আজঃ শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

আয়ের একমাত্র অবলম্বনে আগুন, জ্ঞান হারালেন মালিক

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image
দেলু তার শেষ সম্বল ৭ কাঠা জমি বিক্রি করে ২৮ লাখ টাকায় কিস্তিতে গাড়িটি ক্রয় করেছেন। এজন্য প্রতি মাসে তাকে ৬২ হাজার টাকা কিস্তি পরিশোধ করতে হয়।

বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ৪৮ ঘণ্টা হরতালের প্রথম দিন গাজীপুরে দাঁড়িয়ে থাকা দূরপাল্লার একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রোববার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর শহীদ বরকত সরণি এলাকার শিববাড়ী-জয়দেবপুর সড়কে বাসটিতে আগুন দেওয়া হয়।

দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে আয়ের একমাত্র অবলম্বন বাসটি পুড়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখে বাসের চালক ও মালিক দেলোয়ার হোসেন দেলু জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে এলাকাবাসী তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান।

দেলুর চাচাতো ভাই সাগর হোসেন জানান, দেলুর গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানা এলাকায়। বর্তমানে তারা শহীদ বরকত সরণি এলাকায় সপরিবারে বাসা ভাড়া করে থাকেন। সেখানে থেকে দেলু তুরাগ পরিবহন নামে তার গাড়িটি ঢাকা-শেরপুর  রুটে চালান। তিনিই গাড়ির মালিক তিনিই চালক। দীর্ঘদিন ধরেই ট্রিপ শেষে বাসটি বাসার কাছে সড়কের পাশে পুকুর পাড়ে রাখেন। প্রতিদিনের মতো শনিবার ভোররাতে একই স্থানে বাসটি রেখে বাড়ি যান। দুপুরে কে বা কারা বাসটিতে অগ্নিসংযোগ করে পালিয়ে যায়। মুহূর্তেই আগুন পুড়ো গাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় ঘণ্টা খানেক চেষ্টার পরে এলাকাবাসী পাশের পুকুরের পানি দিয়ে আগুন নেভায়।

তিনি আরও জানান, দেলু তার শেষ সম্বল ৭ কাঠা জমি বিক্রি করে ২৮ লাখ টাকায় কিস্তিতে গাড়িটি ক্রয় করেছেন। এজন্য প্রতি মাসে তাকে ৬২ হাজার টাকা কিস্তি পরিশোধ করতে হয়। অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে বাসা থেকে গিয়ে বাসটি পুড়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। পরে এলাকাবাসী তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। এখন দেলু কীভাবে বাসের কিস্তির টাকা পরিশোধ করবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন স্বজনরা।

গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু ছিদ্দিক বলেন, শহীদ বরকত সরণির পাশে পুকুর পাড় দাঁড় করানো বাসে অগ্নিসংযোগের খবর শুনে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। আমরা যাওয়ার আগেই এলাকাবাসী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কে বা করা বাসটিতে আগুন দিয়েছে তা তদন্ত করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



নীলফামারীর গ্রামগঞ্জে চলছে নবান্ন উৎসব

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জুয়েল বসুনীয়া, নীলফামারী

Image

মাঠ ভরা ধানে সোনালি ছোঁয়া লাগলেই গ্রাম-বাংলায় বোঝা যায় নবান্ন আসছে। কথায় আছে বাঙালিদের বারো মাসে তের পার্বণ। বাংলাদেশের মানুষ উৎসবে আনন্দে মেতে থাকতে পছন্দ করে। বাংলাদেশে প্রচলিত উৎসবের মধ্যে নবান্ন উৎসব অন্যতম।

নবান্ন মানে নব বা নতুন অন্ন। আমাদের দেশে নতুন ফসল ঘরে তোলা উপলক্ষে কৃষকরা এই উৎসব পালন করে থাকে। সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসে যখন আমন ধান কাটা হয় তখন নবান্ন উৎসব পালন করা হয়। এই নতুন ধানের চাল দিয়ে রান্না উপলক্ষে নবান্ন উৎসব হয়ে থাকে।

