষ্ট সময় করা সম্ভব হয়নি, প্রক্রিয়াধীন আছে সে বিষয়গুলোকে ত্বরান্বিত করে ২০৪১ সালের লক্ষ্যে পৌঁছাতে করণীয়গুলো ইশতেহারে নিয়ে আসা হবে।

উপকমিটির সূত্রগুলো জানায়, সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার পাবে যে বর্তমানে যে অর্থনৈতিক সংকট  চলছে তা মোকাবিলা করা, নতুন প্রজন্মের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, দারিদ্র বিমোচন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যোগাযোগ কৃষিসহ যেগুলোর উন্নয়ন হচ্ছে তা চলমান রাখা এবং গতি বাড়ানো। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য) অর্জন করা এবং এগুলোর প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশ্বে বাংলাদেশকে নেতৃত্বের জায়গায় নিয়ে আসা। 

স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যে পৌঁছাতে যে বিষয়টি সব চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা হলো আধুনিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে যুগোপযোগী করে গড়ে তোলা। তাদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। এই বিষয়টিও ইশতেহারে অগ্রাধিকার পাবে। এ বিষয়গুলো নিয়ে কমিটি সভায় আলোচনা চলছে। সদস্যদের মতামত এবং প্রস্তাবের ভিত্তিতে সাড়া তৈরি হবে।

আওয়ামী লীগের ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে বলা হয়েছিল, ভিশন ২০২১, প্রতিশ্রুতি ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশের। ২০১৮ সালের নির্বাচনে উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার কথা বলে ইশতেহার দেওয়া হয়েছিল সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ। সকল গ্রামকে শহরের সকল সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার করার কথা উল্লেখ করে স্লোগান দেওয়া হয়েছিল আমার গ্রাম হবে আমার শহর।

সূত্রগুলো আরও জানায়, আগের ইশতেহারে যেসব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তা কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে তার মূল্যায়ন এবং এর ওপর ভিত্তি করে নতুন কর্মসূচি অর্ন্তভুক্ত করা হবে।  ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন হয়েছে, এখন স্মার্ট বাংলাদেশের কথা ভাবা হচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য করণীয় বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরা হবে। কোভিড-১৯ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে চলমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতির উপর চরম আঘাত এসেছে, যা কাটিয়ে ওঠা কঠিন বলে মনে করা হচ্ছে। নতুন কর্মসূচির ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক দিকটাও মাথায় রাখা হবে।

এছাড়া বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান তিনটি দিক কৃষি, সেবা এবং শিল্প উৎপাদন খাত। এই তিনটি খাতই ইশতেহারে গুরুত্ব পাবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের  চ্যালেঞ্জ কথা চিন্তা করে আগামীতে কৃষিভিত্তিক শিল্প গড়ে তোলাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। কৃষিতে যে ভর্তুকি দেওয়া হয় তা অব্যাহত থাকবে। 

সেবা খাতের মধ্যে স্বাস্থ্য, শিক্ষা অগ্রাধিকার পাবে। তবে শিল্প খাতকে মূল ফোকাসে এনে ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরকে প্রসারিত করা, ছোট শিল্প কারখানার সঙ্গে সঙ্গে ভারী শিল্প কারখানা গড়ে তোলার ওপর অধিক জোর দেওয়া হবে। পাশাপাশি দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য গণমাধ্যম, বিচার বিভাব ও নির্বাহী বিভাগ এই তিনটি বিষয়কে ইশতেহারে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলেও ওই সূত্রগুলো জানায়।

এ বিষয়ে সেলিম মাহমুদ বলেন, অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা, নতুন প্রজন্মকে গড়ে তোলা এবং তাদের কর্মসংস্থানের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতগুলো গুরুত্ব পাবে। সেভাবেই ইশতেহার তৈরির কাজ চলছে।


আরও খবর
আরও ৬১ নেতাকে শোকজ বিএনপির

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4




তীব্র তাপদাহে পুড়ছে দেশ, ভাঙল ৭৬ বছরের রেকর্ড

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র তাপদাহে পুড়ছে দেশ। কখনো তীব্র আবার কখনো অতি তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে দেশের বেশকিছু অঞ্চলের ওপর দিয়ে। টানা এতদিনের তাপদাহ আগে কখনো দেখেনি বাংলাদেশ। এ অবস্থায় চলতি বছর দেশে গত ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে তাপদাহ। যা এপ্রিল মাসজুড়েই অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে জানান, ১৯৪৮ সাল থেকে ইতিহাসে এবারই প্রথম দীর্ঘসময় ধরে তাপপ্রবাহ বইছে বাংলাদেশে। চলতি এপ্রিলে টানা ২৪ দিন তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী বিভাগে ১ এপ্রিল থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। এরপর ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বিভাগটির তাপমাত্রা ৩৬-৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়। পরবর্তীতে ঢাকা, খুলনা ও রংপুর বিভাগেও তাপমাত্রা বাড়ে এবং দু’দিন তা অব্যাহত থাকে।

এদিকে, গত ৮ এপ্রিল কক্সবাজার ও সীতাকুণ্ডে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। তবে ৯ ও ১০ এপ্রিল সারাদেশে তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে ছিল। এরপর ১১ এপ্রিল থেকে উষ্ণতা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।

টানা অন্তত দু’দিন তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকলে তা তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এদিকে, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আবহাওয়া অধিদপ্তরের সবশেষ ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এই অবস্থায় আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