নবান্ন হচ্ছে ঋতুকেন্দ্রিক একটি উৎসব। হেমন্তে নতুন ফসল ঘরে তোলার সময় এই উৎসব পালন করা হয়। এই উৎসব পালিত হয় অগ্রহায়ণ মাসে। অগ্র অর্থ প্রথম। আর হায়ণ অর্থ মাস। এ থেকে সহজেই ধারণা করা হয়, এক সময় অগ্রহায়ণ মাসই ছিল বাংলা বছরের প্রথম মাস। সমাজ ও সভ্যতার ঊষালগ্ন থেকেই মানুষের খাদ্য সংগ্রহ ও খাদ্য উৎপাদনের সাফল্যকে কেন্দ্র করে উদ্ভব ঘটেছে নানা উৎসব ও অনুষ্ঠানের।

সমাজ ও সভ্যতার ক্রমবিকাশের ধারাবাহিকতায় মানব সভ্যতার যখন খাদ্য আহরণ যুগ থেকে কৃষি অর্থনীতির যুগে উত্তরণ ঘটে তখন ফসল উৎপাদনের পেছনে কোন না কোন অদৃশ্য দৈব শক্তির অস্তিত্ব কল্পনা করে মানুষের মনে জন্ম নিয়েছে নানা বিশ্বাস ও সংস্কার। বীজ বোনা থেকে শুরু করে ফসল উৎপাদনের বিভিন্ন পর্যায়ে এ ধরনের দৈবশক্তির সাহায্য প্রার্থনা করে নানা আচার-অনুষ্ঠান, পূজা-অর্চনা যুক্ত হয়েছে এসব উৎসবে।

নবান্ন উৎসব উপলক্ষে নতুন চালের তৈরি পায়েশ-পোলাও, পিঠা-পুলিসহ রকমারি খাদ্য-সামগ্রী পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন সবাইকে নিমন্ত্রণ করে খাওয়ানো হয়। পাশাপাশি পালন করা হয় সামাজিকভাবে প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী নানা আচার-অনুষ্ঠান। ধর্মীয় রীতি-নীতি অনুযায়ী এসব আচার- আনুষ্ঠানিকতায় বৈচিত্র রয়েছে। মুসলিম কৃষক সমাজে নতুন ফসল ঘরে ওঠার জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের উদ্দেশ্য বাড়ি বাড়ি কোরানখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, মসজিদ ও দরগায় শিরনির আযোজন করা হয়।

সনাতন তথা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুযায়ী অন্ন লক্ষ্মীতুল্য। তাই তারা এ দেবীর উদ্দেশ্য পূজা-অর্চনার আয়োজন করে। এছাড়া, নবান্ন অনুষ্ঠানে নতুন অন্ন পিতৃপুরুষ, দেবতা, কাঁক ইত্যাদি প্রাণীকে উৎসর্গ করে এবং আত্মীয়জনকে পরিবেশন করার পর গৃহকর্তা ও পরিবারবর্গ নতুন গুড়সহ নতুন অন্ন গ্রহণ করেন। নতুন চালের তৈরি খাদ্যসামগ্রী কাঁককে নিবেদন করা নবান্নের অঙ্গ একটি বিশেষ লৌকিক প্রথা। লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, কাঁকের মাধ্যমে ওই খাদ্য মৃতের আত্মার কাছে পৌঁছে যায়। এই নৈবেদ্যকে বলে কাঁকবলী। একটি কলার ডোগায় নতুন চাল, কলা, নারকেল নাড়ু কাককে খাওয়াতে হয়।

প্রচলিত বিশ্বাস হচ্ছে কাকের মাধ্যমে ওই খাদ্য মৃতের আত্মার কাছে পৌঁছে যায়। কাকবলির আগে আরো তিনটি আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হত- লক্ষ্মীপূজা, পিতৃশ্রাদ্ধ, বীরবাশ। বরিশাল অঞ্চলে প্রচলিত আছে বীরবাশ প্রথা। বাড়ির উঠানের মাঝখানে একটি গর্ত করা হয়। তার চারপাশে পিটুলী দিয়ে আলপনা আঁকা হয়। গর্তে জ্যান্ত কই মাছ ও কিছু দুধ দিয়ে একটি বাঁশ পোতা হয়। সেই বাঁশের প্রতি কঞ্চিতে ধানের ছড়া বাধতে হয়। এটাকে বীরবাশ বলে।

নবান্ন উৎসব উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাসব্যাপী উৎসব হতো আগেকার দিনে। এ উৎসবের সাথে জড়িয়ে আছে বাঙালিদের বহুদিনের প্রথা ও বিশ্বাস ।


আরও খবর



আসন ভাগাভাগি ছাড়াই শেষ হলো ১৪ দলের বৈঠক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শরিকদের মধ্যে আসন ভাগাভাগি ছাড়াই শেষ হয়েছে ১৪ দলের বৈঠক। প্রায় পৌনে ৪ ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠকটি শেষ হয় রাত ১০টার দিকে।

বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ ওবায়দুল কাদেরের প্রেস ব্রিফিং করার কথা থাকলেও আজ তা হচ্ছে না। এর পরিবর্তে মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ব্রিফ করবেন তিনি।

এর আগে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর গণভবনে বৈঠকটি শুরু হয়। বৈঠক শেষে ১৪ দলের নেতারা বলেন, ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর ওপর আসন ভাগাভাগির ভার দেয়া হয়েছে। আগামী দুই-একদিনের মধ্যে তিনি বিষয়টি চূড়ান্ত করবেন।

আরও পড়ুন>> সন্ধ্যায় শরিকদের সঙ্গে বসছেন শেখ হাসিনা

বৈঠকে আমির হোসেন আমু ছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় পার্টির (জেপি) সভাপতি আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, গণতান্ত্রিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেনসহ জোটের শরিক দলগুলোর শীর্ষ নেতারা।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলো আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলেও দলীয়ভাবে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছে তারা। এবার জোটগতভাবে নির্বাচন হবে কিনা, সেই দোদুল্যমানতা থেকেই এমনটি করা হয়েছে।


আরও খবর
তৃতীয় দিনে ১৫৫ প্রার্থীর আপিল ইসিতে

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




প্রতি ১০ মিনিটে গাজায় এক শিশু নিহত হচ্ছে: ডব্লিউএইচও

প্রকাশিত:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গড়ে প্রতি ১০ মিনিটে একটি করে শিশু নিহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস। শনিবার (১১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ডব্লিউএইচও প্রধান বলেন, গাজা উপত্যকায় গড়ে প্রতি ১০ মিনিটে একটি করে শিশু নিহত হচ্ছে। সেখানে কোনো জায়গাই নিরাপদ নয় এবং কেউই নিরাপদে নেই।

তিনি বলেন, গজার ৩৬ টি হাসপাতালের অর্ধেক এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর দুই-তৃতীয়াংশই এখন আর কাজ করছে না। এছাড়া এখনও যেসব হাসপাতাল ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র সক্রিয় রয়েছে, পরিস্থিতি তাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে।

গাজার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা পতনের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার  প্রধান।

১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদকে টেড্রোস আধানম বলেন, গাজার হাসপাতালের করিডোর পর্যন্ত আহত, অসুস্থ, মৃত ব্যক্তিদের ভিড়ে ভরে গেছে। মর্গ উপচে পড়ছে। অ্যানেস্থেসিয়া ছাড়াই অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে। হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ হাসপাতালে আশ্রয় নিচ্ছেন।

শুক্রবার ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে দেশটি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা নিউজ জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে গাজা ও পশ্চিম তীর মিলে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ২০৮ জনে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ২৯ হাজার ৫০০ জন।

নিহতদের মধ্যে ১১ হাজার ২০৫ জন গাজার এবং পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে মারা গেছে আরও ১৮৩ জন। এছাড়া গাজায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২৭ হাজার এবং পশ্চিম তীরে আহতের সংখ্যা আড়াই হাজারের অধিক।

নিউজ ট্যাগ: গাজা উপত্যকা

আরও খবর



নিউমোনিয়ার ঝুঁকি এড়াতে করণীয়

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

শীতে তাপমাত্রার ওঠানামা অনেক বেশি। কোন কোন দিন আবার সারাদিন বৃষ্টি থাকছে। এই রকম আবহাওয়ায় সুস্থ থাকাটা চ্যালেঞ্জর। শীতে অন্য রোগের থেকে নিউমোনিয়া হওয়ার ঝুঁকির পরিমাণটা বেশি। দেখা যায়, বাচ্চাদের নিউমোনিয়া বেশি হয়ে থাকে। এ সময় সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ে। তাই যতটা সম্ভব সর্তক থাকার চেষ্টা করতে হবে।