অন্যদিকে, বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা ও যশোর জেলাসমূহের ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলাসহ খুলনা বিভাগের অন্যান্য জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঢাকা, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, বগুড়া, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও অব্যাহত থাকতে পারে।

তবে এই সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।


আরও খবর
আজ ঢাকায় কখন বৃষ্টি হবে

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4




জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



নিজের জন্য জামা পরি না, অন্যের ভালো লাগবে বলে পরি : অপরাজিতা

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। কাজ করেছেন একাধিক ধারাবাহিক সিরিয়ালে। অভিনয়ের পাশাপাশি ব্যক্তিজীবন নিয়ে বেশ সাহসী এই অভিনেত্রী। কোনো কিছু নিয়েই রাখঢাক রাখেন না তিনি।

সম্প্রতি আনন্দবাজারের মুখোমুখি হয়েছিলেন অপরাজিতা। কথা বলেছেন বিয়ে, সংসার থেকে শুরু করে নিজের পোশাক পরিচ্ছেদ নিয়ে। বিশেষ করে অভিনেত্রীর শাড়ি পরিধান নিয়ে কম কটাক্ষের শিকার হতে হয়নি নেটিজেনদের।

এ বিষয়ে আনন্দবাজারকে অপরাজিতা বলেন, শাড়ি পরার এই ধরন নিয়ে কিছু একটা চলছে। তবে কে কী বলেছেন, সেটা না জেনে কোনও মন্তব্য করা ঠিক হবে না। আমার মনে হয়, কে কীভাবে শাড়ি পরবেন, সেটা তার ব্যক্তিত্বের উপর নির্ভর করে। আমার খুব ভালো চেহারা, আমি চাই মানুষের প্রশংসার তীব্রতা আমাকে আকর্ষণ করুক। তার চোখে দারুণ দেখতে লাগছে। কেউ যদি লো কাট ব্লাউজের সঙ্গে শিফন শাড়ি পরেন, তিনি যদি আত্মবিশ্বাসী হন, তাহলে পরবেন।’

অভিনেত্রী বলেন, আমরা তো নিজের জন্য জামা-কাপড় পরি না, অন্যের আমাকে ভাল লাগবে বলে পরি। মানুষ যদি শুধু নিজের জন্য জামা-কাপড় পরতেন, তাহলে তো ম্যাক্সি পরেই কেটে যেত। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত মত, আমি নিজে এমন পোশাক পরব যা সর্বজনগ্রাহ্য। পোশাকের মাধ্যমে কোনও ব্যক্তি কী ধরনের বার্তা দিতে চাইছেন, সেটা তার মানসিকতার উপর নির্ভর করে।’

বর্তমান সময়ের রিলেশনশিপ নিয়ে অপরাজিতা বলেন, আমরা পারফেকশন’ খুঁজতে গিয়ে গোলমালটা করে বসি। এই জীবন, প্রকৃতি কোনও কিছুই কি নিখুঁত? আসলে আমরা ভালোবাসি যখন-তখন, কোনও মানুষের গুণ দেখে। কিন্তু ভালোবাসি বলেই কোনও মানুষের শর্তাধীন নই। একে অপরের মর্জি মতো চলা, বা সারাক্ষণ পছন্দ-অপছন্দ মাথায় নিয়ে চলা মানে তো চুক্তির মতো। আমি যদি আশা করে থাকি আমার বর হৃতিক রোশনের মতো দেখতে হবে, তাহলে তো আমার সংসারে অশান্তি হবে।


আরও খবর



নাটোরে আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাটোর প্রতিনিধি

Image

নাটোরের লালপুর উপজেলায় মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার গোপালপুর পৌরসভার আজিমনগর রেলস্টেশন এলাকার একটি দোকানের সামনে তাকে হত্যা করা হয়।

নিহত মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু উপজেলার বাহাদিপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে। তিনি গোপালপুর পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।

লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে আজিমনগর রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন একটি কনফেকশনারী দোকানের সামনে বসেছিলেন মঞ্জু। এ সময় দুটি মোটরসাইকেলে চার থেকে পাঁচজন এসে মাথায় এবং পেটে গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মঞ্জুর মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি বলেন, কয়েকজন মুখোশধারী এই হামলা চালিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের কয়েকটি দল মাঠে কাজ শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মঞ্জুর প্রতিপক্ষরা তাকে হত্যা করতে পারে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।


আরও খবর



দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে, ৪২.৬ ডিগ্রি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
যশোর প্রতিনিধি

Image

মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। শনিবার বিকেলে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার যশোরে তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার দুপুর ২টা পর্যন্ত তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি বছরের সর্বোচ্চ।

শনিবার গত কয়েকদিনের সব রেকর্ড ভেঙে তাপমাত্রা হয় ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে চুয়াডাঙ্গায় শনিবার বিকেল তিনটায় তাপমাত্রা উঠেছে ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। চলমান মৌসুমের এই এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এটি। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান এই তথ্য জানান।

চুয়াডাঙ্গায় তীব্র দাবদাহ অব্যাহত রয়েছে। সকাল থেকেই রোদের তাপ ও ভ্যাপসা গরম। জনজীবন হয়ে পড়েছে দুর্বিষহ। তীব্র রোদের তাপে মানুষ বাইরে আসতে পারছেন না। সকাল ৯টার পর থেকে রোদের তাপ অসহনীয় হয়ে উঠেছে।


আরও খবর