নিউমোনিয়া ফুসফুসের সংক্রমণের কারণে হতে পারে। এ রোগ ফুসফুসে পানি জমেও হতে পারে। শুরুতে গুরুত্ব না দিলে পরর্বতীতে বড় ধরণের ক্ষতি হতে পারে। কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে নিউমোনিয়া থেকে নিজেদেরকে সুরক্ষিত রাখা যায়।

বার বার হাত ধোঁয়া

যতটা সম্ভব চেষ্টা করতে হবে হাত পরিষ্কার রাখা। বার বার হাত ধোঁয়ার অভ্যাস করুন। হাত ধুতে না পারলেও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা। এছাড়াও, হাত না ধুয়ে কোন কিছু না খাওয়া। খেতে বসার আগে সাবান দিয়ে ভালো ভাবে হাত ধুয়ে নিন।

গরম পোশাক পরুন

যাদের ঠাণ্ডার সমস্যা আছে তারা শীতে সবসময় গরম পোশাক পরে থাকার চেষ্টা করুন। শিশুরা অনেক সময় শরীরে গরম কাপড় বেশিক্ষণ পড়ে থাকতে চাই না তাই তাদের দিকে বিশেষ নজর রাখা উচিত। রাতে বাইরে বের হলেও মাথা ও কান মাফলারে মুড়িয়ে রাখতে চেষ্টা করুন।

স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া

বাজার ভরা শীতকালের নানান শাকসবজি। ফাইবার, ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেটে সমৃদ্ধ খাবার শীতে অন্য রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি জোগায়। এছাড়াও, ভিটামিন সি আছে এমন খাবার যেমন জলপাই, কমলা, লেবু ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে। এগুলো একপ্রকার প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।

 


আরও খবর
মোজা দিবস আজ

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩

আজকের রাশিফল: শুক্রবার ৮ ডিসেম্বর ২০২৩

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা, নিহত ৩

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা অঙ্গরাজ্যের লাস ভেগাসে ইউনিভার্সিটি অব নেভাদার ক্যাম্পাসে বন্দুকধারীর গুলিতে ৩ জন নিহত হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছে আরও একজন। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, সন্দেহভাজন বন্দুকধারী নিজেও মারা গেছে। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার এই ঘটনা ঘটেছে। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এমএসএনবিসি নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

লাস ভেগাস পুলিশ বিভাগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সন্দেহভাজন বন্দুকধারী ছাড়াও আরও তিনজন নিহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়া আরও একজনের অবস্থা গুরুতর। পুলিশ এখনো বন্দুকধারী এবং নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি। এমনকি কেন এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে সে বিষয়েও কোনো কিনারা করতে পারেনি। 

আরও পড়ুন>> যুক্তরাষ্ট্রকে ৫০ বিলিয়ন ডলার জরিমানা করল ইরান

ইউনিভার্সিটি অব লাস ভেগাসের অধ্যাপক ভিনসেন্ট পেরেজ জানান, তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ব্যাপক গোলাগুলির আওয়াজ শুনেছেন। তিনি বলেন, আমি বলতে চাই, পরপর সাত আটটি গুলির শব্দ শুনতে পাই জোরে, খুবই জোরে। গুলির আওয়াজ শোনার সঙ্গে সঙ্গে আমরা দৌড়ে ভেতরে চলে যাই। দ্রুতই বুঝতে পারি যে, ক্যাম্পাসে একজন সক্রিয় বন্দুকধারী আছে।

ইউনিভার্সিটি অব লাস ভেগাসের নিজস্ব পুলিশ বিভাগের অ্যাডাম গার্সিয়া এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ক্যাম্পাসে একজন সক্রিয় বন্দুকধারী বিষয়ে খবর পাওয়ার পর আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানায় এবং সন্দেহভাজনকে পাকড়াও করে। তিনি জানান, সন্দেহভাজন বন্দুকধারী মারা গেছে। তবে কীভাবে মারা গেছে, তা পুলিশ জানায়নি।

লাস ভেগাস মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগের শেরিফ কেভিন ম্যাকমাহিল বলেছেন, আর কোনো হুমকি নেই। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শাখাগুলি সতর্কতার কারণে কিছুদিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।


আরও খবর